শ্লোকঃ ১৬
কর্মণঃ সুকৃতস্যাহুঃ সাত্ত্বিকং নির্মলং ফলম্ ।
রজসন্তু ফলং দুঃখমজ্ঞানং তমসঃ ফলম্ ॥ ১৬ ॥
কর্মণঃ–কর্মের; সুকৃতস্য—সুকৃতি-সম্পন্ন; আহুঃ বলা হয়; সাত্ত্বিকম্ — সাত্ত্বিক, নির্মলম্—নির্মল; ফলম্ — ফলকে; রজসঃ রাজসিক কর্মের; তু– কিন্তু; ফলম্ – ফলকে; দুঃখম্ –দুঃখ; অজ্ঞানম্—অজ্ঞান; তমসঃ — তামসিক কর্মের ফল – ফলকে।
গীতার গান
সুকৃত সাত্ত্বিক কর্ম ফল সে নির্মল ।
রাজসিক কর্মে হয় দুঃখই প্রবল ।।
তামসিক কর্ম যত হয় অচেতন ।
অজ্ঞানতা ফল সেই পশুতে গণন ।।
অনুবাদঃ সুকৃতি সম্পন্ন সাত্ত্বিক কর্মের ফলকে নির্মল, রাজসিক কর্মের ফলকে দুঃখ এবং তামসিক কর্মের ফলকে অজ্ঞান বা অচেতন বলা হয়।
তাৎপর্যঃ সত্ত্বগুণে গুণাকর্ম করার ফলে মন পবিত্র হয়। তাই, সব রকমের মোহ থেকে মুক্ত মুনি-ঋষিরা সর্বদাই আনন্দময়। কিন্তু রাজসিক কর্ম কেবল ক্লেশদায়ক। জড় সুখের জন্য যে প্রচেষ্টাই করা হোক না কেন, তা পরিণামে ব্যর্থ হবে। দৃষ্টান্তরূপ বলা যায়, যদি কেউ গগনচুম্বী অট্টালিকা তৈরি করতে চায়, তা হলে সেটি তৈরি করবার জন্য বহু মানুষকে বহু রকম ক্লেশ স্বীকার করতে হয়। বাড়িটি যে তৈরি করছে তাকে কত কষ্ট করে প্রচুর অর্থ যোগাড় করতে হয়। যাদের দিয়ে সে বাড়ি তৈরির কাজ করছে, তাদের কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। এই জড় জগতে সমস্ত কর্মের পিছনেই রয়েছে ক্লেশ। এভাবেই ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে যে, রজোগুণের প্রভাবে যে কার্যই করা হোক না কেন, তাতে সুনিশ্চিতভাবে বিপুল দুঃখ জড়িয়ে রয়েছে। তাতে হয়ত তথাকথিত একটুখানি মানসিক সুখ থাকতে পারে— এই বাড়িটি আমার অথবা এই ধনসম্পদ আমার” – কিন্তু এটি যথার্থ সুখ নয়।
তমোগুণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে কর্ম করে, সে অজ্ঞান এবং তার সমস্ত কর্মের ফলস্বরূপ সে বর্তমানে দুঃখভোগ করে এবং ভবিষ্যতে পশুজন্ম খাণ্ড হয়। পশুজীবন সর্বদাই দুঃখময়, কিন্তু মায়ার দ্বারা মোহাচ্ছন্ন থাকার ফলে পশুরা সেটি অবশ্য বুঝতে পারে না। তমোগুণের দ্বারা আচ্ছন্ন থাকার ফলেই মানুষ নিরীহ পশুদের হত্যা করে। পশুঘাতক জানে না যে, ভবিষ্যতে সেই পশুগুলি উপযুক্ত শরীর প্রাপ্ত হয়ে তাদের হত্যা করবে। সেটিই হচ্ছে প্রকৃতির নিয়ম। মানব- সমাজে কেউ যদি কোন মানুষকে হত্যা করে, তা হলে তার ফাঁসি হয়। সেটিই হচ্ছে রাষ্ট্রের নিয়ম। অজ্ঞতার ফলে মানুষ বুঝতে পারে না যে, পরমেশ্বর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি পূর্ণ রাজ্য আছে। প্রতিটি প্রাণীই পরমেশ্বর ভগবানের সন্তান এবং একটি পিঁপড়ে হত্যা করা হলেও তিনি সেটি বরদাস্ত করেন না। সেই জন্য আমাদের মাশুল দিতে হবে। তাই রসনা তৃপ্তির জন্য পশুহত্যা করা নিকৃষ্টতম অজ্ঞতা। মানুষের পক্ষে পশুহত্যা করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই, কারণ মানুষের জন্য ভগবান কত সুন্দর সুন্দর জিনিস দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেউ যদি পশুমাংস আহারে প্রবৃত্ত হয়, তা হলে বুঝতে হবে যে, সে তমোগুণের দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে কর্ম করছে এবং তার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলছে। সব রকম পশুহত্যার মধ্যে গোহত্যা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্যতম কার্য, কারণ দুধ দান করে গরু আমাদের সব রকমের আনন্দ দান করে। গোহত্যা হচ্ছে সব রকমের পাপকর্মের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অপরাধ। বৈদিক শাস্ত্রে (ঋক্ বেদ ৯/৪/৬৪) গোভিঃ প্রীণিতমৎসরম্ কথাটি ইঙ্গিত করে যে, গরুর দুধের দ্বারা সর্বতোভাবে প্রীতি লাভ করবার পরেও যে মানুষ গোহত্যা করতে চায়, সে অত্যন্ত গভীরভাবে তমসাচ্ছন্ন। বৈদিক শাস্ত্রে একটি প্রার্থনায় বলা হয়েছে—
নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গোব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
“হে ভগবান ! তুমি গাভী ও ব্রাহ্মণদের হিতাকাঙ্ক্ষী এবং তুমি সমগ্র মানব-সমাজ ও সমগ্র জগতের হিতাকাঙ্ক্ষী।” (বিষ্ণু পুরাণ ১/১৯/৬৫) এই প্রার্থনায় গাভী ও ব্রাহ্মণদের রক্ষা করার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণেরা হচ্ছেন আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রতীক এবং গাভী হচ্ছে সবচেয়ে মূল্যবান খাদ্যের প্রতীক। গাভী ও ব্রাহ্মণ এই দুই প্রকার প্রাণীদের সব রকম প্রতিরক্ষা বিধান করা উচিত। সেটিই হচ্ছে সভ্যতার প্রকৃত উন্নতি। আধুনিক মানব-সমাজে পারমার্থিক জ্ঞানকে অবজ্ঞা করা হয়েছে এবং গোহত্যার প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে যে, মানব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে এবং তার নিজের উৎসন্নের পথটি ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত হচ্ছে। যে সভ্যতা মানুষকে পরবর্তী জীবনে পশুতে পরিণত হওয়ার পথে পরিচালিত করে, সেটি অবশ্যই মানব সভ্যতা নয়। বর্তমান মানব সভ্যতা অবশ্যই রজ ও তমোগুণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দ্রুত গতিতে বিপথগামী হচ্ছে। এটি অত্যন্ত ভয়ংকর যুগ এবং প্রতিটি রাষ্ট্রের কর্তবা হচ্ছে, মানব-সমাজকে অবশ্যম্ভাবী ধ্বং সের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণভাবনামৃতের অতি সাবলীল পন্থা প্রচলন করতে যত্নশীল হওয়া।
শ্লোকঃ ১৭
সত্ত্বাৎ সংজায়তে জ্ঞানং রজসো লোভ এব চ ৷
প্রমাদমোহৌ তমসো ভবতোহজ্ঞানমেব চ ॥ ১৭ ॥
সত্ত্বাৎ—সত্ত্বগুণ থেকে, সংজায়তে — উৎপন্ন হয়, জ্ঞানম্—জ্ঞান; রজঃ— রজোগুণ থেকে; লোভঃ—লোভ; এব—অবশ্যই; চ–ও প্রমাদ — প্রমাদ; মোহে — মোহ; তমসঃ তমোগুণ থেকে, ভবতঃ – উৎপন্ন হয়, অজ্ঞানম্ – অজ্ঞান; এব—অবশ্যই;
গীতার গান
সত্ত্বগুণে জ্ঞানলাভ রজোগুণে লোভ ।
তমোগুণে মোহলাভ প্রমাদ বিক্ষোভ ।।
অনুবাদঃ সত্ত্বগুণ থেকে জ্ঞান, রজোগুণ থেকে লোভ এবং তমোগুণ থেকে অজ্ঞান, প্রমাদ ও মোহ উৎপন্ন হয়।
তাৎপর্যঃ বর্তমান সভ্যতা যেহেতু জীবের পক্ষে খুব একটা উপযোগী নয়, তাই কৃষ্ণভাবনা অনুশীলন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষ্ণভাবনা অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে সত্ত্বগুণের বিকাশ হবে। যখন সত্ত্বগুণ বিকশিত হয়, তখন মানুষ বস্তুকে যথাযথভাবে দর্শন করতে সক্ষম হবে। তামসিক পর্যায়ে মানুষ হয়ে যায় পশুর মতো এবং বস্তুকে স্পষ্টভাবে দর্শন করতে পারে না। যেমন, তামসিক মানু বুঝতে পারে না যে, পশুহত্যা করার মাধ্যমে তারাও পরবর্তী জীবনে সেই পশুর দ্বারাই নিহত হবার দুর্ভাগ্য অর্জন করছে। কারণ মানুষেরা প্রকৃত জ্ঞান অনুশীলনের শিক্ষা পায় না, তাই তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে পড়ে। এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বন্ধ করার জন্য মানুষদের সত্ত্বগুণের বিকাশ করার শিক্ষা অতি আবশ্যক। তারা যখন যথাযথভাবে সত্ত্বগুণের শিক্ষা লাভ করবে, তখন তারা পূর্ণ জ্ঞান লাভ করে শান্ত হবে। মানুষ তখন সুখী ও সমৃদ্ধশালী হবে। এমন কি অধিকাংশ মানুষ যদি সুখী ও সমৃদ্ধশালী না হয়, যদি সমাজের কিছুসংখ্যক লোকও কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে সত্ত্বগুণে অধিষ্ঠিত হয়, তা হলেও সারা জগৎ জুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। তা না করে সমগ্র জগৎ যদি রজ ও তমোগুণের দাসত্ব বরণ করে নেয়, তা হলে শান্তি ও সমৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। রজোগুণে মানুষ লোভী হয় এবং তাদের ইন্দ্রিয়সুখ বাসনার কোন সীমা থাকে না। সেটি যে কেউ উপলব্ধি করতে পারে যে, এমন কি প্রচুর অর্থ থাকা সত্ত্বেও এবং ইন্দ্রিয়সুখ ভোগের নানা রকম বন্দোবস্তু থাকা সত্ত্বেও মানুষের আজ না আছে সুখ, না আছে মনের শান্তি। সেটি থাকা সম্ভব নয়, কারণ তারা রজোগুণে অধিষ্ঠিত। কেউ যদি যথার্থ সুখ পেতে চায়, সেই ব্যাপারে টাকা তাকে সাহায্য করতে পারবে না; কৃষ্ণভাবনা অনুশীলন করার মাধ্যমে তাকে সত্ত্বগুণে উন্নীত হতে হবে। কেউ যখন রাজসিক কর্মে নিয়োজিত থাকে, তখন সে যে কেবল মানসিক অশান্তিই ভোগ করে তাই নয়, তার পেশা এবং বৃত্তিও অত্যন্ত ক্লেশদায়ক হয়। প্রচুর অর্থ উপার্জন করে তার পদমর্যাদা বজায় রাখবার জন্য তাকে কত রকমের পরিকল্পনা ও উপায় উদ্ভাবন করতে হয়। এই সমস্তই ক্লেশদায়ক। তমোগুণে মানুষ উন্মাদ হয়ে ওঠে। তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার দ্বারা নিদারুণ দুঃখভোগ করে তারা মাদক দ্রব্যের আশ্রয় গ্রহণ করে এবং এভাবেই তারা অজ্ঞতার আরও গভীরতম অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তাদের ভবিষ্যৎ জীবন অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন।
শ্লোকঃ ১৮
ঊর্ধ্বং গচ্ছন্তি সত্ত্বস্থা মধ্যে তিষ্ঠন্তি রাজসাঃ ।
জঘন্যগুণবৃত্তিস্থা অধো গচ্ছত্তি তামসাঃ ৷৷ ১৮ ৷৷
ঊর্ধ্ব—ঊর্ধ্বে; গচ্ছন্তি — গমন করে; সত্ত্বস্থাঃ — সত্ত্বগুণ সম্পন্ন ব্যক্তিগণ; মধ্যে- মধ্যে; তিষ্ঠন্তি—অবস্থান করে; রাজমাঃ রজোগুণ সম্পন্ন ব্যক্তিগণ; জঘন্য — ঘৃণ্য গুণ — গুণ; বৃত্তিস্থাঃ –বৃত্তিসম্পন্ন; অধঃ নিম্নে গচ্ছস্তি—গমন করে; তামসাঃ- তামসিক ব্যক্তিগণ।
গীতার গান
সত্যলোকাবধি লোক যায় সত্ত্বগুণে ৷
রজোগুণ দ্বারা নরলোকে অবস্থান ।।
তমোগুণে অধঃপাত নরকে গমন।
বিবিধ গুণের সেই ফল নিরূপণ ।।
অনুবাদঃ সত্ত্বগুণ সম্পন্ন ব্যক্তিগণ উর্ধ্বে উচ্চতর লোকে গমন করে, রজোগুণ সম্পন্ন ব্যক্তিগণ মধ্যে নরলোকে অবস্থান করে এবং জঘন্য গুণসম্পন্ন তামসিক ব্যক্তিগণ অধঃপতিত হয়ে নরকে গমন করে।
তাৎপর্যঃ এই শ্লোকে প্রকৃতির তিনটি গুণে অনুষ্ঠিত কর্মের ফলগুলি আরও বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই জগতের ঊর্ধ্বে স্বর্গলোক আছে, যেখানে সকলেই অত্যন্ত উন্নত। সত্ত্বগুণের মাত্রা অনুসারে জীব এই উচ্চতর লোকসমূহের ভিন্ন ভিন্ন লোকে উন্নীত হয়। সর্বোচ্চলোক হচ্ছে সত্যলোক বা ব্রহ্মলোক, যেখানে এই ব্রহ্মাণ্ডের প্রধান পুরুষ ব্রহ্মা বাস করেন। আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি যে, ব্রহ্মলোকের অতি আশ্চর্যজনক জীবনযাত্রার কোন হিসেব-নিকেশ আমরা করতে পারি না, কিন্তু শ্রেষ্ঠ অবস্থা সত্ত্বগুণ আমাদের সেই স্তরে উন্নীত করতে পারে।
রজোগুণ হচ্ছে মিশ্রিত। এটি সত্ত্ব ও তমোগুণের অন্তর্বর্তী। মানুষ কখনও সর্বতোভাবে নির্মল হতে পারে না। কিন্তু সে যদি সম্পূর্ণভাবে রজোগুণে থাকে, তা হলে সে কেবল একজন রাজা অথবা একজন ধনী ব্যক্তিরূপে এই পৃথিবীতে অবস্থান করবে। কিন্তু মিশ্রিত হওয়ার ফলে মানুষ নিম্নগামী হতে পারে। এই জগতে রাজসিক বা তামসিক মানুষেরা যন্ত্রের সাহায্যে জোর করে উচ্চতর লোকে যেতে পারে না। রজোগুণের প্রভাবে পরবর্তী জীবনে উন্মাদ হয়ে যাবারও সম্ভাবনা থাকে।
সবচেয়ে নিকৃষ্ট তমোগুণকে এখানে জঘন্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তমোগুণে আচ্ছন্ন হয়ে থাকার ফল অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি হচ্ছে জড়া প্রকৃতির সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুণ। মনুষ্য জন্মের নীচে পক্ষী, পশু, সরীসৃপ, বৃক্ষ আদি আশি লক্ষ প্রজাতি রয়েছে এবং তমোগুণের প্রভাব অনুসারে মানুষ সেই সমস্ত জঘন্য অবস্থায় পতিত হয়। এখানে তামসাঃ কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার অর্থ হচ্ছে উচ্চতর গুণে উন্নীত না হয়ে যারা সর্বদাই তমোগুণে অধিষ্ঠিত থাকে। তাদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন। –
রাজসিক ও তামসিক মানুষেরা যাতে সত্ত্বগুণে অধিষ্ঠিত হতে পারে, তার একটি সুযোগও আছে। সেই প্রক্রিয়া হচ্ছে কৃষ্ণভাবনার অনুশীলন। কিন্তু যে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে না, সে অবশ্যই নিকৃষ্ট গুণে আচ্ছন্ন হয়েই থাকবে।