শুরুতেই গোড়ার কথা বলে নিতে চাই। এই গ্রন্থটিকে এক কথায় বলা যায় ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র manifesto, অর্থাৎ সংগঠনটির কর্মসূচি, মতামত, উদ্দেশ্য ইত্যাদি।
আমরা মনে করি—বিপ্লবের সময়, বিপ্লবের আগে, বিপ্লবের পরে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু ‘সংস্কৃতি’ শব্দটি নিয়েই জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে আছে নানা বিভ্রান্তি। এই বিভ্রান্তির জঞ্জাল নিয়ে সাংস্কৃতিক অন্দোলন এবং বিপ্লব কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই আলোচনার শুরুই করেছি ‘সংস্কৃতি’ নিয়ে।
আলোচনায় এনেছি এ-দেশের ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলন’-এর ইতিহাস, নকশাল আন্দোলন। নকশালদের বিভাজন। এমনকী যুক্তিবাদ প্রসঙ্গ, মূল্যবোধ, প্রেম-বিবাহ, জনসেবা, দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় সংহতি, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সঠিক আন্দোলনের ভাঙা ও গড়া—ইত্যাদি বহুতর প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা। এইসব প্রসঙ্গ নিয়ে সঠিক ধারণা ছাড়া আন্দোলন ও বিপ্লব গড়ে তোলা অসম্ভব। নেতৃত্ব দিতে গেলে এ’সব জানতেই হবে।
শোষণমুক্ত সাম্যের একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে প্রয়োজন হবে এই গ্রন্থটিকে আত্মীকরণ করা
ঢাকঢোল না পিটিয়েও একটা নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে চলেছে ভারতে। এ-দেশের ৬৭৫টি জেলার মধ্যে প্রায় ৩০০টি জেলায় স্বয়ম্ভর গ্রাম বা স্বরাজ বা সমবায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আছে কৃষি অঞ্চল, বনভূমি, খনি অঞ্চল, জলাভূমি, চা-বাগিচা এ-সব
এটা তো শাসক-শোষকদের সর্বনাশ। তারপরও এগুলো গড়ে উঠল কী করে? এ-সবের উত্তর পেতে হলে পড়তেই হবে ‘সাম্য প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ স্বয়ম্ভর গ্রাম।’ এই গ্রন্থটি পাড়ার আগেই পড়ে নিন ‘সংস্কৃতি : সংঘর্ষ ও নির্মাণ। সমস্ত সহযোদ্ধা ও পাঠক-পাঠিকাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
মে ২০১৭
অভিনন্দনসহ প্রবীর ঘোষ
দেবী কমপ্লেক্স, ব্লক সি, ফ্ল্যাট নং-১০৪
দমদম, কলকাতা-৭০০০৭৪
অধ্যায়ঃ এক
♦ বিভ্রান্তির সংস্কৃতিঃ বাঁচাও তাহারে মারিয়া
অধ্যায়ঃ দুই
♦ অপসংস্কৃতি ও সুস্থ সংস্কৃতিঃ পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হোক সুচেতনার পথে
অধ্যায়ঃ তিন
♦ সাংস্কৃতিক বিপ্লবঃ পৃথিবীর পথে হাজার বছর হাঁটা
অধ্যায়ঃ চার
♦ ভারতবর্ষে সাংস্কৃতিক আন্দোলনঃ কেউ কথা রাখেনি
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ নকশালবাড়ির সংগ্রামে উব্ধুদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্দোলন
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ যুক্তিবাদী আন্দোলন, সার্বিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনঃ এসো আমরা আগুনে হাত রেখে প্রেমের গান গাই
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ যুক্তির পথচলাঃ লোভের অন্ধকারে ঢোকে না দিনের আলো
অধ্যায়ঃ নয়
♦ অতি ব্যবহৃত কিছু শব্দঃ সিন্দুকেতে মন ভরেছে ভেতরে তার কি আছে কেই বা রাখে খোঁজ?
“সংস্কৃতিঃ সংঘর্ষ ও নির্মাণ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ