সকলেই আজকাল স্তাবকতা করে জনতার।
স্বৈরাচারী, রাজনীতিব্যবসায়ী, ও তাত্ত্বিকেরা তো বটেই,
জনতার কবিসম্প্রদায়ও অক্লান্ত স্তাবকতা করে জনতার।
স্তাবকতা আত্মোন্নতির উপায় মাত্র; এতে জনতার
কোনো লাভ নেই। স্বৈরাচারী স্তাবকতা করে
সিংহাসনে টেকার জন্যে; রাজনীতিব্যবসায়ী স্তাবকতা
করে সিংহাসনে ওঠার আশায়। তাত্ত্বিকেরা
স্তাবকতা করে, কারণ তাদেরও চোখ নিবদ্ধ
সিংহাসনের আশেপাশে।
জনতার কবিসম্প্রদায়ও লাভের আশায়ই
স্তাবকতা করে জনতার।
তবে যে প্রকৃত কবি, যার ভালোবাসা বিশুদ্ধ প্রকৃত,
সে স্তব করতে পারে, কিন্তু স্তাবকতা
করে না কখনো। সে জানে জনতাও দেবতা নয়;
জনতাও বিপথগামী হয় অন্ধকারে;
পদস্খলিত হয় পিচ্ছিল রাস্তায়। তাই সে স্তাবকতার বদলে
নিজেকেই করে তোলে অগ্নিশিখা, জনতা তখন
পথ খুঁজে পায়। জনতা অনুসরণ করে কবিকে।
কবি, অগ্নিশিখা, কখনো অনুসরণ
করে না জনতাকে।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো