লাল গোরুর ছাই

১. প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন,

২. ‘ইস্রায়েলের লোকেদের ঈশ্বর যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার থেকেই আসছে এই বিধিগুলি। ইস্রায়েলের লোকেদের বলো তারা যেন তোমাদের কাছে একটি নিখুঁত লাল গোরু নিয়ে আসে। গোরুটির শরীরে যেন অবশ্যই কোনো রকম আঘাতের চিহ্ন না থাকে এবং সেটি যেন কোনোদিন জোয়াল বয়ে না থাকে।

৩. সেই গোরুটিকে যাজক ইলীয়াসরের কাছে দিয়ে দাও। ইলীয়াসর সেই গোরুটিকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এটি হত্যা করবে।

৪. “তখন যাজক ইলীয়াসর কিছুটা রক্ত তার আঙুলে নিয়ে তা পবিত্র তাঁবুর দিকে সাতবার ছিটিয়ে দেবে।

৫. এরপর গোটা গোরুটিকে তার সামনে পোড়ানো হবে। গরুটির চামড়া, মাংস, রক্ত এবং অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে পোড়াতে হবে।

৬. এরপর যাজক একটি এরস কাঠের কাঠি, একটি এসোব* এবং কিছু লাল সুতো নেবে। যেখানে গোরুটি পুড়ছে সেই আগুনে ঐসব দ্রব্যসামগ্রী ছুঁড়ে দেবে।

৭. এরপর যাজক স্নান করবে এবং নিজের বস্ত্রাদি জলে ধুয়ে ফেলবে। এরপর সে শিবিরে ফিরে আসতে পারবে। যাজক সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।

৮. যে ব্যক্তি গোরুটি পুড়িয়েছে সেও স্নান করবে এবং নিজের বস্ত্রাদি জলে ধুয়ে ফেলবে। সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অপবিত্র থাকবে।

৯. “এরপর একজন শুচি ব্যক্তি সেই গোরুর ছাই সংগ্রহ করবে। সে শিবিরের বাইরে পরিষ্কার জায়গায় সেই ছাই রাখবে। যখন লোকেরা শুচি হওয়ার জন্য এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, সে সময় এই ছাই ব্যবহৃত হবে। কোনো ব্যক্তির পাপ দূরীকরণের জন্যেও এই ছাই ব্যবহৃত হবে।

১০“যে ব্যক্তি গোরুর ছাই সংগ্রহ করেছিল সে অবশ্যই তার বস্ত্রাদি ধুয়ে ফেলবে। সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। “এই নিয়ম চিরকাল চলবে। ইস্রায়েলের নাগরিকদের জন্যে এই নিয়ম। এবং তোমাদের সঙ্গে যে বিদেশীরা বাস করছে তাদের জন্যেও এই একই নিয়ম বলবৎ থাকবে।

১১. “যদি কোনো ব্যক্তি কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করে, তাহলে সে সাতদিন পর্যন্ত অশুচি থাকবে।

১২. সে অবশ্যই তৃতীয় দিনে এবং পুনরায় সপ্তম দিনে বিশেষ জলে নিজেকে পরিষ্কার করবে। যদি সে তা না করে, তাহলে সে অশুচিই থেকে যাবে।

১৩. যদি একজন ব্যক্তি কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করে তবে সেই ব্যক্তি অশুচি। যদি সেই ব্যক্তি নিজেকে শুচি না করে পবিত্র তাঁবুতে যায়, তাহলে সেই তাঁবুটিও অশুচি হয়ে যাবে। সুতরাং সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকেদের থেকে পৃথক করে রাখা হবে। যদি কোনো অশুচি ব্যক্তির ওপরে পবিত্র জল ঢেলে না দেওয়া হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অশুচিই থেকে যাবে।

১৪. “এই নিয়ম মানতে হবে যখন তারা তাদের তাঁবুতে মারা যায়। যদি কোনো ব্যক্তি তার তাঁবুতে মারা যায় তাহলে তাঁবুর প্রত্যেক ব্যক্তি অশুচি হবে। তারা সাতদিনের জন্যে অশুচি থাকবে।

১৫. এবং ঢাকা না দেওয়া প্রত্যেকটি বয়াম অথব৷ পাত্র অশুচি হয়ে যাবে।

১৬. “যদি কোনো ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি সাতদিন অশুচি থাকবে। মৃতদেহটি যদি বাইরে মাঠে থাকে অথব৷ সেই ব্যক্তি যদি যুদ্ধে মারা গিয়ে থাকে তাহলেও এটি প্রযোজ্য। এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির হাড় স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি সাতদিনের জন্য অশুচি থাকবে।

১৭. “সুতরাং সেই ব্যক্তিকে আবার শুচি করার জন্যে তুমি অবশ্যই পোড়ানো গোরুর ছাই ব্যবহার করবে। একটি বয়ামের মধ্যেকার ছাইয়ের ওপর দিয়ে টাটকা স্রোতের জল ভরে।

১৮. একজন শুচি ব্যক্তি একটি এসোব নিয়ে সেটিকে জলে ডোবাবে। এরপর সে এটিকে তাঁবুর ওপর, তাঁবুর পাত্রগুলিতে এবং তাঁবুতে যে সব লোকেরা আছে তাদের ওপরে ছিটিয়ে দেবে। যে কেউই মৃত ব্যক্তির শরীর স্পর্শ করে তার প্রতি তুমি অবশ্যই এটি করবে। যে কেউ যুদ্ধে মৃত কোনো ব্যক্তির শরীর স্পর্শ বা কোনো মৃত ব্যক্তির হাড় স্পর্শ করে তাদের ক্ষেত্রেও তুমি অবশ্যই এটি কোর।

১৯. “এরপর তৃতীয় দিনে এবং আবার সপ্তম দিনে একজন শুচি ব্যক্তি অবশ্যই একজন অশুচি ব্যক্তির ওপরে এই জল ছিটিয়ে দেবে। সপ্তম দিনে সেই ব্যক্তি শুচি হবে। সে অবশ্যই জলে তার কাপড়চোপড় ধোবে। সন্ধ্যাবেলায় সে শুচি হবে।

২০. “যদি কোনো ব্যক্তি অশুচি হয়ে যায় এবং নিজেকে শুচি না করে, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকেদের থেকে পৃথক রাখা হবে কারণ সে ঈশ্বরের পবিত্র স্থানকে অশুচি করেছে। সেই ব্যক্তির ওপরে সেই বিশেষ জল ছিটোনে৷ হয়নি তাই সে শুচি হয়নি।

২১. এই নিয়ম তোমাদের জন্যে চিরকাল চলবে। যে ব্যক্তি সেই বিশেষ জল ছিটোয় সে অবশ্যই তার বস্ত্রাদিও ধোবে। যে কোনো ব্যক্তি সেই বিশেষ জল স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।

২২. যদি কোনে৷ অশুচি ব্যক্তি অন্য কাউকে স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তিও অশুচি হয়ে যাবে। সেই ব্যক্তি সন্ধ্যা পৰ্যন্ত অশুচি থাকবে।”