আমার দেড় বছরের মেয়ে স্মিতা কিছুতেই ঘুমোতে চায় না।
মায়ের চুমো আর রূপকথা কিছুতেই ওকে ঘুম পাড়াতে পারে না।
মাঝে মাঝে আমার ওপর ওকে ঘুম পাড়ানোর ভার পড়ে–
যেনো আমি যাদু জানি যা দিয়ে ওর মতো চাঞ্চল্যকে
আমি নিমেষেই নিশ্চল করে দিতে পারি।
মাঝে মাঝে আমারও খুব ঘুম পায়। ঘুমে চোখ ভেঙে আসে,
দেহ ভেঙে পড়ে। ওকে ডাকি, ‘এসো আব্বু, আমরা ঘুমোই।’
ও কিছুতেই ঘুমোবে না–মেঝেতে চঞ্চল পায়ে নাচতে থাকে,
আলনা থেকে টেনে নামায় কাপড়চোপড়, দাদুর জুতোর ভেতর পা ঢুকিয়ে
ভ্রমণ করতে থাকে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে। চোখে ঘুম নেই।
কিন্তু আমার চোখ ভ’রে ঘুম, সন্ধ্যায়ই ভেঙে পড়ছি বৃদ্ধের মতোন।
চিৎকার করে ডাকি, ‘এসো আব্বু, আমরা ঘুমোই।’
ও কিছুতে আসে না। আমি জোর করে তুলি ওকে বিছানায়, পাশে শোয়াই
জোর করে। ও চিৎকার করে কাঁদে, কিছুতেই ও ঘুমোবে না।
কিন্তু আমি যে নিদ্রায় কাতর। এক সময় হঠাৎ টের পাই
ও ঘুমিয়ে গেছে মধ্যরাতে দিঘির জলের মতো; আমি জেগে আছি।
দেয়াল ঘড়িটা তখন তিনবার বজ্রের মতো বেজে ওঠে।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো