‘আধ্যাত্মবাদ’ শব্দের অর্থ- ‘আত্মা সংক্রান্ত মতবাদ’। আধ্যাত্মবাদী বা ভাববাদীরা বিশ্বাস করেন- আত্মা দেহাতিরিক্ত কিছু। আত্মা অমর। আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। আত্মা চিরকাল ছিল, আছে, থাকবে। আত্মার দেহ নেই। আত্মাকে আগুন পোড়াতে পারে না। তলোয়ার কাটতে পারে না। জল ভেজাতে পারে না।

যুক্তিবাদীরা মনে করেন- ‘আত্মা’ দেহের-ই ধর্ম। তাই মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আত্মারও বিনাশ ঘটে।

যুক্তিবাদীরা এমনটা কোন যুক্তিতে মনে করেন? কারণ আধ্যাত্মবাদীরা ‘আত্মা’র সংজ্ঞা বলতে বলেছেন- চিন্তা, চেতনা, মন বা চৈতন্য-ই আত্মা। আধ্যাত্মবাদীরা মনকে দেহাতিরিক্ত কিছু বলে মনে করেন।

‘আত্মা অবিনশ্বর’ এই ভুল বিশ্বাস থেকেই এসেছে পূর্বজন্মের কর্মফল, জাতিস্মর ও প্ল্যানচেট-এর কল্পনা।

‘জাতিস্মর’ তত্ত্বকে আশ্রয় করে দাঁড়িয়ে পরামনোবিদ্যা বা parasychology। পরামনোবিজ্ঞানীরা বরাবরই প্রমাণ করতে চেয়েছেন, কোনও কোনও মানুষ তার পূর্বজন্মের স্মৃতিকে উদ্ধার করতে সক্ষম। কিছু কিছু পরামনোবিজ্ঞানী আরও এক ধাপ এগিয়ে এসে বলেছেন- কোনও ব্যক্তিকে সম্মোহন করে তার পূর্বজন্মের স্মৃতি উদ্ধার করা সম্ভব।

জাতিস্মর নিয়ে আলোচনার আগে ‘আত্মা’ নিয়ে আলোচনা সেরে নেওয়ার প্রয়োজনীতা অনুভব করছি। কারণ পরামনোবিদ্যা আত্মার পুনর্জন্ম থেকেই জাতিস্মরকে আমদানি করেছে। আর, আত্মা অবিনশ্বর এ ধারণা থেকেই এসেছে আত্মার পুনর্জন্ম বা জন্মান্তরবাদ।

প্রায় ধর্মেই আত্মার অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন ধর্মে আত্মার সম্বন্ধে বিভিন্ন রকমের বিশ্বাস রয়েছে। প্রত্যেক ধর্মের ধারণার মধ্যে বিভিন্নতা থাকলেও প্রত্যেক ধর্মই কিন্তু আত্মা বিষয়ে তাদের ধারণাকেই একমাত্র সত্য বলে মনে করে।

মানুষের মৃত্যুর পর বিদেহী আত্মার কি পরিণতি হয়, তা নিয়েও বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস বিভিন্ন ধরনের।

হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করে ‘আত্মা’ ও ‘প্রাণ’ এক নয়। ‘আত্মা’ হল ‘মন’। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ শেষ হয়ে যায়। আত্মা বা মন শেষ হয় না। আত্মা ‘অজ’ অর্থাৎ জন্মহীন, নিত্য, শাশ্বত।

প্রাচীন আর্য বা হিন্দুরা একটি মাত্র স্বর্গে বিশ্বাসী ছিলেন। এই স্বর্গের নাম ছিল ‘ব্রক্ষ্মলোক’ অর্থাৎ প্রজাপতি ব্রক্ষ্মার রাজ্য। প্রাচীন হিন্দুরা বিশ্বাস করতেন, মৃত্যুর পর আত্মা ব্রক্ষ্মলোকে যায়। পরবর্তীকালে হিন্দুধর্মে এলো কর্মফল। বলা হল, যারা ইহলোকে ভাল কাজ করবে, তারা তাদের ভালো কর্মফল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্রক্ষ্মলোকে থাকবে। তারপর আবার ফিরে এসে জন্ম নেবে পৃথিবীতে পূর্বজন্মের কর্মফল অনুসারে। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, চন্দ্রলোকেই পিতৃপুরুষদের আত্মারা থাকে। চাঁদ থেকেই প্রাণের বীজ ঝরে পড়ে পৃথিবীর বুকে।

হিন্দুরা গোড়ার দিকে নরক বিশ্বাস করতেন না। পরে। ভয়ের দ্বারা গোষ্ঠীজীবনের পক্ষে প্রয়োজনীয় কিছু নীতি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য সৃষ্টি হল নরকের।

প্রাচীন যুগের শোষক ক্ষত্রিয় ও ব্রাক্ষ্মণ সমাজ অর্থাৎ শাসক ও পুরোহিত সম্প্রদায় শোষণ ও ঐশ্চর্যভোগের লালসায় জন্মান্তরবাদের সঙ্গে যুক্ত করল কর্মফলকে। কৃষক ও দাস সম্প্রদায়কে জন্মান্তর ও কর্মফলের আফিং খাইয়ে প্রতিবাদহীন করে রাখা হল। প্রতিটি অত্যাচার, অন্যায় ও দারিদ্রতাকে আগের জন্মের কর্মফল হিসেবে একবার বিশ্বাস করাতে পারলে আর পায় কে?

বর্ণাশ্রম সৃষ্টি করে ধর্মের নামে বলা বলো, আপনি এই জন্মে সৎভাবে নিজস্ব কাজ করুন, মৃত্যুর পর এবং পরজন্মে এর ফল পাবেন। আপনি শূদ্র? আপনার নিজস্ব কাজ করুন, মৃত্যুর পর এবং পরজন্মে এর ফল পাবেন। আপনি শূদ্র? আপনার নিজস্ব কাজ উচ্চ-সম্প্রদায়ের সেবা করা।

ভারতবর্ষে দাস প্রথা ছিল, কিন্তু কর্মফলের আফিং-এর নেশায় দাস বিদ্রোহ হয়নি।

ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদে বলা আছে- মৃত্যুর পর মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়। মৃত্যুতেই সব শেষ। আয়ুর্বেদের সব শেষ। আয়ুর্বেদের এই মতকে মানলে জন্মান্তর বাদকে অস্বীকার করতে হয়। উচ্চবর্ণের মানুষ বৈদ্যদের তাই অচ্ছূত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

বেদান্তের অনুগামীরা মনে করেন, কোনও আত্মাই অনন্তকাল ধরে বা চিরকালের জন্য স্বর্গে বা নরকে বাস করে না। একসময়ে তাদের স্বর্গ ও নরক ভোগের কাল ফুরোবে, তখন আবার জন্ম নিতে হবে পৃথিবীতে।

বেদান্তের মতে আত্মার জন্ম নেই, আত্মা শাশ্বত অমর। আত্মা তবে কোথা থেকে কিভাবে এলো? না, উত্তর নেই।

প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই হাত, পা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আর একটা ছোট্ট মানুষ বাস করে। সেটিই হল ‘দ্বিতীয় সত্তা’ বা আত্মা। তাঁরা এও মনে করতেন যে, শরীরের কোনও অঙ্গহানি হলে আত্মারও অঙ্গহানি হবে।

প্রাচীন যুগে পারসিকরা বিশ্বাস করতেন মৃত্যুর পর পুণ্যাত্মারা স্বর্গে গিয়ে স্বর্গদূত হয়। তাঁরা এও বিশ্বাস করতেন যে বিদেহী আত্মাদেরও ক্ষুধা-তৃষ্ণা আছে।

খৃষ্টধর্মাবলম্বীরা আত্মার অনন্ত জীবনে বিশ্বাসী। সৎ আত্মাকে অনন্তকাল বা চিরকালের জন্য ভোগ করে মুখ এবং অসৎ-আত্মা অনন্তকালের জন্য ভোগ করে দুঃখ। খৃষ্টধর্মীয়রা বিশ্বাস করেন, যিশু আত্মাকে অমরত্ব দান করেছেন। যিশুর জন্মের আগে মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আত্মারও মৃত্যু হতো।

মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, যারা আল্লাহর আদেশ মেনে চলেন তাঁদের আত্মা স্থান পায় ‘বেহেস্ত’-বা স্বর্গে। যারা আল্লাহর আদেশ মান্য করেন না তাদের আত্মার স্থান হয় ‘দোজখ’-এ বা নরকে। বেহেস্তে আছে গাছের ছায়া, বয়ে চলেছে টলটলে জলের নদী, দুধের নদী, মধুর নদী, সুরার নদী। স্বর্গের সুন্দরী হুরি বা পরীর পুণ্যাত্মাদের পেয়ালা পূর্ণ করে দেয় সুরায়।

আমেরিকার নিগ্রোদের মধ্যে স্বর্গ সম্বন্ধে ধারণা, সেখানে রয়েছে শিকার করার মতো দারুণ সুন্দর জায়গা। মৃত্যুর পর আত্মারা মহানন্দে সেখানে শিকার করে।

ইহুদিরা বিশ্বাস করেন, জেহোবা থেকেই মানুষের আত্মা বা প্রাণবায়ু এসেছে, এবং মৃত্যুর পর এই প্রাণবায়ু ফিরে যায় জেহোবা’রই কাছে।

বৌদ্ধধর্ম প্রথমে আত্মার অস্তিত্ব ও পুনর্জন্মকে অস্বীকার করেছিলেন। বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ-দার্শনিকরা আত্মার নিত্যতাকে মেনে নেননি। পরবর্তীকালে জাতক কাহিনী পুনর্জন্মবাদকে নির্ভর করেই গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তার কারণ ছিল বৌদ্ধধর্মের ওপর হিন্দুধর্মের প্রভাব।

আত্মা নিয়ে যত ধর্ম তত এমনকি এও দেখতে পাই একই ধর্মে বিভিন্ন সময়ে আত্মা ও স্বর্গ, নরক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ধারণা

বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা ‘নিজেদের ধারণা-ই একমাত্র ঠিক’ বলে আঁকড়ে ধরে বসে রয়েছেন। আত্মা নিয়ে নিজের ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের ধারণা যে ভুল, তা প্রমাণ করতেও প্রত্যেকে যথেষ্ট সচেতন। আত্মা নিয়ে নানা ধর্মমতের নানা রকমের ধারণার ঠেলায় ও নিজেদের ধর্মের ধারণাটাই সত্য বলে জাহির করার গুঁতোগুঁতিতে পরামনোবিজ্ঞানীরা বেশ কিছুটা অস্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছেন। কারণ, হিন্দু আধ্যাত্মিক ধর্মচেতনাকে পুঁজি করে পরাবিদ্যা বিদেহী আত্মাকে প্ল্যানচেটে নিয়ে আসার ভেল্কি দেখায়। সেইসঙ্গে ভেসে যায় পুনর্জন্মের গোটা তত্ত্বটাই।

আমাদের ভারতের পরামনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে ডঃ হেমেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়ের নাম-ডাকই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। ডঃ বন্দোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজ্ঞান সাধনা ও আধ্যাত্মিক ধর্মচেতনার যে সহজাত সংঘাত ধারাবাহিক কাল থেকে চলে আসছে তারই যোগসূত্র বা মিলনের সেতুবন্ধ সন্ধানে পরামনোবিদ্যার বিভিন্ন গবেষণার উৎপত্তি। বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মবাদের এই মৌলিক ব্যুৎপত্তিগত সংঘাতে ফলশ্রুতি হিসেবে কিছু চিন্তাশীল ব্যক্তি ধর্মতত্ত্বের বিজ্ঞানগ্রাহ্য ব্যাখ্যার খোঁজে অনুশীলন করছেন।“ (যুগান্তর ১০.৩.১৯৫৮)

ওই একই প্রবন্ধে ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, “বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডে আধ্যাত্মিক শক্তি আছে কি নেই এই মূল প্রশ্নের ওপরই ধর্মের স্থায়িত্ব নির্ভরশীল।“

ঈশ্বরবিদ্যা বা Theosophy বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রকারের অন্ধবিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ধর্মের সঙ্গে অলৌকিক বিশ্বাস পুরোপুরি জড়িয়ে রয়েছে। ধর্মগ্রন্থগুলোর সত্য বৈজ্ঞানিক সত্যের সঙ্গে সম্পর্কহীন।

ঈশ্বরবিদ্যা এক ধরনের সামাজিক চেতনা বা বিশ্বাস। এই চেতনা বা বিশ্বাসের স্রষ্টা মানুষ স্বয়ং। অর্থাৎ, সোজা কথায়- ঈশ্বর মানুষেরই সৃষ্টি। ঈশ্বর কোনও দিনই মানুষকে সৃষ্টি করেনি।

ডাঃ হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতত্ত্বের বিজ্ঞানগ্রাহ্য ব্যাখ্যার খোঁজ কতখানি পেয়েছেন জানি না। তবে আজ পর্যন্ত তিনি যে সব ব্যাখ্যা হাজির করেছেন তার কোনটিই বিজ্ঞানগ্রাহ্য হয়নি।

আত্মার বাস্তব অস্তিত্ব থাকলে তার উৎপত্তি, উপাদান, গঠন বা চেহারা এবং মৃত্যুর পর বিদেহী আত্মার কি হয় এই মূল বিষয়গুলো নিয়ে আত্মার বিশ্বাসী ধর্মগুরুরা নিশ্চয়ই একই মত পোষণ করতেন, আত্মার ব্যাখ্যায় ধর্মে-ধর্মে এমন ‘বারো রাজপুতের তেরো হাঁড়ির’ হাল হতো না। কার বিশ্বাস ছেড়ে আপনি কার বিশ্বাস মানবেন? শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো  পরামনোবিজ্ঞানীরা অবশ্য জাতিস্মর তত্ত্বকেপ্রতিষ্ঠা করার তাগিদে হিন্দু ধর্মতত্ত্বকেই মেনে নেবেন, কারণ, প্রধান ধর্মগুলোর মধ্যে একমাত্র হিন্দুধর্মই পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। অতএব অন্য সব ধর্ম-বিশ্বাসকে মিথ্যে বলে হিন্দু ধর্ম-বিশ্বাসকেই অভ্রান্ত বলা ছাড়া পরামনোবিজ্ঞানীদের আর উপায় কি?

বিদেহী আত্মার পুনর্জন্ম নিয়ে ধর্মগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেশি। বিশ্বে প্রধান ধর্মমত হিন্দু মুসলিম ও খ্রিষ্ঠান। হিন্দু ধর্ম আত্মার পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। মুসলিম ধর্ম ও খৃষ্ট ধর্ম আত্মার পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে না। আর, প্রত্যেকটি ধর্ম তাঁদের বিশ্বাসকেই অভ্রান্ত বলে মনে করে।

হিন্দুধর্মে বলা হয়েছে- যেমন দিন হয় রাত আসে, যেমন সুখ যায় ও দুঃখ আসে, তেমনি জন্ম হয় মৃত্যু আসে, আবার জন্ম হয় আবার আসে মৃত্যু। প্রতিটি মানুষের আত্মার ক্ষেত্রেই (তা সে যে ধর্মেই বিশ্বাসী হোক না কেন) এমনিভাবে অনন্তকাল ধরে চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে আত্মার জন্ম- মৃত্যুর খেলা।

মুসলিম ধর্মে বলা হয়েছে- মৃত্যুর পর আত্মা বেহেস্ত-এ (স্বর্গে) বা দোজখ-এ (নরকে) সুখ বা দুঃখ ভোগ করবে আল্লাহর শেষ বিচারের দিন (কেয়ামত) পর্যন্ত। সহস্র বছর ধরে যত মানুষ মারা গেছে, সব ধর্মের সব মানুষের বিদেহী আত্মারই পুনরুত্থান হবে শেষ বিচারের দিনটিতে। হিন্দুদের বিশ্বাস মতো আত্মার পুনরুজ্জীবনে বা আত্মার জন্ম-মৃত্যুর চক্রাকারে আবর্তনের মতবাদকে ইসলাম ধর্মের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি।

খৃষ্টধর্মীয়রা বিশ্বাস করেন- বিশ্বের যে কোনও ধর্মের প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর বিদেহী আত্মা পাপ বা পুণ্য ফল হিসেবে ভোগ করে অন্তত দুঃখ বা অনন্ত সুখ। এখানে অনন্ত মানে, সীমাহীন, যার শেষ নেই। খৃষ্টধর্মও হিন্দুদের আত্মার পুনর্জন্মের তত্ত্বকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করেছে। প্রাচীনপন্থী গোঁড়া খ্রিষ্টান মনে করেন, অমরত্ব ও নিত্যতা আত্মার স্বভাব ও ধর্ম নয়। তাঁরা মনে করেন, অমরতাকে লাভ করা যায় ভালো কাজ ও যিশুর প্রতি বিশ্বাসের পুরস্কার স্বরূপ। অর্থাৎ, মোদ্দা কথায় তাঁরা মনে করেন, বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মারও মৃত্যু ঘটে।

ভূমিকা

কিছু কথা

নতুন ‘কিছু কথা’

১. অধ্যায়ঃ এক

২. অধ্যায়ঃ দুই

৩. অধ্যায়ঃ তিন

৪. অধ্যায়ঃ চার

৫. অধ্যায়ঃ পাঁচ

৬. অধ্যায়ঃ ছয়

৭. অধ্যায়ঃ সাত

৮. অধ্যায়ঃ আট

৯. অধ্যায়ঃ নয়

১০. অধ্যায়ঃ দশ

১১. অধ্যায়ঃ এগারো

১২. অধ্যায়ঃ বার

১৩. অধ্যায়ঃ তেরো

১৪. অধ্যায়ঃ চোদ্দ

১৫. অধ্যায়ঃ পনের

১৬. অধ্যায়ঃ ষোল

১৬.১ মুক্ত চিন্তার বিরোধী ‘মনু সংহিতা’

১৬.২ আধ্যাত্মবাদ ও যুক্তিবাদের চোখের আত্মা

১৬.৩ আত্মা, পরলোক ও জন্মান্তর বিষয়ে স্বামী অভেদানন্দ

১৬.৪ স্বামী বিবেকানন্দের চোখে আত্মা

১৬.৫ আত্মা নিয়ে আরও কিছু বিশিষ্ট ভাববাদীর মত

১৬.৬ আত্মা প্রসঙ্গে চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন

১৭. অধ্যায়ঃ সতেরো

১৮. অধ্যায়ঃ আঠারো

১৯. অধ্যায়ঃ ঊনিশ

২০. অধ্যায়ঃ কুড়ি

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x