হীরেন্দ্রকুমার রায় ওরফে হীরেন রায় সর্পবিদ হিসেবে সম্প্রতি যথেষ্ট প্রচার পেয়েছেন। সাপ সম্বন্ধে বাস্তবিকই অনেক কিছুই জানেন। আর জানেন বলেই দেশ জুড়ে মেলায় মেলায় ঘুরে সাপের প্রদর্শনী করেন। অনেক সাপের সঙ্গে একই খাঁচায় থাকছেন, খাচ্ছেন, শুচ্ছেন। সাপেদের মধ্যে গোখরো, কেউটে, শাঁখামুটে, কালাজ, চন্দ্রবোড়ার মতো বিষাক্ত সব সাপও থাকে। এক একটা সাপ তুলে নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে দেন। সাপ নিয়ে যে-সব কুসংস্কার ও ভুল ধারণা সাধারণের মধ্যে আছে, তা ভাঙিয়ে দেন ঝঝকে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকঠাক। গোলমালটা হীরেন রায়ের একান্ত নিজস্ব সাপে কাটার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে। চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই সরল। বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীকে আদার রস খাইয়ে দিন। রসে জল বা নুন মেশাবেন না। আসলে শুধু নির্ভেজাল আদার রসই খাওয়াবেন। তাহলেই নিশ্চিন্ত। হীরেনবাবু হেঁকে-ডেকে একথা ও বলেছেন, ‘হাসপাতাল যে সাপে কাটা রোগী বাঁচাতে পারবে না বলে ফেরত দেবে, তাকেও গ্যারান্টি দিয়ে বাঁচিয়ে দেব।’ মুশকিল হ’ল তাঁর এই সহজ-সরল পদ্ধতি কতটা কার্যকর, সে নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। আরও মুশকিল কী জানেন, হীরেনবাবুর আবিষ্কৃত এই চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর হীরেনবাবুর নিজেরই গভীর সন্দেহ আছে। হীরেনবাবু নিজে সাপের ছোবল খেলে আদার ওপর ভরসা না হাসপাতালে দৌড়োন-এ খবরও পেয়েছি।

হীরেনবাবু বিভিন্ন শিক্ষামূলক (?) সাপের প্রদর্শনীতে আদা চিকিৎসা নিয়ে বুক ঠুকে বলেছেন। বলছেন, বিভিন্ন পত্রিকার সাক্ষাৎকারে। ফলে তিনি শুধু একটা অপরীক্ষিত হাতুড়ে চিকিৎসার কথা বলে বিজ্ঞানের বিরোধিতাই করছে না, মানুষের জীবন নিয়েও ছিনিমিনি খেলছেন

এমনই এক ছিনিমিনি খেলায় হীরেন রায়ের হাতে প্রাণ দিয়েছেন চাকদহের ঈশাননগরের পঁচিশ বছরের তরতাজা তরুণ দীপক রায়। গত বছর জুলাইতে সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ সাপে কাটে দীপককে। চাকদার লাগোয়া পায়রাডাঙার প্রীতিনগরে থাকেন হীরেনবাবু। সন্ধে সাতটার মধ্যেই দীপককে হীরেন রায়ের কাছে হাজির করা হয়। তার পরের ঘটনা, দীপকের বিধবা পত্নী জয়ন্তীর লেখা চিঠি থেকে তুলে দিচ্ছি : ‘সন্ধে ৭টার থেকে আদার রস খাইয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মারা যায়। এই ঠগের জন্য আমি স্বামী হারিয়েছি। আর কেউ যাতে আমার মতো স্বামী না হারায় তার ব্যবস্থা করবেন ‘

২০ মার্চ ‘৯৪ দীপকের স্ত্রী চিঠিটা পাঠিয়েছিলেন। সেদিনই হীরেনবাবুকে কোথায় পাওয়া যাবে? খোঁজ করতে জানতে পারলাম, তাঁর ‘শিক্ষামূলক’ প্রদর্শনী চলছে উত্তর চন্দননগরে। আয়োজক কল্কি সঙ্ঘ।

বিকেলেই হাজির হলাম। সঙ্গী আজকাল’ পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক শিখর কর্মকার । রাজরাজেশ্বরী পুজো উপলক্ষে ১৮ মার্চ থেকে ২১ মার্চ কল্কি সংঘের ময়দানে হীরেনবার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘প্রেস’ লেখা গাড়ি দেখে কিছু উৎসাহী হাজির হলেন। তাঁদের কাছে খবর পেলাম, এখানেও হীরেনবাবু আদার রসের গপ্পো বলে চলেছেন।

কল্কি সংঘের ময়দানে যখন হাজির হলাম তখন প্রদর্শনী শুরু হয়নি। ক্লাব ঘরে হীরেনবাবুর দেখা পেলাম ।

শর্ট হাইট। স্বাস্থ্যবান। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। আমাকে দেখে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে মেপে সৌজন্যের হাসি হাসলেন। ‘এদিকে কোথায় এসেছিলেন ?’ জিজ্ঞেস করলেন হীরেনবাবু।

দীপকের বিধবা পত্নী জয়ন্তীর চিঠিটা হীরেনের হাতে তুলে দিয়ে বললাম, ‘পড়ুন’।

পড়তে পড়তে বার কয়েক পড়া বন্ধ করে আমাকে দেখছিলেন। ঝপট্ কথা বলেন। চিঠিটা আমার হাতে ফেরত দিয়ে বললেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না ।’

‘বলতে তো আপনাকে হবেই হীরেনবাবু। কেন আপনি আদার রস খাইয়ে দীপকের ওপর আপনার হাতুড়ে বিদ্যে প্রয়োগ করতে গেলেন?’

ইতিমধ্যে আমাদের আসার খবর পেয়ে কল্কি সংঘের কয়েকজন কর্তা হাজির হয়েছেন। তাঁদেরই একজন আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করার কে মশাই? কোন্ পত্রিকা থেকে আসছেন?’ বললেন, ‘আপনাদের প্রেস কার্ড দেখি।’ শিখর তাও দেখালেন। ‘তা আপনাদের আসার উদ্দেশ্যটা কী?’ চিঠিটা এবার প্রশ্নকর্তার হাতে তুলে দিলাম। উনি পড়লেন ফেরত দিলেন বললাম, ‘হীরেনবাবুর গ্যারান্টি চিকিৎসায় দীপক প্রাণ দিয়েছেন। তাঁর এমন অপরীক্ষিত চিকিৎসায় আরও প্রাণ যাতে না যায়, তার জন্য দীপকের বিধবা পত্নী আবেদন জানিয়েছেন। এ আবেদন শুধু আমাকে নয়। আপনাকেও। আপনার সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা নিশ্চয়ই আছে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, গ্যারান্টি চিকিৎসার নামে বিজ্ঞাপন-বিরোধী চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার। আপনার এখানেও হীরেনবাবু বিজ্ঞান বিরোধী বক্তব্য রাখছেন খবর পেয়েছি। তিনি বাস্তবিকই প্রমাণ করতে পারবেন তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা? এই নিয়েই হীরেনবাবুর সঙ্গে কিছু কথা বলতেই এখানে আমাদের আসা।’

কল্কি সংঘের কর্তাটি দেখলেন আমাদের টেপ রেকর্ডারটির দিকে। তারপর প্রচণ্ড রকম ঝাঁঝিয়ে উঠলেন, ‘আপনার টেপ রেকর্ডার বন্ধ করুন। হীরেনবাবু আপনাদের ইন্টারভিউ দেবেন না। আরে মশাই আদার রস খেয়ে সত্যিই বিষাক্ত সাপে কাটা রোগী বাঁচে কি না—জানি না, জানতেও চাই না। হীরেনবাবু তাঁর মত প্রচার করছেন। যে কোনও মত যে কোনও লোকের প্রচার করার স্বাধীনতা আছে। কেউ সেই মত গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আপনারা মশাই হীরেনবাবুর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হাত দেবার কে? ‘আজকাল’কেও চিনি, আপনাকেও চিনি। যা পারেন করুন গে, যা ইচ্ছে লিখুন গে। এখন এখান থেকে বিদায় হোন।’

‘এতক্ষণ আপনার সঙ্গে কথা বললাম, আপনার নামটাই জানা হল না। তা মশাইয়ের নাম?” জিজ্ঞেস করলাম।

‘বলব না।’

‘ভয় পেয়েছেন? ‘

‘আপনাদের? কেন ভয় পাব মশাই?’

‘ওই, আপনার নাম জানলে যদি লেখাতে আপনাকে নিয়ে নানাটানি করি।

দুই শিশু নিয়ে বিধবা জয়ন্তী রায়ের চিঠির প্রসঙ্গ আবার টেনে আনলাম। চাইলাম নব্য কঙ্কে অবতারটিকে নরম করে কার্যোদ্ধার করতে। উল্টে কল্কে সঙ্ঘের অবতারটি আবার ঝাঁঝিয়ে উঠলেন, ‘কত লোক তো সার্টিফিকেটওয়ালা ডাক্তারদের দেওয়া ওষুধ খেয়ে মরছে, কী হচ্ছে মশাই?’ নয়া কল্কি অবতার হীরেনবাবুর বেআইনি চিকিৎসাকে যুক্তিগ্রাহ্য করার চেষ্টা করলেন।

তাঁর কথার তোড়ের মধ্যেই হীরেনবাবুর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, ‘৯১-এর এপ্রিলে কৃষ্ণনগরে বারদোলের মেলায় আপনাকে চন্দ্রবোড়া কামড়ে ছিল। আপনি তখন শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, নিজের চিকিৎসা করাতে। কেন নিজের চিকিৎসা নিজে করলেন না হীরেনবাবু ?

বেঁটে-খাটো, শক্ত-পোক্ত, ফ্রেঞ্চকাটে শোভিত হীরেনবাবু সাপের মতই ফোঁস করে উঠলেন, ‘ওখানে আদা পাইনি, তাই…’ আমার সঙ্গী চিত্র-সাংবাদিক শিখর কর্মকার ক্যামেরার শাটার

আদার রস খাইয়ে সাপে কাটা রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে ফেরাবার দাবিদার হীরেন্দ্রকুমার রায়ের প্রচার পোস্টার। চন্দননগরের গড়বাটিতে। ইনসেটে ‘সর্পবিদ'। ছবিঃ শিখর কর্মকার, আজকাল

টিপতেই হীরেনবাবু রাগে উন্মাদের মত চিৎকার করে উঠলেন, ‘আপনার ফিল্ম খুলে নেব।’ শান্ত গলায় বললাম, ‘নি-ন’। হীরেনবাবু দাঁত কড়মড় করলেন। বললাম, ‘এটুকু জেনে অবাক হলাম কৃষ্ণনগরে আদা পাওয়া যায় না। কিন্তু যে-সব স্থানীয় যুবক আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, তাঁরা দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন, আপনি প্রচুর আদার রস খেয়েছিলেন ।

হীরেনবাবু আমার কথার জবাব দেননি।

হীরেনবাবুকে বলেছি, ‘আপনি যে আদার রস খাইয়ে সাপে কাটা রোগী সারাবার দাবি করে চলেছেন, সেই দাবিকে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। আপনি কোনও পশুকে বিষাক্ত সাপে কাটার পর বাঁচাতে পারলে যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে আপনাকে দেব পঞ্চাশ হাজার টাকা। চ্যালেঞ্জের ব্যবস্থার সব খরচও আমাদের সমিতি বহন করবে। হারলে আপনাকে একটি টাকাও দিতে হবে না। কিন্তু বন্ধ করতে হবে আপনার আদার বুজরুকি। বন্ধ করতে হবে আপনার ভয়ংকর এই জনজীবন নিয়ে খেলা।’

না হীরেনবাবু আমাদের সমিতির চ্যালেঞ্জ নেননি ।

আজকাল পত্রিকায় ৩০ মার্চ হীরেনবাবুর অদ্ভুতুড়ে চিকিৎসা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে একটি হত্যা। প্রতিবেদনটির শেষ বাক্য ছিল এই—আমরা এ-দেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে, হীরেন রায়ের বেআইনি চিকিৎসায় দীপক রায়ের মৃত্যুর জন্য হীরেন রায়ের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি রাখছি। কিন্তু গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে দাবিটি আজও উপেক্ষিত রয়ে গেছে। তারপরও এই সরকার যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান, তখন তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা ছাড়া আর কিছু বেরিয়ে আসা কি সম্ভব—প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ?

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!