তামাম ভারতের বহু গ্রামাঞ্চলে কুকুরে কামড়ালে এক ধরনের দৈব চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া হয়। জনপ্রিয় এই দৈব চিকিৎসা পদ্ধতিটি এমনই বিচিত্র যে, চিকিৎসার গোটা প্রক্রিয়াটি দেখলে সাধারণভাবে বিশ্বাস উৎপাদন হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসা পদ্ধতি এই ধরনের—
চক্চকে শানবাঁধানো চাতালের ওপর নতুন একটি বড়-মুখ মাটির পাত্র বসানো হয়। পাত্রের মুখের ওপর বসানো হয় একটি পিঁড়ি। পিঁড়ির ওপর উবু হয়ে বসে রোগী, মাটির পাত্রটি গোলাকার, তাই রোগী পিঁড়িতে বসে টলমল করে। রোগীর দু-পাশে দৈব চিকিৎসকের দু-জন লোক দাঁড়ায়। তারা দুজনে রোগীর দু-হাতের আঙুল ধরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এবার শুরু হয় দৈব চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্যায়। দৈব চিকিৎসক দেবী বিষহরির মন্ত্র পড়তে পড়তে একটি মাটির পাত্রে রাখা গোটা মাষকলাই ডাল মুঠো করে তুলে ছুড়ে মারতে থাকে রোগীর বসা মৃৎপাত্রের গায়ে। এক সময় মৃৎপাত্রটি ঘুরতে শুরু করে। কেউ রোগীর আঙুল ছুঁয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করছে না। অথচ আশ্চর্য রোগী টলমল করছে না।
মৃৎপাত্র ঘুরছে, রোগী ঘুরছে, দৈব চিকিৎসক বিড় বিড় করে মন্ত্র পড়ে মাষকলাই ছুড়ে চলেছে, এমনটা চলতে থাকে অনেকক্ষণ, তারপর এক সময় আপনা থেকেই মৃৎপাত্র ভেঙে পড়ে রোগীসুদ্ধ। এই ভেঙে পড়ার অর্থই নাকি রোগীর বিষ নেমে যাওয়া ।
গ্রামবাসীদের মধ্যে এ-ভাবে বিষ নামানোর ব্যাপারে গভীর বিশ্বাস রয়েছে। এই বিশ্বাসের পক্ষে যে-সব যুক্তি তাঁরা বারবার খাড়া করেন, সেগুলো হলঃ (এক) টলমল করে বসা রোগী ঘুরন্ত পিঁড়ির ওপর কীভাবে ঠিক্ঠা বসে থাকে? (দুই) মাটির পাত্র রোগীকে নিয়ে আপনা থেকে ঘুরতে শুরু করে কোন্ শক্তির প্রভাবে? (তিন) মাটির পাত্র আপনা থেকে ভাঙে কি করে? (চার) মাটির পাত্র ভাঙে বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে। কারও ক্ষেত্রে ভাঙে দশ মিনিটে, কারও ক্ষেত্রে বা কুড়ি মিনিটে। দৈব চিকিৎসক বলেন—বিষ শরীরের যত গভীরে যায়, নামতে তত সময় লাগে। তাই বিষ-প্রবেশের গভীরতা অনুসারে নামার সময়ের তারতম্য ঘটে, তাই তারতম্য ঘটে হাঁড়ি ভাঙার সময়ের। এই যুক্তিকে অস্বীকার করি কী যুক্তি দিয়ে? (পাঁচ) এই দৈব চিকিৎসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগীর জলাতঙ্ক হয় না ।
প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা রাখছি এবার।
এক এবং দুইঃ সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকলে সাইকেলের আরোহীর ব্যালেন্স রাখা কঠিন হয়। ব্যালেন্স রাখতে তার মাটিতে পা রাখার বা বন্ধুর কাঁধে হাত রাখার প্রয়োজন হয়। সাইকেল চলতে থাকলে ব্যালেন্সের জন্য এই সাহায্যের আর প্রয়োজন হয় না।
সাইকেল চালাবার জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন হয়, পিঁড়ির ওপর উবু হয়ে বসতে সেটুকু শিক্ষারও প্রয়োজন হয় না। রোগী, আগে থেকেই কম শুনেছে মন্ত্রে মাটির পাত্র ঘোরে। দৈব চিকিৎসকের দুই সহকারী যারা রোগীর দু-আঙুল ধরে থাকে, তারা রোগীকে সামান্য একটু ঘুরিয়ে দেয়। তারপর রোগী ভাবতে থাকে মন্ত্রের জোরে এ-বার সে ঘুরতে থাকবে। তার এই চিন্তার কারণে নিজের অজান্তে নিজে ঘুরতে থাকে (অবচেতন মনের এই ধরনের এবং আরও নানা ধরনের বিচিত্র সব কাণ্ড কারখানা নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছি ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে। তাই এই বিষয়ে আবার বিস্তৃত আলোচনায় ঢুকছি না)। সুতরাং রোগীর ঘুরন্ত পিঁড়িতে ঠিক-ঠক বসে থাকাও আপনা থেকে মাটির পাত্রের ঘুরতে থাকার মধ্যে কোনও দৈব বা অলৌকিকতা নেই। এমনকি দৈব চিকিৎসকের দুই সহকারী রোগীকে ঘোরার প্রথম গতি এনে দিতে সাহায্য না করলেও ঘুরতে পারে। রোগীর যদি অবচেতন মনে বিশ্বাস থাকে—মন্তরে মাটির পাত্র তাকে নিয়ে ঘুরবে, তাহলেও মাটির পাত্র ঘুরবে। একটু দেরিতে ঘুরতে শুরু করলেও ঘুরবে। রোগীর অবচেতন মনই এই ঘোরার গতি তৈরি করবে।
তিনঃ সিমেন্টের মেঝেতে ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে মৃৎপাত্রের তলদেশ দ্রুত পাতলা ও ভঙ্গুর হতে থাকে। সেই সঙ্গে মৃৎপাত্রের তলায় মাষকলাইয়ের শক্ত দানা পড়ে ভাঙার ব্যাপারটা দ্রুততর করে।
চারঃ মাটির পাত্রের পুরুত্ব বা গেজ এক নয়। সব পাত্র সমানভাবে পোড় খাওয়াও নয় সব রোগীর ওজনও এক নয়। তাই পাত্র ভাঙার ক্ষেত্রে সময়ের তারতম্যই স্বাভাবিক। এমন কি কোনও ক্ষেত্রে দশ মিনিট, কোনও ক্ষেত্রে পঁচিশ মিনিট সময় নিলেও তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। এ-ছাড়াও ধরুন মাটির পাত্রের তলায় এক দানা মোটা বালি বা খুদে পাথর পাত্র তৈরির সময়তেই থাকে এবং ঘোরার সময় ওই দানার সঙ্গে মাষকলাইয়ের সংঘর্ষ ঘটে তবে ভাঙা দ্রুততর হতে পারে। সংঘর্ষের সময় হাঁড়ির ঘোরার বেগ যত বেশি হবে ভাঙার সম্ভাবনাও তত বাড়বে।
সুতরাং ভাঙার সময়ের তারতম্যের ওপর শরীরে বিষ ঢোকা বা কম ঢোকার কোনও সম্পর্ক নেই ।
পাঁচঃ কুকুরে কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না। পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। কুকুরে কামড়ানো রোগীদের মধ্যে পাগলা কুকুর কামড়ানো রোগীর সংখ্যা হাজারে একজন। সুতরাং দৈব চিকিৎসকের ব্যর্থতার সম্ভাবনাও হাজারে এক।
জলাতঙ্ক নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
শহুরে থেকে গ্রামবাসী, অনেকেরই ধারণা, জলাতঙ্ক রোগী-রোগিণীর পেটে কুকুরের বাচ্চা হয়। ধারণাটি পুরোপুরি ভুল।
জলাতঙ্ক রোগী কুকুরের মত ডাকে—এমন একটা ধারণাও প্রচলিত আছে। এই ধারণাও ভুল। পাগলা কুকুরে কামড়ালে নানা জন নানা রকমের উপদেশ দিতে থাকেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের উপদেশকে অভ্রান্ত প্রমাণ করতে অনেক উদাহরণ টেনে আনেন, ফাঁদেন অনেক গল্প। এইসব উপদেশের মধ্যে চালু টোটকা হল পিঠে থালা বসানো, পাকা কলার মধ্যে কেঁচো বা জোনাকী ঢুকিয়ে রোগীকে পর পর তিন দিন খাওয়ানো। কুকুরে কামড়ানো রোগীর পিঠে মন্ত্র পড়ে থালা বসানো দেখে অনেকেই মন্ত্রশক্তিতে বিশ্বাস করে বসেন। থালা বসানো একটা কৌশল। এ-খানে সে কৌশল নিয়ে আলোচনায় ঢুকলাম না। কারণ ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ ২য় খণ্ডে এই নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা আছে।
পিয় পাঠক পাঠিকা, মনে রাখবেন কোনও মন্ত্র-তন্ত্র বা টোটকার সাহায্যেই পাগলা কুকুরে কামড়ানো রোগীকে জলাতঙ্কের হাত থেকে বাঁচানো যায় না। আর জলাতঙ্ক মানেই অবধারিত মৃতা। সুতরাং মিথ্যে উপদেশে ও গল্পে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না, বা নিজে বিভ্রান্ত হবে না। পাগলা কুকুরে কামড়ালে দ্রুত অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের আগে প্রাথমিক চিকিৎসা যা করবেন
একঃ যেখানে পাগলা কুকুর কামড়েছে, আঁচড়েছে বা চেটেছে সেখানটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাবান ডিটারজেন্ট বা সোডা লাগিয়ে জল দিয়ে ধুইয়ে দিন। হাতের কাছে সাবান-টাবান না পেলে জল দিয়েই জায়গাটা যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করে ধুইয়ে দিন।
দুইঃ কামড়ানো জায়গাটা পরিষ্কার করে ধোয়ার পর কার্বোলিক অ্যাসিড দিয়ে পোড়াতে
কার্বোলিক অ্যাসিড তুলুন একটা কাঠির মাথায় তুলো বা পরিষ্কার ন্যাকড়া জড়িয়ে তার সাহায্যে। এবার তুলোর মাথার অ্যাসিড ক্ষতস্থানে শুধু বুলিয়ে দিন। অ্যাসিডের পরিবর্তে টিঞ্চার আইডিন লাগাতে পারেন।
তিনঃ কার্বোলিক অ্যাসিড লাগানোর এক মিনিট পরেই অ্যাসিড মুছে দিন রেটিফাইড স্পিরিট বা অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল দিয়ে। এই স্পিরিট যে কোনও ওষুধের দোকানে পাবেন । এই মোছর কারণ—অ্যাসিড-ক্ষত যাতে না হয়।
চারঃ ক্ষত থেকে যাতে টিটেনাস না হয়, তাই টিটেনাস টক্সাইড ইঞ্জেকশন নিন ।
র্যাবিড বা পাগলা কুকুর কামড়েছে কি না জানবেন কী করে?
কুকুরে কামড়াবার পর কুকুরটা পাগলা কি না জানাটা জরুরী হয়ে পড়ে। কুকুরটি র্যাবিস ভাইরাস দ্বারা (যা জলাতঙ্ক রোগের কারণ) আক্রান্ত না হলে অ্যান্টি র্যাবিস ইনজেকশন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ক্ষতের চিকিৎসা করালেই চলে।
পাগলা কুকুরের লক্ষণঃ
(১) ক্ষিপ্ত অবস্থা। বিনা কারণে কামড়াবার প্রবণতা।
(২) বিনা কারণে চিৎকার করা। চিৎকারের স্বর থাকে ভাঙা। অথবা চিৎকার করতে চাইছে, আওয়াজ বেরুচ্ছে না।
(৩) মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে।
(৪) খেতে চায় না, লুকিয়ে কুঁকড়ে শুয়ে থাকতে চায়।
কামড়ানোর পরবর্তী সমস্যা ও করণীয়
কুকুর কামড়ানোর পর বুঝতে চেষ্টা করুন, কুকুরটি পাগলা কি না। কুকুরটি রোগাক্রান্ত না হলে তার কামড়ে, আঁচড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কুকুরটি পাগলা হলে সাধারণভাবে দিন দশেকের মধ্যে মরে যাওয়ার কথা। কুকুরটি কামড়ানোর দশ দিন পরে পাগল না হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলে কামড় থেকে জলাতঙ্কের সম্ভাবনা নেই।
যেখানে আক্রান্ত কুকুরকে চিহ্নিত করা এবং তার ওপর নজর রাখা সম্ভব নয়, সেখানে ঝুঁকি না নিয়ে অ্যান্টি র্যাবিস চিকিৎসা শুরু করাই উচিত।
যে কুকুর কামড়েছে সেই কুকুরটি যদি কোনও কারণে মারা যায় বা তাকে মেরে ফেলা হয়, তবে রোগীর আন্টি র্যাবিস চিকিৎসা করাতে হবে।
জলাতঙ্ক রোগ কী ?
জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাসের নাম ‘র্যাবিস’। এই ভাইরাস প্রধানত স্নায়ুকোষকে আক্রমণ করে। স্নায়ুকোষে এরা বংশবিস্তার করে এবং স্নায়ুকোষ ধরে মস্তিষ্কের কোষগুলোর দিকে চলতে থাকে ভাইরাসের অগ্রগমন। সাধারণভাবে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগলক্ষণ প্রকাশ পায়। জলাতঙ্কের পূর্বলক্ষণ হিসেবে গা ম্যাজ ম্যাজ করে, মাথা ব্যথা হয়, ক্ষুধা কমে যায়, অল্প-সল্প জ্বর হয়। কামড়ানো বা আঁচড়ানোর জায়গায় চুলকানি অথবা অসাড়তা দেখা যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখা দেয় জলাতঙ্কের লক্ষণ। রোগীকে ছুঁলে চমকে ওঠে। একটু শব্দেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। ঠাণ্ডা বাতাস, উজ্জ্বল আলো সহ্য করতে পারে না। চোখ দিয়ে জল পড়ে। শরীর ঘামতে থাকে। কোনও তরল পদার্থ গিলতে পারে না। গিলতে গেলে গলার ভেতরের মাংসপেশী প্রবলভাবে সংকুচিত হয়। ফলে প্রবল যন্ত্রণা হতে থাকে। এক সময় জল দেখলেই পিপাসা মেটাবার তীব্র ইচ্ছে এবং মাংসপেশীর সংকোচন ও সেই কারণে ভয়ংকর যন্ত্রণা হতে থাকে। এই রোগের সঙ্গে জল থেকে যন্ত্রণা সৃষ্টির ব্যাপারটা সম্পর্কিত হওয়ার সুবাদে রোগটি ‘জলাতঙ্ক’ নামে পরিচিত। এক সময় প্রবল খিঁচুনির মধ্য দিয়ে জলাতঙ্ক রোগীর জীবন শেষ হয়।
তবে এ-কথাও জেনে রাখা ভালো, শুধু কুকুর থেকে র্যাবিস ভাইরাস ছড়ায় না। শেয়াল, বেজি, বেড়াল ইত্যাদি মাংসাশী পশুদের থেকেও র্যাবিস ভাইরাস ছড়াতে পারে।
হ্যাঁ, সেই শেষ কথাটা মনে করিয়ে দিচ্ছি আর একবার — জলাতঙ্ক রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। অর্থাৎ একবার রোগলক্ষণ প্রকাশ পেলে মৃত্যুর দিন গোনা ছাড়া উপায় নেই। তাই জলাতঙ্ক রোগ নিবারণের জন্য রোগলক্ষণ প্রকাশের আগেই রোগ হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিরোধ করতে হবে। এবং সেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পরে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, কোনও দৈব চিকিৎসা নয়।
কারো কারো মনে হতেই পারে ‘ধান ভানতে শিবের গান’ গাইলুম আমি। চ্যালেঞ্জার ছেড়ে রোগ নিয়ে পড়লাম! আসলে এ-দেশে কুকুরে কামড়ের রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষ কুকুরের কামড় রোগীর কি কর্তব্য এই বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানের অভাবওয়ালা মানুষরাই কুকুরে কাটা রোগীকে জ্ঞান দেওয়ার সুযোগ ছাড়তে নারাজ। ফলে রোগী ও তাঁর পরিবার নানা অযাচিত উপদেশে বিভ্রান্ত হন। এবং অনেক সময় এই বিভ্রান্তিই রোগীর মৃত্যু ডেকে আনে। বিভ্রান্তি নিরসনের জন্যেই আমার ‘ধান ভানতে শিবের গান’ গাওয়া ।
প্রথম খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস
অধ্যায়ঃ দুই
♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !
অধ্যায়ঃ তিন
♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা
অধ্যায়ঃ নয়
অধ্যায়ঃ দশ
♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !
অধ্যায়ঃ বারো
♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়
অধ্যায়ঃ তেরো
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !
অধ্যায়ঃ ষোলো
অধ্যায়ঃ সতেরো
♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন
দ্বিতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ চার
♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
অধ্যায়ঃ নয়
♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…
অধ্যায়ঃ দশ
♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর
অধ্যায়ঃ বারো
♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা
অধ্যায়ঃ তেরো
তৃতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ
অধ্যায়ঃ দুই
♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন
চতুর্থ খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা
অধ্যায়ঃ দুই
♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল
অধ্যায়ঃ চার
♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি
অধ্যায়ঃ আট
♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন
অধ্যায়ঃ নয়
♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’
অধ্যায়ঃ দশ
“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ