উচ্চশ্রেণীর হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের এক বৃহৎ অংশের কাছে অধ্যাত্মবাদের শেষ কথা ঋষি অরবিন্দ’। ঋষি অরবিন্দের লেখা ‘লাইফ ডিভাইন’ আজও বহু বুদ্ধিজীবী ও ভাববাদী দার্শনিকদের কাছে এক বিরাট ধোঁয়াশা, এক বিরাট রহস্য। আর শ্রীঅরবিন্দের যোগ যে ‘রাজযোগ’, বৈদান্তিক জ্ঞানযোগ’ ও ‘তান্ত্রিক যোগ’ –এর চেয়ে অনেক উচ্চমানের, সেকথা শ্রীঅরবিন্দ নিজেই লিখে গেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘SRI AUROBINDO ON HIMSELF’ গ্রন্থে। গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ ‘নিজের কথা’র (প্রকাশকঃ শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম, পন্ডিচেরি) ১৯৯০ সালের সংস্করণের ১১২-১১৩ পৃষ্ঠায় চোখ বোলালেই সে লেখা দেখতে পাবেন। ‘নিজের কথা’র ১১৮ পৃষ্ঠায় শ্রীঅরবিন্দ তাঁর অতিমানস অবস্থার সঙ্গে অন্যান্য কিছু আধ্যাত্মিক নেতাদের তুলনা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ “দিব্য চেতনার যেমন বিভিন্ন পর্যায় আছে। রূপান্তরের ও তেমনি বিভিন্ন পর্যায় আছে। প্রথম হল চৈত্য রূপান্তর, যাতে ব্যক্তিগত রূপান্তর, যাতে বিশ্বচেতনার মধ্যে সত্তা ভগবানে মিলিত হয়ে যায়। তৃতীয় হল অতিমানস রূপান্তর, যাতে সব কিছুই দিব্য বিজ্ঞানময় চেতনাতে অতিমানসগত হয়ে যায়। এতেই হবে মন প্রাণ দেহের পূর্ণ রূপান্তর শুরু- আমার মতে তাই পূর্ণ রূপান্তর। … কৃষ্ণের মন ছিল অধিমানসগত, রামকৃষ্ণের ছিল বোধিগত, চৈতন্যের ছিল চৈত্য-আত্মগত, বুদ্ধের ছিল উচ্চ মানসিক দীপ্তিগত। বিজয় গোস্বামীর সম্বন্ধে আমি জানি না- সম্ভবত সমুজ্জ্বল কিন্তু অনির্দিষ্ট। সবগুলিই অতিমানস থেকে স্বতন্ত্র।“

(আমি তো আগাপাশতলা বুঝিনি, আপনারা যাতে নিজেরা চেষ্টা করতে পারেন, তাই হুবহু তুলে দিলাম।)

শ্রীঅরবিন্দের এই অতিমানস যোগের ফল কি? বহু উদাহরণ এ নিয়ে হাজির করা যায় গ্রন্থটি থেকে। আমরা এখানে শুধু একটি উদাহরণ টানছি। আমরা এবার শ্রীঅরবিন্দের আত্মজীবনী ‘নিজের কথা’র ৩৭-৩৮ পৃষ্ঠা থেকে সামান্য অংশ তুলে দিয়ে কৌতূহল মেটাব। তার আগে উদ্ধৃতিটি বোঝার সুবিধের জন্য একটা কথা জানিয়ে দেওয়া জরুরি। গ্রন্থটির প্রস্তাবনার শেষ পংক্তিতে লেখা আছে- শ্রীঅরবিন্দ নিজের সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে সরাসরি “আমি” না বলে তৃতীয় ব্যক্তিরূপে বা উত্তমপুরুষে (Third person) “তিনি” বা নিজের নাম “শ্রীঅরবিন্দ” দিয়ে লিখেছেন। সে ভাবেই বইটি মুদ্রিত হয়েছে, যদিও কথাগুলো শ্রীঅরবিন্দের নিজেরই লেখা।

শ্রীঅরবিন্দ লিখেছেন, “যখন সকলেই মনে করছে যে এবার ইংলন্ডের পতন আসন্ন ও হিটলারের জয় অবশ্যম্ভাবী, তখন হঠাৎ দেখা গেক যে জার্মান বিজয়লাভের গতি থেকে গেছে, যুদ্ধের ফললাভ বিপরীত দিকে মোড় নিয়েছে। এ’কাজটি তিনি করেছিলেন কারণ তিনি দেখলেন যে হিটলারের পশ্চাতে রয়েছে মারাত্মক সব আসুরিক শক্তি, সুতরাং তাদের জয় হওয়া  মানেই জগতের মানুষকে অশুভ শক্তির অত্যাচারের দাস হয়ে থাকতে বাধ্য করা,” … “শ্রীঅরবিন্দ আতায়ীদের বিরুদ্ধে আপন অধ্যাত্ম শক্তি প্রয়োগ করতে থাকলেন, তাতে দেখলেন যে এতদিন পর্যন্ত জাপানীরা যে দ্রুত জয়ের পর জয়লাভ করেছিল তা থেমে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু উল্টে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের চর্ম ও মারাত্মক পরাজয় ঘটল।“

অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বমহাযুদ্ধে হিটলারের অবশ্যম্ভাবী জয়কে পরাজয়ে রূপান্তরিত করেছিলেন শ্রীঅরবিন্দ। জাপানের জয়যাত্রাকে থামিয়ে চরম পরাজয় ঘটিয়ে ছিলেন শ্রীঅরবিন্দ। এ’সবই ছিল অরবিন্দের অতিমানস শক্তি, অধ্যাত্মশক্তির করিশমা। মূর্খ যুদ্ধবিশারদ ও ঐতিহাসিকরা চরম অজ্ঞতার জন্যই জার্মান ও জাপানের পরাজয়ের জন্য নানা লৌকিক কারণ হাজির করে থাকেন।

বড় বিস্ময় জাগে, যখন দেখি বিশ্বত্রাস সেনাশক্তিকে যিনি অধ্যাত্মশক্তির সাহায্যে মারাত্মকভাবে পরাজিত করতে পারেন ও করেন, তিনি জার্মান, জাপানের তুলনায় হীনবল ব্রিটিশ শক্তিকে পরাজিত করে কেন ভারতের স্বাধীনতা এনে দিলেন না? অথচ বাস্তবিকই তাঁর দাবি মত আধ্যাত্মিক শক্তি থাকলে ভারতকে পরাধীনতা মুক্ত করতে সেই শক্তিকে প্রয়োগ করাই ছিল তাঁর মত এক ‘স্বাধীনতা যোদ্ধা’ ‘দেশভক্তের’ পক্ষে স্বাভাবিক। কেন তিনি এমন অসার দাবি করলেন? তবে কি তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটেছিল, জেলে থাকাকালীন অলীক-দর্শনের মধ্য দিয়ে যার সূচনা? না কি সমস্ত দাবিই ছিল নেহাতই সাদা-সাপটা মিথ্যাচারিতা?

‘অতুলনীয়’ ও ‘অনন্য’ এই আধ্যাত্মিক নেতা গ্রন্থটির ৮৮ পৃষ্ঠায় ঘোষণা করেছেন, “আমি আর মাথা বা মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করি না- মাথার উপরদিকে যে উদার বিশালতা রয়েছে সেখান থেকেই চিন্তাগুলো আসে।“

এমন বক্তব্য পড়ে আক্ষরিক অর্থেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক মনোরোগ চিকিৎসক ম্নতব্য করেছিলেন, “এযুগে এমন কথা কোনও শিক্ষিত মানুষ বললে যে কোনও চিকিৎসকই তার মানসিক সুস্থতা বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতেন।“

ঐ গ্রন্থের ২৭৪ পৃষ্ঠায় একটি প্রশ্ন আমরা দেখি, “বেশি পড়াশোনা করলেই মাথা টনটন করে … পড়তে পড়তে কিন্তু তা মনে রাখতে চেষ্টা করলে মনে হয় যেন বুকের মধ্যে কাজ হচ্ছে, মাথার মধ্যে নয়, তবু মাথাতেই কষ্ট হয় কেন?”

উত্তরে শ্রীঅরবিন্দ জানাচ্ছেন, মন দুরকম ! একটা ‘প্রাণগত মন’, ‘যে মন আছে বুকের মধ্যে। কিন্তু পড়া ও স্মরণ রাখা দৈহিক মনের কাজ। তবে মস্তিষ্কই এসব কাজের পরিচালনা করে, সুতরাং কিছু কষ্ট হলে সেখানেই তা হবে। মস্তিষ্কের পক্ষে সবচেয়ে আরামের কাজ হবে, চিন্তা এলে যদি দেহ ছেড়ে মাথার উপর থেকে তা করা যায় (আকাশ থেকে বা দেহের বাইরে অন্য স্তর থেকে)। অন্তত পক্ষে আমি যাই করতাম, তাতে বেশ আরাম পেতাম।“

ব্রাকেটের মধ্যে “আকাশ থেকে…” বলে যে বাক্যটি লেখা আছে, তা আমার কোনও টীকা-টিপ্পনী নয়, শ্রীঅরবিন্দ লিখিত। যাই হোক আমরা শ্রীঅরবিন্দের কাছ থেকে জানতে পারলাম একঃ মন দুরকম? দুইঃ একটি মন থাকে বুকে। তাই পড়তে থাকলে মনে হয় বুকের মধ্যে কাজ হচ্ছে !! তিনঃ মাথাব্যথা হবে না যদি মস্তিষ্ক থেকে চিন্তা না করে আকাশ থেকে করা যায় !!! বাঃ, বা-হঃ বা-হাঃ !!!!

সত্যিই, অধ্যাত্মবাদ এমন চমকপ্রদ বিস্ময়করবাদ বলেই বোধহয় অনেকে বলে থাকেন, “যেখানে বিজ্ঞানের শেষ, সেখানেই অধ্যাত্মবাদের শুরু”। বাস্তবিকই কথাটা বড় খাঁটি। যেখানে বিজ্ঞানের শেষ, অর্থাৎ বিজ্ঞান অনুপস্থিত, অজ্ঞানতার অন্ধকারের শুরু, সেখান থেকেই আরম্ভ হয় অধ্যাত্মবাদের জয়যাত্রা।

শ্রীঅরবিন্দ প্রসঙ্গে একটা ঘটনার উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক হবে না, বরং আকর্ষণীয় হতে পারে বিবেচনায় এখানে তুলে দিচ্ছি।

১৯৩৮ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও যুক্তিবাদী শ্রীমেঘনাদ সাহা (‘ডক্টর’ কথাটা মেঘনাদ সাহার নামের আগে ব্যবহারে বা না ব্যবহারে শ্রীসাহার অনন্যতার সামান্যতম হের-ফের হবে না বিবেচনায় এবং বহু ‘ডক্টর’দের ভিড় থেকে আলাদা করতে তাঁকে ‘ডক্টর’হীন রাখলাম) শান্তিনিকেতনে একটি বক্তৃতা দেন। শিরোনাম ছিল, “একটি নূতন জীবনদর্শন”। সেখানে তিনি সুন্দর সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে অধ্যাত্মবাদের অপ্রয়োজনীয়তা, নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতাটি ঐ বছরই বিশ্বভারতী নিউজে প্রকাশিত হয়। তারপর বক্তৃতাটি বেশ কয়েকটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। এরই সূত্র ধরে সেই সময়কার বিখ্যাত পত্রিকা ‘ভারতবর্ষ’-এর বৈশাখ ১৩৪৬ সংখ্যায় পন্ডিচেরির শ্রীঅনিলবরণ রায় শ্রীমেঘনাদ সাহার বস্তুতান্ত্রিক যুক্তিবাদী ও অধ্যাত্মবাদ বিরোধী মনোভাবকে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে এক দীর্ঘ সমালোচনা লেখেন। সেখানে স্বভাবতই গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে পন্ডিচেরি আশ্রমের প্রাণপুরুষ শ্রীঅরবিন্দের ‘মহামূল্যবান’ গ্রন্থ ও মতের কথা, আধ্যাত্মিক চর্চার সঙ্গে বিজ্ঞান চর্চার প্রাসঙ্গিকতার কথা। ততোধিক দীর্ঘ এক উত্তর দেন শ্রীমেঘনাদ সাহা।

 জৈষ্ঠ ও আষাঢ় সংখ্যা ভারতবর্ষে শ্রীসাহার ঐ ‘প্রতিবাদ-প্রবন্ধ’ প্রকাশিত হতে বিতর্ক আরও প্রসারিত হয়। চৈত্র সংখ্যায় শ্রীমোহিনীমোহন দত্ত, বি.এ. শ্রীসাহার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এবং শ্রীঅনিলবরণ রায়কে সমর্থন জানিয়ে এক দীর্ঘ সমালোচনা লেখেন। সেখানেও অনিবার্যভাবেই এসে পড়েছে শ্রীঅরবিন্দ ও তাঁর দর্শন প্রসঙ্গ। বহু বছর পর ‘মেঘনাদ রচনা সংকলন ‘- এর সম্পাদক শান্তিময় চট্টোপাধ্যায়কে অনিলবরণ রায় একটি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, “মোহিনীমোহনের নাম দিয়ে আমি ঐ উত্তরটি লিক্ষিয়েছিলাম, যাহাতে বাদানুবাদ করিয়া ডঃ সাহার সহিত Personal bitterness না হয়”। ঐ চৈত্র সংখ্যার ভারতবর্ষতেই শ্রীমেঘনাদ সাহার ‘উত্তর-নিবন্ধ’ প্রকাশিত হয়েছিল। উত্তর নিবন্ধ থেকে একটিমাত্র অনুচ্ছেদ এখানে তুলে দিচ্ছি।

“সমালোচক দুই-একজন পরলোকে বিশ্বাসবান বৈজ্ঞানিকের নাম করিয়াছেন, যেমন Sir William Crookes ও Sir Oliver lodge। ক্রুকস এককালে Psychical Society-র সদস্য ও সভাপতি ছিলেন। তিনি বহু Psychical experience সম্বন্ধে নানাবিধ গবেষণা করিতেন এবং বলা বাহুল্য, এই সব গবেষণামূলক বৃত্তান্ত সম্পূর্ণ লিখিয়া রাখিতেন। তিনি একজন কৃতী বৈজ্ঞানিক এবং বিশ্ববিখ্যাত Royal Society-র সভাপতি পর্যন্ত হইয়াছিলেন। সুতরাং ইহা আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, অধ্যাত্মবাদিগণ দাবী করিবেন যে তাঁহারা খুব একটি “বড় কাৎলা” কে বড়শীতে গাঁথিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। কিন্তু Crookes-কে যে সমস্ত অধ্যাত্মবাদী নিজেদের দলভুক্ত বলিয়া প্রচার করেন, তাঁহারা খুব সততার পরিচয় দেন না, কারণ তাঁহারা Crookes-এর অধ্যাত্মবিদ্যা চর্চার ইতিহাস পরবর্তীকালে জানাইতে ভুলিয়া যান। Crookes একদিন অধ্যাত্মবিদ্যা বিষয়ক তাঁহার যাবতীয় গবেষণা ও অভিজ্ঞতার কাগজপত্র অগ্নিসাৎ করেন এবং যতদিন বাঁচিয়াছিলেন ততদিন এই সম্বন্ধে কোন কথাই মুখে আনিতেন না। লোকে কল্পনা-জল্পনা করে- “He was the victim of some confidence trick.” বিলাতের ওয়াকীবহাল মহলে জনশ্রুতি এই যে, Sir Oliver Lodge “ভূতুরে” (Spiritualist) হওয়ার পর তিনি খাঁটি বৈজ্ঞানিক মহলে অনেকটা প্রতিপত্তি হারাইয়াছেন। তিনি প্রায় অর্ধশতাব্দী পূর্বে কিছু গবেষণা করিয়াছিলেন, কিন্তু তৎপরে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে কিছু দান করেন নাই, “ভূতুরে বিজ্ঞানে” কি দান করিয়াছেন, তাহা আমার জানা নাই।“

ভিড় করে আসা প্রশ্নমালার ঝাঁপি এ’বার আমরা বন্ধ করব, তার আগে এটুকু আরও একবার মনে করিয়ে দেব- কোনও বিখ্যাত ব্যক্তি ভূতে বিশ্বাস করলে, কোনও বিখ্যাত বিজ্ঞানী জ্যোতিষে বিশ্বাস করলে, তার দ্বারা ভূত বা জ্যোতিষ শাস্ত্রের সারবত্তা আদৌ প্রমাণিত হয় না। শুধু এইটুকুই প্রমাণিত হয়- অমুক বিখ্যাত ব্যক্তি প্রমাণ ছাড়াই দিব্যি ভূতে বিশ্বাস করেন, আর তমুক বিখ্যাত বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের আবশ্যিক শর্ত, প্রমাণ’কে অগ্রাহ্য করে আকাট অজ্ঞানীর মতই জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন, কিংবা টেলেপ্যাথিতে ; বিজ্ঞানের দরবারে কারও ব্যক্তি-বিশ্বাসের এক কানাকড়িও দাম নেই, সে ব্যক্তিটি যত নামী-দামীই হোন না কেন। দাম নেই কোনও গ্রন্থে ছাপার অক্ষরে কি প্রকাশিত হল এবং কত মানুষ তাতে বিশ্বাস স্থাপন করল, তার উপর। সংখ্যাধিক্যের মতকে গ্রহণ করতে হলে আজও আমাদের পৃথিবীর চারপাশে সূর্য পাক খেয়ে বেড়াত। বিজ্ঞান সিদ্ধান্তে পৌঁছোয় পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পথ ধরে ; এর কোনও বিকল্প নেই।

ঝাঁপি বন্ধের প্রাক্কালে যে কথাগুলো লিখলাম, সেগুলো নতুন কোনও কথা নয়। অনেক ব্যক্তি, অনেক সংগঠন অনেক বিজ্ঞান মনস্ক-সমাজমনস্ক বলে চিহ্নিত পত্রিকা এ-জাতীয় কথা নানাভাবে প্রচার করে আসছেন। কিন্তু মজাটা হল এই যারা এ’জাতীয় কথা বলেছেন, প্রচার করেছেন, তাঁরা অনেকেই প্রগতিশীল সাজতে এ’জাতীয় কথা বললে বা লিখলেও কাজে মানেন না। অত্যন্ত শঙ্কা ও দুঃখের সঙ্গেই এ’কথা বলতে হচ্ছে- কাজে মানেন না।

error: Content is protected !!