কিছু কথা

ভূত-ভগবানের ভর বা অলৌকিক ঘটনার খোঁজ পেলে আজকাল পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর ততটা অবাক হয় না। বরং কিছুটা অবিশ্বাসের চোখে দেখে।‘জুজু’র ভয় দেখায়। জুজু একটাই—‘যুক্তিবাদী সমিতি’।

একটা নির্ভেজাল ঘটনা । ১৯৬৬ সাল থেকে সপ্তাহে দু-তিন দিন অফিস ফেরতা এসপ্ল্যানেডে যাওয়া ছিল রুটিন ব্যাপার। সেখান থেকে তিন বন্ধু আমি, তপন, গোরা হাঁটতে হাঁটতে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে যেতাম আড্ডা দিতে। এসপ্ল্যানেডে এখন যেখানে লেনিন মূর্তি তার কাছেই মাদারি খেলওয়ালারা আসর জমিয়ে বসত। নানা রকম হাতের কলা-কৌশল দেখাত, যাকে হাত-সাফাই না বলে ‘শিল্প’ বললে ওদের ঠিক মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু শুধু যে হাতের কৌশলকে শিল্পে পরিণত করেছিল, তা নয়। লোক-ঠকানোকেও শিল্প পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।

ওরা ভেলকি দেখাতে বসত ধর্মের ভড়ং সাজিয়ে। একটা বাক্সের উপর সিরদির সাঁইয়ের ছবি, ছাগলের শিং, কয়েকটা পাতিলেবু, কোনও জন্তুর খুলি, হাড়, ছুরি ইত্যাদি সাজিয়ে হাতসাফাইয়ের অসাধারণ নৈপুণ্যে ভিড় জমিয়ে দিত। এক সময় দর্শকের কাছে টাকা চাইত। চাওয়ার ধরনটাকে বাংলা করলে এমনটা দাঁড়ায়—যাদের কাছে টাকা আছে তারা একটাকা, দু’টাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকা দিয়ে যান। থাকতেও কিছু না দিয়ে গেলে সিরদির সাঁইয়ের কসম, আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে ।

সবাই সমান নয়। কেউ একজন বে-পরোয়া ডাকাবুকো মানুষ সরবে বলত, “যত্তো সব বুজরুকি।” তারপর কিছু না দিয়ে ভিড় থেকে বেরিয়ে যেত। লোকটা ‘বুজরুকি’ বলে গেল ? মাদারি মুহূর্তে খেপে উঠত। রোগা-সোগা লুঙ্গি পরা লোকটা কয়েকবার মাথা ঝাঁকাত আকাশের দিকে তাকিয়ে। তারপর বাক্সের উপর থেকে একটা লেবু ও ছুরিটা তুলে নিত। লেবুটাকে দু’টুকরো করে একটা টুকরো চেপে ধরত ধুলোমাটিতে। ফ-ট্ করে একটা আওয়াজ হল। মাটিতে ঠেসে ধরা লেবুর তলা থেকে ছিটকে বের হল আগুনের ঝলকানি।

আর ঠিক সেই সময় টাকা না দিয়ে অপমান ছুড়ে দেওয়া মানুষটা কাটা পাঁঠার মতো ধড়ফড় করতে করতে এসে পড়ল ভিড়ের মাঝে, মুখে বীভৎস গোঙানির আওয়াজ। একটু পরেই মুখের দুপাশে দিয়ে গড়িয়ে পড়ত রক্ত।

এমন ভয়ংকর নিষ্ঠুর দৃশ্য দেখে ভয়ে সবাই কাঁটা। যারা এতক্ষণ পকেটে হাত দিচ্ছিল না, তাদের পকেট থেকেও বের হতে লাগল টাকা। অনেকেই অনুরোধ করত অবিশ্বাসী লোকটিকে ক্ষমা করে দিতে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা করে দিত মাদারি ভাই।

একই ঘটনা একই জায়গায় ঘটত। পাল্টে যেত শুধু অবিশ্বাসী লোকটা। এই পাল্টে যাওয়া প্রতিটি লোকই মাদারির দলের। যা করত তার পুরোটাই অভিনয়। আমরা কয়েক বন্ধুকে নিয়ে এসপ্ল্যানেড অঞ্চলেই ফি শনিবার শুরু করলাম পথনাটিকা। নাম ছিল ‘ভাণ্ডাফোড়’। এই নাটকে লেবু কেটে মাটিতে চেপে ধরে আগুনের ঝলকানি তৈরি করতাম। অবিশ্বাসী লোক আমাদের বুজরুক বলার পর কখনও তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ত, যন্ত্রণায় সে ছটফট করত। কখনও লোকটার দুহাত যেত জুড়ে। টানাটানি করেও ছাড়াতে পারত না। যখন বিষয়টা ব্যাখ্যা করতাম, তখন হইহই পড়ে যেত। মাটিতে এক টুকরো মেটালিক সোডিয়াম ফেলে রাখলে কাঁকরের সঙ্গে এমন ভাবে মিশে যেত যে আলাদা করা ছিল প্রায় অসম্ভব। মেটালিক সোডিয়ামে জল বা লেবুর রস পড়লে আগুন জ্বলে উঠত-ধপ করে। লেবু চেপে রাখায় লেবুর চারপাশ দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া ছিটকে বের হত। লাল বোঁদে তৈরির রঙ মুখে রেখে থুতু বের করে দিলে রক্ত ছাড়া অন্য কিছুই ভাবার উপায় ছিল না। হাত জোড়া লেগে গেছে, ছাড়াতে পাচ্ছে না, এ তো স্রেফ অভিনয়।

‘ভাণ্ডাফোড়’ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে এমন একটা ভাবাবেগ কাজ করত, যাকে মিনি মাস হিস্টিরিয়া বলাই বোধহয় ঠিক হবে। আমাদের মতো বড় একটা দলের সঙ্গে টক্কর দেওয়া বা আক্রমণ চালাবার চেয়ে সরে যাওয়াটাই মাদারিয়া বুদ্ধিমানের কাজ বলে ধরে নিয়েছিল ।

একদল মাদারি ‘চমৎকার’ অর্থাৎ অলৌকিক ক্ষমতায় শূন্যে ভেসে দেখাত খোলা ময়দানে। ‘ভাণ্ডাফোড়’-এ আমরা তাও করে দেখাতে লাগলাম। শূন্যে ভাসা-ওয়ালারা সরে যেতে বাধ্য হল।

১৯৮৫-র ১ মার্চ ‘যুক্তিবাদী সমিতি” তৈরি হল। তারপর যেখানেই ধর্মের নামে বুজরুকি চলেছে সেখানেই ভাণ্ডাফোড় করেছি আমরা। যুক্তিবাদী সমিতির নাম দ্রুত দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

১৯৯৩ সাল। বিবিসি আমাদের উপর ছবি তোলার প্রস্তাব দিল। ডিরেকটর রবার্ট ঈগল ও তাঁর প্রাইভেট সেক্রেটারি অ্যানা সাইমন এলেন। ওঁরা যুক্তিবাদী আন্দোলনের পাশাপাশি মাদারি সম্প্রদায়ের হাতসাফাই জাদুর ছবি তুলে রাখতে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু গোটা পশ্চিমবঙ্গে ওদের খোঁজ পেলাম না। যুক্তিবাদী সমিতির আগ্রাসনের সাথে সাথে মাদারি সম্প্রদায়ের পশ্চাদপসরণ ঘটেছে। এরই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হারিয়ে গেছে ‘লোকজাদু’। মাদারিদের অনেক জাদুই আজ কিংবদন্তি। শিশু মাদারিরা যা হাতসাফাই দেখাত তা বড় বড় পেশাদার জাদুকরদের প্রায় কেউই দেখাতে পারবেন না—একথা হলফ করে বলতে পারি। আজকালকার তাবড় ভারতীয় জাদুকরদের জাদু দেখে কোনও আনন্দ পাই না। জাদুকররা টাকা দিয়ে জাদুসামগ্রী বিক্রেতাদের কাছ থেকে ‘আইটেম’ কেনেন। বিক্রেতা ও নির্মাতারা সব কিছুই শিখিয়ে দেন। তারপর শুধু ‘এটা টিপলে সেটা হবে’। সেই মাদারিরা নেই, সেই জাদুর সুবর্ণযুগও নেই।

মাদারিরা যদি বিশুদ্ধ জাদু দেখাতেন, তবে আমরা তাদের বিরোধিতা না করে প্রশংসাই করতাম সেলাম জানাতাম। ওরা জাদুকে অলৌকিক ক্ষমতা বলে লোক ঠকালে আমাদের সঙ্গে বিরোধ তো অনিবার্য ।

গত শতকের আটের দশকের মাঝামাঝি থেকে নয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত ভূতুড়ে কাণ্ড জমিয়ে বসেছিল কলকাতা ও শহরতলিতে। সঙ্গে ছিল অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদার বাবাজি-মাতাজিদের দাপাদাপি। একটার পর একটা রহস্যময় ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানায় নাক গলিয়েছি কোনও ভূত যখন তখন বিছানায়, শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, কোনও ভূতের কাচে অ্যালার্জি, বাড়িতে কাচের কিছু রাখলেই ভেঙে ফেলে, কোনও সেক্সি-ভূত অন্তর্বাস কেটে আনন্দ পায়, আবার কেউবা জলে-জলে ভাসিয়ে দেয় ঘর থেকে মানুষ। হাত থেকে চুড়ি খুলে নিচ্ছে, থাপ্পড় মারছে, হারমোনিয়ম বাজাচ্ছে, দস্তুরমতো শ্লীলতাহানি করছে, এমন অনেক বেয়াড়া ভূতের খবর পেয়েছি। যখন ভূতের খবর এসেছে, দৌড়েছি। সব সময় সত্যিটা বের করেছি। দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে প্রতিটি কাহিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যে বাড়ি ভূতুড়ে কাণ্ডের শিকার, সে বাড়ির কোনও মানুষই এমন সব কাণ্ড ঘটিয়ে গেছে। এরা কখনও দুষ্টু বালক-বালিকা। মা-বাবার কড়া শাসনে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে মা-বাবাকে টাইট দিতে ভূতের আমদানি করেছে। কেউ বা কিশোরী বা যুবতী, অবদমিত যৌন আবেগ থেকে ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটিয়ে গেছে।

এক সময় ভূতদের শিকড় সমেত উপড়ে ফেলতে একাধিক জ্যান্ত ভূতকে পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। তাদের গ্রেপ্তারের কাহিনি ছবি সমেত প্রকাশিত হতেই ভূতের উপদ্রব বন্ধ। কোনও প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ভূতের খবর দিয়েছেন গাঁয়ের মানুষরা, আমরা যাব শুনেই ভূতের সমস্যা ভ্যানিস। একইভাবে জ্যান্ত অবতারদের ও জ্যোতিষীদের বুজরুকি ফাঁস করে গ্রেপ্তার করতেই অবতারদের ‘প্রপাইটারশিপ বিজনেস’ লাটে উঠল।

এখন বুজরুকি নতুন নতুন নামে, নতুন নতুন রূপে হাজির হয়েছে। এরা কখনও তান্ত্রিক। মদ্য-মাংস-মৈথুন সহযোগে তন্ত্র শিক্ষা দেয়। শিক্ষার্থীরা ধনী ও অত্যন্ত প্রভাবশালী। কখনও যোগ শিক্ষার নামে বিজ্ঞান বিরোধী কুশিক্ষা দিয়ে চলেছে যোগীবাবারা। প্রচারে মস্তিষ্ক বিকিয়ে দেওয়া মানুষগুলো আধুনিক চিকিৎসা দূরে সরিয়ে নিজের ও পরিবারের সর্বনাশে মেতে উঠেছেন এরা মধ্যবিত্ত বা অশিক্ষিত ধনী। এইসব যোগীবাবারা একটা করে বাবা নয়, একটা করে ‘সিন্ডিকেট’। এক একটা বড় যোগীবাবা মানেই মন্ত্রী-নেতা-পুলিশ-প্রশাসন-সেলিব্রিটি, মাফিয়াদের নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট। রেইকির ক্লাইভ হ্যারিসকে স্পনসর করতে এগিয়ে আসে Times of India ও Hindustan Times-এর মতো বিশাল পত্রিকা গোষ্ঠী। তাদের স্পনসর হিসেবে উপস্থিতি মানেই রাজনীতিক পুলিশ-প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতা। রাজনীতিক ও পুলিশের সহযোগিতা মানেই এক ইশারায় মাফিয়ারা ঝাঁপিয়ে পড়বে শত্রু নিধনে। কী চমৎকার এই চক্র, যার আধুনিক নাম ‘সিন্ডিকেট”।

‘মেমারিম্যান’ স্মৃতিধর মানুষ। লিমকা রেকর্ড বুকে নাকি বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। একবার চোখ বুলিয়ে নাকি গোটা ডিকশনারির সব শব্দ মুখস্ত করে ফেলে। কিন্তু সেই মেমারিম্যানই আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া ১৭টি শব্দের তালিকা স্মৃতিতে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় । বুজরুকি ধরতে গিয়ে জানলাম—ওর চক্রে বাড়তি আছেন কয়েকজন বাঘ-সিংহ সাংবাদিক।

এখন লড়াইটা অনেক কঠিন হয়েছে। তার পরও কিন্তু এই প্রত্যেকটা লড়াইয়ে ‘দুষ্টু সিন্ডিকেট’ পরাজিত হয়েছে যুক্তিবাদী সমিতির কাছে।

এই জয় এনে দেওয়ার জন্য যে সাহস, শক্তি, জ্ঞান প্রয়োজন—তার সবই যুক্তিবাদী সমিতির আছে। কারণ যুক্তিবাদী সমিতির সঙ্গে সহযোগিতা করতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে পণ্ডিত সমাজ।

যুক্তিবাদী সমিতি’ আজ একটা আন্দোলনের নাম। সমস্ত রকম দুর্নীতি অন্যায় অত্যাচার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে সংঘর্ষের নাম ‘যুক্তিবাদ’। স্বয়ম্ভর গ্রাম ও গোষ্ঠী নির্মাণের আর এক নাম ‘যুক্তিবাদ’ ও ‘মানবতাবাদ’।

ভারত কতটা দুর্নীতিতে ডুবে আছে, এই নেতিবাচক আলোচনায় নৈরাশ্যপীড়িত হবেন না। বরং প্রত্যয়ী থাকুন—ষাট বছরে একটু একটু করে দেশের মানুষরা যদি দুর্নীতিতে ডুবে যেতে পারে, তবে একটু একটু করে সুনীতিতেও ভাসিয়ে তোলা সম্ভব।

এই কাজে পাঠক-পাঠিকা, আপনাদের চাই, আপনাদের সঙ্গী চাই ।

৮ জানুয়ারি, ২০০৮

e-mail : Prabir_rationalist@hotmail.com

www.srai.org.www.humanistassociation.org

www.thefreethinker.tk

প্রবীর ঘোষ ৭২/৮ দেবীনিবাস রোড কলকাতা ৭০০ ০৭৪

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!