ভারতবর্ষের প্রাক-বৈদিক যুগের হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতা ছিল কৃষিনির্ভর। মহেঞ্জোদরো, হরপ্পার মত বহু শহরের নিদর্শন পাওয়া গেলেও, সেইসব শহর ঘিরে ছিল বহু গ্রাম। গ্রামের মানুষদের মূল জীবিকা ছিল চাষ। এই কৃষি উৎপাদিত ফসল- ই ছিল শহরগুলোর বেঁচে থাকার অক্সিজেন ।
কৃষি-নির্ভর এই সমাজে নারী প্রাধান্যের পরিচয় পাওয়া গেছে। সেই সময়কার সমাজের ধারণায় নারী ছিল শক্তিময়ী প্রকৃতি। নারী সক্রিয় ও পুরুষ নিষ্ক্রিয় জন্মদানের ক্ষেত্রেও পুরুষের ভূমিকাকে গৌণ বলে মনে করা হত। তার কারণ আদিম সমাজে বিবাহ প্রথা প্রচলিত ছিল না। সুতরাং সন্তানের বাবাকে চিহ্নিত করা ছিল অসম্ভব। মা’কে যেহেতু জন্মদাত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা যেত, তাই মাকে ঘিরেই গড়ে উঠতো পরিবার। ফলে সমাজে মাতৃ প্রাধান্য ছিল স্পষ্ট। এখনও মেঘালয় ও অসমের খাসি সমাজে, গারো সমাজে কেরলে নায়ারদের মধ্যে মাতৃপ্রাধান্য টিকে রয়েছে। একাধিক পতি নিয়ে ঘর করার রীতি এখানও নায়ারদের মধ্যে আছে। কেরালার কানিয়ান, মান্নান, মুদ্র, রেডি, চেরুমান, তেলেগু, যোগী, মাদুরার কল্লান, মধ্যপ্রদেশের ভূঁইয়া, চামার, কর্কু, গোওরি, বারি, হোসেঙ্গাবাদের জাদাম, সিমলার পার্বত্য এলাকায়, হিন্দুকুশের চিত্রলে মাতৃ প্রাধান্য বর্তমান রয়েছে।
আর্যভাষী যারা সিন্ধু-উপত্যকায় এসেছিল তারা হরপ্পা সভ্যতার তুলনায় ছিল যথেষ্ট-ই অসভ্য। আর্যভাষীদের জীবিকা ছিল পশুপালন ও শিকার। পশুখাদ্যের খোঁজে যাযাবর জীবন মেনে নিতে হয়েছিল। যাযাবর জীবনের দীর্ঘ-যাত্রপথে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হত। নিজেদের পশু-সম্পদ যেমন লুণ্ঠিত হত, তেমনই সুযোগ পেলে তারাও লুটপাঠ করতো। এই সময়টাই ছিল এমন। এই সময় গ্রিসেও ‘বাণিজ্য’ ও ‘লুণ্ঠন ছিল সমার্থক শব্দ। বণিকরা সুযোগ পেলেই অন্য গোষ্ঠীর সম্পদ লুঠ করতো। অবস্থাই আর্যভাষীদের সমাজকে পুরুষতান্ত্রিক করেছিল। পরিণতিতে তাদের পূজার দেবতারাও ছিলেন পুরুষ।
বৈদিক সভ্যতার প্রাচীন সাহিত্য ঋকবেদে যে সব দেবতার উল্লেখ আছে, তাঁরা প্রধানত তিন শ্রেণীর। (১) মর্তের বা পৃথিবীর দেবতা, (২) আকাশের বা অন্তরীক্ষের দেবতা, (৩) স্বর্গ বা দ্যুলোকের দেবতা ।
পৃথিবীর দেবতাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন পৃথিবী ও অগ্নি। আকাশের দেবতাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন রুদ্র, বায়ু, বরুণ এবং পর্জন্য বা মেঘ ইত্যাদি। স্বর্গের দেবতাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন মিত্র, বিষ্ণু, আদিত্য, উষা, অদিতি, পূষন বা পুষা, অশ্বিদ্বয় (অশ্বিনীকুমারদ্বয়) ইত্যাদি।
এইসব দেবতাদের পরিচয় পাওয়ার পর বুঝতে অসুবিধে হয় না, বৈদিক যুগের শুরুতে ‘প্রকৃতির সব কিছুরই প্রাণ আছে’—এমন চিন্তার প্রভাব ছিল। বৈদিক সাহিত্য প্রাকৃতিক শক্তিগুলোর উপর দেবত্ব আরোপ করেছিল। দেবতারা ছিলেন মানুষের মতো দেখতে। উষা চির-যৌবনা, মোহময়ী, সুন্দরী। লঘু পরিচ্ছদ পরেন। প্রেমিককে নিজের স্তন দেখিয়ে মুগ্ধ করতে তৎপর। ইনি সূর্যের প্রেমিকা এবং একই সঙ্গে মা। ঋকবেদের কুড়িটি সূক্তে তাঁর স্তুতি করা হয়েছে।
পূষণ একজন সূর্যদেবতা। মাথায় জটা, মুখে ছাগলের মত দাড়ি। অগ্নিদেবতার পরনে পুরোহিতের পোশাক। ইন্দ্র থেকে সূর্য সবারই চেহারায় মানবত্ব আরোপ করা হয়েছিল। তবে তাদের অনেকেরই হাত ছিল দুয়ের অধিক। বহু কাজ বহু হাতে সামলাবার দায়িত্ব কল্পনা করে হাতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল।
ঋকবেদে ২০০ সূক্তে অগ্নির স্তব করা হয়েছে। পার্থিব দেবতার মধ্যে অগ্নি প্রধান। অগ্নি হলেন দেবতা ও মানুষের যোগাযোগকারী দেবতা। অগ্নি তাঁর রথে দেবতাদের যজ্ঞস্থলে নিয়ে আসেন। তাঁর মুখ দিয়েই দেবতারা যজ্ঞভোগ গ্রহণ করেন। তিনি প্রবীণ, প্রাচীন কিন্তু চির-নবীন
আকাশের দেবতা রুদ্র নিয়ে বৈদিক সাহিত্যে নানা রকমের কথা বলা হয়েছে। ঋকবেদে বলা হয়েছে রুদ্র একই সঙ্গে রুদ্র ও শিব। একই সঙ্গে ভয়ানক ও মঙ্গলময় (১০/৯২/৯ ঋক্বেদ)। রুদ্র বা শিব তিন প্রধান দেবতার অন্যতম। ঋক্ বেদে আরও বলা হয়েছে, এই দেবতা স্বল্পে তুষ্ট, কল্যাণকারী, রোগ নিরাময়কারী। আবার ক্রুদ্ধ হয়ে ধ্বংসকারী। প্রলয় কালে ইনি সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে ধ্বংস করেন। শিব স্বয়ম্ভূ।
ঋকবেদে আবার অগ্নিকেও রুদ্র বলা হয়েছে। সম্ভবত অগ্নির সবকিছুকে জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে শেষ করার ক্ষমতার জন্য রুদ্র বলা হয়েছে।
যজুর্বেদে বলা হয়েছে রুদ্র মুক্তিদাতা, ভেষজ চিকিৎসক দেবতা। এঁর কণ্ঠ নীল। শরীরের রং লাল। গৃহপালিত পশুদের রক্ষাকারী। রুক্ষ স্বভাব। ধ্বংসের দেবতা।
উপরে কেউ নেই। আমিই সর্বোচ্চ। আমি চিরন্তন ও আমি চিরন্তন নই। আমি উপনিষদে রুদ্র বলছেন—আমিই সর্ব প্রথমে আগত। আমার পূর্বে এবং আমার ব্রহ্মা, আমি ব্রহ্মা নই। আমিই পৃথিবীর পালক। আমিই প্রাণী জগতের নিয়তা। প্রলয় কালে আমিই ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস করি। আমার আদি নেই, অন্ত নেই, আমি অনাদি আমিই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, ইন্দ্র এবং শিব।
ঋকবেদে ইন্দ্র দেবরাজ নামে বিখ্যাত। তিনি শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। বাইরের আক্রমণ থেকে দেবতাদের রক্ষা করেন। যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তিনি অজেয় (ঋকবেদ ১০/১৩৩/২), শত্রুদমনকারী, রাক্ষস ধ্বংসকারী।। ইন্দ্রের গায়ের রঙ, চুল, দাড়ি, রথ সবই সবুজ রঙের। তার অস্ত্র বজ্র, ধনুর্বাণ, অঙ্কুশ ও কাঁটাযুক্ত জাল। সোমরস ইন্দ্রের প্রিয় পানীয়। তিনি বহুভোজী ও চিরযুবা। ইন্দ্র ঝড় ও বজ্রের দেবতা । তিনি অসুর ও অনাবৃষ্টি বিনাশকারী শক্তি।
বেদ অনুসারে ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ ও বায়ু একই দেবতার নাম। একই দেবতার ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
আকাশের বা অন্তরীক্ষের দেবতা হলেন বায়ু। বায়ুকে তুষ্ট করতে অনেক ঋক্মন্ত্ৰ রচিত হয়েছে। বেদের কোনও কোনও জায়গায় বায়ু ও ইন্দ্রকে একই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
রামায়ণে বলা হয়েছে হনুমানের জন্ম বায়ুর বীর্যে। বানররাজ কেশরীর স্ত্রী অঞ্জনাকে দেখে বায়ু কামতাড়িত হন এবং অঞ্জনাতে উপগত হন। এর ফলে হনুমানের জন্ম।
মহাভারত অনুসারে কুন্তির মন্ত্রে বায়ু কুন্তির কামনা মেটাতে বাধ্য হন। ফলে ভীমের জন্ম।
বরুণ জলের দেবতা। বেদে অনেক জায়গায় মিত্র ও বরুণকে একই সঙ্গে স্তব করা হয়েছে। ঋকবেদের রচয়িতারা আকাশকে জলময় কল্পনা করতেন। আকাশ ও সমুদ্রের মিলন রেখায় বরুণের বাসস্থান বলে বিশ্বাস করতেন। বরুণ জলবিন্দুর মত শ্বেতবর্ণ, মৃগের মত বলবান, বৃষ্টি দ্বারা ত্রিলোক আর্দ্র রাখেন। বারুণী নামের সুরা তাঁর প্রিয় পানীয়। বেদে বরুণকে সহস্রলোচন বলা হয়েছে। খাণ্ডব দাহনের সময় অগ্নিকে সাহায্য করেছিলেন অর্জুন। তাতে খুশি হয়ে বরুণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন গাণ্ডীব, অক্ষয় তূণীর ও কপিধ্বজ রথ। কৃষ্ণকে দিয়েছিলেন চক্র ও গদা
মহাভারতে বলা হয়েছে, উর্বশীকে দেখে কামনায় মিত্র-বরুণের শুক্রপাত হয়। সেই শুক্র থেকেই অগস্ত্য ও বশিষ্টের জন্ম হয় ।
মহর্ষি উপথ্যের স্ত্রী ভদ্রাকে দেখে বরুণ কামনাপীড়িত হন ও অপহরণ করেন। উপথ্য ভদ্রাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বরুণ সেই অনুরোধ রক্ষা না করায় উপথ্য সমস্ত জলরাশি পান করে ফেলেন। ভীত বরুণ তখন ভদ্রাকে ফিরিয়ে দেন।
বৈদিক সাহিত্যে আমরা দেখেছি—কখনও বরুণ ও ইন্দ্রকে এক, কখনও বা স্বতন্ত্র বলে কল্পনা করা হয়েছে। সব দেবতা-ই যে কল্পনা এ’সব কাহিনী তারই প্ৰমাণ ।
স্বর্গের দেবতা বিষ্ণু-ই নারায়ণ। তিন প্রধান দেবতার অন্যতম। কাশ্যপের ঔরসে অদিতির গর্ভে বিষ্ণুর জন্ম। বিষ্ণুর দুই-স্ত্রী—লক্ষ্মী ও সরস্বতী। পুত্র কামদেব। বিষ্ণুর নিবাস বৈকুণ্ঠে। বাহন গরুড়। বিষ্ণু ত্রিলোকের পালক। তিনি মধু ও কৈটভ নামের দুই দানবকে হত্যা করে তাদের মেদ থেকে মেদিনী বা পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন (বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির ইতিহাস-ই পাল্টে দিলেন মুনি-ঋষিরা, নারায়ণের স্রষ্টারা)।
প্রলয়কালে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় নারায়ণ রূপে তিনি যখন শেষনাগের উপর শুয়ে ছিলেন, তখন তাঁর নাভি থেকে একটি পদ্ম জন্ম নেয়। ওই পদ্ম থেকেই ব্রহ্মার উৎপত্তি। বিষ্ণুর চারটে হাত। হাতগুলোতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম দানবদের ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিষ্ণু অবতার হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন। অবতাররা হলেন—মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম এবং বুদ্ধ
বুদ্ধই শেষ অবতার (নিরীশ্বরবাদী বুদ্ধকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছাড়লেন ধান্দাবাজ জাদু- পুরোহিতরা)। এই নয়টি জন্ম তাঁর হয়ে গেছে। কলিযুগে পাপে যখন পৃথিবী পূর্ণ হবে, তখন কল্কি অবতার হয়ে জন্ম নেবেন বিষ্ণু।
‘আদিত্য’ একজন দেবতার নাম নয়। আদিত্য হলেন বারো দেবতার নাম। কাশ্যপের ঔরসে অদিতির গর্ভে বারোটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। অদিতির এই বারো পুত্র আদিত্য বা দ্বাদশ আদিত্য নামে পরিচিত। এই বারো আদিত্য হলেন— বিবস্বান, অর্যমা, পুষা, ত্বষ্টা, সবিতা, ভগ, ধাতা, বিধাতা, বরুণ, মিত্র, শত্রু ও উরুক্রম। কালিকা পুরাণে দ্বাদশ আদিত্যের কাহিনী আছে। তবে সেখানে বিধাতা বাদ। যুক্ত হয়েছে সোম-এর নাম।
ঋক্বেদের এক জায়গায় আমরা পাচ্ছি, অদিতি পুত্র আদিত্যের সংখ্যা বারো ছিল না। ছিল ছয়। তাঁরা যথাক্রমে মিত্র, অর্যমা, ভগ, বরুণ, দক্ষ ও অংশু। তৈত্তিরীয়ে আট আদিত্যের কথা বলা হয়েছে। এঁরা হলেন, মিত্র, বরুণ, ধাতা, অর্যমা, অংশু, ভগ, ইন্দ্ৰ ও বিবস্বান।
শতপথ ব্রাহ্মণে বলা হয়েছে—বারো আদিত্য হল বারো মাসের প্রতীক।
পুরাণ মতে সূর্য-ই আদিত্য। সূর্যের স্ত্রী সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারতেন না। সংজ্ঞা তাঁর দুঃখের কথা বাবা বিশ্বকর্মাকে জানালেন। বিশ্বকর্মা সূর্যের বা আদিত্যের তেজ কমাতে সূর্যকে বারো টুকরো করলেন। এই বারো সূর্যই বারো মাসে আকাশ পরিক্রমা করেন। বৈশাখের সূর্যের নাম তপন। জৈষ্ঠে ইন্দ্র। আষাঢ়ে রবি। শ্রাবণে গভস্তি। ভাদ্রে যম। আশ্বিনে হিরণ্যরেতা। কার্তিকে দিবাকর । অগ্রহায়ণে চিত্র। পৌষে বিষ্ণু। মাঘে অরুর। ফাল্গুনে সূর্য। চৈত্রে বেদজ্ঞ।
পূষণ বা পুষা সূর্যেরই একটি রূপ বলে বৈদিক সাহিত্যে বর্ণিত হয়েছে। ঋকবেদে পুষাকে তুষ্ট করার মন্ত্রের উল্লেখ আছে। অনেক জায়গায় পুষা পূজিত হয়েছেন ইন্দ্র, ভগ ও সূর্য রূপে। এই ধর্মগ্রন্থগুলোয় আদিত্য নিয়েই কী গোলমাল ? এ বলে আমার কথা সত্যি, ও বলে আমার ?
বেদের এইসব দেবতাদের অনেকেই একটু আদল পাল্টে বা সামান্য নাম পাল্টে রয়েছেন ইরানিয় ধর্মগ্রন্থ আবেস্তা’য়। মিত্র, বরুণ, সোম ও ইন্দ্র দেবতারা আবেস্তায় আছেন। ‘মিত্র’ আবেস্তায় “মিথ্র’ হয়েছেন। বরুণ ও আবেস্তার অসুর, একই ধরনের ক্ষমতা ও গুণের অধিকারী। ইরানিয়রাও অগ্নি পূজা করেন। আবেস্তায় ‘মন্ত্র’ হয়েছে ‘মনথ্র’, ‘যজ্ঞ’ হয়েছে ‘যশ্ন’, ‘আহুতি’ হয়েছে ‘আয়ুইতি’। এমন মিলের যেন শেষ নেই ।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ৫ম খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
অধ্যায়ঃ এক
ধর্মঃ সংজ্ঞায় গোলমাল
অধ্যায়ঃ দুই
উপাসনা ধর্মঃ প্রাচীন মত
♦ উপাসনা- ধর্মের (religion) উৎপত্তি
♦ একঃ দৈব-প্রত্যাদেশ বা অপৌরুষেয় প্রত্যাদেশ
♦ দুইঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস; সহজাত প্রবৃত্তি
♦ তিনঃ ধর্মীয় আচরণ বাদে ঈশ্বর বিশ্বাস
♦ আধুনিক নাস্তিক্যবাদ ‘মার্কসবাদ’
অধ্যায়ঃ তিন
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ নাস্তিক্যবাদের সঙ্গে বাড়তি কিছু
♦ ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ চির নতুন
♦ তোমার আমার দুই চেতনার ভালো-খারাপ
♦ মারাদোনার পায়ের জাদু ও যুক্তিবাদ
♦ প্রেমের রহস্যময়তা ও যুক্তিবাদ
♦ ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস’, ‘বিজ্ঞানের বিশ্বাস’ : আকাশ-পাতাল
অধ্যায়ঃ চার
উপাসনা ধর্মঃ আধুনিক মত
♦ উপাসনা-ধর্ম : নৃতত্ত্ব ও সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিতে
অধ্যায়ঃ পাঁচ
ভারতবর্ষের জাদু সংস্কৃতি
♦ আদিম উপজাতি, আধুনিক উপজাতিঃ একই কথা
♦ ধর্মীয় জাদু বিশ্বাস ও ম্যাজিক শোঃ দুই পৃথিবী
অধ্যায়ঃ ছয়
তন্ত্রের প্রথম ধাপ যোগ, তারপর…
অধ্যায়ঃ সাত
বৈদিক সাহিত্য, জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞে যৌনাচার
♦ সত্য খোঁজে মুক্তমন, হিসেব কষে ভন্ড
♦ বৈদিক সাহিত্যের গপ্পো ও দুই ডাক্তার
♦ বৈদিক সাহিত্যে জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞের নামে যৌনাচার
অধ্যায়ঃ আট
হিন্দু উপাসনা-ধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ নয়
শক্তিধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ দশ
রেইকি গ্রাণ্ডমাষ্টার, ফেং শুই ক্ষমতার দাবিদার, জ্যোতিষী ও অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদারদের প্রতি