মিশর থেকে ইস্রায়েলের যাত্রা
১. মোশি এবং হারোণ মিশর থেকে ইস্রায়েলের লোকেদের নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
২. তারা যে জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করেছিল, প্রভুর আজ্ঞা অনুযায়ী মোশি সে জায়গাগুলো সম্পর্কে লিখেছিলেন। তাদের যাত্রার পর্যায়গুলি এখানে দেওয়া হলঃ
৩. প্রথম মাসের ১৫তম দিনে তারা রামিষেষ ত্যাগ করেছিল। সেইদিন সকালে নিস্তার পর্বের পরে ইস্রায়েলের লোকেরা জয়ের ভঙ্গীতে তাদের হাত উঁচু করে মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল। মিশরের সমস্ত লোক তাদের দেখেছিল।
৪. প্রভু যাদের হত্যা করেছিলেন সেই প্রথমজাতদের মিশরীয়রা সেই সময় কবর দিচ্ছিল। মিশরের দেবগণের বিরুদ্ধেও প্রভু তাঁর বিচার দেখিয়েছিলেন।
৫. ইস্রায়েলের লোকেরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
৬. ‘সুক্কোৎ থেকে তারা এথমের দিকে যাত্রা করেছিল। লোকেরা সেখানে মরুভূমির প্রান্তে শিবির স্থাপন করেছিল।
৭. তারা এথম ত্যাগ করে পী-হহীরোতের দিকে যাত্রা করেছিল। এই জায়গাটি বাল-সফোনের কাছে ছিল। লোকেরা মিগদোলের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল।
৮. লোকেরা পী-হহীরোত ত্যাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল। তারা মরুভূমির দিকে গিয়েছিল, এরপর তিনদিন ধরে এথম মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল। লোকেরা মারা নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেছিল।
৯. লোকেরা মারা ত্যাগ করে এলীমে গিয়েছিল এবং সেখানেই শিবির স্থাপন করেছিল। সেখানে ১২টি ঝর্ণা এবং ৭০টি খেজুর গাছ ছিল।
১০. লোকেরা এলীম ত্যাগ করে সূফ সাগরের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল।
১১. “সূফ সাগর ত্যাগ করার পরে লোকেরা সীন মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল।
১২. এরপর সীন মরুভূমি ত্যাগ করে দপকাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
১৩. দপকা ত্যাগ করে আলূশে শিবির স্থাপন করেছিল।
১৪. আলূশ ত্যাগ করে রফীদীমে শিবির স্থাপন করেছিল। সেই স্থানে লোকেদের পান করার উপযোগী কোনো জল ছিল না।
১৫. লোকেরা রফীদীম ত্যাগ করে সীনয় মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল।
১৬. “সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে কিরোৎ-হত্তাবাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
১৭. লোকেরা কিরোৎ-হত্তাবা ত্যাগ করে হৎসেরোতে ত্যাগ করেছিল।
১৮. হৎসেরোত ত্যাগ করার পরে রিৎমাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
১৯. “রিৎম৷ ত্যাগ করে রিম্মোণ-পেরসে শিবির স্থাপন করেছিল।
২০. রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে লিবনাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২১. লিবনা ত্যাগ করে রিসসাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২২. রিসসা ত্যাগ করে কহেলাথায় শিবির স্থাপন করেছিল।
২৩. কহেলাথা ত্যাগ করে শেফর পর্বতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২৪. শেফর পর্বত ত্যাগ করে হরাদাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২৫. হরাদা ত্যাগ করে মখেলোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২৬. মখেলোৎ ত্যাগ করে তহতে শিবির স্থাপন স্থাপন করেছিল।
২৭. তহৎ ত্যাগ করে তেরহতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২৮. তেরহ ত্যাগ করে মিৎকাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
২৯. মিৎকা ত্যাগ করে হশমোনাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩০. হশমোনা ত্যাগ করে মোষেরোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩১. “মোষেরোৎ ত্যাগ করে বনেয়াকনে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩২. বনেয়াকন ত্যাগ করে হোর-হগিদ্গদে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩৩. হোর-হগিদ্গদে ত্যাগ করে যাথাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩৪. শটবাথা ত্যাগ করে অরোণাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩৫. অব্ৰোণা ত্যাগ করে ইৎসিয়োন-গেবরে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩৬. ইৎসিয়োন-গেবর ত্যাগ করে সীন মরুভূমির কাদেশে শিবির স্থাপন করেছিল।
৩৭. কাদেশ ত্যাগ করে হোরে শিবির স্থাপন করেছিল। ইদোম দেশের সীমান্তে এই পর্বতটি ছিল।
৩৮. যাজক হারোণ প্রভুর কথা মান্য করে হোর পর্বতের ওপরে গিয়েছিলেন। সেই জায়গায় পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে হারোণ মারা গিয়েছিলেন। ইস্রায়েলের লোকেরা মিশর ত্যাগ করার পরে সেইটি ছিল ৪০তম বছর।
৩৯. হোর পর্বতের ওপরে মারা যাওয়ার সময় হারোণের বয়স ছিল ১২৩ বছর।
৪০. কনান দেশের নেগেভে অরাদ নামে একটি শহর ছিল। সেই শহরে কনানের রাজা শুনেছিলেন যে ইস্রায়েলের লোকেরা আসছে।
৪১. লোকেরা হোর পর্বত ত্যাগ করেছিল এবং সলমোনাতে শিবির স্থাপন শিবির স্থাপন করেছিল।
৪২. লোকেরা সলমোনা ত্যাগ করে পূনোনে শিবির স্থাপন করেছিল।
৪৩. পূনোন ত্যাগ করে ওবোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
৪৪. ওবোৎ ত্যাগ করে ইয়ী-অবারীমে শিবির স্থাপন করেছিল। এই জায়গাটি মোয়াব দেশের সীমান্তে অবস্থিত ছিল।
৪৫. লোকের৷ ইয়ীম (ইয়ী-অবারীমে) ত্যাগ করে দীবোন-গাদে শিবির স্থাপন করেছিল।
৪৬. দীবোন-গাদ ত্যাগ করে অলমোন-দিরাথয়িমে শিবির স্থাপন করেছিল।
৪৭. অলমোন-দিব্লাথয়িম ত্যাগ করে নবোর কাছে অবারীম পর্বতের ওপরে শিবির স্থাপন করেছিল।
৪৮. অবারীম পর্বত ত্যাগ করে মোয়াবের যদ্দন উপত্যকায় শিবির স্থাপন করেছিল। যিরীহোর অপর পারে যদ্দন নদীর কাছে এই জায়গাটি ছিল।
৪৯. তারা মোয়াবের যদ্দন উপত্যকায় যদন নদী বরাবর শিবির স্থাপন করেছিল। তাদের শিবির বৈৎ-যিশীমোৎ থেকে আবেল-শিটীম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
৫০. সেই স্থানে প্রভু মোশিকে বললেন,
৫১. “ইস্রায়েলের লোকেদের এই কথাগুলি বলোঃ তোমরা যৰ্দ্দন নদী পার হয়ে কনানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে।
৫২. সেখানকার অধিবাসীদের তোমরা দূর করে দেবে। তোমরা তাদের সমস্ত খোদাই করা মূর্ত্তি ও প্রতিমাদের ধ্বংস করবে এবং তাদের পূজার সমস্ত উচ্চস্থানগুলো ধ্বংস করবে।
৫৩. তোমরা সেই জায়গা অধিকার করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করবে, কারণ আমিই সেই জায়গাটি তোমাদের দিচ্ছি। এই জায়গাটি কেবলমাত্র তোমাদের গোষ্ঠীগুলির হবে।
৫৪. “তোমাদের গোষ্ঠীর প্রত্যেকে এই দেশের অংশ পাবে। তোমরা ঘুঁটি চেলে সিদ্ধান্ত নেবে কোন পরিবার দেশের কোন অংশ পাবে। বড় পরিবার দেশের বড় অংশ পাবে। ছোটো পরিবার দেশের ছোট অংশ পাবে। চালা ঘুঁটি দেখিয়ে দেবে কোন পরিবার দেশের কোন অংশ পাবে। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী দেশে তার অংশ পাবে।
৫৫. “তোমরা যদি ঐ দেশের অধিবাসীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য না কর তবে যাদের তোমরা থাকতে দেবে, তারা তোমাদের সামনে প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে। তারা হবে তোমাদের চোখে বালির মতো এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মতো হবে। তোমরা যেখানে বাস করবে সেখানে তারা প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে।
৫৬. “তোমর৷ যদি ঐ সমস্ত লোকেদের তোমাদের দেশে থাকতে দাও, তাহলে আমি তাদের প্রতি যা করতে চেয়েছিলাম তা তোমাদের প্রতি করবে।”