হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে ধারাবাহিকভাবে উবায়দা, ইবরাহীম, আ’মাশ, হাফস ইব্‌ন গিয়াছ, উমর ইব্‌ন হাফস ইব্‌ন গিয়াছ ও ইমাম বুখারী বর্ণনা করিয়াছেন যে, হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেনঃ

একদা নবী করীম (সাঃ) আমাকে বলিলেন- ‘আমাকে কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করিয়া শুনাও।’ আমি আরয করিলাম- যাহা আপনার উপর নাযিল হইয়াছে, তাহা আপনাকে তিলাওয়াত করিয়া শুনাইব? নবী করীম (সাঃ) বলিলেন- ‘অপরের মুখে উহা শুনিতে আমার নিকট ভাল লাগে। ‘

ইমাম ইব্‌ন মাজাহ ভিন্ন সিহাহ সিত্তার সকল সংকলকই উক্ত হাদীস উপরোক্ত রাবী আ’মাশ হইতে উক্ত অভিন্ন ঊর্ধ্বতন সনদাংশে এবং বিভিন্ন অধস্তন সনদাংশে বর্ণনা করিয়াছেন। উক্ত হাদীস হযরত আবদুল্লাহ্ (ইব্‌ন মাসউদ) (রাঃ) হইতে বহুসংখ্যক মাধ্যমে বর্ণিত হইয়াছে। উহার আলোচনা দীর্ঘ।

ইতিপূর্বে ইমাম মুসলিম কর্তৃক হযরত আবূ মূসা (রাঃ) হইতে ধারাবাহিকভাবে আবূ বুরদা, তালহা ইব্‌ন ইয়াহিয়া, ইবন তালহা প্রমুখ রাবীর সনদে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখিত হইয়াছে যে, একদা নবী করীম (সাঃ) হযরত আবূ মূসা (রাঃ)-কে বলিলেন- ‘ওহে আবূ মূসা ! গত রাত্রিতে আমি যে মনোযোগ সহকারে তোমার কিরাআত শুনিয়াছি, তাহা যদি তুমি দেখিতে ! হযরত আবূ মূসা (রাঃ) বলিলেন- ‘আল্লাহর কসম ! যদি আমি জানিতে পারিতাম যে, আপনি আমার কিরাআত মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিতেছেন, তবে আমি উহা আপনার জন্যে যথাসম্ভব অধিক মধুর ও আকর্ষণীয় বানাইতাম।’ আবূ সালামা হইতে যুহরী বর্ণনা করিয়াছেনঃ হযরত উমর (রাঃ) হযরত আবূ মূসা (রাঃ)-কে দেখিলে বলিতেন- ‘হে আবূ মূসা ! আমাদিগকে আমাদের প্রতিপালক প্রভুকে স্মরণ করাইয়া দিন।’ ইহাতে হযরত আবূ মূসা (রাঃ) তাঁহাকে কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করিয়া শুনাইতেন। আবূ উসমান নাহদী বলেন- হযরত আবূ মূসা (রাঃ) নামাযে আমাদের ইমামতী করিতেন। যদি আমি বলি যে, আমি কোনদিন তাহার কণ্ঠস্বর অপেক্ষা অধিকতর মধুর কোন সেতার বা সারিন্দা অথবা অন্য কোন বাদ্যযন্ত্রের সুর শ্রবণ করি নাই (তাহা সত্যের অপলাপ হইবে না।)

error: Content is protected !!