চতুর্থ অধ্যায়ঃ

জ্ঞান-যোগ

শ্লোকঃ ০১

ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্ ।

বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ ॥ ১ ॥

শ্রীভগবান্ উবাচ—পরমেশ্বর ভগবান বললেন; ইমম্—এই; বিবস্বতে –সূর্যদেবকে; যোগম্—ভগবানের সঙ্গে জীবের সম্পর্ক সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান; প্রোক্তবান্—বলেছিলাম; অহম্—আমি; অব্যয়ম্ — অব্যয়; বিবস্বান্ –বিবস্বান (সূর্যদেবের নাম); মনবে— মানবজাতির জনক বৈবস্বত মনুকে; প্রাহ—বলেছিলেন; মনুঃ—মনু; ইক্ষ্বাকবে— মহারাজ ইক্ষ্বাকুকে; অব্রবীৎ — বলেছিলেন।

গীতার গান

ভগবান কহিলেনঃ

পূর্বে আমি বলেছিলাম, সূর্যকে প্রথম।

এই সে নিষ্কাম কর্ম অপূর্ব কথন ।৷

সূর্য বলেছিল পরে মনুকে স্বপুত্রে ৷

ইক্ষ্বাকু শুনিল পরে পরম্পরা সূত্রে ॥

অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন – আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। সূর্য তা মানবজাতির জনক মনুকে বলেছিলেন এবং মনু তা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন।

তাৎপর্যঃ এখানে ভগবান ভগবদ্গীতার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। বহু প্রাচীনকালে সূর্যলোক আদি বিভিন্ন গ্রহলোকের রাজাদের ভগবান এই জ্ঞান দান করেন। সমস্ত গ্রহলোকের রাজাদের বিশেষ কর্তব্য হচ্ছে প্রজাপালন করা এবং সেই জন্য তাঁদের সকলেরই ভগবদ্গীতার বিজ্ঞান সম্পর্কে পূর্ণভাবে অবহিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে তাঁদের প্রজাদের পারমার্থিক লক্ষ্যের দিকে তাঁরা পরিচালিত করতে পারেন। তাই ভগবানের কৃপায় এই জ্ঞান লাভ করে প্রাচীনকালের রাজারা মানুষকে কামনা-বাসনার জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হবার পথ প্রদর্শন করতেন। মানব-জীবনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে পারমার্থিক জ্ঞানের অনুশীলন করা এবং ভগবানের সঙ্গে তার যে নিত্য সম্পর্ক রয়েছে, সেই সম্বন্ধে অবগত হওয়া। তাই.. সকল গ্রহলোকে ও সকল রাষ্ট্রের শাসকবর্গের কর্তব্য হচ্ছে, শিক্ষার মাধ্যমে, সংস্কৃতির মাধ্যমে ও ভক্তির মাধ্যমে জনগণকে এই জ্ঞান বিতরণ করা। পক্ষান্তরে বলা যায়, সকল রাষ্ট্রের কর্ণধার এবং সমাজের নেতাদের একমাত্র কর্তব্য হচ্ছে, কৃষ্ণভাবনার অমৃত বিজ্ঞান সকলের কাছে বিতরণ করা, যাতে প্রতিটি মানুষ এই মহাবিজ্ঞানের সুফল অর্জন করতে পারে এবং মানব-জীবনের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে সাফল্যের পথে অনুসরণ করতে পারে।

এই মহাকাল কল্পে সূর্যদেবের নাম বিবস্বান, তিনিই হচ্ছেন সূর্যলোকের অধীশ্বর। এই সূর্য থেকেই সৌরজগতের সমস্ত গ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রহ্মসংহিতাতে (৫/৫২) বলা হয়েছে—

যচ্চক্ষুরেষ সবিতা সকলগ্রহাণাং

রাজা সমস্তসুরমূর্তিরশেষতেজাঃ ।

যস্যাজ্ঞয়া ভ্রমতি সংভূতকালচক্রো

গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।

ব্রহ্মা বলেছেন, “সমস্ত গ্রহের রাজা, অশেষ তেজোবিশিষ্ট, সুরমূর্তি সবিতা বা সূর্য জগতের চক্ষুস্বরূপ। তিনি যাঁর আজ্ঞায় কালচক্রারূঢ় হয়ে ভ্রমণ করেন, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে (শ্রীকৃষ্ণকে) আমি ভজন করি।”

সূর্য হচ্ছেন গ্রহগুলির রাজা এবং বর্তমানে সূর্যদেব বিবস্থান সূর্যগ্রহকে পরিচালনা করছেন। এই সূর্যগ্রহ সমস্ত গ্রহগুলিকে তাপ ও আলোক দান করে সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদেশ অনুসারে সূর্য তাঁর কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছেন। এই সূর্যদেবকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অহৈতুকী কৃপার ফলে প্রথম শিষ্যরূপে গ্রহণ করে ভগবদ্গীতার জ্ঞান দান করেন। এই থেকে আমরা বুঝতে পারি, ভগবদ্গীতা প্রাকৃত পণ্ডিতদের জল্পনা-কল্পনার সামগ্রী নয়, গীতা স্মরণাতীত কাল থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা ভগবানের মুখ-নিঃসৃত বাণী।

মহাভারতের শান্তিপর্বে (৩৪৮/৫১-৫২) আমরা ভগবদ্গীতার ইতিহাসের উল্লেখ পাই—

ত্রেতাযুগাদৌ চ ততো বিবস্বান্ মনবে দে ।

মনুশ্চ লোকভূত্যর্থং সুতায়ে ক্ষ্বাকবে দদৌ ।

ইক্ষ্বাকুণা চ কথিতো ব্যাপ্য লোকানবস্থিতঃ ॥

ত্রেতাযুগের প্রারম্ভে বিবস্বান মনুকে ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞান দান করেন। মানব-সমাজের পিতা মনু এই জ্ঞান তাঁর পুত্র সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বর এবং রঘুবংশের জনক ইক্ষ্বাকুকে দান করেন। এই রঘুবংশে শ্রীরামচন্দ্র আবির্ভূত হন।” সুতরাং, ভগবদ্গীতা মহারাজ ইক্ষ্বাকুর সময় থেকেই মানব-সমাজে বর্তমান।

এই পৃথিবীতে এখন কলিযুগের পাঁচ হাজার বছর চলছে। কলিযুগের স্থায়িত্ব ৪,৩২,০০০ বছর। এর আগে ছিল দ্বাপরযুগ (৮,০০,০০০ বছর) এবং তার আগে ছিল ত্রেতাযুগ (১২,০০,০০০ বছর)। এভাবে প্রায় ২০,০৫,০০০ বছর আগে মনু তার পুত্র এই পৃথিবীর অধীশ্বর ইক্ষ্বাকুকে এই ভগবদ্গীতার জ্ঞান দান করেন। বর্তমান মনুর আয়ু ৩০,৫৩,০০,০০০ বছর, তার মধ্যে ২,০৪,00,000 অতিবাহিত হয়েছে। আমরা যদি মনে করি, মনুর জন্মের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিবস্বানকে ভগবদ্গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন, তা হলেও গীতা প্রথমে বলা হয় ১২,০৪,০০,০০০ বছর আগে এবং মানব-সমাজে এই জ্ঞান প্রায় ২০,০0,000 বছর ধরে বর্তমান। পাঁচ হাজার বছর আগে ভগবান এই জ্ঞান পুনরায় অর্জুনকে দান করেন। গীতার বক্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বর্ণনা অনুযায়ী এই হচ্ছে গীতার ইতিহাস। ভগবান সর্বপ্রথম এই জ্ঞান বিবস্বানকে দান করেন, কারণ বিবস্বানও হচ্ছেন একজন ক্ষত্রিয় এবং সূর্যবংশজাত সমস্ত ক্ষত্রিয়ের তিনিই হচ্ছেন আদি পিতা। ভগবানের কাছ থেকে আমরা ভগবদ্গীতা প্রাপ্ত হয়েছি বলে ভগবদ্‌গীতা বেদেরই মতো পরম তত্ত্বজ্ঞান সমন্বিত —এই জ্ঞান অপৌরুষেয়। বৈদিক জ্ঞানকে যেমন যথানুরূপভাবে গ্রহণ করতে হয়, মানুষের কল্পনাপ্রসূত ব্যাখ্যা সেখানে প্রযোজ্য হয় না, ভগবদ্গীতাও তেমনই জড় বুদ্ধিপ্রসূত ব্যাখ্যার কলুষমুক্ত অবস্থায় গ্রহণ করতে হবে। প্রাকৃত তার্কিকেরা ভগবানের দেওয়া ভগবদ্গীতার উপর তাদের পাণ্ডিত্য জাহির করার চেষ্টা করে, কিন্তু তা যথাযথ ভগবদ্গীতা নয়। ভগবদ্গীতার যথার্থ মর্ম উপলব্ধি করতে হয় গুরু-পরম্পরার ধারায় এবং এখানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ভগবান এই জ্ঞান প্রথমে বিবস্বানকে দান করেন। বিবস্বান তা দেন মনুকে, মনু ইক্ষ্বাকুকে—এভাবেই গুরু-শিষ্য পরম্পরাক্রমে এই জ্ঞান প্রবাহিত হয়ে আসছে।

শ্লোকঃ ২

এবং পরম্পরাপ্রাপ্তমিমং রাজর্যয়ো বিদুঃ ।

স কালেনেহ মহতা যোগো নষ্টঃ পরন্তপ ৷৷ ২ ৷৷

এবম্—এভাবে; পরম্পরা—পরম্পরাক্রমে, প্রাপ্তম্—প্রাপ্ত; ইমম্—এই বিজ্ঞান; রাজষয়ঃ—রাজর্ষিরা; বিদুঃ — বিদিত হয়েছিলেন; সঃ – সেই জ্ঞান; কালেন —–কালের প্রভাবে; ইহ—এই জগতে, মহতা – সুদীর্ঘ, যোগঃ- পরমেশ্বর ভগবানের সঙ্গে জীবের সম্বন্ধ জ্ঞান সমন্বিত বিজ্ঞান; নষ্টঃ– বিনষ্ট; পরন্তপ – হে শত্রু দমনকারী অর্জুন।

গীতার গান

সেই পরম্পরা দ্বারা রাজর্ষিগণ ।

একে একে শুনে সব গীতার বচন ॥

কালক্রমে পরম্পরা হয়েছে বিনষ্ট ।

পরম্পরা বিনা জান সব অর্থ ভ্ৰষ্ট ৷।

অনুবাদঃ এভাবেই পরম্পরা মাধ্যমে প্রাপ্ত এই পরম বিজ্ঞান রাজর্ষিরা লাভ করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রভাবে পরম্পরা ছিন্ন হয়েছিল এবং তাই সেই যোগ নষ্টপ্রায় হয়েছে।

তাৎপর্যঃ এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, গীতা রাজর্ষিদের জন্যই বিশেষভাবে উদ্দিষ্ট হয়েছিল, কারণ প্রজাপালনের কাজে তাঁরা যথার্থভাবে এই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য কার্যকরী করবেন। ভগবদ্‌গীতার অমৃতময় উপদেশ কখনই অসুরদের জন্য নয়। তারা এই জ্ঞানকে গ্রহণ করতে অক্ষম এবং জনগণের সেবায় প্রয়োগ করতে অক্ষম। পক্ষান্তরে, তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ভগবানের দেওয়া এই দিব্য জ্ঞানের কদর্থ করে। এই সমস্ত মূঢ় দুরাচারীদের কদর্থ সমন্বিত মন্তব্যে ভগবদ্গীতার প্রকৃত উদ্দেশ্য যখন ব্যাহত হয়, তখন শুরু-শিষ্যের পরম্পরার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পাঁচ হাজার বছর আগে ভগবান স্বয়ং লক্ষ্য করেন যে, সেই গুরু-শিষ্য পরম্পরার ধারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই তিনি ঘোষণা করেন যে, গীতার উদ্দেশ্যে হারিয়ে গেছে। আজকের জগতেও আমরা দেখতে পাই, গীতার অর্থ কিভাবে বিকৃত হয়ে গেছে— গীতার অনেক সংস্করণ আছে (বিশেষ করে ইংরেজী ভাষায়), কিন্তু তাদের মধ্যে প্রায় কোনটাই গুরু-পরম্পরার ধারা অনুযায়ী নয়। তথাকথিত সমস্ত পণ্ডিতেরা গীতার অসংখ্য ধরনের ব্যাখ্যা লিখে কৃষ্ণকথার নামে একটি ভাল ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে প্রায় কেউই পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্বীকার করে না। এটিই হচ্ছে আসুরিক প্রবৃত্তি। অসুরেরা কখনও ভগবানকে বিশ্বাস করে না, কিন্তু তারা কেবল ভগবানের সম্পত্তি ভোগ করার ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর। পরম্পরার ধারায় প্রাপ্ত ভগবদ্গীতার যথাযথ একটি ব্যাখ্যা প্রচার করার বিশেষ প্রয়োজন আছে, তা উপলব্ধি করে এই সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছে। ভগবদ্গীতা মানুষের প্রতি ভগবানের আশীর্বাদ, মানব-সমাজে এটি এক অমূল্য সম্পদ। এই গ্রন্থটিকে যথাযথভাবে গ্রহণ না করে, দার্শনিক জল্পনা-কল্পনামূলক নিবন্ধ মনে করলে, কেবল সময়েরই অপচয় করা হবে।

শ্লোকঃ ৩

সে এবায়ং ময়া তেঽদ্য যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ ।

ভক্তোহসি মে সখা চেতি রহস্যং হোতদুত্তমম্ ॥৩॥

সঃ – সেই; এব—অবশ্যই; অয়ম্—এই; ময়া আমার দ্বারা; তে—তোমাকে; অদা — আজ, যোগঃ — যোগ-বিজ্ঞান; প্রোক্তঃ —বলা হল; পুরাতনঃ—অতি প্রাচীন; ভক্তঃ – ভক্ত; অসি — তুমি হও; মে— আমার; সখা সখা, চ–ও; ইতি – অতএব ; রহস্যম্ — রহস্য; হি—অবশ্যই; এতৎ—এই; উত্তমম্—উত্তম।

গীতার গান

অতএব কহি পুনঃ সেই পুরাতন ৷

পুনর্বার পরম্পরা করিতে স্থাপন ॥

ভক্তি বিনা কে বুঝিবে গীতার রহস্য ।

তুমি মোর প্রিয়সখা করহ বিমুষ্য ।।

অনুবাদঃ সেই সনাতন যোগ আজ আমি তোমাকে বললাম, কারণ তুমি আমার ভক্ত ও সখা এবং তাই তুমি এই বিজ্ঞানের অতি গূঢ় রহস্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে।

তাৎপর্যঃ মানব-সমাজে দুই রকমের মানুষ আছে, তারা হচ্ছে ভক্ত ও অসুর। ভগবান অর্জুনকে ভগবদ্‌গীতা দান করতে মনস্থ করেছিলেন, কারণ অর্জুন ছিলেন তাঁর শুদ্ধ ভক্ত। অসুরেরা কখনই এই রহস্যাবৃত জ্ঞানের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারে না। এই মহৎ শাস্ত্ৰ ভগবদ্‌গীতার বহু সংস্করণ আছে, তাদের মধ্যে কোনটি ভক্তের মন্তব্য সমন্বিত, আর কোনটি অসুরের মন্তব্য সমন্বিত। ভক্তের মন্তব্য সমন্বিত ভগবদ্গীতা পড়লে অনায়াসে গীতার যথাযথ অর্থ উপলব্ধি করা যায় এবং তার ফলে ভগবানের মহত্ত্ব উপলব্ধি করতে পেরে হৃদয়ে ভক্তির সঞ্চার হয়। কিন্তু অসুরের মন্তব্য পড়লে কোনই কাজ হয় না, উপরন্তু সর্বনাশ হয়। অর্জন জানতেন, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান, তাই অর্জনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সর্ব কারণের কারণ, পরমেশ্বর ভগবান বলে মেনে নিয়ে ভগবদ্গীতাকে হৃদয়ঙ্গম করলেই এই পরম বিজ্ঞানের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয়। অসুরেরা কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে যথাযথভাবে গ্রহণ করে না। বরং তারা নানা রকম জল্পনা-কল্পনা করে শ্রীকৃষ্ণের পরিচয় নির্ধারণ করতে চেষ্টা করে। তারা ভগবানের নানা রকম পরিচয়ও খুঁজে বার করে। এভাবেই তারা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে পথভ্রষ্ট করে এবং ভগবৎ-বিদ্বেষী করে তোলে। তাই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত, যাতে এই সমস্ত অসুরেরা আমাদের আর অনিষ্ট না করতে পারে। আমাদের উচিত অর্জুনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভগবদ্গীতার মর্মার্থ উপলব্ধি করা এবং ভগবানের দেওয়া এই আশীর্বাদকে সর্বতোভাবে গ্রহণ করে আমাদের মানবজন্ম সার্থক করে তোলা ।

error: Content is protected !!