শ্লোকঃ ১৩
ওঁ ইত্যেকাক্ষরং ব্রহ্ম ব্যাহরন্মামনুস্মরন্ ।
যঃ প্রয়াতি ত্যজন দেহং স যাতি পরমাং গতিম্ ॥ ১৩ ৷৷
ও—ওঙ্কার; ইতি—এই; একাক্ষরম্—এক অক্ষর, ব্রহ্ম — ব্রহ্ম; বাহরণ – উচ্চারণ করতে করতে; মাম্ আমাকে (কৃষ্ণকে); অনুস্মরণ — স্মরণ করে; যঃ – যিনি; প্রয়াতি – প্রয়াণ করেন, তাজন্ — ত্যাগ করে, দেহম্― দেহ; সঃ – তিনি; যাতি— প্রাপ্ত হন; পরমাম্—পরম গতিম্—গতি। অহম্ — আমি; সুলভঃ – সুখলতা, পার্থ – হে পৃথাপুত্র; নিতা — নিতা; যুক্তস্য—যুক্ত; যোগিনঃ—ভক্তযোগীর পক্ষে।
গীতার গান
ওঙ্কার অক্ষর ব্রহ্ম, উচ্চারণে সেই ব্রহ্ম,
আমাকে স্মরণ করে যেই ॥
সে যায় শরীর ছাড়ি, বৈকুণ্ঠবিহারী হরি,
সমান লোকেতে হয় বাস ৷
সেই সে পরমা গতি, শ্রীহরি চরণে রতি,
ধন্য তার পরমার্থ আশ ॥
অনুবাদঃ যোগাভ্যাসে প্রবৃত্ত হয়ে পবিত্র ওঙ্কার উচ্চারণ করতে করতে কেউ যদি পরমেশ্বর ভগবানকে স্মরণ করে দেহত্যাগ করেন, তিনি অবশ্যই পরমা গতি লাভ করবেন।
তাৎপর্যঃ এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, একার, ব্রহ্ম ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অভিন্ন। ওঁ হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্বিশেষ শব্দব্রহ্ম, কিন্তু হরে কৃষ্ণ নামেও ওঁ নিহিত আছে। এই যুগে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন স্পষ্টভাবে অনুমোদিত হয়েছে। তাই কেউ যদি জীবনের অন্তিমকালে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে—এই মহামন্ত্র কীর্তন করতে করতে দেহত্যাগ করেন, তা হলে নিঃসন্দেহে তিনি স্বীয় গুণবৈশিষ্ট্য অনুসারে যে কোন একটি চিন্ময় লোকে পৌঁছবেন। কৃষ্ণভক্তেরা কৃষ্ণলোক বা গোলোক বৃন্দাবনে প্রবেশ করেন। সবিশেষবাদীরা বৈকুণ্ঠলোক নামক পরব্যোমের অসংখ্য গ্রহলোকেও প্রবিষ্ট হন, আর নির্বিশেষবাদীরা ব্রহ্মজ্যোতিতে স্থিত হন।
শ্লোকঃ ১৪
অনন্যচেতাঃ সততং যো মাং স্মরতি নিত্যশঃ ।
তস্যাহং সুলভঃ পার্থ নিত্যযুক্তস্য যোগিনঃ ॥ ১৪ ॥
অনন্যচেতাঃ- একাগ্রচিত্তে; সততম্ — নিরন্তর : যঃ- যিনি : নাম— আমাকে (শ্রীকৃষ্ণকে), স্মরতি স্মরণ করেন, নিত্যশঃ– নিয়মিতভাবে; তস্য— তাঁর কাছে; অহম- আমি; সুলভ- সুখলভ্য; পার্থ- হে পৃথাপুত্র; নিত্য- নিত্য; যুক্তস্য- যুক্ত; যোগিনঃ- ভক্তযোগীর পক্ষে।
গীতার গান
যে যোগী অনন্য চিত্ত, আমাকে স্মরয় নিত্য
দৃঢ়তার সহ অবিরাম।
তাহার সুলভ আমি, হে পার্থ জানহ তুমি,
নিত্য যোগে তাহার বিশ্রাম।।
অনুবাদঃ হে পার্থ! যিনি একাগ্রচিত্তে কেবল আমাকেই নিরন্তর স্মরণ করেন, আমি সেই নিত্যযুক্ত ভক্তযোগীর কাছে সুলভ হই।
তাৎপর্যঃ ভক্তিযোগের মাধ্যমে পরম পুরুষোত্তম ভগবানের সেবায় নিয়োজিত থেকে শুদ্ধ ভক্তগণ যে চরম লক্ষ্যে উপনীত হতে পারেন, তা বিশেষভাবে এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে। পূর্ববর্তী শ্লোকগুলিতে আর্ত (দুর্দশাগ্রস্ত), অর্থার্থী (জড়-জাগতিক ভোগসন্ধানী), জিজ্ঞাসু ( জ্ঞান লাভে আগ্রহী) ও জ্ঞানী (চিন্তাশীল দার্শনিক) – এই চার রকম ভক্তদের কথা বলা হয়েছে। জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্ত হবার বিভিন্ন পন্থা—কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও হঠযোগের বর্ণনা করা হয়েছে। এই সমস্ত যোগপদ্ধতিতে কিছুটা ভক্তিভাব মিশ্রিত থাকে, কিন্তু এই শ্লোকটিতে জ্ঞান, কর্ম কিংবা হঠযোগের কোনও রকম সংমিশ্রণ ছাড়াই বিশেষ করে বিশুদ্ধ ভক্তিযোগের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। অনন্যচেতাঃ শব্দটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, শুদ্ধ ভক্তিযোগে ভক্ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ছাড়া আর কিছুই চান না। শুদ্ধ ভক্ত স্বর্গারোহণ, ব্রহ্মজ্যোতিতে বিলীন হওয়া, অথবা ভব-বন্ধন থেকে মুক্তিও কামনা করেন না। শুদ্ধ ভক্ত কোন কিছুই অভিলাষ করেন না। শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত গ্রন্থে শুদ্ধ ভক্তকে বলা হয়েছে ‘নিষ্কাম’, অর্থাৎ তাঁর নিজের স্বার্থের জন্য কোন বাসনা থাকে না। তিনিই কেবল পূর্ণ শান্তি লাভ করতে পারেন, যারা সর্বদা স্বার্থসিদ্ধির প্রচেষ্টা করে, তারা কখনই সেই শান্তি লাভ করতে পারে না। জ্ঞানযোগী, কর্মযোগী অথবা হঠযোগীর প্রত্যেকের নিজ নিজ বাসনা থাকে, কিন্তু শুদ্ধ ভক্তের কেবল পরম পুরুষোত্তম ভগবানের প্রসন্ন বিধান করা ছাড়া অন্য কোন বাসনা থাকে না। তাই ভগবান বলেছেন যে, তাঁর অনন্য ভক্তের কাছে তিনি সুলভ।
শুদ্ধ ভক্তমাত্রই সদাসর্বদা শ্রীকৃষ্ণের কোনও একটি অপ্রাকৃত রূপের মাধ্যমে তাঁর ভক্তিযুক্ত সেবায় নিয়োজিত থাকেন। শ্রীরামচন্দ্র ও শ্রীনৃসিংহদেবের মতো শ্রীকৃষ্ণের বিবিধ অংশ-প্রকাশ ও অবতার আছেন এবং কোন ভক্ত পরমেশ্বর ভগবানের এই সব অপ্রাকৃত রূপের যে কোনও একটির প্রতি প্রেমভক্তি সহকারে মনোনিবেশের জন্য বেছে নিতে পারেন। এই প্রকার ভক্তের অন্যান্য যোগ ‘অনুশীলনকারীদের মতো বিভিন্ন প্রতিবন্ধকের সম্মুখীন হতে হয় না। ভক্তিযোগ অত্যন্ত সরল, শুদ্ধ ও সহজসাধ্য। কেবল হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মাধ্যমে যে কেউই এই যোগসাধনা শুরু করতে পারে। ভগবান সকলেরই প্রতি ক্যাম্পাময়, তবে পূর্ববর্ণিত আলোচনা অনুযায়ী, যাঁরা অননাচিত্তে ভক্তি সহকারে তাঁর সেবা করেন, তাদের প্রতি তিনি বিশেষভাবে অনুরক্ত। এই প্রকার ভক্তকে তিনি সর্বতোভাবে সাহায্য করেন। বেদে (কঠ উপনিষদ্ ১/২/২৩) বলা হয়েছে, যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তস্যৈষ আত্মা বিবৃতে তনুং স্বাম- পরমেশ্বর ভগবানের প্রতি আত্মসমর্পণ করে যিনি নিরন্তর তাঁর প্রেমভক্তিতে নিয়োজিত রয়েছেন, তিনি পরমেশ্বর ভগবানের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারেন। ভগবদ্গীতাতেও (১০/১০) বলা হয়েছে, দদামি বুদ্ধিযোগং তম্—এই ধরনের ভক্তকে ভগবান পর্যাপ্ত বুদ্ধি দান করেন যাতে তিনি তাঁকে সম্পূর্ণরূপে অবগত হয়ে তাঁর চিন্ময় ধামে প্রবেশ করতে পারেন।
শুদ্ধ ভক্তের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে যে, তিনি স্থান-কাল বিবেচনা না করে অবিচলিতভাবে সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের চিন্তা করেন। তাঁর কাছে কোন বাধাবিঘ্ন আসতে পারে না। তিনি যে কোন অবস্থায়, যে কোন সময়ে ভগবৎ-সেবা করতে পারেন। কেউ কেউ বলেন যে, শ্রীবৃন্দাবনের মতো ধামে অথবা ভগবানের লীলা-ভূমিতেই কেবল ভক্তদের বাস করা উচিত। কিন্তু শুদ্ধ ভক্ত যে কোন জায়গায় থাকতে পারেন এবং তিনি সেই স্থানটি তাঁর শুদ্ধ ভগবদ্ভক্তির প্রভাবেই শ্রীবৃন্দাবনের মতো পবিত্র পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে শীতাদ্বৈত আচার্য বলেছিলেন, “হে প্রভু! তুমি যেখানেই থাক না কেন, সেই স্থানই শ্রীবৃন্দাবন।”
সততম ও নিত্যশঃ কথা দুটির দ্বারা বোঝানো হচ্ছে যে, ‘সদাসর্বদা’, ‘নিয়মিতভাবে’ অথবা ‘প্রতিদিন’ শুদ্ধ ভক্ত সর্বক্ষণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করেন এবং তাঁর শ্রীচরণারবিন্দের ধ্যান করেন। এই সবই হচ্ছে শুদ্ধ ভক্তের গুণ এবং এই অনন্য ভক্তির ফলেই ভগবান তাঁদের কাছে এত সুলভ। গীতায় ভক্তিযোগকে শ্রেষ্ঠ যোগ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সাধারণত, ভক্তিযোগী পাঁচ প্রকারে ভগবানের সেবায় নিয়োজিত থাকেন— ১) শান্ত-ভক্ত—নিরপেক্ষ উদাসীনভাবে ভগবানের সেবা করেন; ২) দাস্য ভক্ত— দাস্যভাবে ভগবানের সেবা করেন; ৩) সখ্য ভক্ত- ভগবানের সখারূপে সেবা করেন, ৪) বাৎসল্য ভক্ত — পিতা অথবা মাতারূপে ভগবানের সেবা করেন এবং ৫) মাধুর্য-ভক্ত—ভগবানের প্রেয়সীরূপে তার সেবা করেন। এর যে কোন একটিকে অবলম্বন করে শুদ্ধ ভক্ত ভগবৎ সেবায় অনুক্ষণ নিয়োজিত থাকেন এবং পরমেশ্বর ভগবানকে কখনই ভুলতে পারেন না, আর সেই কারণেই ভগবান তাঁর কাছে সুলভ। শুদ্ধ ভক্ত এক মুহূর্তের জন্যও পরমেশ্বর ভগবানকে ভুলে থাকতে পারেন না, আর তেমনই ভগবানও তাঁর শুদ্ধ ভক্তকে এক মুহুর্তের জন্যও ভুলে থাকতে পারেন না। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে – এই মহামন্ত্র কীর্তন করার ফলে অনায়াসে কৃষ্ণভাবনাময় পদ্ধতির মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অশেষ কৃপা লাভ করা যায়।
শ্লোকঃ ১৫
মামুপেত্য পুনর্জন্ম দুঃখালয়মশাশ্বতম্ ।
নাপ্নুবন্তি মহাত্মানঃ সংসিদ্ধিং পরমাং গতাঃ ॥ ১৫ ॥
মাম্—আমাকে; উপেতা লাভ করে; পুনঃ পুনরায় জন্ম জন্ম, দুঃখালয়ম- দুঃখালয়; অশাশ্বতম্—অনিত্য; ন — না: আপ্লুবন্তি — প্রাপ্ত হন; মহাত্মানঃ মহাত্মাগণঃ সংসিদ্ধিম্ — সিদ্ধি; পরমাম্ পরম; গতাঃ —প্রাপ্ত হয়েছেন।
গীতার গান
আমাকে লাভ করে সে মহাত্মা হয় ।
নহে তার পুনর্জন্ম যেথা দুঃখালয় ॥
অশাশ্বত সংসারেতে নহে তার স্থিতি ।
পরমা গতিতে তার সিদ্ধ অবস্থিতি ॥
অনুবাদঃ মহাত্মা, ভক্তিপরায়ণ যোগীগণ আমাকে লাভ করে আর এই দুঃখপূর্ণ নগর সংসারে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেন না, কেন না তাঁরা পরম সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছেন।
তাৎপর্যঃ যেহেতু এই অনিত্য জড় জগৎ জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধিরূপ কেশের দ্বারা জর্জরিত, স্বভাবতই যিনি পরমার্থ সাধন করে কৃষ্ণ লোক বা গোলোক বৃন্দাবনে পরম গতি লাভ করেন, তিনি কখনই এই জগতে ফিরে আসতে চান না। পরম ধামের বর্ণনা করে বৈদিক শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, তা হচ্ছে অব্যক্ত, অক্ষর ও পরমা গতি: অর্থাৎ, সেই গ্রহলোক আমাদের জড় দৃষ্টির অতীত এবং যা বর্ণনারও অতীত, কিন্তু তাই। হচ্ছে মহাত্মাদের জীবনের পরম লক্ষ্য। মহারারা আত্ম-উপলব্ধি প্রাপ্ত ভগবদ্ভতের কাছ থেকে ভগবৎ-তত্ত্ব আহরণ করেন এবং ক্রমশ কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে তাঁদের ভগবদ্ভক্তির উন্নতি সাধন করেন। এভাবেই তাঁরা ভগবৎ-সেবায় এত তন্ময় থাকেন যে, কোনও উচ্চলোকে অথবা পরবোমে উত্তীর্ণ হবার কোন রকম বাসনাও তাঁদের থাকে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য বাতীত তাঁরা আর কিছুই কামনা করেন না। সেটিই হচ্ছে জীবনের পরম সার্থকতা। এই শ্লোকটিতে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সবিশেষবাদী ভক্তদের কথাই গুরুত্ব সহকারে উল্লিখিত হয়েছে। এই সমস্ত ভক্তেরা কৃষ্ণভাবনার মাধ্যমে জীবনের পরম সিদ্ধি লাভ করেন। পক্ষান্তরে, তারা হচ্ছেন মহাত্মা।
তাৎপর্যঃ যেহেতু এই অনিত্য জড় জগৎ জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধিরূপ কেশের দ্বারা জর্জরিত, স্বভাবতই যিনি পরমার্থ সাধন করে কৃষ্ণ লোক বা গোলোক বৃন্দাবনে পরম গতি লাভ করেন, তিনি কখনই এই জগতে ফিরে আসতে চান না। পরম ধামের বর্ণনা করে বৈদিক শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, তা হচ্ছে অব্যক্ত, অক্ষর ও পরমা গতি: অর্থাৎ, সেই গ্রহলোক আমাদের জড় দৃষ্টির অতীত এবং যা বর্ণনারও অতীত, কিন্তু তাই। হচ্ছে মহাত্মাদের জীবনের পরম লক্ষ্য। মহারারা আত্ম-উপলব্ধি প্রাপ্ত ভগবদ্ভতের কাছ থেকে ভগবৎ-তত্ত্ব আহরণ করেন এবং ক্রমশ কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে তাঁদের ভগবদ্ভক্তির উন্নতি সাধন করেন। এভাবেই তাঁরা ভগবৎ-সেবায় এত তন্ময় থাকেন যে, কোনও উচ্চলোকে অথবা পরবোমে উত্তীর্ণ হবার কোন রকম বাসনাও তাঁদের থাকে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য বাতীত তাঁরা আর কিছুই কামনা করেন না। সেটিই হচ্ছে জীবনের পরম সার্থকতা। এই শ্লোকটিতে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সবিশেষবাদী ভক্তদের কথাই গুরুত্ব সহকারে উল্লিখিত হয়েছে। এই সমস্ত ভক্তেরা কৃষ্ণভাবনার মাধ্যমে জীবনের পরম সিদ্ধি লাভ করেন। পক্ষান্তরে, তারা হচ্ছেন মহাত্মা।