৬ মার্চ ২০০৫। বড় বড় রঙিন পোস্টারে বর্ধমান শহর ছয়লাপ। তান্ত্রিক সম্রাট ডা. এন. আলি বারসি আসছেন শহরে। গ্যারান্টি দিয়ে যে কোনও রোগে ভালো করে দেন। জিন, ভূত, পিশাচ ধরলে ছাড়ান। জাদুটোনা, নজরবন্দি থেকে ঝাড়ফুঁকের সাহায্যে ভালো করেন। সন্তান হচ্ছে না? পুরুষত্বহীন? মামলায় জিততে চান? প্যারালাইসিস, মৃগি, পোলিও রুগি—গ্যারান্টি দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হবে।

কয়েকদিন ধরে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় ছাপা প্রচুর হ্যান্ডবিল ছড়ানো হল শহরময়। তান্ত্রিক সম্রাট ডা. বারসি উঠবেন নটরাজ হোটেলে। নামী হোটেল। যুক্তিবাদী সমিতির বর্ধমান শাখা প্রত্যাশা করেছিল, এইসব হিজিবিজি পোস্টার-হ্যান্ডবিল পড়ে বর্ধমানের মানুষ বিষয়টাকে উপেক্ষা করবে। কিন্তু তা আর হল কই ! ১০ মার্চ থেকে দিন যতই গড়াচ্ছে, ভিড় ততই বাড়ছে।

না, এবার আর চুপ করে বসে থাকা যায় না। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সহজ-সরল মানুষগুলোকে প্রতারণা করে যাবে আমাদের চোখের সামনে? পার্টি প্রত্যেককে তান্ত্রিক সম্রাট যে বর্ধমানে জাঁকিয়ে বসেছে, এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। এখানেও সেই চক্র বা ‘সিন্ডিকেট’ কাজ করছে। তাইতেই পোস্টার-হ্যাণ্ডবিলে শহর ছেয়ে দিয়ে হেঁকে ডেকে ডা. বারসি লুটতে নেমেছে। পুলিশের ইনফরমাররা পালা করে নজরদারি করে দিনের আয়ের হদিশ নেবে। সেই আয়ের হিসসা নেবে থানা থেকে পার্টি সবাই। এই দুর্নীতির মিলিজুলি চক্কর আছে বলেই শাসকদল এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে রা-কাটে না।

সঞ্জয় কর্মকার একই সঙ্গে বর্ধমান শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক। সাহসী, তেজদিমাক ও সিনসিয়ার যুবক। ও একটা পরিকল্পনা খাড়া করে কাজে নেমে গেল। কয়েকটা দিন নতুন নতুন ছেলেদের নটরাজ হোটেলের সামনে নজরদারির জন্য রাখা হল। তান্ত্রিক সম্রাটের কাছ থেকে বেরিয়ে আসা লোকেদের চেহারা, বয়স, পোশাক ইত্যাদির বর্ণনা মোবাইলে জানাতে লাগল একটু দূরে থাকা সমিতির একাধিক সদস্যকে। তান্ত্রিক সম্রাটের ও পুলিশের ইনফরমারদের চোখ এড়িয়ে সমিতির ছেলেরা ঠিক আলাপ জমিয়ে নিত। জেনে নিত তান্ত্রিক কী বলেছে, কত টাকা নিয়েছে।

তান্ত্রিকের ‘ফিস’ ৫১ টাকা। এটা শুধু দেখার ও শোনার মূল্য। সমস্যা-সমাধানের মূল্য আলাদা । চারজন দম্পতি জানিয়েছেন—সন্তান হয় না তাই এসেছিলাম। সমিতির সদস্যের উত্তরে তাঁরা জানিয়েছেন ডা. বারসি জানতে চেয়েছিলেন— গায়নোকোলজিস্ট দেখিয়েছি কিনা? ডাক্তার কী বলেছেন—দোষটা বরের নাকি বউয়ের। দু’জন জানিয়েছিলেন বরের দোষ আছে। দু’জন বলেছিলেন, বউয়ের দোষ আছে। যে দু’জন বরের দোষ আছে, বউ দুটি সন্তান ধারণে সক্ষম, তাদের ডা. বারসি বলেছেন, জিন ধরেছে বউটিকে। জিন ছাড়তে হবে। খরচ তিন হাজার টাকা। রাত ১১টায় বউটিকে আসতে হবে হোটেলে। জিন ছাড়াতে ক্রিয়াকরম্ হবে রাতভোর।

যে বউ দুটি সন্তান ধারণে অক্ষম তাদের বরদের ডা. বারসি বলেছেন, আজমির সরিফের দরগায় ১১ হাজার টাকার চাদর বিছাবেন ওই দম্পতির নামে ।

এ যেন সেই বাংলাদেশের হুজুর সাইদাবাদির কাহিনীর প্রতিচ্ছবি। যে মেয়ে সন্তান ধারণে সক্ষম, তাকে রাত-দুপুরে ডেকে পাঠানোর পর আর কী কী হতে পারে, অনুমান করতে অসুবিধা হয় না। এইসব মহিলাদের নেশায় আচ্ছন্ন করে অথবা ব্লু-ফিল্ম দেখিয়ে উত্তেজিত করে তারপর ডা. বরসি বা তার নিজের কোনও লোক মিলিত হয়। পুলিশ বা রাজনীতিকদের নারী ভোগের সুযোগ একটু-আধটু দিলে তো ‘ফেভিকলের জোড়’। অটুট বন্ধন ।

১৩ মার্চ ২০০৫। আকাশ বাংলা চ্যানেলের তরফ থেকে তান্ত্রিক সম্রাটের অলৌকিক চিকিৎসা বিষয়ে একটি সাক্ষৎকার নেন সঞ্জয় কর্মকার। সঞ্জয় সরাসরি তোপ দাগেন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার

প্রাইভেট সেক্রেটারি রেখা খান

বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য যুক্তিবাদী সমিতি ভাবনাচিন্তা করছে বলেও জানান ৷

চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ডা. বারসি ওরফে নৌসাদ আলি

২১ মার্চ ২০০৫। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে আগাম জানিয়ে যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরা নটরাজ হোটেলে হাজির হন। হোটেলের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ডা. এন. আলি বারসি ওরফে নৌসাদ আলি বসে। বয়স পঞ্চাশের আশে-পাশে। পরনে হলদে রঙের সিল্কের পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি। পাশে একটা অষ্টাদশী সুন্দরী। নাম রেখা খান। প্রাইভেট সেক্রেটারির কাজ করেন। যথেষ্ট চালাক-চতুরমেয়ে।

ডা. বারসি ওরফে নৌসাদ আলি ঘাঘু মাল। সেলসম্যানদের মতো মুখে কথার খই ফোটে। যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যদের ও সাংবাদিকদের ক্যামেরা-সহ ঢুকতে দেখে প্রথমটায় কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও অবস্থাটা সামাল দিতে চেষ্টা করল। আমাদের বোঝাতে চেষ্টা করল ও একজন হোমরা-চোমরা মানুষ। প্রমাণ হিসেবে একগাদা ছবি দেখাল। নৌসাদ আলির সঙ্গে ছবিতে কে নেই? অটলবিহারী বাজপেয়ী, চন্দ্রশেখর, মুলায়ম সিং যাদব এমনি অনেক সেলিব্রিটি আছেন।

যুক্তিবাদীরা বড়ই বেয়াড়া। এসবে কিছু হল না। বরং সঞ্জয় কর্মকার বললেন, “আজকালকার যুগে কারও পাশে কারও ছবি বসিয়ে দেওয়া খুব সোজা। দেখলে মনে হবে আসল ছবি।”

সাংবাদিকদের সামনেই ডা. বারসিকে প্রশ্নবাণ ছুড়তে থাকেন যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরা। প্রশ্নগুলোর ধরন—আপনি কি জিন, ভূত বা পিশাচ হাজির করে প্রমাণ করতে পারবেন ওদের অস্তিত্ব ? অথবা এমন কিছু অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ঘটান যাতে আমরা বুঝতে পারি, এইসব ঘটিয়েছে ভূত-জিনেরা? আপনি কি জানেন যুক্তিবাদী সমিতির নাম? আমরা যুক্তিবাদী সমিতির সদস্য। আমাদের সমিতির একটা চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জ মানি কুড়ি লক্ষ টাকা। আপনি যদি একজন পোলিও রুগিকে সুস্থ করে তুলতে পারেন অথবা আমাদের হাজির করা একজন মহিলাকে তন্ত্র-মন্ত্রে গর্ভবতী করতে পারেন, তবে আপনাকে প্রণামী হিসাবে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে ডা. বারসি ওরফে নৌসাদ আলি

সেই সঙ্গে যুক্তিবাদী সমিতি ভেঙে দেওয়া হবে। আপনি কি জানেন আপনার হ্যান্ডবিলে যা লিখেছেন, তা সবই বেআইনি? আপনি যে রোগ সারাচ্ছেন তাবিজ-মন্ত্র-তন্ত্রে, এইসব তাবিজ-মন্ত্র-তন্ত্রের ড্রাগ লাইসেন্স আছে আপনার? ড্রাগ লাইসেন্স না নিয়ে এইসব তন্ত্র-মন্ত্র-তাবিজের জন্য মূল্য নেওয়াটাও বেআইনি। এতে আপনি ‘ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০’ ভঙ্গ করছেন? এরকম অপরাধে কম করে শাস্তি ৫ বছরের জেল। এছাড়াও আপনি ‘ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমিডিজ (অবজেক্শন্যাবল অ্যাডভারটাইজমেন্টস) অ্যাক্ট, ১৯৫৪’ ভঙ্গ করেছেন বিজ্ঞাপন প্রচার করে। এটাও জামিন অযোগ্য অপরাধ, এসব আপনি জানেন?

ছড়িয়ে বসে- ডা. বারসি ওরফে নৌসাদ আলী
ডা. বারসি ও রেখাকে জেরা করছেন পুলিশ

ডা. বারসি যুক্তিবাদী সমিতির ছুড়ে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেও ঘেমে-নেয়ে একশা। কাঁধের বাহারি গামছা দিয়ে ঘন ঘন মুখের ঘাম মুছছেন। সাংবাদিকরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার করে তুললেন। ইতিমধ্যে রেখা খান কাকে যেন ফোন করলেন। কাটাকাটা যে কথা শোনা গেল তাতে কাউকে বলছে, হামলা করছে, দেখুন… কিছু করুন… এক্ষুনি আসুন প্লিজ…

বোঝা যাচ্ছে স্থানীয় কোনও গডফাদারকে ফোন করছেন। কে? পুলিশ? রাজনীতিক? নৌসাদ আলির সঙ্গে ফিসফিস করে কথা হল রেখার। নৌসাদ ২০-২৫ হাজার টাকা দিয়ে রফা করতে চাইল।

সঞ্জয় সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করলেন। বললেন, এক্ষুনি ফোর্স নিয়ে আসুন। ওদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলছেন? এই তো আমরা যুক্তিবাদী সমিতি অভিযোগ করছি। এলে হাতে-হাতে লিখিত অভিযোগ দিয়ে দেব। না, ডা. বারসি ও তার সঙ্গিনীকে ছেড়ে এখন থানায় যেতে পারছি না। আপনারা তো দেখছি ওদের পালাবার ব্যবস্থা করে দিতে উদ্‌গ্রীব। রাগ করলে কী করতে পারি? আপনাদের ব্যবহারে এমনটা মনে করাটাই তো স্বাভাবিক। ওদের অ্যারেস্ট করার জন্য কোনও অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টের প্রয়োজন নেই। কারণ ওরা ‘ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট’ এবং ‘ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমিডিজ অ্যাক্ট’ ভঙ্গ করেছে। কী বললেন? ওই দুটো আইনের নাম শোনেননি? ঠিক আছে, আসুন, আপনাদের হাতে হাতে আইনের কপি দিয়ে দেব। এছাড়া আই পি সি ৪২০ ধারাও লাগাতে পারবেন। পর্নো আইনও ভঙ্গ করেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তো ওদের রুম তল্লাশি করিনি। আপনারা তল্লাশি করলে বেশ কিছু ব্লু-ফিল্ম-এর সিডি পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। ওদের পেশেন্টদের নাম-ঠিকানা দেখে নিশ্চয়ই এমন কিছু দম্পতির হদিশ পাবেন, যাদের মধ্যে মহিলাদের অনেকেই সাক্ষী দেবেন, রাতে ডেকে ওদের ব্লু-ফিল্ম দেখিয়ে উত্তেজিত করা হত। হ্যাঁ, এটা অনুমান। অনেক সাংবাদিকই এখানে হাজির আছেন।

ডা. বারসি ও রেখাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ

না, এত করেও বর্ধমানের পুলিশদের অপরাধী ধরতে আনা যাচ্ছে না দেখে সাংবাদিকরাও থানায় ফোন করতে থাকেন। ইতিমধ্যে সঞ্জয় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। দুটি আইনের কপি ধরিয়ে দিয়ে পুলিশ নিয়ে হাজির হন হোটেল নটরাজে।

হোটেলের ওই রুম থেকে উদ্ধার করা হল কিছু ব্লু-ফিল্মের সিডি। আটক করা হল লোক-ঠকানো ছবিগুলো এবং সেই সঙ্গে ডা. বারসি ওরফে নৌসাদ আলি ও রেখাকে।

এই খবরটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আজও পর্যন্ত এমন কোনও অদ্ভুতুড়ে চিকিৎসক বর্ধমানে পা-রাখার সাহস পায়নি।

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!