সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই পাল্টায়। অন্তত সংস্কৃতি তো পাল্টায়-ই। সংস্কৃতি পাল্টাবার গতি নির্ভর করে স্থান ও কালের উপর। যে গতিতে ইউরোপ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চিন এগিয়েছে, তার সংস্কৃতি এগিয়েছে, তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। এখনও ও’সব মহাদেশ ও উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্র জাঁকিয়ে বসে আছে তুক্তাক, ঝাড়ফুঁক, ব্ল্যাক-ম্যাজিক, ভুডু-মন্ত্র ও জাদু-পুরোহিতরা। এখনও আফ্রিকা ও লাতিন-আমেরিকার দেশগুলো ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল খেলতে আসে জাদু-পুরোহিত নিয়ে। বিশ্বাস করে জাদু-পুরোহিতরা তুক্তাক্ করে কাপ জিতিয়ে দেবে। এখনও এ’দেশের কোটিপতি জুয়েলাররা দোকানের কোটি টাকার সম্পদ চোরেদের হাত থেকে বাঁচাতে বন্ধ সাটারের সামনে কাগজে আগুন জ্বেলে তিনবার ঘুরিয়ে নিশ্চিন্ত হয়।
‘সংস্কৃতি’ মানে চলমান-জীবনের সবকিছু। বস্তুগত, অবস্তুগত সব উপাদানের ই চলমান ধারা। বস্তুগত উপাদান বলতে রান্নার কড়াই থেকে কম্পিউটার সব- ই। অবস্তুগত উপাদান বলতে নীতিহীনতা থেকে আদর্শ, সাহিত্য থেকে চিত্রকলা, যুক্তিবাদ থেকে কুসংস্কার সবই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তা-চেতনা পাল্টায় ৷ সংস্কৃতির বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদানগুলো পাল্টায়। পাল্টায় সংস্কৃতি।
উপাসনা-ধর্ম সংস্কৃতির-ই অঙ্গ। পাল্টায় উপাসনা-ধর্ম, সমাজ বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই। পাল্টেছে তন্ত্র ও তান্ত্রিকদেবীর রূপ। শ্রী শ্রী শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব ভট্টাচার্য তন্ত্রশাস্ত্রে পণ্ডিত মানুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। তিনি তাঁর ‘তন্ত্রতত্ত্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন, “দক্ষিণাকালী ও শিবের মূর্তিতে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানকালে কালীমূর্তি অনেকটা ভদ্ররুচিসম্পন্ন, কিন্তু শাস্ত্রবিগর্হিত। প্রকৃত পক্ষে দক্ষিণাকালী শিবের তথা মহাকালের উপর উপবিষ্ট থাকেন ও মহাকাল-শিবের নীচে সদাশিব শায়িত থাকেন। ‘বিপরীতরতাতুরা’-দেবী সাধককে জন্মমৃত্যুচক্র থেকে বিমুক্ত করার জন্য বিপরীতরতাতুরা (বিপরীত আসনে রতিক্রিয়া-রতা)।” (তন্ত্রতত্ত্ব পৃষ্ঠা ৪৪)। অন্যান্য তন্ত্রগ্রন্থেও দক্ষিণাকালীর মূর্তি বিপরীতরতাতুরা।
কালীর নীচে শুয়ে এক শিব, তার নীচে আরও একশিব অর্থাৎ কালীর পায়ের তলায় শুয়ে দুই শিব। তন্ত্র মতে নীচে শুয়ে থাকা শিব সদাশিব (নির্গুণ) ও তার উপরের শিব মহাকাল (সগুণ)। মহাকালের উপর বসে মৈথুনরতা দেবী কালী। এ’টাই তন্ত্রসম্মত দেবী কালী বা কালিকার রূপ। এমন শিবের উপর বিপরীতরতাতুরা কালীমূর্তির দেখাই মেলে না।
এ’বার দু’হাজার দুয়ের কালীপুজোয় দেখলাম, অনেক কালীই শাড়িতে সুসজ্জিতা। হয় তো এ’সব কালীমূর্তি তন্ত্রসম্মত ও শাস্ত্রসম্মত নয়, কিন্তু অবশ্যই ভদ্ররুচিসম্পন্ন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তান্ত্রিকদেবী কালীর রূপও যাচ্ছে পাল্টে। রতিরতা থেকে শাড়ি পরিহিতা।
মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ তন্ত্রে সুপণ্ডিত। তিনি মনে করেন, প্রাচীন তান্ত্রিক-ধর্মের ঐতিহ্য ও বৈদিক ধর্মের ঐতিহ্য ছিল একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ তান্ত্রিক-ধর্মের ঐতিহ্য পরস্পর বিরোধী তো ছিল-ই না বরং দু’য়ের ঐতিহ্য পরিপূর্ণতা দিয়েছিল।
এই মুহূর্তে আমাদের আলোচনার বিষয় এই নয় যে—ঈশ্বর-নির্ভর ধর্ম-বিশ্বাস, ভুল কি ঠিক। আমাদের আলোচ্য বিষয়— বৈদিক ধর্মের ঐতিহ্য কি তন্ত্র-বিরোধী ?
আমরা এতক্ষণের আলোচনায় দেখিয়েছি, আর্যভাষীরা ইরান থেকে যে সব দেব- বিশ্বাস নিয়ে এদেশে পা রেখেছিল, তা কেমনভাবে একটু একটু করে পাল্টে গেছে। কেমন ভাবে ভূমিপুত্রদের সংস্কৃতি আর্যভাষীদের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে। আর্যভাষীরা এদেশের মেয়েদের বিয়ে করেছে। মিশ্রজাতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভূমিপুত্রদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুপ্রবেশ ঘটেছে আর্য-সংস্কৃতিতে। ফলে আর্যভাষীদের তন্ত্র-বিরোধী প্রাথমিক মানসিক প্রতিক্রিয়া পরবর্তীকালে অনুপস্থিত ছিল। বরং সত্যি বলতে কী, তান্ত্রিক জাদু-বিশ্বাসের নিত্য-নতুন পদ্ধতি ও পথ তৈরিতে মন দিয়েছিল আর্যভাষী জাদু-পুরোহিতরা। ফলে যজ্ঞ ও যোগের নতুন নতুন পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
ডঃ নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তন্ত্র নিয়ে গভীর পড়াশুনা আছে। তাঁর বক্তব্য স্পষ্টতই ভিন্ন ধরনের। তাঁর মতে, তন্ত্র একটি সম্পূর্ণ বৈদিক ও ব্রাহ্মণ্য ঐতিহ্যবিরোধী সংস্কৃতি । জানি না এমন কথা বলার পিছনে ব্রাহ্মণ্যবাদী চেতনা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল কি না?
এমন কথা বলার পরেও ডঃ ভট্টাচার্য বললেন, “এই ধর্ম (শাক্ত) প্রকৃতির দিক থেকে নমনীয় হওয়ার দরুণ বিভিন্ন যুগের সামাজিক ও ধর্মীয় চাহিদার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পেরেছিল। প্রতি যুগেই শাক্তধর্ম সেই যুগের প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি গুলির শরিক হয়েছিল।” (ভারতীয় ধর্মের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ২১৯)।
কৃষিনির্ভর আদিম সমাজে উর্বরতামূলক জাদুবিশ্বাস, লিঙ্গ-যোনির পূজা, দেহ- মিলন—এ’সব প্রায় গোটা পৃথিবী জুড়েই একটা না একটা সময়ে ছিল। এই সময়টা সব জায়গায় একই সঙ্গে অতিক্রম করবে—এমনটা নয়। আজও আন্দামানের জারোয়ারা যখন আদিম-সমাজ চেতনার একটা পর্যায়ে পড়ে রয়েছে, তখন একই দেশের কিছু মানুষ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। প্রগতির আলো জাদু-বিশ্বাস নির্ভর ধর্মকে শেষ করেছে—এটাই ইতিহাস। ডঃ ভট্টাচার্যের কথা মত, শাক্ত ধর্মের মত জাদু-বিশ্বাসের ধর্ম যুগে যুগে প্রগতিশিলতার শরিক হয়েছে এই তথ্য মানতে গেলে ইতিহাস ও সমাজ-বিজ্ঞানকেই অস্বীকার করতে হয়। উর্বরতামূলক জাদু- বিশ্বাস, তন্ত্রবিশ্বাস, কুসংস্কার কেন সাংস্কৃতিক ভাবে এগিয়ে থাকা দেশগুলো থেকে বিদায় নিল? কেন শুধু টিকে রইলো অনুন্নত দেশগুলোতে? সোজা উত্তর কেউ খুঁজতে না চাইলে, না খোঁজার পিছনে কোনও উদ্দেশ্য থাকলে অন্য ব্যাপার! শিক্ষা যে সব সময় অহমিকাহীন মুক্ত মনের মানুষ তৈরি করে, এমনটা নয়।
ডঃ ভট্টাচার্যের আরও বক্তব্য, “মানবদেহের গঠন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণার সূত্রপাত তাঁরাই (তান্ত্রিকরাই) করেন।” (একই গ্রন্থের ২১৯ পৃষ্ঠায়), ডঃ ভট্টাচার্য পরিচিত চিকিৎসকদের সঙ্গে এ বিষয়ে একটু মত বিনিময় করলেই বুঝতে পারতেন, যোগ ও তন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে মানুষের দেহের ভুল ‘অ্যানাটমি’ জ্ঞানের উপরে ভিত্তি করে। আমাদের শরীরের ভিতর চক্র-সাপ-হাজার পাপড়ির পদ্ম ইত্যাদি রয়েছে—এমন সব বিজ্ঞান-বিরোধী হিজিবিজি কথাকে বিজ্ঞান – সম্মত গবেষণার সূত্রপাত বলে ঘোষণা করলে অনেক মনেরই মন খারাপ হয়।
ওই বইয়ের-ই ২২১ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, “শাক্তধর্মের বিকাশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবার জন্য পুরাণসমূহ অনুশীলন করার প্রয়োজন। প্রায় সকল পুরাণেই দেবীর ক্রিয়াকলাপ, নামসমূহ ও গুণাবলী বিবৃত হয়েছে।”
এই অংশটুকু পড়ে অনেকেই এমনটা মনে করতে পারেন, পুরাণে দেবী-মাহাত্ম্যই প্রধান, দেবতরা অপ্রধান। কেউ মনে করলে করতেই পারেন। কিন্তু পুরাণগুলোতে চোখ বোলালে দেখতে পাবেন— সেখানে দেব-মাহাত্ম্যের-ই সুস্পষ্ট প্রাধান্য রয়েছে।
ডঃ ভট্টাচার্যের মত, সুপণ্ডিতের কাছ থেকে এমন একপেশে লেখা কাম্য নয়। তাঁর মত বিদগ্ধ মানুষের লেখা পড়ে অনেকেই নিজেদের জ্ঞানকে ঋদ্ধ করতে চান। সে কারণেই লেখার ক্ষেত্রে তাঁর কাছে আরও একটু সতর্কতার প্রত্যাশা রইলো। শ্রদ্ধার সঙ্গেই রইলো।
বিদেশের অত্যন্ত নামী-দামী প্রচার মাধ্যমগুলোর কাছে ‘তন্ত্র’ একটা আকর্ষণীয় বিষয়। এইসব প্রচার-মাধ্যমের অনেক সাংবাদিকই আমার কাছে আসেন, তন্ত্র নিয়ে জানতে। তাঁদের জানতে চাওয়ার মধ্যে গভীর আন্তরিকতা থাকে। ভিস্যুয়াল মিডিয়া ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক, ডিসকভারি, এসব দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না—কতটা শ্রম, কষ্টস্বীকার, আন্তরিকতা ও গভীর গবেষণার ফসল ওদের সৃষ্টি। তন্ত্র-গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁদের একই রকমের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দেখেছি। যদিও আমার ধারণা তন্ত্র-গবেষণার ক্ষেত্রে একটা গোটা জীবন যথেষ্ট নয়। আবার একটার বেশি জীবনও তো সম্ভব নয়, সুতরাং এতেই যা হয়, উপায়-ই বা কী! পূর্ববর্তী গবেষকদের গবেষণা কাজকে নিজের জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েও মনে হয়—এখনও একটা জীবন, তন্ত্র গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
এ’দেশের মিডিয়ার অনেকেই তন্ত্র নিয়ে কাজ করতে আমার সাহায্য চেয়েছেন। ডকুমেন্টারি ফিল্ম বা টিভির জন্য ছবি তৈরি করতে চান। তাঁদের দু’টো রূপ আমি দেখেছি। প্রোডিউসার আলোচনায় হাজির থাকলে এক রকম, না থাকলে আর এক রকম। প্রোডিউসারের বে-হাজিরায় চট্-জলদি ছবি তুলে কিছু টাকা কামাবার লক্ষ্যে কিছু টিপস্ চান তাঁরা। এর বাড়তি কিছু নয়। প্রেডিউসার হাজির থাকলে ওরাই বক্তা, আমি শ্রোতা। প্রোডিউসারকে ‘মুরগি’ করতে নিজেদের ‘ফান্ডা’ জাহির করতে হবে যে! শেষ পর্যন্ত তাঁরা যা তোলেন, তাতে আর যাই থাক ‘তন্ত্র’ থাকে না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে—এটাই মূলস্রোত ।
তারাপীঠে সারা বছর ধরে তন্ত্রের নামে মদ্যপান, গাঁজাপান ও খোলামেলা যৌনচর্চা চলে। ভাড়াটে মেয়েমানুষের দালাল ঘুরছে, তারাপীঠে এসে ভক্তরা যাতে মন্ত্রসা নার প্রাকটিক্যাল ক্লাস করে যেতে পারে। তরুণদের কাছে হাতছানি—ভৈরবীরাই সব শিখিয়ে পড়িয়ে দেবে মুদ্রার বিনিময়ে। অনেক ভক্ত ‘ভাড়াটে মেয়ে’ নিয়েই আসে। তরুণ-তরুণীরাও আসে ‘খুল্লামখুল্লা’ এনজয় করতে। বিশাল এলাকা জুড়ে তন্ত্রের নামে যা চলে, তা দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। তারাপীঠে তন্ত্রের নামে যে কদর্যতা চলে, তার কাছে ভারতের আর সব পীঠ শিশু ।
কষ্ট পাই, যখন দেখি তারাপীঠের আশ-পাশের শহর ও গ্রামের তরুণদের একটা বড় অংশ নেশায় ধুঁকছে। ঘুম-বড়ির সস্তা নেশা। প্রশাসন শুনতে পাচ্ছেন, কী বলছি? শক্তিপীঠ তরুণ সমাজকে শক্তিহীন ও পঙ্গু করে দিচ্ছে, দেখতে পাচ্ছেন কি?
তন্ত্রের ছাইপাঁশ ঘাটতে ঘাটতে ভাল কিছু কথা পেয়েছি শুধু ‘মঞ্জুশ্রীমূলকল্প’ ও ‘গুহ্যসমাজ’ গ্রন্থে। দুটোই বৌদ্ধতন্ত্রের গ্রন্থ। এখানেই শুধু বলা আছে, নারী- পুরুষের মিলন যখন দৈহিক, মানসিক, আত্মিক তখন-ই সত্য উপলব্ধি ঘটে।
শুধু এই দুই গ্রন্থ নারী-পুরুষের সুন্দর ও স্বাভাবিক মিলনে ‘নির্বাণ’ খুঁজে পেয়েছে। এমন সুন্দর কাম্য মিলন’কে ‘ঈশ্বর’ বললে, ‘ঈশ্বর’ সংজ্ঞা পাল্টে অর্থবহ হয়ে ওঠে।
“আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, জানি।
পরম-ব্রহ্মকে খুঁজতে আপনার ওই চিরুনি তল্লাস
কোনও কাজেই লাগবে না।
মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-অবতারের আবর্জনা ঘেঁটে
ঈশ্বর পাবেন না,
এ আপনি ভালই জানেন ।
তবু খোঁজা-খুঁজি খেলা !
পেতে হলে বাইরে ছেড়ে ভেতরে খুঁজুন।
কোনও এক তন্ত্র বলে——ঈশ্বর আছেন প্রেমের মিলনে।
চূড়ান্ত অরূপ মিলন বিস্ফোরণে
সহস্রদল পদ্ম ফোটে
করোটির নীচে।
অনন্ত আনন্দে চেতনা মাতাল শরীরে শরীর নাচে
তালে তালে ব্রহ্ম নাচে তা তা থৈ থৈ
তন্ত্র প্রতারণা করেনি অন্তত একবার
আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন…
প্রেম ও মিলনের মেলবন্ধন কী সম্ভব? কামের তাণ্ডবে এখন প্রেমের আকাল দেশ জুড়ে।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ৫ম খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
অধ্যায়ঃ এক
ধর্মঃ সংজ্ঞায় গোলমাল
অধ্যায়ঃ দুই
উপাসনা ধর্মঃ প্রাচীন মত
♦ উপাসনা- ধর্মের (religion) উৎপত্তি
♦ একঃ দৈব-প্রত্যাদেশ বা অপৌরুষেয় প্রত্যাদেশ
♦ দুইঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস; সহজাত প্রবৃত্তি
♦ তিনঃ ধর্মীয় আচরণ বাদে ঈশ্বর বিশ্বাস
♦ আধুনিক নাস্তিক্যবাদ ‘মার্কসবাদ’
অধ্যায়ঃ তিন
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ নাস্তিক্যবাদের সঙ্গে বাড়তি কিছু
♦ ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ চির নতুন
♦ তোমার আমার দুই চেতনার ভালো-খারাপ
♦ মারাদোনার পায়ের জাদু ও যুক্তিবাদ
♦ প্রেমের রহস্যময়তা ও যুক্তিবাদ
♦ ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস’, ‘বিজ্ঞানের বিশ্বাস’ : আকাশ-পাতাল
অধ্যায়ঃ চার
উপাসনা ধর্মঃ আধুনিক মত
♦ উপাসনা-ধর্ম : নৃতত্ত্ব ও সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিতে
অধ্যায়ঃ পাঁচ
ভারতবর্ষের জাদু সংস্কৃতি
♦ আদিম উপজাতি, আধুনিক উপজাতিঃ একই কথা
♦ ধর্মীয় জাদু বিশ্বাস ও ম্যাজিক শোঃ দুই পৃথিবী
অধ্যায়ঃ ছয়
তন্ত্রের প্রথম ধাপ যোগ, তারপর…
অধ্যায়ঃ সাত
বৈদিক সাহিত্য, জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞে যৌনাচার
♦ সত্য খোঁজে মুক্তমন, হিসেব কষে ভন্ড
♦ বৈদিক সাহিত্যের গপ্পো ও দুই ডাক্তার
♦ বৈদিক সাহিত্যে জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞের নামে যৌনাচার
অধ্যায়ঃ আট
হিন্দু উপাসনা-ধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ নয়
শক্তিধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ দশ
রেইকি গ্রাণ্ডমাষ্টার, ফেং শুই ক্ষমতার দাবিদার, জ্যোতিষী ও অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদারদের প্রতি