‘জন্মান্তর’ আছে। প্যারাসাইকোলজিস্টরা তা বারবার প্রমাণ করেছেন। এই সত্যকে কি অস্বীকার করবেন?
‘প্যারাসাইকোলজি’ শব্দের সঙ্গে ‘সাইকোলজি’ শব্দের ধ্বনিগত অর্থাৎ উচ্চারণগত মিল আছে; যেমন আছে ‘অ্যাস্ট্রোলজি’ ও ‘অ্যাস্ট্রোনমি’ শব্দের উচ্চারণগত মিল। সত্যটা হল ‘প্যারাসাইকোলজি’ আদপেই ‘সাইকোলজি’র শাখা নয়। বরং সত্যি বলতে কী সাইকোলজির বিষয় ‘মন’ এবং প্যারাসাইকোলজির বিষয় ভূত, জাতিস্মর, তন্ত্র, প্ল্যানচেট, অলৌকিক ক্ষমতা ইত্যাদি বিজ্ঞানবিরোধী বিষয় ।
এক ধরনের লেখক আছেন যাঁরা বিজ্ঞান লেখকের মুখোশের আড়ালে বিজ্ঞান বিরোধী লেখা লেখেন। এইসব লেখাকে বলা হয় ‘পপ সায়েন্স’। পপ-সায়েন্স অর্থাৎ পপুলার সায়েন্সকে বিজ্ঞান লেখকরা ‘অ্যান্টি-সায়েন্স’ বলে চিহ্নিত করেন।
এইসব অ্যান্টি-সায়েন্স লেখকরা প্যারাসাইকোলজি মার্কা লেখাও লিখে থাকেন। বিভ্রান্তি সৃষ্টির অস্ত্রগুলোকে চিহ্নিত করে এবার ফিরতে চাই ‘আত্মা’ নিয়ে আলোচনায় ।
বাংলা অভিধানগুলোতে ‘আধ্যাত্মবাদ’ শব্দের অর্থ লেখা আছে—আত্মা বিষয়ক মতবাদ।
আধ্যাত্মবাদীদের দেওয়া ‘আত্মা’র সংজ্ঞা থেকে আমরা যদি নির্যাস তুলে নিই, দেখব উঠে এসেছে প্রধান দুটি মত। একঃ চিন্তা, চেতনা, চৈতন্য বা মনই আত্মা। দুইঃ আত্মার কাজকর্মের ফলই মন।
আগে প্রথম মতটিকে নিয়েই আলোচনা শেষ করে নিই।
একঃ মনের অস্তিত্বকে বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান কখনই অস্বীকার করে না। ‘মন’কে মেলে নেওয়া মানে আত্মাকেও মেনে নেওয়া, আত্মার অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া—এমন অর্থ যদি কেউ করেন, করতে পারেন। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলি। ধরুন, কাল কেউ যদি এসে আপনাকে বলেন, “আপনি কি স্বীকার করেন, মানুষের নাক আছে?” আপনি তখন কী বলবেন? নিশ্চয়ই বলবেন, “হ্যাঁ, নিশ্চয়ই স্বীকার করি।” তখন প্রশ্নকর্তা যদি বলেন, “আমি এবং আমার ভক্তরা নাককেই আত্মা বলি। এবার আপনি কি আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারছেন?” তখন আপনি বলতেই পারেন, “আপনি যদি নাককে ‘আত্মা’ বলতে চান, বলতেই পারেন। সে বাক-স্বাধীনতা আপনার আছে। আমার নাকের অস্তিত্ব মেনে নেওয়াকে আত্মার অস্তিত্ব নেওয়া বলে আপনি প্রচার করতে পারেন, আপত্তি করব না। কিন্তু আপনি যদি এর পরের ধাপে বলে বসেন, ‘আত্মা অমর’ এবং আমি আত্মার অস্তিত্ব মেনে নিয়েছি অর্থাৎ আত্মার অমরতাকেও মেনে নিয়েছি, তবে এমন উদ্ভট কথার বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করব। ‘মানুষের নাকগুলো অমর’, একজন সুস্থ স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে আমি কখনই এমন পাগলামো মেনে নিতে পারি না। এটা স্পষ্ট করে বলি, ‘নাক’- এর অস্তিত্ব মেনে নেওয়া কখনই ‘নাক’-এর অমরতাকে মেনে নেওয়া নয়। ”
ঠিক এই একই ধরনের যুক্তিতে, মনরূপী আত্মাকে অমর বলে কেউ
দাবি করলে আমরা তাকে স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ
হিসেবে মেনে নিতে পারি না ৷
যাঁরা প্রচার করেন—‘বিজ্ঞান আত্মার অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে’, তাঁরা আসলে এই ধরনের প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মাথায় ঢোকাতে চান, বিজ্ঞান আত্মার অমরত্বকেই মেনে নিয়েছে। বিজ্ঞান পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে—মন, চিন্তা বা চৈতন্য মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষেরই ক্রিয়া-বিক্রিয়া বা কাজ-কর্মের ফল, মস্তিষ্ক বহির্ভূত কোনো বস্তু বা পদার্থ নয়। মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ছাড়া চিন্তা বা মনের অস্তিত্ব অসম্ভব বা অবাস্তব। শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই নয়, পোকা-মাকড়দের চিন্তার ক্ষেত্রেও রয়েছে স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়া। প্রাণীদের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের কাজ সবচেয়ে উন্নত, তাই তার চিন্তাক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি, এই যা। মানুষের মৃত্যু ঘটলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের বাস্তব অস্তিত্বই বিলীন হতে বাধ্য। কারণ মৃত্যুর পর সাধারণভাবে দেহও বিলীন হয় পুড়ে ছাই হয়ে, কবরের মাটিতে মিশে গিয়ে, অথবা বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে পচে-গলে—জন্তুর পেটে গিয়ে। দেহ বিলীনের সঙ্গে সঙ্গে দেহাংশ মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষেও বিলীন হয়। এরপর মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ নেই কিন্তু তার কাজ-কর্ম আছে এবং কাজ-কর্মের ফল হিসেবে মনও আছে—এমনটা শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। এমনকি ফরমালিনে সম্পূর্ণ দেহটিতে সংরক্ষণ করে রাখলেও চুল, নখ বাড়বে না বা মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ সচল থাকবে না। ‘মন’ মরণশীল মানে ‘আত্মা’ মরণশীল ।
দুইঃ এবার আমরা আলোচনা করব দ্বিতীয় মতটি নিয়ে। এই মতটি হল—চিন্তা, চেতনা, চৈতন্য বা মন হল আত্মারই কাজ-কর্মের ফল। অর্থাৎ আত্মার ক্রিয়া হিসেবেই মন বা চিন্তার উৎপত্তি।
শরীর-বিজ্ঞানের ও মনোবিজ্ঞানের চিত্রটা এখন আমাদের কাছে খুবই পরিষ্কার। এখন দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গেই আমরা বলতে পারি—এই দ্বিতীয় মতাবলম্বীরা মনকে ‘আত্মা’ না বলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষকেই ‘আত্মা’ বলে চিহ্নিত করেছেন। কারণ, যার ক্রিয়া থেকে চিন্তা, চেতনা, চৈতন্য বা মনের উৎপত্তি, বিজ্ঞান তাকে বলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ ; যদিও কিছু ধর্মীয় বিশ্বাস ও কিছু ধর্মগুরু তাকে ‘আত্মা’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
মানুষ মরণশীল। গোটা মানুষটাই যখন মরণশীল, তখন তার দেহাংশও যুক্তিগতভাবে মরণশীল হতে বাধ্য। অতএব আমরা খুব সহজেই এই দৃঢ় সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি— মানুষের দেহাংশ মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষও মরণশীল। মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ মরণশীল হলে তাকে ‘আত্মা’ ‘চৈতন্য’ বা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তা মরণশীলই থাকবে, অমরত্ব লাভ করবে না।
‘মন’ বা ‘মনের কারণ’-কে একসময় আধ্যাত্মবাদীরা অমর বলে মনে করেছিলেন। শুরুতে কোনো গভীর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে এমনটা প্রচার করেনি। শোষকদের সুবিধে করে দেবার জন্যেও এমনটা প্রচার করেননি। শুরুর এই সিদ্ধান্তের পিছনে ছিল তাঁদের শারীর বিজ্ঞানকে না জানার অক্ষমতা। অধ্যাত্মবাদীরা সে সময় ‘মন’কে মনে করতেন দেহাতীত বা দেহ-বিচ্ছিন্ন এক অদ্ভুত কিছু, যা দেহকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করলেও দেখা যায় না, যা স্পর্শ করা যায় না, অথচ জীবিত অবস্থায় যাকে সব সময়ই অনুভব করছি। ‘মন’ আছে কি নেই, এই প্রশ্ন যে করাচ্ছে, সেই ‘মন’। অর্থাৎ ‘মন’ এমনই একটা কিছু, যাকে অনুভব করা যায়, যা মুহূর্তে লক্ষ-কোটি মাইল ঘুরে আসে, যাকে দেখা যায় না, স্পর্শ করা যায় না, তলোয়ারের আঘাতে ছিন্ন করা যায় না, আগুনে পোড়ানো যায় না ৷
মনকে ‘আত্মা’ বলে, বা মনের কারণ-কে ‘আত্মা’ বলে চিহ্নিত করে একে এক রহস্যময় বিষয় করে তুলেছে আধ্যাত্মবাদীরা। অজ্ঞানতার অন্ধকারই ‘মন’-এর এই রহস্যময়তা সৃষ্টির কারণ।
আধ্যাত্মবাদীরা একসময় মানুষের মৃতদেহ দেখে গভীরভাবে চিন্তা করেছে, জীবিত ও মৃত মানুষের দেহের পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তাঁদের মনে হয়েছে, দুটি ক্ষেত্রেই দেহ তো উপস্থিত, অনুপস্থিত শুধু ‘চৈতন্য’ বা ‘মন’। এই ‘চৈতন্য’ বা ‘মন’–এর অনুপস্থিতির জন্য একটি দেহ মৃত এবং তারপর এই দেহকে সংরক্ষণের চেষ্টা করলে তাতে পচন ধরবেই। এই অবস্থাই তাদের চোখে একসময় আত্মা যে দেহাতিরিক্ত বিষয়, তারই প্রমাণ হিসেবে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। ‘চিন্তা’ বা ‘মন’–এর উৎপত্তি কোথা থেকে এটা তো মানুষ একদিনে জানেনি। শারীর বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে ধাপে ধাপে মানুষ পরিচিত হয়েছে মস্তিষ্ক, স্নায়ুকোষ ও তার কাজ-কর্মের সঙ্গে। আর তারপর যত বেশি বেশি করে মানুষ এই মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের কাজ-কর্ম ও আত্মার সংজ্ঞা, উভয়ের সঙ্গেই পরিচিত হয়েছে, ততই আত্মা তার অমরত্ব হারিয়েছে ।
শিক্ষিত এমনকি চিকিৎসকরাও শারীরবিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান ও ধারণা থাকার
জন্য ‘মন’ বা ‘চেতনা’র কারণ যে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ, এ কথা জানেন । কিন্তু জানেন
না ‘আত্মা’র সংজ্ঞা । ফলে ছোটবেলা থেকে জেনে আসা
কথা, ‘আত্মা অমর’, তাতেই বিশ্বাস করে বসে আছেন।
তাঁরা যদি একবারের জন্যেও জানতে পারতেন আধ্যাত্মবাদীরা কেউ ‘মন’কে কেউ বা ‘মনের কারণ’ মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষকে ‘আত্মা’ বলে চিহ্নিত করেছেন, তা হলে এইসব শারীরবিজ্ঞান জেনেও আত্মায় বিশ্বাসীদের বিশ্বাস যেত চটকে ।
বর্তমানে মানুষ যখন বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে জীবনের সর্বস্তরের ব্যবহার করছে, শারীরবিজ্ঞানের প্রথম পাঠ স্কুল গণ্ডিতেই হয়ে যাচ্ছে, তখন আধ্যাত্মবাদীরা তাদের টিকে থাকার প্রয়োজন আধ্যাত্মবাদকে রহস্যের ঘেরাটোপে বন্দি করে রাখতে চাইছে। এজন্য অধুনা আধ্যাত্মবাদীরা একইসঙ্গে মিথ্যাচারিতা, অস্বচ্ছ ভাসাভাসা কথা ইত্যাদির আশ্রয় নিচ্ছে। ওরা ‘মৃত্যু ও পরলোক’ ‘আত্মার কথা’ ইত্যাদি জাতীয় বই প্রকাশ করেছে। নিজ আত্মার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিক্রমার নানা গল্প পর্যন্ত ফাঁদছে। আত্মাকে পূর্বজন্মে নিয়ে যাওয়ার সিরিয়াল তৈরি করছে। ‘আত্মা’র সংজ্ঞা বিষয়ে অদ্ভুত রকম ধোঁয়াশা তৈরি করছে। কারণ এইসব আধ্যাত্মবাদীরা খুব ভালো মতোই নিজেদের বাস্তব অবস্থান ও দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাঁরা জানেন সাধারণের কাছে আত্মার সংজ্ঞা, আত্মার ধর্মীয় ধারণাগুলোর বিস্তৃত আলোচনাই আত্মার মরণ ডেকে আনবে।
কিছু কিছু আধ্যাত্মবাদী নেতা আত্মার অমরতায় বিশ্বাস করে বসে আছেন শারীরবিজ্ঞান বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে, একথা সত্যি। তারই সঙ্গে এও সত্যি, এযুগে আধ্যাত্মবাদের নেতৃত্ব রয়েছে জানা, বোঝা শিক্ষিতদের হাতেই। এঁরা জানেন ও বোঝেন একরকম। জানান ও বোঝান আর একরকম। এমনটা হওয়ার কারণ, আজো আমাদের সমাজে আধ্যাত্মবাদীরা পূজিত হন, অর্থ ও ক্ষমতা দুইই পোষা কুকুরের মতোই তাঁদের পাশে পাশে ঘোরে।
এরই পাশাপাশি আমাদের অসাম্যের সমাজব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক শক্তি তাদের টিকে থাকার স্বার্থেই আধ্যাত্মবাদকে টিকিয়ে রাখতে চায়, আধ্যাত্মবাদকে পুষ্ট করতে চায়।
অসম বিকাশের এই দেশের শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও অনেকে সাধু-সন্তদের কাছে নতজানু হওয়ার মধ্যে কিছুটা ‘গাঁইয়াপনা’ খুঁজে পান। এই শ্রেণির মানুষদের জন্য সমাজ নিয়ন্ত্রক শক্তি হাজির করে ‘প্যারাসাইকোলজিস্ট’ নামধারী বিজ্ঞানের মুখোশ আঁটা আধ্যাত্মবাদীদের।
আধ্যাত্মবাদীদের দু’টি শিবিরের দেওয়া আত্মার সংজ্ঞা বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করলে আমরা একটিমাত্র সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে বাধ্য—আত্মা মরণশীল।
আত্মা মরণশীল প্রমাণিত হওয়ার পর ভূত-প্রেত-প্ল্যানচেট-পূর্বজন্ম
পরলোক-পরলোকের বিচারক ঈশ্বর-স্বর্গ-নরক ইত্যাদি প্রতিটি
বিশ্বাসই অলীক হয়ে যায় ৷
আর শেষ কথা—প্যারাসাইকোলজিস্টরা আজ পর্যন্ত একজনও খাঁটি জাতিস্মর হাজির করতে পারেননি। ডজন দুয়েক জাতিস্মর ওঁরা হাজির করেছেন। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে আমি সব বুজরুকি-ই ফাঁস করেছি। তার প্রতিটি কাহিনী পাবেন ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক (৪র্থ খণ্ড)’-তে।
পর্ব- একঃ উঠে আসা নানা প্রশ্ন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
♦ জন্তুদের সম্মোহন করা ব্যাপারটা কি?
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
♦ গণ-সম্মোহনের সাহায্যে কি ট্রেন ভ্যানিশ করা যায়?
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ সম্মোহন করে পূর্বজন্মে নিয়ে যাওয়া যায়?
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
অধ্যায়ঃ নয়
♦ প্ল্যানচেটে যে আত্মা আনা হয়, তা কি স্বসম্মোহন বা সম্মোহনের প্রতিক্রিয়া ?
পর্ব- দুইঃ সম্মোহনের ইতিহাস ও নানা মানসিক রোগ
অধ্যায়ঃ এক
♦ সম্মোহনের বিজ্ঞান হয়ে ওঠার ইতিহাস
অধ্যায়ঃ দুই
♦ মনোরোগ, সম্মোহন জানতে মগজের কাজ জানা জরুরি
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
♦ Hysterical neurosis – Conversion type
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ দেহ-মনজনিত অসুখ (Psycho-somatic disorder)
পর্ব- তিনঃ মনোবিদ ও মনোরোগ চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি
অধ্যায়ঃ এক
♦ মনোবিদ (Psychologist) ) মনোরোগ চিকিৎসক (Phychiatrist)
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রধান কয়েকটি সাইকোথেরাপি নিয়ে আলোচনায় যাব
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
পর্ব- চারঃ বিভিন্ন রোগের সম্মোহনের সাজেশন পদ্ধতি
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
“সম্মোহনের A to Z” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ