IBN7 ও Z news দুটি সর্বভারতীয় জনপ্রিয় ‘নিউজ চ্যানেল’। ১৩ জুলাই, ২০০৭ শুক্রবার, সকাল থেকে একটা খবর—চমকে দেওয়ার মতো একজন জাতিস্মর এই মুহূর্তে তাদের ক্যামেরাবন্দি।
জাতিস্মরের নাম রাজেশ। উত্তরপ্রদেশের সাহরণপুর গ্রামের ছেলে। বয়স ১৪ বছর। পড়ে ক্লাশ নাইনে, গ্রামেরই একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। রাজেশের মাতৃভাষা হিন্দি।
IBN7 ও Z news-এর খবর অনুসারে ২০০৫ সালের মাঝামাঝি থেকে গ্রামবাসীরা, স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন রাজেশ হঠাৎই কেমন পাল্টে গেছে। যে ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে হোঁচট খেত সে এখন আমেরিকান উচ্চারণে নিখুঁত ইংরেজি বলে। মাস তিন-চার আগে যে রাজেশ পড়াশুনা নিয়ে প্রায়ই বকুনি খেত, সে এখন ইলেভেন-টুয়েলভ-এর ছাত্রদের পড়াচ্ছে। হেডমাস্টার থেকে স্কুল টিচারদের বিজ্ঞান থেকে সমাজবিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছে দাপুটে ইংরেজিতে। টিচারদের টিচারের ভূমিকায় রাজেশকে আমরা দেখলাম দুটি চ্যানেলের ক্যামেরাতেই।
১৪ বছর বয়সের রাজেশ এত বদলে গেল কেন? ওকি জাতিস্মর? আমেরিকার কোন বিজ্ঞানী বা জ্ঞানী মানুষ কি মৃত্যুর পর রাজেশ হয়ে জন্মেছে? জাতিস্মররা জন্মেই অতীত জন্মের দোষ-গুণের অধিকারী হয় না, এ’সব দোষ-গুণ কোনও এক সময় স্ফুরিত হয়। রাজেশের ক্ষেত্রে কি এমনই কিছু ঘটেছে?
রাজেশ টিভি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, আমি গ্রামে জন্মেছি, গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া। এখন আমি হঠাৎ করে হিন্দিতে কথা বলতে ভুলে গেছি। ইংরেজি ছাড়া কথা বলতে পারি না ।
টিভি চ্যানেল দুটির সাংবাদিকদের কথা মতো, রাজেশের বক্তব্য ইংরেজিতে হলেও এমন ইংরেজিতে কোনও ভারতীয়ের পক্ষে কথা বলা অসম্ভব। তার পাণ্ডিত্য সংশয়াতীত। হঠাৎ করে রাজেশ বিভিন্ন বিষয়ে বিশাল পণ্ডিত হয়ে উঠল কী করে?
সাংবাদিকরা এবিষয়ে জানতে রাজেশকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি মনে করো যে তুমি একজন আমেরিকান, মৃত্যুর পর রাজেশ হয়ে জন্মেছ ?
রাজেশের উত্তর—আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি, জন্মান্তরে বিশ্বাস করি না।
রাজেশের এই উত্তরে প্রমাণিত হয়, একজন আমেরিকান বিজ্ঞানীই রাজেশ হয়ে জন্মেছেন। তাই জন্মের পরও জন্মান্তর তত্ত্বকে অস্বীকার করছেন। —এ কথা বললেন সাংবাদিকরা।
রাজেশকে নিয়ে ভারত জুড়ে একটা পাগলামো শুরু হল। আমার মোবাইলে আর ল্যান্ডলাইনে ঝাঁকে-ঝাঁকে ফোন পেয়েছি। Z-news দেখুন। IBN7 দেখুন। এবার কী বলবেন? রাজেশ যা করছে, যুক্তিতে তার কোনও ব্যাখ্যা আছে কি? আপনি গিয়ে রাজশকে পরীক্ষা করছেন না কেন ? Z-news বা IBN7 এ বিষয়ে আপনাকে কেন ডাকেনি? আপনি কি news চ্যানেলের আমন্ত্রণ পেয়েও চুপ করে বসে আছেন? আপনি যদি রাজেশের ব্যাপারে চুপ থাকেন, তাহলে ধরে নেব আপনার বই বিক্রি বাড়াবার স্বার্থে, নাম কেনার ধান্ধায় ‘জাতিস্মর নেই’ বলে মিথ্যে প্রচার করে চলেছেন! চুপ করে বসে থাকবেন না, যুক্তিবাদের স্বার্থে কিছু করুন !
রাজেশের খবরটা আমাকে প্রথম দিয়েছিলেন যুক্তিবাদী সমিতির সংযুক্ত সম্পাদক ও হিন্দি দৈনিক ‘ছাপতে ছাপতে’ কলমিস্ট সন্তোষ শর্মা। সন্তোষকে বললাম, “খেয়াল করে দেখ রাজেশ ভুল ইংরেজি ব্যাকরণে কথা বলছে কি না? ওকে যেসব প্রশ্ন করা হচ্ছে, সেসবের ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারছে কি না? তুই আগেই দেখবি-শুনবি, ওর ইংরেজি উচ্চারণ স্পষ্ট বুঝতে পারছিস কি না। স্পষ্ট না বুঝলে মিডিয়ার প্রচারের চাপে তোর মনে হতেই পারে—রাজেশ দারুণ বলছে। ওই সব ফালতু চাপ নিবি না। মনে রাখবি, ওপর-চালাক সাংবাদিকের অভাব এদেশে নেই । ওপর-চালাক ‘বোকা’ সাংবাদিকদের মিথ্যে প্রচারে আদ্রার মৌসুমী চক্রবর্তী ১৯৮৯-এ ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ৭ বছরের মৌসুমীর বিদ্যে-বুদ্ধি নাকি এম এস-সি লেভেলের। বহু ভাষা জানে। আর কয়েক বছরের মধ্যে বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাবে। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার হয়ে গিয়ে দীর্ঘ সত্যানুসন্ধানে জানিয়েছিলাম, গোটাটাই বোকা বনে যাওয়া সাংবাদিকদের ভুল প্রচার। কিছু সাংবাদিক তাতে খুব চটে গিয়েছিলেন। সত্যি বলার ফ্যাসাদ অনেক (বিস্তৃত জানতে ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক ২য় খণ্ড পড়তে পারেন।)
“রাজেশের আমেরিকান ইংরেজি বলার গল্প শুনে আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেল। তখন আমার বয়স চার-পাঁচ। স্কুলে যাওয়া শুরু করিনি। থাকতাম আম্রার বড় পলাশখোলায়। বাবা রেলে চাকরি করতেন। বাবার আরদালি বা চাপরাশি গোপাদা থাকতেন আমাদের বাড়ির কাছেই আদিবাসী পল্লীতে। আমি একবার বাবার কোনও একটি ইংরেজি বই হাতে নিয়ে ও পাড়ায় গিয়েছিলাম। বয়স্ক কয়েকজন জিজ্ঞেস করেছিলেন—ইটা কী বই বটেন? বলেছিলাম, ইংরেজি বই। ওঁদের কৌতূহল মেশান প্রশ্ন ছিল—পইড়তে পার?
“অস্পষ্ট হাউহাউ গলায় মাঝে মাঝে কিছু ইংরেজি শব্দ বলে আবোল-তাবোল উচ্চারণ করে গিয়েছিলাম। তাতেই আদিবাসীরা বেজায় অবাক। রাজেশের ‘হাউইটি’ উচ্চারণে কথায় সাংবাদিকরা ওই ধরনের অবাক হচ্ছেন না তো? মৌসুমী এই ধরনের উচ্চারণে সাংবাদিকদের সামনে নানা ভাষায় গড়গড় করে বলে যেত। ওর প্রতারণায় মুগ্ধ সাংবাদিকের অভাব ছিল না। আরও একটু স্পষ্টভাষী হলে আমাকে বলতেই হবে, সাংবাদিকরা রাজেশের কথায় অবাক হচ্ছেন, কারণ : (১) ওঁরা হয়তো চেতনে বা অবচেতনে বিশ্বাস করেন—আত্মা অবিনশ্বর, কেউ কেউ পূর্বজন্মের কথা স্মরণ করতে পারে। (২) রাজেশের জড়ানো অস্পষ্ট উচ্চারণের বাধা ডিঙিয়ে ওঁরা হয়তো পরিপূর্ণ অর্থ উদ্ধার করতে পারছেন না।
“তুই দেখতে থাক। লক্ষ্য কর। প্রয়োজনে নোট নে। Z-news ও IBN7-এর ফোন নম্বর জোগাড় করে তোর চোখে যা যা ফাঁক-ফোকর ধরা পড়েছে, তা জানা। আমি এখন বাড়ির বাইরে। টিভি দেখার সুযোগ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরার চেষ্টা করছি। ফিরে দেখে তোকে ফোন করব।”
বাড়ি ফিরে এসে দেখলাম, জাতিস্মর রাজেশের নানা করিশ্মা। সে সব করিশ্মার কথা আগেই লিখেছি। Z-news-কে ফোন করলাম। জানালাম, আপনারা রাজেশের এমন কর্মকাণ্ডের পিছনে আন্তরিক ভাবে সত্য খুঁজে পেতে চাইলে এমন করুন : (১) আমেরিকান ইংলিশে অভ্যস্ত এমন কারও সাহায্য নিন। দিল্লিতে এমন লোক খুঁজে পেতে কোনও অসুবিধে হবে না। তাঁর মতামত নিন—রাজেশ কি সত্যিই বিশুদ্ধ ইংরেজি বলছে? নাকি মানুষ ঠকাচ্ছে ভুল-ভাল বলে?
(২) বিজ্ঞানের প্রশ্ন সাংবাদিকদের কাছ থেকে আসাটা অভিপ্রেত নয়। কারণ বিজ্ঞান বিষয়ে তাঁদের গভীর জ্ঞান নাও থাকতে পারে। কোনও সাংবাদিক ওপর-চালাকি করে ‘বুঝেছি’ ভাল করলে ‘মিথ্যেটাই ‘সত্যি’ হয়ে যাবে। এতে আপনার চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ পর্যন্ত ধাক্কা খেতে বাধ্য। স্টুডিওতে বিজ্ঞানীকে হাজির করুন।
(৩) রাজেশের চরিত্র বিশ্লেষণ করার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নিন ।
(৪) আমি এবং যুক্তিবাদী সমিতি নিশ্চিত যে এটা কোনও জন্মান্তরের ঘটনা নয়। যদি দেখেন আমার দেওয়া সাজেশনগুলো গ্রহণ করেও সত্য খুঁজে পাচ্ছেন না, বা রাজেশকে জাতিস্মর বলেই মনে হচ্ছে, তবে আমি আপনাদের সাহায্য করতে তৈরি। নিশ্চিত আশ্বাস দিচ্ছি—প্রমাণ করে দেবই, রাজেশ হয় প্রতারক, নতুবা মানসিক রোগী। এমনও হতে পারে—রাজেশের মানসিক সুস্থতার অভাব আছে। দ্রুত নাম কেনার প্রবণতা আছে। রাজেশের বিষয়ে ডিটেলে খবর নিন। ওর পরিবারের আর্থিক অবস্থা, পরিবারের কেউ মানসিক রোগী কি না, নিজের বিদ্যে-বুদ্ধির ঘাটতির জন্য কখনও জনসমক্ষে অপমানিত হয়েছিল কি না? রাজেশ যদি অনুশীলনের মাধ্যমে এমন উচ্চারণে কথা বলা অভ্যেস করে থাকে, তবে তাতে উচ্চারণের স্টাইলটা ঠিক হলেও গ্রামারে ভুল হবেই। রাজেশ কি অনুশীলনের জন্য স্বেচ্ছা-নির্বাসনে ছিল কিছু মাসের জন্য ? খবর নিন। এ’সব উত্তরের মধ্যেই সত্য লুকিয়ে আছে।
ফোন করেছি সাড়ে ১১টা নাগাদ। ১২টার মধ্যে Z-news রাজেশকে নিয়ে এল তাদের স্টুডিওতে। প্রশ্নকর্তা হিসেবে স্টুডিওতে আনা হয়েছে জ্যোতিষী-কাম- আধ্যাত্মবাদী, মনোরোগ চিকিৎসক, আমেরিকান ইংরেজিতে বিশেষজ্ঞ ও একজন বিজ্ঞানীকে।
জ্যোতিষী-কাম-অধ্যাত্মবাদী গীতা থেকে জাতক কাহিনি টেনে এনে প্রমাণ করতে চাইল, রাজেশ খাঁটি জাতিস্মর। বাদ সাধলেন বাকি তিনজন। বিজ্ঞানের অধ্যাপকের প্রশ্নের দিতে গিয়ে রাজেশ বারবার হোঁচট খেতে লাগল। এতে বোধহয় হোঁচট খেলেন Z-news-এর সঞ্চালকও। তিনি রাজেশকে বাঁচাতে বিজ্ঞানীর কথা শেষ করার আগেই নিজের কথায় চলে যাচ্ছিলেন। সঞ্চালক দর্শকদের জানালেন, পদার্থবিদ্যা থেকে গণিত—সবেই রাজেশের জ্ঞান মাস্টার ডিগ্রির বেশি।
এমন কথা শুনে আলটপকা ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিজ্ঞানী। রাজেশকে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন,
রাজেশ একদম ভ্যাবলা।
ইতিমধ্যে আমেরিকান উচ্চারণে অভ্যস্ত ভদ্রলোক দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করলেন—ও ইংরেজি বলতেই পারে না। মাথামুণ্ডু যা বলে যাচ্ছে, তা শুনলে মনে হচ্ছে হলিউডের কোনও চরিত্রের কণ্ঠস্বরের অক্ষম নকল শুনছি। এই বহিরঙ্গ ছেড়ে ভিতরে ঢুকলে দেখা যাচ্ছে ও শুদ্ধ ইংরেজিতে একটা বাক্যও বলতে পারে না।
মনোরোগ চিকিৎসক বললেন, ও নিজেকে যেভাবে প্রজেক্ট করতে চাইছে, যে ভাবে চ্যানেলও ওকে জাতিস্মর বলে প্রচার করতে চাইছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। রাজেশ একজন ‘মানসিক রোগী’ এমনটা ভাববার মতো যথেষ্ট কারণ আছে। ওকে আরও বেশি করে মানসিক রোগী করার চেষ্টায় না মেতে আমাদের উচিত ওর ঠিকঠাক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
স্টুডিওতে টানা ৫ ঘণ্টা জেরার পর ভেঙে পড়ল রাজেশ। ওর কাছ থেকে অনেক কিছুই জানা গেল। ২০০৫-এর ২৬ জানুয়ারি স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে ছাত্ররা মঞ্চে উঠে ভাষণ দিচ্ছিল। রাজেশ ভাষণ দেওয়ার সময় এক শিক্ষক তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। বলেন, “ইংরেজি বলা তোমার দ্বারা হবে না।” সবার সামনে এমন বলায় রাজেশের আত্মসম্মানে লাগে। বাড়িতে ফেরে খারাপ মেজাজ নিয়ে। বাবার সঙ্গে জোর ঝগড়া হয়। বাবা কী করেন এই নিয়ে প্রশ্নের সূত্র ধরে রাজেশ বলে, বাড়িতেই থাকেন। মানসিক রোগী। রাজেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুর্গেশ ক্লাস ইলেভেনের ছাত্র। ইংরেজিতে ভাল। রাজেশ দুর্গেশকে বলে, দু-চার মাসের মধ্যে ভাল ইংরেজি বলা শিখে তারপর স্কুল যাবে। এ ব্যাপারে দুর্গেশের সাহায্য চায়। দুর্গেশ জানায় দু-চার মাসে ভাল ইংরেজি শেখা অসম্ভব। তবে একটা কাজ করতে পারিস। কোনও একটা হলিউডের সিনেমা বারবার দেখে তাঁদের উচ্চারণভঙ্গি ও ডায়লগ বলে টিচারদের অবাক করে দিতে পারিস। হিন্দি টিচারদের সাধ্য হবে না, হলিউডি ইংরেজির মর্মোদ্ধার করা। কথাটা রাজেশের মনে ধরে।
তারপর তিন মাস স্বেচ্ছানির্বাসন পর্ব চলে রাজেশের। এই তিন মাসে ‘টোটাল রিকল’ নামের ফিল্মটি ১০০ বারের উপর দেখে। নির্বাসন জীবন থেকে বেরিয়ে এসে হিন্দি ছেড়ে হলিউডি ইংরেজিতে সবার সঙ্গে কথা বলতে থাকে।
এভাবেই চলছিল। তারপর কে বিষয়টা নিয়ে টিভি চ্যানেলের দ্বারস্থ হয়। “তাদের জন্যেই আমি আজ স্টুডিওতে বসে।” আক্ষেপ করল রাজেশ।
“আমি ভেবেছিলাম, আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ হাতের মুঠোয়। এখন দেখছি আমার বদনাম হয়ে গেছে। আমি আমার পুরোনো জীবনে ফিরে যেতে চাই।” Z-news-এর জন্মান্তর তত্ত্ব আর প্রচার করা হল না, আমাদেরই চেষ্টায় ।
প্রথম খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস
অধ্যায়ঃ দুই
♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !
অধ্যায়ঃ তিন
♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা
অধ্যায়ঃ নয়
অধ্যায়ঃ দশ
♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !
অধ্যায়ঃ বারো
♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়
অধ্যায়ঃ তেরো
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !
অধ্যায়ঃ ষোলো
অধ্যায়ঃ সতেরো
♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন
দ্বিতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ চার
♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
অধ্যায়ঃ নয়
♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…
অধ্যায়ঃ দশ
♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর
অধ্যায়ঃ বারো
♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা
অধ্যায়ঃ তেরো
তৃতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ
অধ্যায়ঃ দুই
♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন
চতুর্থ খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা
অধ্যায়ঃ দুই
♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল
অধ্যায়ঃ চার
♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি
অধ্যায়ঃ আট
♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন
অধ্যায়ঃ নয়
♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’
অধ্যায়ঃ দশ
“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ