তোমাকে প্রথম দেখি মুখোমুখি; শুধু মুখটিই চোখে পড়ে।
ওই মুখে চোখ, ঠোঁট, একটা বিস্ময়কর তিল ছিলো
সে-সব পৃথকভাবে লক্ষ্য করি নি। শুধু একটি মুখই দেখেছি।
তারপর একবার দেখি তুমি হেঁটে যাচ্ছো; তোমার গ্রীবার
সৌন্দর্যই শুধু আমার দু-চোখে ঢোকে;–গ্রীবা নয়,
গ্রীবার সৌন্দর্যকেই শুধু সত্য মনে হয়। তারপর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে
তোমাকে দেখেছি; কিন্তু সম্পূর্ণ দেখি নি। করতল দেখার সময়
দেখতে পাই নি হাতের পেছন ভাগ, খোঁপার গঠন
দেখার সময় আমার দু-চোখ থেকে অন্তহীন দূরত্বে থেকেছে
তোমার চিবুক। পরম সত্যের মতো উদঘাটিত স্তনের দিকে
নিবদ্ধ রেখেছি চোখ যুগযুগ; আর ওই সৌন্দর্যমথিত
যুগযুগান্তরব্যাপী আমি দেখতে পাই নি তোমার পিঠের
রূপ, তার ঢেউ রেখা বাক ও অন্যান্য খণ্ড সত্য।
তোমার পায়ের তালুতে একটা উল্লেখযোগ্য জ্যোতিশ্চক্র রয়েছে;
ওই জ্যোতিশ্চক্রে নিবদ্ধ থাকার কালে দেখতে পাই নি
জ্যোতির্ময় আশ্চর্য ত্রিভুজ। আমি শুধু এক সত্য থেকে আরেক সত্যে
পৌঁচেছি তোমাকে প্রথম দেখার আশ্চর্য মুহূর্ত
থেকে। তুমি কি পরম সত্য? তোমাকে কখন
আমি একবারে, এক দৃষ্টিতে, আপাদমস্তকআত্মা সম্পূর্ণ দেখবো?
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো