কামার আলী দরবেশের দরগাতেই আছে এক আশ্চর্য অলৌকিক প্রদীপ। “পীরের কবরের পশ্চিম দিকে মাথার ওপর একটা চৌকোণা লন্ঠন ঝোলানো আছে। লন্ঠনের ভেতরে একটি প্রদীপ বাদাম তেলে ২৪ ঘণ্টা জ্বলে। প্রদীপটির বিশেষত্ব হচ্ছেঃ কোন সাপে কাটা রোগীকে যদি তিন ঘণ্টার মধ্যে এখানে এনে প্রদীপের চারপাশে ৭ পাক ঘোরানো যায়, তাহলে রোগী চার ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত হয়ে ওঠে। বিষাক্ত সাপে কাটার পরে মরে গিয়ে নীল হয়ে গেছে এমন অনেক রোগীও এখানে এসে সেরে উঠেছে বহুবার।“ পরিবর্তন সাপ্তাহিক পত্রিকার ঐ সংখ্যাটিতেই শ্রীবিকাশ এই কথাগুলো লিখেছেন।
মৃতকে বাঁচাতে বিজ্ঞানও যেখানে ব্যর্থ, সেখানে অলৌকিক দরগার অলৌকিক প্রদীপের চারপাশে ৭ বার ঘোরালেই সাপে কাটা মৃতও বেঁচে ওঠে –এটা যে কোনও লোকের কাছেই একটি অসাধারণ খবর। কিন্তু, এখানেও পত্রিকা তার দায়িত্ব সেরেছে একান্তই দায়সারাভাবে। মৃতকে জীবন দেওয়ার একটা বিশাল খবর প্রকাশিত হল, কিন্তু এই নিয়ে আদৌ কোনও অনুসন্ধান চালানো হল না। ওই দরগার কোনও দরবেশ কি বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়ে মারা যাওয়ার পর আবার বেঁচে উঠে তাঁদের দাবির সত্যতা প্রমাণ করতে পারবেন? একজন যুক্তিবাদী হিসেবে আমার চ্যালেঞ্জ রইল, এই ধরনের পরীক্ষায় কোন দরবেশ বা প্রতিবেদক স্বয়ং জিতে গেলে আমি যুক্তিবাদকে বিসর্জন দিয়ে অলৌকিকের পূজারী হব।