দিনটা ১৭ জুলাই, সোমবার ২০০০ সাল। সময় : সকাল ১০টা। কলিংবেল বাজতে আমিই দরজা খুলে দিলাম। সুদর্শন, ফর্সা, লম্বা, মেদহীন, স্বল্পকেশ এক মধ্যবয়সী দাঁড়িয়ে। পদ্দনে পায়জামা ও সিল্কের পাঞ্জাবি। চোখে চশমা। হাতে একগাদা গ্রহরত্নের আংটি। মুখটা চেনা চেনা ঠেকল, কোথায় দেখেছি? কোথায় দেখেছি? হাতড়াতে হাতড়াতে পেয়ে গেলাম। আরে শ্রীপরাশর (আদি) আপনি ? আসুন আসুন।

ভাবছিলাম, কোন্ ধান্ধায় এলেন ফোন না করে। আমার ফোন নম্বর জ্যোতিষীদের সকলেরই জানা থাকার কথা। তাহলে কেন ফোন না করে এলেন? আমাকে কি তবে ভাববার সুযোগ দিতে চান না? কোনও সমস্যার কথা বলবেন আচমকা ?

আসুন, আসুন। উদার অভ্যর্থনা জানালাম। ডাকসাইটে জ্যোতিষী সবার সমস্যা গ্যারান্টি দিয়ে সমাধান করেন। তিনি কী সমস্যা নিয়ে এলেন? নাকি আমার জীবনে সমস্যা তৈরি করতে তাঁর আবির্ভাব?

সোফায় বসেও ছট্‌ফট্ করছেন শ্রীপরাশর। অতিমাত্রায় উত্তেজিত? জিজ্ঞেস করলাম, কাল শুনলাম কোনও একটা টি ভি চ্যানেলে নাকি একটা খবর প্রচার করেছে উত্তর দমদমের কোনও একটা বাড়িতে যখন-তখন আগুন জ্বলে উঠছে। বাড়িটা কি আপনার কোনও আত্মীয়-বন্ধুর?

—প্রবীরদা, ওটা আমারই বাড়ি। গত শুক্রবার থেকে আগুন জ্বলে উঠছে জামা-কাপড়ে শুক্রবার তিনবার জ্বলেছে। শনিবার ৪ বার। রবিবার ১০ বার। পুলিশ সহযোগিতা করছে। রাতে টহল দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দাদা, আগুন আমার পিছু ছাড়ছে না। তাই আপনাকে নিয়ে যাব বলে এসেছি। নিরাশ করবেন না।

ভাবছিলাম—লোকটা হয় খুবই চালাক। নতুবা আস্ত বোকা। নিজেই নিশ্চয়ই ফোন করো টিভিকে খবর দিয়েছে। পত্রিকাকেও খবর দিয়েছে বা দেবে। কেন খবর দিল? যে বাস্তু-দোষ খণ্ডন করে, তার বাড়িতে ভৌতিক সমস্যা? ওঁর মার্কেট তো খারাপ হয়ে যাবে! নাকি আমার ও যুক্তিবাদী সমিতির মার্কেট খারাপ করতে এই ফাঁদ পাতা। নিশ্চিত হয়ে এসেছেন, কেমনভাবে আগুন জ্বলছে তা আমার ধরার কম্মো নয়! আমি গেলে মিডিয়াও যাবে। আমি আগুন জ্বলার কারণ ধরতে না পারলে মিডিয়াগুলোয় বিশাল খবর হবে সেটাই। এটা একটা ফাঁদ হলে, পিছনে আরও অনেকেই থাকতে পারেন। জ্যোতিষী ও তান্ত্রিকরা থাকতেই পারেন। থাকতে পারেন ওদের ভক্ত রাজনীতিক-পুলিশের লোক। সাবধান হতেই হবে।

বললাম, হ্যাঁ আপনার নামটাই তো জানা হল না।

আমার স্ত্রী শুক্লা ও একমাত্র ছেলে সোমাকান্ত। আমিও বিজ্ঞানে বিশ্বাস কার। আমার বিশ্বাস আপনি…

তুষারবাবুকে কথাটা শেষ করতে না দিয়ে একটু ঠেস দিয়ে বললাম, তা আপনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাই হোক— যুক্তিবাদী সমিতির কাছে একটা আবেদন লিখে ডিটেলে জানান কৰে কখন কোথায় আগুন জ্বলছে।

—ঠিক আছে প্রবীরদা তাই হবে। প্লিজ চলুন। আপনি আপনার ইনভেস্টিগেশন চালাতে চালাতে অ্যাপ্লিকেশন লিখে আপনার হাতে দিয়ে দেব।

—এখন যাওয়া অসম্ভব। আজ আপনার চিঠি পাওয়ার পর কাল সকাল এগারো-সাড়ে এগারোটা নাগাদ পৌঁছে যাব।

ভাবছিলাম-জ্যোতিষীর বাড়িতে ভূতুড়ে আগুন! কাকে নিয়ে যেতে চাইছেন? জ্যোতিষীদের সবচেয়ে বড় শত্রুকে। এত তাড়াহুড়ো কেন? ব্যাঙ্কে কাজের সুবাদে একটা কথা শিখেছিলাম- কোনও কাস্টমার বেশি তাড়াহুড়ো করে কাজ করিয়ে নিতে চাইলে বেশি সতর্ক হবে।

এমনটা হতে পারে তুষারবাবু ভাড়াটে। বাড়িওয়ালার মাথায় ঢোকাতে চান, বাড়িটা ভূতুড়ে। ভূতুড়ে-বাড়ি হলে ব্যাপক প্রচার করতে পারলে বাড়িওয়ালা ঘাবড়ে যাবেন। এই অবস্থায় জলের দরে বাড়িটা কিনে নেবার অফার দেবেন। এই সুযোগে আমাকেও জব্দ করবেন বলে হয় তো পরিকল্পনা করেছেন। এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুন্দর একটা ছক করেছেন। আমি ব্যর্থ হওয়ার পর তুষারবাবু ভূতের উপদ্রব বন্ধ রেখে প্রচার করবেন তিনি শেষ পর্যন্ত বাস্তুশাস্ত্র প্রয়োগ করে উপদ্রব বন্ধ করেছেন। না, আজ আর তুষারবাবুর কাছে জানতে চাইলাম না-তিনি ভাড়াটে, না মালিক।

কোথায় আমাকে বলবেন – প্লিজ মিডিয়াকে জানাবেন না। তা নয় তিনিই মিডিয়াদের জানাচ্ছেন। গন্ধটা খুব সন্দেহজনক।

১৮ জুলাই, মঙ্গলবার। আমার গাড়িতেই আমরা তিনজন, অরিন্দম ভট্টাচার্য ও অরিন্দম চ্যাটার্জি আমার সাথি। বাড়ি খুঁজে পেতে কোনও অসুবিধে হল না। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম পাড়া-পড়শিরা সকলেই জানেন আমি আসছি। পৌঁছে দেখি কিছু সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিক হাজির। পৌঁছেই শুনলাম সাংবাদিকদের সামনেই একটা শাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠেছে।

তারপর কী হল? সেকথা জানাতে ১৯ জুলাই, ২০০০-এর আজকাল পত্রিকার প্রথম পাতা থেকে রিপোর্টটা তুলে দিলাম।

একটি নির্জলা রিপোর্ট

কার্যত ‘এক চড়েই’ জ্যোতিষী তুষার সরকারের বাড়ি থেকে ‘আগুন ভূত’-কে তাড়িয়ে ছাড়লেন প্রবীর ঘোষ। উত্তর দমদমের ৫-এ খালিসাকোটার বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রবীর ঘোষের এই ভূত-তাড়ানো দেখতে তখন বেশ ভিড় জমে গেছে। গত শুক্রবার রাত থেকে জ্যেতিষী তুষারবাবুর বাড়িতে এই আগুন ভূত ছিঁচকে চোরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কখনও পাজামার পকেট পোড়াচ্ছিল, কখনও পাঞ্জাবির হাত কিংবা পা, কখনও জামা, শাড়ির লেজ বা মুড়ো, বাড়ির সব দরজা জানলার পর্দার ডান-বাঁ অংশ, কখনও পেটের দিকটা খাচ্ছিল এই আগুন। ঠাকুরঘরে ঢুকে নেচেছে এই আগুন, ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখা কাপড় চোপড়কেও পুড়িয়েছে। তবে স্নানঘরে গিয়ে গান গায়নি একবারও। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বিছানার পৌনে এক হাত চওড়া মতো অংশ খায়, পরে খায় সোফার গদির স্রেফ কাপড়ের একাংশ।

‘যুক্তিবাদী’ প্রবীর বাড়িতে পৌঁছাতেই তুষার সরকার বলতে শুরু করেন, ‘বলুন তো শুক্রবার থেকে এটা কী শুরু হয়েছে আমার বাড়িতে? যেখানে সেখানে আগুন জ্বলে উঠছে। তবে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে শুধু কাপড়-টাপড়েই। কখনও কখনও সামান্য ভেজা কাপড়েও লাগছে । জলটল এনে নিভিয়ে দিচ্ছি, অনেকক্ষণ হয়ত কোনও কিছুই ঘটল না আমরা সব নাক সতর্ক রেখে কোনও একটা ঘরে হয়ত বসে আছি, হঠাৎ দেখি শাড়ি জ্বলছে। তবে এই আগুনের বিশেষত্ব কী জানেন, দিনেই জ্বলছে শুধু, শুক্রবারের পর কিন্তু আর রাতে আগুন জ্বলছে না। যা পোড়াচ্ছে দিনেই। ৪ ফুটের বেশি উঁচুতে কখনও জ্বলেনি এই আগুন। শুক্রবার ৩ বার, শনিবার ৪ বার, রবিবার ১০ বার, সোমবার ৫ বার, মঙ্গলবার ৩ বার জ্বলেছে এই আগুন। লোডশেডিংয়ের সময়ও জ্বলছে।’ কাঁদো-মুখ করে তুষারবাবুর স্ত্রী বললেন, ‘কারা এই অনিষ্ট শুরু করল কিছুই বুঝতে পারছি না বড় ভয় হচ্ছে জানেন।’ শুক্লা, তুষারের পাশে দাঁড়িয়ে গোপালচন্দ্র দত্ত, বিরাটির সুমন চক্রবর্তী, শিপ্রা দত্তরা বলে চলেন, ‘আমরাও বসে থাকতে থাকতে আগুন দেখেছি।’ স্ত্রী, ১২ বছরের ছেলে সৌম্যকান্তি এবং ৩ বছরের আর এক ছেলেকে নিয়ে তুষারবাবুর পরিবার। বসার ঘর, ঠাকুরদার হয়ে রান্নাঘর পর্যন্ত ৬টা ঘর। সৌম্যকান্তির তুলতুলে গাল নাড়তে নাড়তে একটা প্লেট আনতে বললেন প্রবীর ঘোষ। জলও চাইলেন। যেসব কাপড়- টাপড় পুড়েছিল অর্ধদগ্ধ দলা পাকানো অংশ জলে ভেজাতেই পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের বেগুনি রং বেরিয়ে এল প্রতিটি ক্ষেত্রেই। প্রবীর তুষারবাবুকে আদেশ করলেন, কাউকে বাজারে পাঠিয়ে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট আর গ্লিসারিন আনিয়ে দিন। সেসব আনতেই প্রবীর হাতে-কলমে করে দেখালেন কী ভাবে আগুন জ্বলছিল। এরপর তুষার-শুক্লার ছেলে সৌম্যকান্তিকে একটা ঘরে নিয়ে একান্তে কথা বললেন প্রবীর। এ সময়টায় তুষারবাবু ডাইনিং টেবিলের ঘরে ফোনে পৌঁছে গেছেন। প্রবীর ঘোষের দুই সহযোগী অরিন্দম ভট্টাচার্য, অরিন্দম চ্যাটার্জি জানলার ধারে কান লাগিয়ে শুনছেন, শুক্লা, তুষারবাবু একমত হয়ে ও প্রান্তকে জানাচ্ছেন, বুঝে গেছে সব বুঝে গেছে। সৌম্যকান্তিও ততক্ষণে প্রবীরবাবুর ক্যাসেটে গ্রেপ্তার। কবুল করেছে, ‘আমিই আগুন জ্বালাচ্ছিলাম। আর কখনও করব না কাকু।’

কীভাবে শিখল এ রকম আগুন জ্বালানো, মানে মা-বাবা শিখিয়েছে না অন্য কেউ। সৌম্যকান্তির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল ক্ষণিকেই। পরে, আরও পরে, তুষার সরকার যখন পুরোপুরি নিশ্চিত, নিজেরা না আগুন লাগালে আর আগুন লাগবে না, ঠিক তখনই ওঁকে চেপে ধরা হল। তুষারবাবু জানালেন, এই বাড়িটা ওঁর স্ত্রী (শুক্লার) বড়মামা জগদীশচন্দ্র সরকারের। আমেরিকার মিসিগনে থাকেন ওই মামা। ৮৭-৮৮ থেকে ৫ কাঠা জমির ওপর এই বাড়িটিতে তুষার-শুক্লাকে থাকতে দেন নাকি জগদীশচন্দ্র। এখন জগদীশচন্দ্রের দুই ভাই বাড়ি ছাড়ার জন্য পাড়ার ছেলেদের দিয়ে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। তুষারবাবু বলতে থাকেন, ১৬ এপ্রিল তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, বাড়ি না ছাড়লে শেষ দেখে ছাড়া হবে। তুষারবাবুকে যখন প্রশ্ন করা হল, কিন্তু ‘ভৌতিক বাড়ি’ বানানোর জন্য ছেলেকে দিয়ে আপনি, মানে আপনারা এটা করলেন কেন? মুখ শুকিয়ে গেল চল্লিশের যুবক আদ্যামার সেবক তুষারবাবুর। স্ত্রীর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ঢোক গিলতে লাগলেন, ‘আর কখনও এ বাড়িতে আগুন জ্বলবে না।’

পুঃ বিভিন্ন সংবাদপত্র দপ্তর ছাড়াও প্রবীর ঘোষকে নিজেই খবর দিয়েছিলেন তুষারবাবু। ভেবেছিলেন ব্যাপক নাম ফাটবে। এভাবে ধরা পড়ে যাবেন, ভাবেননি ।

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!