(১) আমার বর্তমান স্থাবরাস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তি তোমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করিয়া দিলাম। ইহার আয়ের দ্বারা- (ক) তোমাদের স্ব স্ব মাতা ও ভগ্নিদের ভরণ-পোষন এবং তত্ত্বাবধান করিবা। (খ) জমির হাল-বকেয়া খাজনা পরিশোধ করিবা। (ঘ) আমার জীবিত কাল পর্যন্ত-খোরাক ও পোশাক, রোগের চিকিৎসা এবং মরণান্তে যথারীতি সৎকার করিবা।

(২) আমার স্ত্রী ও কন্যাগণের দাবীকৃত সম্পত্তি ও তোমাদের হস্তে অর্পণ করিলাম। ইহা তোমরা তাহাদের সন্তুষ্টি বিধানে ভোগ দখল করিতে পারিবা। নচেৎ স্বেচ্ছায় তাহাদের অংশের সম্পত্তি বন্টন করিয়া দিবা।

(৩) তোমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যতে আমার কোন ওয়ারিশ জন্ম বা মৃত্যু হইয়া অত্র বাটারার কোন পরিবর্তনের কারণ হইলে “তৎপর-প্রেক্ষিতে তোমরা অক্ত্র বন্টন পরিবর্তন করিতে বাধ্য থাকিবা। কিন্তু জমির বাটারা ঠিক রাখিয়া শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের জমির সীমানা পরিবর্তন করিয়া উহার মীমাংসা করিবা।“ ইত্যাদি।

পরবর্তী মাঘ মাসে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সরেজমিন বন্টন করে দেওয়া হল। কিন্তু জমির সত্ব ও সত্বরক্ষার দায়িত্ব আমারই থাকিল। বিশেষতঃ আমার কোন কাজ করবার বা না করবার ও নিজ উপার্জিত অর্থ ব্যয় করবার থাকল আমারই। আমি প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের সঙ্গে প্রত্যেক মাসে ১০ ও ২০ দিন করে পান-ভোজন করতে লাগলাম (১৩৮০ সাল পর্যন্ত)

আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ২৯/৮/৭৬ আষাঢ়ে মৃত্যু হওয়ায় তার এক আনা অংশ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর প্রাপ্য হয়। এবং ১৩৮০ সাল থেকে উহা দ্বিতীয় পক্ষকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে প্রথম পক্ষের অংশের পরিমাণ হয় মোট চার আনা চার গণ্ডা ও দ্বিতীয় পক্ষের মোট এগারো আনা ষোল গণ্ডা। অধিকন্তু দ্বিতীয় পক্ষের আঃ খালেক (মানিক) ও আঃ বারেক (কাঞ্চন) ১৩৮০ সালে ভিন্ন হয়ে যায়। এতে আঃ মালেক ও আঃ বারেক এর প্রত্যেকে ১৩৮০ সাল হতে আমার পানাহার চলছে উক্ত অংশ দ্বারাই। অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে প্রথম পক্ষের আঃ মালেকের সাথে ৮ রোজ এবং দ্বিতীয় পক্ষের আঃ খালেক ও আঃ বারেকের সাথে প্রায় ১১ রোজ করে।

কিছু স্মৃতি, কিছু কথা

নিবেদন

ভিখারীর আত্মকাহিনী- প্রথম খন্ড

চর পূর্বাভাস ও জন্ম (১১৫৮-১৩০৭)

ছবি ও জলের কল (১৩২২)

মুন্সি আহম্মদ দেওয়ান (১৩২৩

পলায়ন (১৩২৪)

মুন্সি আপছার উদ্দিন (১৩২৫)

আরবী শিক্ষায় উদ্যোগ (১৩২৬)

চিকিৎসা শিক্ষা (১৩৩০)

জীবন প্রবাহের গতি (১৩৩১)

ছুতার কাজ শিক্ষা (১৩৩১)

জরীপ কাজ শিক্ষা (১৩৩৩)

বস্ত্র বয়ন শিক্ষা (১৩৩৫)

উচ্চ শিক্ষার প্রচেষ্টা (১৩৩৫)

জাল বুনা শিক্ষা (১৩৩৬)

ভিখারীর আত্মকাহিনী- দ্বিতীয় খন্ড

জাল বোনা ও মৎস্য শিকার

মোসলেম সমিতিঃ স্কুল প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতা (১৩৩৬-১৩৪১)

মোসলেম সমিতিরঃ ভাঙ্গন

পাঠাগার স্থাপন (১৩৩৭)

পাখা তৈয়ার (১৩৩৯)

ইঞ্জিনিয়ারিং শিখার উদ্যোগ ও মাতৃবিয়োগ (১৩৩৯)

সীজের ফুল রচনা (১৩৪০)

বিশ্বাসের বিবর্তন (১৩৪১)

ডাইনামো তৈয়ার (১৩৪১)

ভিখারীর আত্মকাহিনী- তৃতীয় খন্ড

কৃষি বিদ্যা শিক্ষা 

জলঘড়ী তৈয়ার

বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরীর শিক্ষা 

সাইক্লোন

দুর্ভিক্ষ

অধ্যাপক কাজী গোলাম কাদিরের সান্নিধ্যে

লাল গোলা যাতায়াত

ভিখারীর আত্মকাহিনী- পঞ্চম খন্ড

“ক্ষেত্র-ফল” রচনা

স্টেট বাটারা

আদেশাবলী

“সৃষ্টি – রহস্য” রচনা

“সত্যের সন্ধান” এর পান্ডুলিপ

সত্যের সন্ধান প্রকাশ

সন্তান-সন্ততি

ভূসম্পত্তি

দেশ সেবা

খোরাক-পোসাক

জীবন বাণী

“আরজ আলী মাতুব্বর” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒অভিযোগ বা মন্তব্য⇐

 

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x