আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরী বার্ষিক বিবরণী
১. উপস্থাপনা
মাননীয় সভাপতি সাহেব, সদস্যবৃন্দ এবং সুধী অতিথিবৃন্দ! পরম সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, আজ আমার ৮৩ তম জন্মদিবসে আমার উৎসর্গীকৃত লাইব্রেরীটির ২য় বার্ষিক অধিবেশন দেখতে পেলাম। দেখতে পেলাম আপনাদের মতো সুধীজনকে। বর্তমানে আমি আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালক কমিটির সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, লাইব্রেরীয়ান ও পরিচারকও। এ সমস্ত কাজ করতে গিয়ে ত্রুটিহীনতার পরিচয় দিতে পারিনি, বিশেষত সম্পাদকীয় কাজে। আমি জানি যে, কোন সম্পাদক তাঁর কমিটির আদেশ-উপদেশ ছাড়া বিশেষ কোন কাজ করতে পারেন না। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে আমি তা করেছি। তাতে কমিটির সদস্যবৃন্দ মনে করতে পারেন যে, আমি কমিটিকে অবহেলা ও অবমাননা করেছি। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। আমার সম্পাদনা কাজে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে আমি প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায়। উৎসর্গীকৃত হওয়ার পর এ লাইব্রেরীটির উপর আমার কোনরূপ ব্যক্তিগত অধিকার নেই। কিন্তু আমি মনে করি যে, এ লাইব্রেরীটির উন্নয়নমূলক কোন কাজ করবার ব্যক্তিগত অধিকার আমার এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই মনোভাবের ভিত্তিতেই লাইব্রেরীর সামনে একটি পুকুর খনন করেছি, ঢাকার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমী ও শিশু একাডেমীতে লাইব্রেরীটির সাহায্যের জন্যে আবেদন করেছি এবং ছোটখাটো আরো কিছু কাজ করেছি কমিটির অনুমতি বা সম্মতি না নিয়েই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, শক্তি ও সময় (পরমায়ু) – এর কোনটিই বর্তমানে আমার নেই। যৌবনে সংসার পরিচালনার কাজে পাঁচসালা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিশসালা পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছি। কিন্তু আজ অর্ধসালা পরিকল্পনা গ্রহণ করতেও সাহস হচ্ছে না। আজ ইচ্ছে হয় যেন এক বছরের কাজ এক সপ্তাহে শেষ করে ফেলি। আর সেই অত্যুগ্র বাসনা এবং সময় ও শক্তিহীনতার জন্যই আমি সব সময় মিটিং ডেকে কমিটির মতামত নিতে পারছি না। তাই আমার অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য লাইব্রেরী কমিটির মহান সদস্যবৃন্দের কাছে বিশেষত মাননীয় সভাপতি সাহেবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
২. লাইব্রেরীর আয়-ব্যয় ও আবশ্যক
প্রথমত আয়
বর্তমান ১৯৮২ সালের অদ্য ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে নিম্নরূপ-
ক্রমিক | বিস্তারিত | টাকা |
---|---|---|
ক. | সদস্য পাঠকদের আদায়ী চাঁদা | ১০৩.০০ টাকা |
খ. | ব্যাংকে মজুত টাকার সুদ | ২,৩৮৫.০০ টাকা |
গ. | দান প্রাপ্তি ১. মা. মোশারফ হোসেন মাতুব্বর ২. ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাননীয় সিরাজুল ইসলামের বদান্যতায় জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান ৩. জনাব খালেকুজ্জামানের বদান্যতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান ৪. মৌ. মোসলেম উদ্দীন মাতুব্বরের দান | ১১৫.০০ টাকা ৮,৮৯০.০০ টাকা ৭৩৮.০০ টাকা ২৫০.০০ টাকা |
ঘ. | ব্যাংকের মজুত আদায় | ৫,০০০.০০ টাকা |
ঙ. | ৮১ সালের আগত তহবিল | ১,৩৬৪.৩০ টাকা |
মোট = | ১৮,৮৪৫.৩০ টাকা |
দ্বিতীয়ত ব্যয়
বর্তমান সালের অদ্য ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে নিম্নরূপ-
ক্রমিক | বিস্তারিত | টাকা |
---|---|---|
১. | অধিবেশন ব্যয় ১৯৮১ | ৩৬৪.০০ টাকা |
২. | বৃত্তি দান ১৯৮১ | ৪০০.০০ টাকা |
৩. | ব্যাংকে মজুত | ৮,৮৯০.০০ টাকা |
৪. | পুকুর খনন | ৮৮৬.০০ টাকা |
৫. | ‘স্মরণিকা’ ছাপা | ৪,৪৮৯.৯০ টাকা |
৬. | নলকূপ স্থাপনের উদ্দেশ্যে মজুত মা. অধ্যক্ষ মো. হানিফ | ১,০০০.০০ টাকা |
৭. | যাতায়াত ব্যয় (বরিশাল টু ঢাকা) | ৫০৯.৩০ টাকা |
৮. | বই খরিদ | ৯৯.০০ টাকা |
৯. | অধিবেশন ব্যয় ১৯৮২ | ৩৭০.০০ টাকা |
১০. | ভিক্ষাদান ১৯৮২ | ১০০.০০ টাকা |
মোট = | ১৭,০৬৮.২০ টাকা |
মজুত তহবিল
তহবিল | টাকা |
---|---|
মা. কোষাধ্যক্ষ | ১,৭৭৭.১০ টাকা |
মা. জনতা ব্যাংক | ৩,৮৯০.০০ টাকা |
মোট = | ৫,৬৬৭.১০ টাকা |
কিন্তু আবশ্যক হচ্ছে-
ক্রমিক | বিস্তারিত | টাকা |
---|---|---|
ক. | নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে লাইব্রেরী সংলগ্ন একটি বারান্দা নির্মাণ | ২০,০০০.০০ টাকা |
খ. | লাইব্রেরীর সীমানা বরাবর একটি দেয়াল নির্মাণ | ১০,০০০.০০ টাকা |
গ. | আসবাব ও পুস্তক খরিদ | ১০,০০০.০০ টাকা |
মোট = | ৪০,০০০.০০ টাকা |
৩. পুস্তকাদির বিবরণ –
বর্তমানে লাইব্রেরীর পুস্তক-পুস্তিকার সর্বমোট সংখ্যা ৮৭৭। তন্মধ্যে –
ক্রমিক | বইয়ের ধরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | বিজ্ঞান | ৭৮ |
২. | দর্শন | ১৮ |
৩. | ধর্ম | ৩৫ |
৪. | গণিত | ১৩ |
৫. | ভূগোল | ১২ |
৬. | ইতিহাস | ৩৭ |
৭. | গল্প | ২৮ |
৮. | উপন্যাস | ১১৫ |
৯. | নাটক | ৬ |
১০. | জীবনী | ২৪ |
১১. | ভ্রমণ | ১১ |
১২. | প্রবন্ধ | ১৭ |
১৩. | অভিধান | ৫ |
১৪. | ব্যাকরণ | ৭ |
১৫. | সাহিত্য | ৩৯ |
১৬. | আইন | ১২ |
১৭. | চিকিৎসা | ৮ |
১৮. | ইংরেজি | ১৮ |
১৯. | রাজনীতি | ৫৪ |
২০. | কৃষি | ৪৭ |
২১. | বিবিধ | ২৯৩ |
উল্লিখিত বইয়ের মোট মূল্য = | ৯,০৬৪.৯৫ টাকা |
৪. পাঠক ও পাঠোন্নতি
বর্তমানে লাইব্রেরীর সদস্য পাঠকের সংখ্যা হচ্ছে ৫ জন এবং তাঁরা সর্বমোট পুস্তক অধ্যয়ন করেছেন ২৯২ টি। সুতরাং প্রত্যেকে গড়ে পুস্তক অধ্যয়ন করেছেন প্রায় ১৯.৫ টি।
৫. ভিক্ষাদান ও বৃত্তিদান
(ক) ভিক্ষাদান
ভবিষ্যতে আমার মৃত্যুদিনটিতে প্রতিবছর বিশ জন কাঙ্গাল-কাঙ্গালিকে মোট ১০০.০০ টাকা ভিক্ষাদানের ওয়াদা আমার ট্রাস্টনামায় লিখিত আছে। এবং এ-ও লেখা আছে যে, আমার মৃত্যুর পূর্বে আমি ঐ টাকা আমার জন্মদিনে দান করবো। আজ আমার ৮৩ তম জন্মদিন। তাই ভিক্ষাদান কাজটি আজকের এ অধিবেশনের অংশবিশেষ। কাজেই এ অধিবেশনে বসেই কাঙ্গাল-কাঙ্গালিদের হস্তে ভিক্ষা দান করা সমীচীন ছিলো। কিন্তু সময় সংকুলান হবে না মনে করে সে দান কাজটি সমাধা করা হয়েছে আজ সকাল ১০ টায়। এ অসৌজন্যমূলক কাজটি করার জন্য আপনাদের কাছে আমি লজ্জিত।
খ. বৃত্তিদান
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার আগ্রহ বাড়াবার উদ্দেশ্যে লাইব্রেরীর তহবিল থেকে স্থানীয় দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১ম শ্রেণী ১০.০০ টাকা, ২য় শ্রেণী ১৫.০০ টাকা, ৩য় শ্রেণী ২০.০০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণী ২৫.০০ টাকা এবং ৫ম শ্রেণী ৩০.০০ টাকা – একুন ১০০.০০ টাকা করে প্রতিবছর বৃত্তিদানের ব্যবস্থা ছিলো আমার পরিকল্পনায় এবং ১৯৭৯ সালে বৃত্তিদান করাও হয়েছিলো তা-ই। কিন্তু ৮০ সালে তিনটিতে এবং ৮১ সালে বৃত্তিদান করা হয়েছে ৪টিতে। আশা করি যে, ৮২ সালে বৃত্তিদান করা হবে ৫টিতে। অতিরিক্ত হবে লামচরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বৃত্তিদানের পরিমাণ হবে- ৬ষ্ঠ শ্রেণী ২০.০০ টাকা, ৭ম শ্রেণী ২৫.০০ টাকা, ৮ম শ্রেণী ৩০.০০ টাকা, ৯ম শ্রেণী ৩৫.০০ টাকা এবং ১০ম শ্রেণী ৪০.০০ টাকা – একুন ১৫০.০০ টাকা। এ সমস্ত বৃত্তি অনন্তকাল চলবে।
মাননীয় সভাপতি সাহেব ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ! শৈশবে একদা আমি ভিখারী ছিলাম এবং বার্ধক্যেও ভিখারী হয়েছি। তবে পার্থক্য এই যে, শৈশবে ভিখারী ছিলাম অভাবে, আর বার্ধক্যে ভিখারী হয়েছি স্বভাবে। মধ্য বয়সে যা কিছু উপার্জন করেছিলাম, তার সমস্তই দান করেছি ওয়ারিশদের মধ্যে এবং জনকল্যাণে। স্থাবর বা অস্থাবর কোন সম্পদই আমার বর্তমানে নেই এবং কায়িক শ্রমের দ্বারা অর্থ উপার্জনের ক্ষমতাও নেই, আছে শুধু মানবকল্যাণের বাসনা। তাই এখন ভিক্ষা করে ভিক্ষা দিচ্ছি।
এ বছর লাইব্রেরীর তহবিল থেকে পরিচালক ও পরিচারক ভাতা বাবদ আমি ৪৫০.০০ টাকা গ্রহণের ইচ্ছা করছি। আর বিগত ২৪.১১.৮২ তারিখে বাংলাদেশ টেলিভিশন আমার একটি সাক্ষাতকার রেকর্ড করেছেন (তাতে আমার পরিচয় জ্ঞাপক ভাষণ দান করেছেন বাংলাদেশ দর্শন সমিতির সভাপতি মাননীয় অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান এবং উক্ত সমিতির সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী নুরূল ইসলাম) এবং টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সে মর্মে আমাকে ৮২৯.০০ টাকা দান করেছেন। অধিকন্তু ১৬০.০০ টাকা মূল্যের ৬ খানা দর্শনশাস্ত্রের বই দান করেছেন। বইগুলো আপনাদের এই লাইব্রেরীতে দান করেছি এবং নগদপ্রাপ্ত ৮২৯.০০ টাকার সাথে আমার পরিচালক ভাতা ৪৫০.০০ টাকা মিলিয়ে ১২৭৯.০০ টাকা মজুত তহবিলের একটি পরিকল্পনা করেছি, লামচরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তিদানের উদ্দেশ্যে। এরই মধ্যে উক্ত বিদ্যালয়ের নামে ১,০০০.০০ টাকা বরিশালের জনতা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রেখেছি বিগত ১.১২.৮২ তারিখে। উক্ত টাকার বার্ষিক সুদ ১৫০.০০ টাকা দ্বারা আগামী ১৯৮৩ সাল থেকে আলোচ্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিদান করা যাবে এবং অবশিষ্ট মজুত অর্থের দ্বারা আলোচ্য বিদ্যালয়ে বর্তমান ৮২ সালের বৃত্তিদানের আশা পোষণ করছি।
বিদ্যালয়সমূহে বৃত্তিদান করা হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনটির ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় অদ্য বৃত্তিদান সম্ভব হচ্ছে না, হয়তো ভবিষ্যতেও এ দিনটিতে হবে না। তাই বিদ্যালয়ে বৃত্তিদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল প্রতিবছর পৌষ মাসের শেষ রবিবারে। বর্তমানে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিনের পরিবর্তন হওয়ায় ঐ দিনটির পরিবর্তন হওয়া উচিত কি না এবং তা হলে কোন বারে হওয়া সঙ্গত, তা কমিটির বিবেচনাধীন রইলো।
৬. ব্যাংকিং বিষয়
লাইব্রেরী স্থাপনান্তে এর নানাবিধ কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে বরিশাল জনতা ব্যাংক চকবাজার শাখায় আমি আমানত হিসাবে একাউন্ট খুলেছি ৫টি। তন্মধ্যে স্থায়ী আমানত ৩টি এবং অস্থায়ী ২টি।
প্রথমত লাইব্রেরীর সাধারণ তহবিলের উৎস হিসাবে ১০,০০০.০০ টাকার স্থায়ী আমানত খুলেছি একটি। হিসাব নং ৩৬৬১১২/১০৮, তারিখ ৩.৪.৭৯।
দ্বিতীয়ত লাইব্রেরী ও আমার সমাধির মেরামতের কাজের জন্য ৫০০.০০ টাকার স্থায়ী আমানত একটি। হিসাব নং ৩৬৬১৬৭/১৬০, তারিখ ১৪.৭.৭৯।
তৃতীয়ত প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ট্রাস্টনামা সম্পাদনের পরের পরিকল্পনা মোতাবেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তিদানের উদ্দেশ্যে ৩৩৫.০০ টাকার স্থায়ী আমানত একটি। হিসাব নং ০৩২০২৪/২১৪, তারিখ ২৮.৬.৮২।
চতুর্থত অস্থায়ী আমানত একটি। হিসাব নং ৪১৫৮, তারিখ ২০.৭.৮২।
পঞ্চমত লাইব্রেরীর সাধারণ তহবিলের টাকা মজুত রাখার জন্য অস্থায়ী আমানত একটি। হিসাব নং ৩৭৭২, তারিখ ১৯.৯.৮০।
ব্যাংকের নিয়ম মাফিক স্থায়ী আমানতের আর্থিক বছর শেষ হয় যে তারিখে টাকা আমানত রাখা হয়, পরবর্তী বছর সেই তারিখে। তাতে লাইব্রেরীর বার্ষিক অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের সময় সুদের টাকা পাওয়া যায় না বলে ১ ও ৩ নং দফের টাকা তুলে হিসাব নবায়ন করা হয়েছে ১.১২.৮২ তারিখে। তাতে হিসাব নাম্বার ও টাকার পরিমাণ পরিবর্তিত হয়ে ১ন দফের টাকার পরিমাণ হয়েছে ১০,০০০.০০ টাকার স্থলে ১০,০৫০.০০ টাকা ও হিসাব নং হচ্ছে ০৯২০৩৬/২২৬ এবং ৩য় দফের টাকার পরিমাণ হয়েছে ৩৩৫.০০ টাকার স্থলে ১,০০০.০০ টাকা, হিসাব নং ০৯২০৩৭/২২৭।
আলোচ্য হিসাবগুলো এযাবত আমার নামেই চলে আসছে। তবে আগামী ১৯৮৩ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে তা পরিবর্তনপূর্বক আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীর নামে লিখিত করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অচিরেই আবেদন জানাতে আশা রাখি।
মাননীয় সভাপতি সাহেব ও সুধী অতিথিবৃন্দ। আপনারা যে মূল্যবান সময় নষ্ট ও কষ্ট স্বীকার করে লামচরির মতো জংলা ও দুর্গন্ধময় স্থানে পদার্পণ করেছেন, তার কারণ একমাত্র আমি এবং আমার খামখেয়ালি পরিকল্পনা। তবুও আশা করবো যে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ও পল্লীতে আমার পরিকল্পনা মোতাবেক জনকল্যাণের কাজ আরম্ভ হোক এবং সে সব অঞ্চলের সুধীবৃন্দ আপনাদের মতোই কষ্ট ভোগ করুন। সবশেষে আপনাদের সব রকম কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকারের জন্য সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বার্ষিক বিবরণী শেষ করছি।
ধন্যবাদ, শুভ হোক।
১৯.১২.১৯৮২
অপ্রকাশিত
৮.১ মুসলিম সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভাষণ
৮.২ বাংলাদেশ সোসিও-ফিলসফিক হিউম্যানিস্ট গিল্ড সেমিনারে ভাষণ
৮.৩ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৪ নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৫ গুণী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৬ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৭ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক বিবরণী ভাষণ
৮.৮ মানবিক উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা সেমিনারে ভাষণ
৮.৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় ভাষণ
৮.১০ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ
৮.১১ বার্ষিক বৃত্তিপ্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.১২ বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থায় ভাষণ
৮.১৩ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক বিবরণী ভাষণ
৮.১৪ বাংলাদেশ দর্শন সমিতিতে ভাষণ
৮.১৫ বার্ষিক বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.১৬ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীতে ভাষণ
৮.১৭ বাংলা একাডেমীর সংবর্ধনা ভাষণ