ইউরি গেলারের ‘থট রিডিং’-এর অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা
ইউরি গেলারের গড-ফাদার পুহারিক প্রথম যে ইউরির অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেটি ছিল থট রিডিং। পুহারিক-কে ইউরিক ১ থেকে ১০-এর মধ্যে যে কোন একটি সংখ্যা ভাবতে বলেছিলেন। পুহারিক ভেবেছিলেন। ইউরি একটা রাইটিং-প্যাডে একটা সংখ্যা লিখে কলমটি নামিয়ে রেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “বলো, কত ভেবেছো?”
পুহারিক উত্তর দিতেই তাঁর চোখের সামনে রাইটিং-প্যাডটা মেলে ধরেছিলেন ইউরি। সেই সংখ্যাটিতেই লেখা রয়েছে।
ঠিক এই খেলাই আগরতলার প্রেস কনফারেন্সে (২৮.২.৮৬) দেখাই সংখ্যাটা ভাবতে বলেছিলাম ১ থেকে ১০-এর মধ্যে।
ইউরি গেলারের অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি
অতীন্দ্রিয় দৃষ্টির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নামী দামী ব্যক্তিটি হ্লেনহ ইউরি গেলার। গেলার হলেন পরামনোবিজ্ঞানীদের মাথার মণি। গেলারের গড-ফাদার ডক্টর অ্যানড্রিজা পুহারিক-এর ব্যবস্থাপনায় অনেক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনে গেলার তাঁর এই ক্লেয়ারভয়ান্স বা অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি প্রমাণ করেছেন। একটা মোটা খামের ভেতরে একটা ছবি রেখে খামটা সিল বন্ধ করে গেলারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে গেলার প্রতিবারই ভেতরের ছবির সঠিক বর্ণনা দিয়েছেন।
খামটিকে এমন পুরু রাখা হয়েছিল যাতে তীব্র আলোর সামনে খামটিকে ধরলেও ছবিটা ফুটে না ওঠে।
গেলারের পদ্ধতিতেই আমি একইভাবে আমার অতীন্দ্রিয় দৃষ্টির (?) প্রমাণ রাখতে পেরেছি একাধিকবার। চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা। সবিনয়ে স্বীকার করছি আমার কোন অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা নেই, কারণ যে জিনিসের অস্তিত্ব নেই, তা আমারই বা থাকবে কি করে? আমি যে অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি দেখাই তাঁর পেছনে অবশ্যই রয়েছে কৌশল। দর্শকদের দৃষ্টির আড়ালে সীল করা খামটা ডুবিয়ে নিই অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল বা রিফাইন্ড স্পিরিটে। সামান্য সময়ের জন্য খামটা স্বচ্ছ হয়ে যায়, অতএব ভেতরের ছবিটা একটুক্ষণের জন্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দর্শকদের চোখের আড়ালে চোখ বুলিয়ে নিই খামের ওপরে। তারপর একটু সময় কাটিয়ে যখন ছবির বর্ণনা দিই তখন অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল বা রিফাইন্ড স্পিরিট উবে গিয়ে খাম আবার অস্বচ্ছ হয়ে যায়।