জীবনী
১৯৪৬ সালে জন্ম। বি. এস. সি গ্রাজুয়েট। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর তিনি বিমান বাহিনী থেকে সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে কর্মরত থাকেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতেই সুদূর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যে দলটি সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিল তিনি ছিলেন তাদের একজন। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও কৃতিত্বের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় তার অবদান উল্লেখযোগ্য। শেখ মুজিবের স্বৈর শাসনকালে ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নং ৯ (PO-9) এর প্রয়োগে তিনি চাকুরিচ্যুত হন। ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের পর তাঁকে পুনরায় সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হয় এবং লেঃ কর্ণেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত হবার পর গণচীনে তাঁকে কূটনীতিক হিসাবে প্রেরন করা হয়। ১৯৮০ সালে লন্ডনের হাই কমিশনের সাথে তিনি এ্যটাচ্ড হন। ১৯৮২ সালে কমিশনার হিসাবে হংকং এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রদূত হিসাবে কেনিয়ায় পোস্টেড হন। একই সাথে তাঁকে তানজানিয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ইউনেপ (UNEP) এবং হেবিটাট (HABITAT) এ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সোমালিয়ায় যুদ্ধকালিন সময়ে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর অংশ হিসাবে প্রেরিত বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের বিশেষ দায়িত্বও তিনি পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর লাভ করেন। এরপর দেশে ফিরে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যার জনক । তার শখ হল বই পড়া, ভ্রমন, খেলাধুলা এবং সঙ্গীত ।
রাষ্ট্রদূত লেঃ কর্নেল (অবঃ)
শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)
নব জাগরণ প্রকাশনী
ঢাকা।
প্ৰকাশক
খন্দকার জামান
নবজাগরন প্রকাশনী, ঢাকা
৪৩৫-এ/২ বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
প্ৰকাশ কাল
১লা ফেব্রুয়ারী ২০০২
বাংলা একাডেমির বই মেলা।
কম্পিউটার কমপোজঃ হিমু
প্রচ্ছদ পরিকল্পনাঃ ফরিদা চৌধুরী
উৎসর্গ
ঐ সব সহযোদ্ধাদের যাদের হারিয়েছি এবং যারা আজো বেঁচে আছে তাদের স্মরণে কিছু কথা কিছু ব্যথা উৎসর্গ করলাম।
“কিছু কথা কিছু ব্যথা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ