অনেকেই হৈ-হৈ করে বলে উঠবেন—এতো জানা কথা। বংশগতির নিয়ম অনুসারে একজন অপরাধীর ছেলে অপরাধীই হবে, ভালো মানুষের ছেলে ভালো। এই বংশগতি তত্ত্বের উপর নির্ভর করে একটা গোটা প্রবাদ আছে, ‘কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না ।’

বাংলা হিন্দি সিনেমায় আমরা এই ধরনের কাহিনী কম দেখিনি। সহজ সরল ‘বিজ্ঞান-সম্মত’ ফর্মুলা-১। একজন সাংঘাতিক নিষ্ঠুর, খুনি, ডাকাত ইত্যাদি। আর একজন দয়ার সাগর রাজা। একই দিনে ডাকাত আর রাজার ছেলে জন্মাল। ডাকাত নিজের ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজমহলে ঢুকে ছেলে বদল করে নিল। সিনেমার অন্তিমলগ্নে আমরা নীতি উপদেশ পেলাম ডাকাতের ছেলে রাজবাড়ির পরিবেশে বড় হলেও ‘ছোটলোক’-ই রয়ে গেছে। রাজপুত্র ডাকাতদের মধ্যে বেড়ে উঠেও আকাশের মতো উদার ।

ন’লাখি পত্রিকার দৌলতে আমরা প্রত্যেকেই জেনে ফেলেছি, একজন মানুষ ভবিষ্যতে চোর হবে কি বহুগামী–সবই জিন ঠিক করে রাখে।

আমাদের জানা আর বিজ্ঞানের জানা এক কিনা দেখে নিই আসুন ।

বিগত একশো বছরে আমরা Biological determinist (এঁরা মনে করেন মানব প্রতিভা বিকাশে জিনই সব) Cultural determinist (এঁদের মতে পরিবেশই মানব প্রতিভা বিকাশে সব) এবং Interactionist (এঁদের মতে জিন বা পরিবেশ দুই-ই মানব প্রতিভা বিকাশে ক্রিয়াশীল)-এদের নানা বক্তব্য ও ব্যাখ্যা শুনেছি। সেসব নিয়ে সামান্য আলোচনায় ঢোকার প্রয়োজন অনুভব করছি।

ইদানীং মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। ব্যাপক গবেষণা চলছে মানুষের বুদ্ধির ওপর বংশগতি বা জিনের প্রভাব ও পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে

আধুনিক বংশগতি বিদ্যা ও জিন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে আপনাদের মূল বিষয় জানার উৎসাহে ঠান্ডা জল ঢেলে দিতে চাই না। জিন আলোচনা তাই কম কথায় সীমাবদ্ধ রাখবো।

মানুষের জন্মের শুরু ডিম্বকোষ শুক্রাণুদ্বারা নিষিক্ত হওয়ার মুহূর্ত থেকে। নিষিক্ত কোষ দু-ভাগ হয়ে গিয়ে হয়ে যায় দুটি কোষ। দুটি কোষ বিভক্ত হয়ে হয় চারটি কোষে। এমনিভাবে চার থেকে আট, আট থেকে ষোল—প্ৰয়োজন না মেটা পর্যন্ত বিভাজন ক্রিয়া চলতেই থাকে।

বেশিরভাগ কোষের দুটি অংশ। মাঝখানে থাকে ‘নিউক্লিয়াস’ ও তার চারপাশে ঘিরে থাকে জেলির মতো জলীয় পদার্থ ‘সাইটোপ্লাজম’। নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে ‘ক্রোমোজোম’। এই ক্রোমোজোম আবার জোড়া বেঁধে অবস্থান করে। মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিটি নিউক্লিয়াসে ২৩ জোড়া অর্থাৎ ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে । ক্রোমোজোম আবার এক বিশেষ ধরনের ‘ডি অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড’-এর (Deoxyribonucleic acid) অণুর সমষ্টি—সংক্ষেপে ডি এন এ। দু-গাছা দড়ি পাকালে যেমন দেখতে হবে, অণুগুলো তেমনিভাবেই পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। সব প্রাণীর বংশগতির সংকেত এই ডি এন এ-তেই ধরা থাকে। ডি এন এ থেকে আর এন এ বা (Ribonucleic acid) তৈরি হয়। আর এন এ থেকে তৈরি হয় প্রোটিন (Protein ) ।

২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের প্রতিটি জোড়ার ক্ষেত্রে একটি আসে পুরুষের শুক্রাণু থেকে, অন্যটি নারীর ডিম্বাণু কোষ থেকে। ক্রোমোজোমের এই জিন এককভাবে বা অন্য জিনের সঙ্গে মিলে দেহের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। চুলের রঙ, চোখের তারার রঙ, দেহের রঙ ও গঠন, রক্তের শ্রেণী (O, A, B, AB) ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশেষ বিশেষ জিনের ভূমিকা রয়েছে।

জিন বিষয়ক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা মনে করেন নারী-পুরুষের মিলনের ফলে ক্রোমোজোমের সংযুক্তি ৮০ লক্ষ রকমের যে কোনও একটি হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই দেখা যায়, একই পিতা-মাতার সন্তানদের মধ্যে বহু ধরনের অমিল থাকতেই পারে। লম্বা-বেঁটে, মোটা-রোগা, বাদামী চোখ, নীল চোখ, শান্ত-ছটফটে ইত্যাদি ।

মা-বাবার চোখের মণি কালো, কিন্তু সন্তানের চোখের মণি

কটা, মা বাবা স্বল্প দৈর্ঘ্যের মানুষ সন্তান বেজায় লম্বা,

মা বাবা ফর্সা সন্তান কালো অথবা এর বিপরীত

দৃষ্টান্তও প্রচুর চোখে পড়বে একটু অনুসন্ধানী

দৃষ্টি মেললে। বাবা সন্তানের প্রকৃত জনক

হলেও এমনটা ঘটা সম্ভব।

কিছু জিন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পিতা সন্তানের প্রকৃত জনক হলেও এমন ঘটা সম্ভব একাধিক বা বহু প্রজন্ম পরে জিনের সুপ্তি ভাঙার জন্য। যেখানে বাবাই প্রকৃত সন্তানের জনক সেখানে অনুসন্ধান চালালে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যাবে সন্তানটির মা অথবা বাবার পূর্বপুরুষদের কারো না কারো চোখের মণি ছিল কটা, কেউ না কেউ ছিলেন লম্বা, গায়ের রঙ ছিল কালো ইত্যাদি। আমার এক নিকট আত্মীয়ার দু-হাতের কড়ে আঙুল থেকে বেরিয়ে এসেছিল বাড়তি দুটো আঙুল। আত্মীয়ার নামটি প্রকাশ করায় অসুবিধে থাকায় আমরা এখানে বোঝার সুবিধের জন্য ধরে নিলাম, নামটি তার মাধুরী। মাধুরীর মা এবং বাবার নাম মনে করুন মিতা ও আদিত্য। মিতা ও আদিত্যে কোনও হাতেই বাড়তি আঙুল নেই। মাধুরীর এই বাড়তি আঙুলের মধ্যে আদিত্য রহস্য খুঁজে পেয়েছিলেন। মিতার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। নিজেকে মাধুরীর জনক হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। স্রেফ দুটি বাড়তি আঙুল ওদের শান্তির পরিবারে নিয়ে এসেছিল অশান্তির আগুন।

ওঁদের অশান্তির কথা আমার কানেও এসেছিল। মিতা বাবাকে হারিয়ে ছিলেন শৈশবে। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে জানতে পারি, মিতার বাবার দু’কড়ে আঙুল থেকেই বেরিয়েছিল বাড়তি দুটি আঙুল। একটা পুরোন ছবিও উদ্ধার করা গিয়েছিল, যাতে মিতার মা ছিলেন চেয়ারে বসে, বাবা দাঁড়িয়ে। বাঁ হাতের দৃশমান কড়ে আঙুল নজর করলেই চোখে পড়ে বাড়তি আঙুল।

ব্লাডপ্রেসার হাই? ডায়াবেটিসে ভুগছেন? হতেই পারে বংশগতির কারণে (সাদা বাংলায় বংশগত কারণে) এই রোগগুলোর শিকার হয়েছেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে শিশুরা চশমা পরে তাদের বাবা-মায়ের অন্তত একজন বেশি পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করেন। অলজাইমারস্ থেকে থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি বহু রোগই জিনের সাহায্যে পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।

 

যেখানে রোগ আসে মানসিক কারণে

হাঁপানি জিন বাহিত রোগ নয়। অর্থাৎ বংশগতভাবে হাঁপানি

হয় না। কিন্তু তারপরও আমরা দেখতে পাই বাবা

বা মায়ের হাঁপানি আছে তো ছেলে-মেয়েরা

হাঁপানিতে ভুগছে। অর্থাৎ বাবার হাঁপানি

আছে, ঠাকুরদার হাঁপানি ছিল, সন্তানও

হাঁপানিতে ভুগছে। এতে মনে হতে

পারে যে রোগটা বোধহয়

জিন দ্বারা বাহিত হয়।

অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের অনেকেই হাঁপানিতে ভুগছেন। তাতে বংশগত ভাবার যুক্তিটা আরও পোক্ত হয়। কিন্তু ধারণাটা ভুল। হাঁপানি বংশগত রোগ নয়।

এরপর প্রশ্ন উঠতেই পারে তাহলে বংশ পরম্পরায় রোগটা কেন চলে আসছে? হাঁপানি কি ছোঁয়াচে?

দ্বিতীয়টির উত্তর-ই আগে দিই। হাঁপানি ছোঁয়াচে নয়। এবার আসি প্রশ্নের প্রথম ভাগে। যে কোনও কারণে ফুসফুসের শ্বাসনালী সংকোচিত হলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। একেই বলে হাঁপানি। যে কোনও বয়সেই হতে পারে। অ্যালার্জি থেকে হতে পারে ; বিশেষ করে ধোঁয়া, ধুলো শষ্যকণা, ফুলের রেণু, পশুলোম যা নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে। আবার কিছু খাবার যেমন কাঁকড়া, চিংড়ি মাছ, ডিম ইত্যাদি থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। জীবাণু সংক্রামণ থেকেও হাঁপানি হতে পারে। কিছু জীবিকার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মধ্যে হাঁপানি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন—খনি-শ্রমিক, সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক তুলো শ্রমিক ইত্যাদি।

হাঁপানি এমন একটা রোগ যা মানসিক কারণেও হতে পারে। শুধু হাঁপানি নয়, অনেক রোগই মানসিক কারণে হতে পারে। কাশি, ব্লাডপ্রেশার, বুক ধড়ফড়, ক্লান্তি, অবসাদ, পেটের অসুখ, আলসার, শরীরের কোনও অংশে অবশতা, মাসিকে গোলমাল বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, অনিদ্রা, তোতলামো, মাথা ব্যথা, হাড়ে ব্যথা ইত্যাদি রোগগুলো শুধুমাত্র মানসিক কারণেই হতে পারে। মানসিক কারণে যখন অসুখ হয়, তখন সেই অসুখকে ‘দেহ-মনজনিত’ অসুখ বা Psycho-somatic disorder বলে। রোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে যেমন একটা বিশ্বাসবোধ কাজ করে, তেমনই রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও বিশ্বাসবোধ খুবই কার্জকর ভূমিকা নিতে পারে ।

হাঁপানি যখন অন্য কোনও কারণ ছাড়া শুধুমাত্র মানসিক কারণে হয়, তখন সাধারণভাবে যা হয়ে থাকে–

আমরা ছোট বয়েস থেকে শুনে আসছি, ‘হাঁপানি বংশগত রোগ’। বাবা বা মায়ের অ্যালার্জি বা অন্য কোনও কারণে হাঁপানি আছে। সুতরাং সন্তান ভাবতেই পারে, ভবিষ্যতে তারও হাঁপানি হবে। এই ভুল বিশ্বাস থেকেই মানসিক কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হতে পারে।

আজও অনেক শিক্ষিত পরিবার হাঁপানি রোগীর ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে সন্তানের বিয়ে দিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। একইভাবে পাগল পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান না ।

গুজরাট দাঙ্গার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। সমাজজীবনে অনিশ্চয়তা, স্বপ্নভঙ্গ, তীব্র প্রতিযোগিতার চাপ, ভয়, উৎকণ্ঠা ইত্যাদি কারণে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। কেউ বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে দিব্যি ঘরসংসার করেছিলেন। কারখানা বন্ধ হলো। রাজনীতিকরা কারখানার জমি বেচে প্রমোটিং শুরু করলো। মানুষটি চারদিক অন্ধকার দেখলেন। উৎকণ্ঠায় মাথায় গোলমাল দেখা দিল। ওমনি তাঁর সন্তানদের মধ্যে বংশগতির কারণে পাগল হওয়ার সম্ভাবনা-বীজ রোপিত হল—এমন চিত্তাটাই অসুস্থ ও বিজ্ঞান বিরোধী চিন্তা। কিন্তু এই ধরনের বহু প্রচলিত ভুল ধারণার শিকার হতেই পারে সন্তানরা। তারা যদি ভাবতে থাকে, “ভবিষতে আমিও পাগল হবো না তো?” – “জেনেটিক কারণে আমরা পাগল হওয়ার সম্ভাবনা আছে”–তবে মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে। এভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেউ মানসিক ভারসাম্য হারালে তা হবে Phychosomatic disorder-এর উদাহরণ।

প্রথম পর্বঃ মনের নিয়ন্ত্রণ

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ বুদ্ধি, স্মৃতি, প্রতিভা নিয়ে বিভ্রান্তি বেচে খাচ্ছে অনেকে

অধ্যায়ঃ দুই

♦ প্রচুর পড়েন মানে-ই মস্তিষ্কচর্চা করেন?

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্মৃতি-শক্তি ও প্রতিভা এক নয়

অধ্যায়ঃ চার

♦ জ্ঞান (wisdom) ও শিক্ষা (education) এক নয়

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ মস্তিষ্ক ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ পাভলভ-তত্ত্বে মস্তিষ্কের ‘ছক’ বা type

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আচরণগত সমস্যা

অধ্যায়ঃ আট

♦ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু পাল্টে যায়

অধ্যায়ঃ নয়

♦ অলজাইমারস সৃষ্টিশীল মেধায় ভয়ঙ্কর অসুখ

অধ্যায়ঃ দশ

♦ ‘আই কিউ’ কি বাড়ানো যায়?

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জিন বা বংশগতি-ই ঠিক করে মেধা-বুদ্ধি?

অধ্যায়ঃ বারো

♦ বংশগতি গবেষণা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রগতি

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ মগজ কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ মগজধোলাই-এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে

দ্বিতীয় পর্বঃ ধ্যাণ-যোগ-সমাধি মেডিটেশন

অধ্যায়ঃ এক

♦ যোগ নিয়ে যোগ বিয়োগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগ কি? যোগ নিয়ে গুলগপ্পো

অধ্যায়ঃ তিন

♦ যোগ

অধ্যায়ঃ চার

♦ যোগের সে’কাল এ’কাল

অধ্যায়ঃ পাঁচ

‘রজনীশ’ এক শিক্ষিত যোগী, বিতর্কিত নাম

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ সাত

♦ শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবীর সহজযোগ

অধ্যায়ঃ আট

♦ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন নিয়ে বাংলাদেশের যোগী মহাজাতক

অধ্যায়ঃ নয়

♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব

অধ্যায়ঃ দশ

♦ ‘মেডিটেশন’, ‘রিলাক্সেশন’, বা ‘স্বসম্মোহন’

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ বিশ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ

“মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!