ইছাপুর শিয়ালদহ থেকে মিনিট তিরিশের পথ। স্টেশনে নেমে জানতে পারলাম, একজন নয়, পুরো হাফ-ডজন সুপারম্যান এখানে বসেছেন। এঁরা অলৌকিক উপায়ে জন্ডিস রোগীদের সারিয়ে তুলছেন। এঁদের অলৌকিক ক্ষমতা চাক্ষুষ করা যায়। নিজের চোখে অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা দেখার পর একগাদা প্রশ্ন তুলে অবিশ্বাস জাহির করার মতো ‘বোকা’ কম-ই আছে।

অবশ্য শুধু ইছাপুরের গুণগান করলে তা হবে পক্ষপাতিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় জেলাতেই নিজস্ব ঢঙয়ে জন্ডিস সারাবার ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন কিছু বাবাজি-মাতাজিরা। এঁরা কেউ মন্ত্র-পড়া মালা দেন। রোগীর গলায় ধারণ করার পর এই মালা আপনা থেকেই বাড়তে থাকে। কেউ বা রোগীর শরীরে হাত বুলিয়ে পরিষ্কার জলে সেই হাত ধুতেই দেখা যায় জলের রং হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জন্ডিস ধুইয়ে দিলে জলের রং যত হলুদ হতে থাকবে, ততই যে হলুদ-বর্ণের রোগী স্বাভাবিক রং ফিরে পেতে থাকবে—এটা বুঝতে তেমন মাথা খাটাতে হয় না।

 

‘জন্ডিস রোগটা কী’

জন্ডিস গ্রীষ্মের ‘কমন ডিজিজ’। বাংলায় এর অনেক নাম। ন্যাবা, কালা, পাণ্ডুর ইত্যাদি । সাধারণভাবে জীবাণুবাহিত রোগ। রোগজীবাণুর সংক্রমণ ঘটে অপরিচ্ছন্ন জল, খাবার, কাটাফল ইত্যাদি থেকে। জন্ডিসে লিভার বা যকৃত থেকে নিঃসৃত পাচকরস বা পিত্তরস রক্তে সঞ্চারিত হয়। ফলে দেহের চামড়া, চোখের সাদা অংশ, জিভ, নখ হলদে হয়ে যায়। বমি বমি ভাব থাকে । মল সাদা ও প্রস্রাব হলদে হয়। রক্তে সঞ্চারিত পিত্তরস বা বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করলে যদি দেখা যায় বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তাহলে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে। স্বাভাবিকের পরিমাণ ০.১ থেকে ১ মিলিগ্রাম। ক্যানসার, টিউমার, গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর ইত্যাদি কারণেও জন্ডিস হতে পারে।

 

ডুব দে মন ইছাপুরে

ফিরি ইছাপুরে। ৬ মে ২০০১ গিয়েছিলাম ইছাপুরে। সঙ্গী ছিলেন আশিস ও বিপ্লব। স্টেশন থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ ব্রাহ্মণ পাড়া। এখানেই তারকনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিশাল দোতলা বাড়ি। লাগোয়া মন্দির। মা কালীর বিশাল মূর্তি, ছোটো আকারের আরও অনেক দেব- দেবী-ই ছড়িয়ে রয়েছেন মন্দির জুড়ে। তারকবাবুকে অবশ্য এ তল্লাটে ঠাকুরদাস নামে-ই লোকেরা চেনেন। আসল নামটা হারিয়ে গেছে ঠাকুরদাসের জনপ্রিয়তার আড়ালে। গাড়ি-বাড়ি সব-ই হয়েছে জন্ডিস ধুইয়ে দেবার ক্ষমতার দৌলতে। রক্তে ছড়িয়ে যাওয়া পিত্তরস ধুইয়ে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসেন। যাঁরা তাঁর এই আলৌকিক ক্ষমতা দেখেছেন, তারাই প্রচারক।

মুখে মুখে প্রচার এতটাই ছড়িয়েছে যে বহু দূর দূর থেকেও রোগীরা আসেন। গাড়ির ভির থাকে। প্রণামী ১০০ টাকা থেকে শুরু।

ইছাপুরের শীতল শীল-এর বেশ নাম-ডাক। থাকেন আনন্দমঠ, সি ব্লকে। শীতলবাবুর দাবি কয়েক হাজার রোগীকে ধুইয়ে, সারিয়ে তুলেছেন। অলৌকিক ক্ষমতার দৌলতে তাঁরও অবস্থা ফিরেছে।

একই পাড়ার বাসিন্দা রবীন চক্রবর্তী। পরিচয় দেওয়ার সময় ‘এক্স মিলিটারি-ম্যান’ বলতে ভোলেন না। তিনিও অলৌকিক ক্ষমতার রোগী সারাবার দাবি রাখেন।

ঠাকুরদাসের কাছে আশিস রোগী। শীতল শীলের কাছে বিপ্লব

হাওড়ার লিলুয়া স্টেশনে নেমে অটোতে মিনিট আটেকের পথ ভট্টনগর। সেখান থেকে হেঁটে ঘুঘুপাড়া। এখানে থাকেন স্বর্ণবালা মণ্ডল। বৃদ্ধা। রোগীকে ধুইয়ে সুস্থ করেন। প্রণামী ১০০ টাকা থেকে শুরু। রোগ প্রবল হলে বেশি ধোয়াতে হয়, প্রণামী বাড়ে। এখানে রোগী ছিলেন লিলুয়ার গৌতম।

জন্ডিস ধোওয়ানোর পদ্ধতি কলকাতা থেকে গ্রাম বাংলা সর্বত্রই কম-বেশি একই রকম। রোগীকে বসানো হয় পিঁড়িতে। সামনে রাখা হয় এক বাটি পরিষ্কার জল। মন্ত্র পড়তে পড়তে রোগীর শরীরে হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন। একে বলে ‘ঝাড়া’। কিছুক্ষণ ঝাড়ার পর হাতটা বাটির জলে ধুয়ে নেন। অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। জলের রং হলুদ হয়ে যায়। যিনি ঝাড়লেন, তাঁর হাতও হলুদ। হলুদ রঙ এলো কোথা থেকে? হাত যে আগে থেকে হলুদ ছিল না—এ কথা হলফ করে বলা যায়। সত্যি কথা বলতে হাতে কিছুই ছিল না। তারপরও যা হল, তা দেখে অনেক যুক্তিবাদী ও মার্কসবাদীদেরও মুণ্ডু হেট হবে—এটাই স্বাভাবিক। কার্য-কারণ সম্পর্ক খোঁজার মতো জিজ্ঞাসু মন না থাকলে এটাই স্বাভাবিক। মনের গভীরে অলৌকিকে বিশ্বাস ও মুখে নাস্তিক, মার্কসবাদী, যুক্তিবাদী ইত্যাদি বুনি আওড়ালে এটাই স্বাভাবিক। আমরা মধ্যবিত্ত অহংসর্বস্ব মানুষগুলো ‘জানি না’ বলতে-ই জানি না। জানার ভান করার মতো বোকামিতে ওস্তাদ। নিজে ভুল বুঝেছি—এটা স্বীকার করতেই শিখিনি। তারচেয়ে নিজের ভুল ভাবনাকে অন্যের মধ্যে ঢোকাতে গপ্পো ফাঁদতে আমরা ‘বেঁড়ে ওস্তাদ’। এইসব সবজান্তা ওস্তাদদের ওস্তাদির ফলে বাবাজি-মাতাজিরা দিব্বি করে-কম্মে খাচ্ছেন।

 

ধোয়ানোর রহস্য

জন্ডিস ধোয়ানোর আসল রহস্য মন্ত্রে নেই। আছে অন্য জায়গায়। বাটির জল সাধারণ জল নয়। চুন জল। জলে চুন ডুবিয়ে রাখলে চুনের ডেলাগুলো ভিজে কাদা কাদা হয়ে জলের তলায় থিতিয়ে যায়। ওপর থেকে জল তুলে নিলে তা দেখে সাধারণ জল ছাড়া আর কিছু ভাবার উপায় থাকে না। যিনি রোগীকে ধোয়ান, তাঁর হাতে লাগান থাকে আমগাছের রস। আমগাছের রস চুনজলের সংস্পর্শে এলে জল হলুদ হয়। এই সাধারণ রসায়ন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা চলছে। ভবিষ্যতেও চলবে কিনা, তা আমাদের সচেতনতার উপর নির্ভর করে।

ইচ্ছাপুরের ঠাকুরদা, শীতল শীল ও লিলুয়ার স্বর্ণবালা যথাক্রমে আশিস, বিপ্লব ও গৌতমের জন্ডিস ধুইয়েছে। পরমভক্ত সেজে আমরা অপেক্ষা করেছি পরবর্তী রোগীর জন্য। রোগীকে ধোয়ানোর আগে তিন বাবাজি, মাতাজির হাতের তালুতে চুন জল ঢেলে দিতেই হাত গড়িয়ে হলুদ-জল। সবার সামনে তুলে ধরেছি তিন জনের ব্লাড রিপোর্ট। বিলিরুবিন নরমাল। তারপরও জন্ডিস ধোয়ানো?

জন্ডিসবাবা ঠাকুরদাস

জন্ডিসের মালা

জন্ডিস সারাবার আরও একটি ‘লোকচিকিৎসা’ হল, জন্ডিসের মালা পরা। এই লোকচিকিৎসা বা অলৌকিক-চিকিৎসা শহর থেকে গ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই দারুণ জনপ্রিয়। মন্ত্র পড়ে তৈরি কাঠির মালা রোগীর গলায় পরাতে হয়। তারপর মন্ত্র গুণে মালা একটু একটু বাড়তে থাকে। রোগও একটু একটু করে সারতে থাকে। দু-এক সপ্তাহ পরে সাধারণত দেখা যায়, সত্যিই জন্ডিস সেরে গেছে। কলকাতার হাটখোলা মিত্তির বাড়ি থেকে এই অলৌকিক জন্ডিস মালা দেওয়ার ঐতিহ্য নাকি শতাব্দী প্রাচীন। শনিবার শনিবার জন্ডিসের মালা পাওয়া যায় এখান থেকে।

বেলঘরিয়ার রবীন্দ্রকানন নিবাসী শংকর আচার্যও মালা দেন। এই মালা তৈরি ও তার মন্ত্র নাকি কয়েক পুরুষ ধরে বংশ পরম্পরায় আচার্য পরিবার ধরে রেখেছেন।

তন্ত্রভৈরব বশিষ্ঠানন্দের স্ত্রী শিখা চক্রবর্তী মালা তৈরি করেন। তিনি এই অলৌকিক বিদ্যা শিখেছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে ।

এইসব মালার জনপ্রিয়তা একবিংশ শতাব্দীতেও বিশাল। শহর কলকাতার অধ্যাপক থেকে ইঞ্জিনিয়র জন্ডিসের মালা পরে রোগ সারার অপেক্ষায় থাকেন—এও দেখি। ২০০৩-এর জুনে আমার জন্ডিস হয়েছিল। আমার প্রতিবেশী এক ইঞ্জিনিয়র খুব-ই আন্তরিকতার সঙ্গে আমাকে বললেন, “আপনারা তো অনেক কিছু বিশ্বাস-ই করতে চান না। যদি আমার একটা অনুরোধ রাখেন তো আপনার জন্য একটা মালা এনে দেব। ঠাকুরনগরের এক মহিলা মালাটা তৈরি করেন। শনি-মঙ্গলবার পরলে দেখবেন সাত-দশ দিনের মধ্যে বিলিরুবিন কোথায় নেমে গেছে।”

জন্ডিস অমনি অমনি সারে

যাঁরা জন্ডিস ধোয়ান বা জন্ডিসের মালা দেন, তাঁরা সঙ্গে কয়েকটি বিধি নিষেধের কথা জানিয়ে দেন। দু’সপ্তাহ তেল-মশলার খাবার একদম নয়। বড় মাছ চলবে না। খাবেন আখের রস, বাতাবি লেবুর রস, ছোট মাছ, ছানা ইত্যাদি। দু’সপ্তাহ বাড়িতে বিশ্রাম। বিশ্বাসের সঙ্গে অলৌকিক-চিকিৎসা নিলে, এর নিয়ম মেনে চললে নাকি জন্ডিস সারবে-ই। বুক ঠুকে এ’দাবি করেন অনেক ধেড়ে শিশুরাই।

যাঁরা জন্ডিস জীবাণু জনিত যকৃত প্রদাহের রোগী, তারা পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিলে, গ্লুকোজ খেলে (যা আখের রসে আছে) সাধারণত দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আপনা-আপনি সুস্থ হয়ে ওঠে।

অলৌকিক চিকিৎসা বা আধুনিক চিকিৎসার সাহায্য না নিলেও সারে। ক্যানসার, টিউমার বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার জন্য যদি জন্ডিস হয়, তা হলে ধুইয়ে বা মালা পরিয়ে সারবে না। যদিও ধোয়ালে জল ঝকাস হলুদ হবে, মালাও ধেই ধেই করে বাড়বে। তবু জন্ডিস সারবে না। আগে সারাতে হবে জন্ডিসের কারণ।

মালা-রহস্য

মালা বাড়ে কাঠির গুণে ও বাঁধার কৌশলে। মালাগুলো তৈরি হয় সবুজ কাঠিতে বাঁধন দিয়ে। এক একটা কাঠিকে আড়াআড়ি ধরে ফাঁস দিয়ে বাঁধা। এই বাঁধার পদ্ধতির ইংরেজি কেতাবি নাম ‘শিফর্স নট’(shiffer’s knot) অথবা ‘সেইলর্স নট’ (Sailor’s knot), কাঠিগুলো বাঁধা হয় গা ঘোঁষাঘোষি করে।

সাধারণভাবে যে সব গাছের ডাল মালা গাঁথার কাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর চলতি বাংলা নাম হল—বামনহাটি, আপাং ও ভৃঙ্গরাজ। এইসব গাছের ডালের জলীয়ভাব খুবই বেশি। মাটি থেকে জল টানতে না পারায় মালা তৈরির পর কাঠিগুলো দ্রুত শুকোতে থাকে। যতই শুকোয়, ততই সুতোর পাক ঢিলে হতে থাকে। দু’কাঠির মধ্যেকার ফাঁক বাড়ে। মালা বাড়ে।

কপাল কেটে জন্ডিস চিকিৎসা

মেদিনীপুর ও আশেপাশের অঞ্চলের মানুষদের কাছে একটা বহুল প্রচলিত অলৌকিক চিকিৎসা হল ‘কপাল কাটানো’। এ’ও এক দৈব-চিকিৎসা পদ্ধতি। অর্থাৎ দেবতার দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতি।

স্থান—মেদিনীপুর শহরের বুকে পাটনাবাজার। গরমকালে এখানে জন্ডিসবাবার কাছে রোগীদের কাতার লেগে যায়। ১৯৯৪-এর ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্ডিসবাবার ডেরায় হানা দিলেন যুক্তিবাদী সমিতির খড়গপুর শাখার তিনজন—অসিত কাণ্ডার, মৃদুল মহাপাত্র ও সমর চক্রবর্তী। অসিত তুখোড় ছেলে। জন্ডিসবাবার কথা, “কপালের দোষে জন্ডিস হয়। তাই জন্ডিস কাটান দিতে কপাল কাটতে হয়। কপাল কাটার পর শ্বেতচিত্তা গাছের শিকড় বাটা সেখানে লাগাতে হয়। ওই শিকড়ের রস রক্তের হলুদ রং শুষে নেয়।”

“তাহলে বলছেন, শ্বেতাচিত্তার শিকড় রক্তে মিশে গেলে-ই জন্ডিস সেরে যায়। তবে তো কপাল না কেটে শরীরের যে কোনও অংশ কেটে ওই শিকড় বাটা লাগালেই জন্ডিস সেরে যাবার কথা, এখানে আপনার কৃতিত্ব কোথায়?” প্রশ্নটা করেছিলেন অসিত।

“এটা হল দৈব ব্যপার। মন্ত্র পড়ে না লাগালে তো কাজ-ই হবে না।” বাবাজির উত্তর। -“প্ৰণামী কত পান ? ”

–“যে যা দেন । ”

—“আজ তো বিশাল ভিড়। কত রোগী সাধারণত আসেন ?”

-“আজ যেমন রবিবার, শ’পাঁচেক রোগী তো কম করে দেখতেই হবে।”

এত ব্যস্ততার মধ্যেও বাবাজি কথা বলার সময় দিয়েছিলেন, কারণ, সমর চক্রবর্তী খড়্গপুরের একটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সম্পাদক। এবং সেই পরিচয়ের সুবাদেই একটা সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন।

—“এই যে একটা ছুরি দিয়ে এত লোকের কপাল কেটে চলেছেন, যদি জীবাণু সংক্রমণে কেউ মারা যান, আপনি-ই তো দায়ী হবেন। তাই নয় কী?” প্রশ্নটা অসিতের।

“এমন ঘটবেই না। গ্যারান্টি আমার।” বাবাজি বুক চাপড়ে বলেন।

সমর চক্রবর্তী এবার বলেন, “আপনাকে একটা খবর দিই। খড়্গপুরের ইন্দা’র ২১ বছরের যুবক চুনা রানা এসেছিলেন আপনার কাছে। আপনি ওঁর কপাল কেটে ছিলেন। ওই কাটা সংক্রামিত হয়। যুবকটি জন্ডিস থেকে বাঁচতে গিয়ে সংক্রমণে মারা যান। যুবকটি বিয়ে করেছিলেন। আপনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হবে। পারবেন তো ঠেকাতে?”

এতক্ষণ প্রকাশ্যেই টেপ রেকর্ডারে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন বাবাজী। বেয়াড়া প্রশ্ন শুনে ধাঁ করে খেপে গেলেন। চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দিলেন। ভক্তদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টায় মেতে গেলেন। প্রাণ-বাঁচতে বাবাজির ডেরা ছেড়ে বেরিয়ে আসা ছাড়া কোনও পথ খোলা ছিল না অসিতদের।

বেরিয়ে এসে মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারদের কাছে যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করেন তিনজন। অভিযোগ আনবার কথা স্বার্থান্বেষী মহল কি পৌঁছে দিয়েছিল জন্ডিসবাবার কানে? এর মধ্যে কোনও হিসার গল্প নেই তো? তা না হলে বাবাজি সে’দিনই ভ্যানিস হলেন কী করে ?

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!