১ মার্চ ১৯৮৫ ‘যুক্তিবাদী সমিতি’র জন্ম। কুসংস্কার বিরোধী, সাম্যকামী আদর্শকে লক্ষ্য করে চলা শুরু। যুক্তিবাদী আন্দোলনে প্রগতিশীল বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে নেওয়া হল মূলস্রোতকে গতিশীল করতে।

প্রকাশিত হল যুক্তিবাদী সমিতির ‘ম্যানিফেস্টো’‘সংস্কৃতি : সংঘর্ষ ও নির্মাণ’। ‘দেশপ্রেম’ থেকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’জলে ভেজানো শব্দগুলো নতুন রোদে তাজা হল, স্পষ্ট হল। সেই সঙ্গে জড়তার মেঘ কাটিয়ে স্পষ্ট হল যুক্তিবাদী সমিতির লক্ষ্য— আমরা নিছক বাবাজী-মাতাজীদের বুজরুকি ধরার উত্তেজনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে রাজি নই। আমরা চাই, আমজনতা বুঝুক— তাদের বঞ্চনার কারণ আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র অথবা ঈশ্বরের বিধান নয়। ঈশ্বর, নিয়তি, পূর্বজন্মের মতো অলীক ধারণাগুলো বঞ্চিতদের ক্ষোভকে নিরস্ত করার এক সুন্দর নিরামিষ ও কার্যকর অস্ত্র। বঞ্চনার প্রতিটি কারণ লুকিয়ে রয়েছে এই অসাম্যের সমাজব্যবস্থার মধ্যেই। লুকোনোর প্রয়োজনেই তৈরি হয়েছে এইসব অলীক চিন্তার ভাইরাস।

আমরা চেয়েছি শোষণহীন, দুর্নীতিহীন একটা সুন্দর সমাজ গড়ার আবশ্যিক ও প্রাথমিক শর্ত হিসেবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ও গতিশীল রাখতে। আমরা চেয়েছি অসাম্যের সমাজ কাঠামোর ভিত্তিমূলগুলোকে আমজনতার সামনে বে-আব্রু করতে। অসাম্যের সমাজ কাঠামোকে ঠিক মত চিনলে তবেই সম্ভব এই কাঠামোকে আঘাত করা ।

গত শতকের আটের দশকের মাঝামাঝি প্রবল শোরগোল তুলে শহর কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত জুড়ে যুক্তিবাদীদের বিশাল উত্থান আপনারা প্রিয় পাঠক-পাঠিকারা দেখেছেন । আমাদের একের পর এক জয়ের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে পত্রিকাগুলো। এই সময় কিছু কিছু সংবাদপত্র নিয়ে পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে একটা মোহ, একটা বিভ্রান্তি তৈরির অবকাশ আছে বুঝে আমার লেখায় বারবার একটি কথা ঘুরে ফিরে এসেছে— আমাদের ততদিন পর্যন্ত প্রচার-মাধ্যমগুলো প্রচারের আলোয় আনবে, যতদিন পর্যন্ত না আমাদের কাজকর্ম বর্তমান সমাজের স্থিতাবস্থার পক্ষে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। একথা ভুললে চলবে না, মিডিয়ার মালিকরা আর যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ী, কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ী। এই স্থিতিশীল অসাম্যের সমাজ ব্যবস্থাই ওদের কাছে পরম কাম্য ।

আমরা এই সমাজ কাঠামো ভাঙব, আর ওরা আমাদের ওপর প্রচারের আলো ফেলে নিজেদের চিতা সাজাবে— একি হয়? হয় না। প্রত্যাঘাত আসবেই। ১৯৯৬-এ প্রত্যাঘাত এল আচমকা এবং ব্যাপক আকারে। এই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল রাষ্ট্রশক্তি, বিদেশি শক্তি, কিছু মন্ত্রী, কিছু বড়মাপের সাংবাদিক, জ্যোতিষী, তান্ত্রিক, যুক্তিবাদী সমিতির কিছু বিক্রি হয়ে যাওয়া আধানেতাদের নিয়ে গড়ে ওঠা যুক্তিবাদী আন্দোলন বিরোধী ‘সিন্ডিকেট’। সেই কঠিন লড়াইয়ে সঙ্গে পেয়েছিলাম বহু চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন পেশার কিছু সৎ মানুষকে। সে এক চ্যালেঞ্জ জেতার রোমাঞ্চকর অন্য কাহিনি ।

যুক্তিবাদী সমিতির চ্যালেঞ্জার বুজরুকদের বুজরুকি ফাঁসের তালিকা বিশাল। এর আগে একাধিক খন্ডে ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা’ প্রকাশিত হয়েছে। বহু পাঠক-পাঠিকা আরও কাহিনি পরবর্তী খন্ডগুলোতে প্রকাশ করার অনুরোধ রেখেছেন। তাঁদের অনুরোধেই এই অখন্ড ‘যুক্তিবাদী চ্যালেঞ্জাররা’ প্রকাশ করলাম।

আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের অভিনন্দন ।

প্রবীর ঘোষ

৭২/৮ দেবীনিবাস রোড

কলকাতা ৭০০ ০৭৪

৮ জানুয়ারি (মিরজাফর-বিজয় দিবস)

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!