একদা অজস্র ডানা ছিলো, কোনো আকাশ ছিলো না।
আকাশ মানেই ছিলো ঝড়, বজ্র, শাণিত বিদ্যুৎ
আর সীমাহীন অন্ধকার। তবু ওই ঝড়ে, বজ্রে, শাণিত বিদ্যুতে
উড়েছি বারবার। ডানা থাকলে ওড়ার জন্যে কোনো
আকাশ লাগে না–ঝড়ই হয়ে ওঠে আকাশ, বিদ্যুৎ নীলিমা।
বজ্ৰ জ্ঞাপন করে আকাশের স্তরেস্তরে ওড়ার উল্লাস।
জানি নি কখন বজ্রে-বিদ্যুতে খসে গেছে সংখ্যাহীন ডানা
আর মুখ থুবড়ে পড়ে গেছি উদ্ধারহীন নর্দমায়।
বহু দিন পর চোখে মেলে দেখি চারদিকে ছড়ানো আকাশ–
নীল হয়ে, তারকাখচিত হয়ে, শরীরে জ্যোৎস্না পরে
ছড়িয়ে রয়েছে–বজ্র নেই, ঝড় নেই, বিদ্যুতের ছুরিকাও নেই।
দূরস্মৃতির মতোন মনে পড়ে বজ্র, আর বিদ্যুৎকে।
উড়েতে গিয়েই দেখি খসে গেছে আমার সে-সংখ্যাহীন ডানা,
আর আমি ঢুকে গেছি স্বপ্নের প্রধান শত্রু অশ্লীল বাস্তবে।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো