০০২. সূরাঃ বাকারাহ

আয়াত নং অবতীর্ণঃ মদিনা
আয়াত সংখ্যাঃ ২৮৬
রুকূঃ ৪০
২০১ وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে থাকেঃ হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন ও পরকালে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদেরকে রক্ষা করুন।
২০২ أُولَـٰئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّمَّا كَسَبُوا ۚ وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ
তারা যা অর্জন করেছে, তাদের জন্যে তারই অংশ রয়েছে এবং নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
২০৩ وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ لِمَنِ اتَّقَىٰ ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
এবং নির্ধারিত দিবসসমূহে আল্লাহকে স্মরণ কর; অতঃপর কেউ যদি দু’দিনের মধ্যে (মক্কায় ফিরে যেতে) তাড়াতাড়ি করে তবে তার জন্যে জন্যে পাপ নেই, পক্ষান্তরে কেউ যদি বিলম্ব করে তবে তার জন্যেও পাপ নেই এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও জেনে রেখো যে, অবশ্যই আমাদের সকলকে তাঁরই নিকট সমবেত করা হবে।
২০৪ وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللَّهَ عَلَىٰ مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ
এবং মানবমণ্ডলীর মধ্যে এমনো আছে- পার্থিব জীবন সংক্রান্ত যার কথা তোমাকে চমৎকৃত করে তুলে, আর সে নিজের অন্তরস্থ (সততা) সম্বন্ধে আল্লাহকে সাক্ষী করে থাকে; কিন্তু বস্তুতঃ সে হচ্ছে ভীষণ ঝগড়াটে ব্যক্তি।
২০৫ وَإِذَا تَوَلَّىٰ سَعَىٰ فِي الْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ ۗ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ الْفَسَادَ
যখন সে প্রত্যাবর্তিত হয় তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের এবং শস্য ক্ষেত্র ও জীবজন্তু বিনাশের চেষ্টা করে। আর আল্লাহ অশান্তি ভালোবাসেন না।
২০৬ وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالْإِثْمِ ۚ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ ۚ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ
যখন তাকে বলা হয় তুমি আল্লাহকে ভয় কর, তখন প্রতিপত্তির অহমিকা তাকে অধিকতর অনাচারে লিপ্ত করে দেয়, অতএব জাহান্নামই তার জন্যে যথেষ্ট এবং নিশ্চয় ওটা নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!
২০৭ وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ
পক্ষান্তরে কোন কোন লোক এরূপ আছে, যে আল্লাহর পরিতুষ্টি সাধনের জন্যে স্বীয় আত্মা বিক্রয় করে এবং আল্লাহ হচ্ছেন সমস্ত বান্দার প্রতি স্নেহপরায়ণ।
২০৮ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে মু’মিনগণ! তোমরা পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, ন নিশ্চয় সে তোমাদের জন্যে প্রকাশ্য শত্রু।
২০৯ فَإِن زَلَلْتُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءَتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
অনন্তর স্পষ্ট দলীল প্রমাণাদি তোমাদের নিকট সমাগত হওয়ার পরেও যদি তোমরা পদস্ফলিত হয়ে যাও, তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ হচ্ছেন মহা পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
২১০ هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَن يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ وَالْمَلَائِكَةُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ ۚ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ
তারা শুরু এ অপেক্ষাই করছে যে, আল্লাহ তা’আলা সাদা মেঘমালার ছায়া তলে তাদের নিকট সমাগত হবেন আর ফেরেস্তারাও (আসবেন) এবং সমস্ত কার্যের নিষ্পত্তি করা হবে এবং আল্লাহরই নিকট সমস্ত কার্য প্রত্যাবর্তিত থাকে।
২১১ سَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَمْ آتَيْنَاهُم مِّنْ آيَةٍ بَيِّنَةٍ ۗ وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ اللَّهِ مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
ইসরাঈল বংশীয়গণকে জিজ্ঞেস কর যে, আমি কত স্পষ্ট প্রমাণই তা তাদেরকে প্রদান করেছি। এবং যে কেউ তার নিকট আল্লাহর অনুগ্রহ সম্পদ আসার পর তা পরিবর্তন করে ফেলে তবে জেনে রেখো নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তি দাতা।
২১২ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا ۘ وَالَّذِينَ اتَّقَوْا فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ وَاللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
যারা অবিশ্বাস করেছে, তাদের পার্থিব জীবন সুশোভিত করা হয়েছে এবং তারা বিশ্বাস স্থাপনকারীদেরকে উপহাস করে থাকে এবং যারা আল্লাহ ভীরূ তাদেরকে উত্থান দিবসে সমুন্নত করা হবে এবং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন অপরিমিত জীবিকা দান করে থাকেন।
২১৩ كَانَ النَّاسُ أُمَّةً وَاحِدَةً فَبَعَثَ اللَّهُ النَّبِيِّينَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ فِيمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ ۚ وَمَا اخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا الَّذِينَ أُوتُوهُ مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ۖ فَهَدَى اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا لِمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِهِ ۗ وَاللَّهُ يَهْدِي مَن يَشَاءُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
মানবজাতি একই সম্প্রদায়-ভুক্ত ছিল; অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদ বাহক ও ভয় প্রদর্শকরূপে নবীগণকে প্রেরণ করলেন এবং তিনি তাদের সাথে সত্যসহ গ্রন্থ অবতীর্ণ করলেন যেন (ঐ কিতাব) তাদের মতভেদের বিষয়গুলো সম্বন্ধে মীমাংসা করে দেয়, অথচ যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছিল, স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ তাদের নিকট সমাগত হওয়ার পর, পরস্পরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষবশতঃ তারা সে কিতাবকে নিয়ে মতভেদ ঘটিয়ে বসলো, অতঃপর আল্লাহ তদীয় ইচ্ছাক্রমে বিশ্বাস স্থাপনকারীদেরকে তদ্বিষয়ে সত্যের দিকে পথ প্রদর্শন করলেন এবং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করে থাকেন।
২১৪ أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلِكُم ۖ مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَاءُ وَالضَّرَّاءُ وَزُلْزِلُوا حَتَّىٰ يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ مَتَىٰ نَصْرُ اللَّهِ ۗ أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ
তোমরা কি মনে করে নিয়েছো যে, তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করেই ফেলবে? অথচ তোমাদের অবস্থা এখনো তাদের মত হয়নি যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে; তাদেরকে বিপদ ও দুঃখ স্পর্শ করেছিল এবং তাদেরকে প্রকম্পিত করা হয়েছিল; এমনকি রাসূল ও তৎসহ বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ বলেছিলেন কখন আল্লাহর সাহায্য আসবে? সতর্ক হও, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।
২১৫ يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ ۖ قُلْ مَا أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ
তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে যে, তারা কিরূপে ব্যয় করবে? তুমি বলঃ তোমরা ধন-সম্পত্তি হতে যা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতার, আত্মীয়-স্বজনের, পিতৃহীনদের, দরিদ্রদের ও পথিকবৃন্দের জন্যে করো এবং তোমরা যেসব সৎকর্ম কর নিশ্চয় আল্লাহ তা সম্যকরূপে অবগত।
২১৬ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
জিহাদকে তোমাদের জন্যে অপরিহার্য কর্তব্যরূপে অবধারিত করা হয়েছে এবং এটা তোমাদের অপ্রীতিকর; বস্তুতঃ তোমরা এমন বিষয়কে অপছন্দ করছ যা তোমাদের পক্ষে বাস্তবিকই মঙ্গলজনক, পক্ষান্তরে তোমরা এমন বিষয়কে পছন্দ করছ যা তোমাদের জন্য বাস্তবিকই অনিষ্টকর এবং আল্লাহই অবগত আছেন আর তোমরা অবগত নও।
২১৭ يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ ۖ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ ۖ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ اللَّهِ ۚ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ ۗ وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا ۚ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَـٰئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ وَأُولَـٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
তারা তোমাকে নিষিদ্ধ মাস, তার মধ্যে যুদ্ধ করা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে; তুমি বলঃ এর মধ্যে যুদ্ধ করা অতীব অন্যায়, আর আল্লাহর পথ ও পবিত্র মসজিদ হতে প্রতিরোধ করা এবং তাঁকে অবিশ্বাস করা ও তার মধ্যে হতে তার অধিবাসীদেরকে বহিষ্কৃত করা আল্লাহর নিকট গুরুতর অপরাধ এবং হত্যা অপেক্ষা ফেতনা- ফাসাদ (শিরক ও কুফর) গুরুতর এবং যদি তারা সক্ষম হয়, তবে তারা তোমাদেরকে তোমাদের ধর্ম হতে ফিরাতে না পারা পর্যন্ত সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে; আর তোমাদের মধ্যকার কেউ যদি স্বধর্ম হতে ফিরে যায় এবং ঐ কাফের অবস্থাতেই তার মৃত্যু ঘটে, তাহলে তার ইহকাল পরকালের সমস্ত কর্মই নিষ্ফল হয়ে যায়, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী এবং তারই মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে।
২১৮ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَـٰئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং আল্লাহর পথে দেশ ত্যাগ করেছে ও আল্লাহর পথে জেহাদ করেছে, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহের প্রত্যাশা করবে এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।
২১৯ يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا ۗ وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ
মাদকদ্রব্য ও জুয়া খেলা সম্বন্ধে তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি বলঃ এ দু’টোর মধ্যে গুরুতর পাপ রয়েছে এবং কোন কোন লোকের (কিছু) উপকার আছে, কিন্তু ও দু’টোর লাভ অপেক্ষা পাপই গুরুতর; তারা তোমাকে (আরো) জিজ্ঞেস করছে, তারা কি (পরিমাণ) ব্যয় করবে? তুমি বলঃ যা তোমাদের উদ্বৃত্ত; এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করেন যেন তোমরা চিন্তা করে দেখ।
২২০ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۗ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَىٰ ۖ قُلْ إِصْلَاحٌ لَّهُمْ خَيْرٌ ۖ وَإِن تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ ۚ وَاللَّهُ يَعْلَمُ الْمُفْسِدَ مِنَ الْمُصْلِحِ ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَأَعْنَتَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
পার্থিব ও পরলৌকিক বিষয়ে আর তারা তোমাকে ইয়াতিমদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে; তুমি বলঃ তাদের হিতসাধন করাই উত্তম; এবং যদি তোমরা তাদেরকে সম্মিলিত করে নাও তবে তারা তোমাদের ভ্রাতা, আর কে অনিষ্টকারী, কে হিতাকাঙ্ক্ষী আল্লাহ তা অবগত আছেন এবং যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে তিনি তোমাদেরকে বিপদে ফেলতেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাময়।
২২১ وَلَا تَنكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ ۚ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ ۗ وَلَا تُنكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا ۚ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ ۗ أُولَـٰئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ ۖ وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ ۖ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
এবং অংশীবাদিনীগণ বিশ্বাস স্থাপন না করা পর্যন্ত তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না এবং নিশ্চয় বিশ্বাসিনী দাসী অংশীবাদিনী (স্বাধীনা) মহিলা অপেক্ষা উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে ফেলে এবং অংশীবাদীগণ বিশ্বাস স্থাপন না করা পর্যন্ত তাদের সাথে (মুসলমান নারীদের) বিবাহ প্রদান কর না এবং নিশ্চ্য অংশীবাদী তোমাদের মনঃপুত হলেও বিশ্বাসী দাস তদপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর; এরাই জাহান্নামের দিকে আহ্বান করে এবং আল্লাহর স্বীয় ইচ্ছায় জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন ও মানবমণ্ডলীর জন্যে স্বীয় নিদর্শনাবলী বিবৃত করেন, যেন তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
২২২ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
এবং তারা তোমাকে (স্ত্রী লোকদের) ঋতুস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে; তুমি বলঃ ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা। অতএব ঋতুকালে স্ত্রীলোকদের থেকে (সঙ্গম না করে) বিরত থাক এবং উত্তমরূপে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটে যেও না; (সহবাস করোনা) অনন্তর যখন তারা পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থীগণকে ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীগণকেও ভালোবেসে থাকেন।
২২৩ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ ۖ وَقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُمْ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُم مُّلَاقُوهُ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত্র স্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা কর গমন কর এবং স্বীয় জীবনের জন্য পাথেয় পূর্বেই প্রেরণ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর ও জেনে রেখো যে, তোমাদের সবাইকে তার মুখোমুখি হতে হবে এবং বিশ্বাসীগণকে সুসংবাদ প্রদান কর।
২২৪ وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَانِكُمْ أَن تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
তোমরা নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিওনা, সৎকাজ, আত্মসংযম এবং মানুষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে; বস্তুতঃ আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
২২৫ لَّا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
আল্লাহ তা’আলা আমাদের নিরর্থক শপথসমূহের (অর্থহীন শপথের) জন্যে তোমাদেরকে ধরবেন না; কিন্তু তিনি তোমাদেরকে ঐসব শপথ সম্বন্ধে ধরবেন যেগুলো তোমাদের মনের সংকল্প অনুসারে সাধিত হয়েছে এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, ধৈর্যশীল।
২২৬ لِّلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِن نِّسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ ۖ فَإِن فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
যারা স্বীয় স্ত্রীগণ হতে পৃথক থাকবার শপথ করে তারা চারমাস প্রতীক্ষা করবে; অতঃপর যদি তারা প্রত্যাবর্তিত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
২২৭ وَإِنْ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَإِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
পক্ষান্তরে যদি তারা তালাক দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে থাকে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
২২৮ وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ ۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوا إِصْلَاحًا ۚ وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
এবং তালাক প্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত আত্মসম্বরণ করে থাকবে; এবং যদি তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে তবে আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন করা তাদের পক্ষে বৈধ হবে না; এবং এর মধ্যে যদি তারা সন্ধি কামনা করে তবে তাদের স্বামীই তাদেরকে প্রতিগ্রহণ করতে সমধিক স্বত্ববান; আর নারীদের উপর তাদের যেরূপ স্বত্ব আছে, নারীদেরও তদনুরূপ ন্যায়সঙ্গত স্বত্ব আছে এবং তাদের উপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে; আল্লাহ হচ্ছেন মহা পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
২২৯ الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ ۖ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
তালাক দুইবার; অতঃপর (স্ত্রীকে) হয় বিহিতভাবে রাখতে হবে। অথবা সৎভাবে পরিত্যাগ করতে হবে এবং যদি উভয়ে আশংকা করে যে, তারা আল্লাহর সীমা স্থীর রাখতে পারবে না। তবে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছো তা হতে কিছু প্রতিগ্রহণ করা তোমাদের জন্যে বৈধ নয়; অনন্তর তোমরা যদি আশংকা কর যে, তারা আল্লাহর সীমা ঠিক রাখতে পারবে না, সে অবস্থায় স্ত্রী নিজের মুক্তি লাভের জন্য কিছু বিনিময় দিলে তাতে উভয়ের কোন দোষ নেই; এগুলোই হচ্ছে আল্লাহর সীমাসমূহ অতএব তা অতিক্রম কর না এবং যারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করে, বস্তুতঃ তারাই অত্যাচারী।
২৩০ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
অনন্তর যদি সে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে তবে সে স্ত্রী যতক্ষন পর্যন্ত তাকে ছাড়া অন্য স্বামীকে বিয়ে করে না নিবে সে তার জন্যে বৈধ হবে না, তৎপর সে তাঁকে তালাক প্রদান করলে যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা আল্লাহর সীমাসমূহ স্থীর রাখতে পারবে, তখন যদি তারা পরস্পর প্রত্যাবর্তিত হয় তবে উভয়ের পক্ষে কোনই দোষ নেই এবং এগুলোই আল্লাহর সীমাসমূহ, তিনি বিজ্ঞা সম্প্রদায়ের জন্য এগুলো ব্যক্ত করে থাকেন।
২৩১ وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ ۚ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِّتَعْتَدُوا ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ ۚ وَلَا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا ۚ وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنَ الْكِتَابِ وَالْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
এবং তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দাও আর তারা তাদের নির্ধারিত স্ময়ে পৌঁছে যায়, তখন তাদেরকে ভালোভাবে রাখতে পার অথবা ভালোবভাবে পরিত্যাগ করতে পার এবং তাদেরকে যন্ত্রনা দেয়ার জন্য আবদ্ধ করে রেখো না, তাহলে সীমালঙ্ঘন করবে; আর যে ব্যক্তি এরূপ করে সে নিশ্চয়ই নিজের প্রতি অবিচার করে থাকে এবং আল্লাহর বিধি-বিধানকে বিদ্রুপাচ্ছলে গ্রহণ করো না আর তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ এবং তোমাদেরকে উপদেশ দানের জন্যে গ্রন্থ ও হিকমত (সুন্নাত) হতে যা অবতীর্ণ করেছেন তা স্মরণ কর, আর আল্লাহকে ভয় কর ও জেনে রেখো যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
২৩২ وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُم بِالْمَعْرُوفِ ۗ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَن كَانَ مِنكُمْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۗ ذَٰلِكُمْ أَزْكَىٰ لَكُمْ وَأَطْهَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
এবং যখন তোমরা স্ত্রীলোকদেরকে তালাক দাও, তৎপর তারা তাদের নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যায়, তখন তারা উভয়েই যদি পরস্পরের প্রতি বিহিতভাবে সম্মত হয়ে থাকে, সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজ স্বামীদেরকে বিয়ে করতে গেলে তোমরা তাদেরকে বাধা প্রদান করো না; তোমাদেরে মধ্যে যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এর দ্বারা তাদেরকেই উপদেশ দেয়া হচ্ছে; তোমাদের জন্যে এটা শুদ্ধতম ও পবিত্রতম (ব্যবস্থা) এবং আল্লাহই পরিজ্ঞাত আছেন আর তোমরা কিছুই জানো না।
২৩৩ وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ ۚ وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَا تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌ لَّهُ بِوَلَدِهِ ۚ وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَٰلِكَ ۗ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٍ مِّنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا ۗ وَإِنْ أَرَدتُّمْ أَن تَسْتَرْضِعُوا أَوْلَادَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُم مَّا آتَيْتُم بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
এবং যে কেউ স্তন্যপানের কাল পূর্ণ করতে ইচ্ছা করে, তার জন্যে জননীগণ পূর্ণ দু’বছর স্বীয় সন্তানদেরকে স্তন্য দান করবে, আর সন্তানের জনকগণ বিহিতভাবে প্রসূতিদের খোরাক ও তাদের পোষাক দিতে বাধ্য; কাউকেও তার সাধ্যের অতীত কার্যভার দেয়া হয় না, নিজ সন্তানের কারণে জনীকে এবং সন্তানের কারণে জনককে ক্ষতিগ্রস্থ করা চলবে না এবং উত্তরাধিকারীগণের প্রতিও একই ধরণের বিধান; কিন্তু যদি তারা পরস্পর পরামর্শ ও সম্মতি অনুসারে স্তন্য ত্যাগ করাতে ইচ্ছে করে, তবে উভয়ের কোন দোষ নেই; আর তোমরা যদি নিজ সন্তানদেরকে স্তন্য পানের জন্যে সমর্পণ করতঃ বিহিতভাবে কিছু প্রদান কর তাহলেও তোমাদের কোন দোষ নেই এবং আল্লাহকে ভয় কর ও জেনে রেখো যে, তোমরা যা করছ আল্লাহ তা প্রত্যক্ষকারী।
২৩৪ وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
এবং তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তারা (বিধবাগণ) চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষা করবে; অতঃপর যখন তারা সবীর নির্ধারিত সময়ে উপনীত হয় তখন তারা নিজেদের সম্বন্ধে বিহিতভাবে যা করবে, তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই এবং তোমরা যা করছ তদ্বিষয়ে আল্লাহ সম্যক খবর রাখেন।
২৩৫ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِي أَنفُسِكُمْ ۚ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَـٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَن تَقُولُوا قَوْلًا مَّعْرُوفًا ۚ وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ
এবং তোমরা স্ত্রীলোকদের প্রস্তাব সম্বন্ধে পরোক্ষভাবে যা ব্যক্ত কর অথবা নিজেদের মনে গোপনে যা পোষণ করে থাকো তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই; আল্লাহ অবগত আছেন যে, তোমরা তাদের বিষয় আলোচনা করবে; কিন্তু গুপ্তভাবে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দান করো না; বরং বিহিতভাবে তাদের সাথে কথা বল এবং নির্ধারিত সময় পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার সংকল্প করো না এবং এতাও জেনে রেখো যে, তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা পরিজ্ঞাত। অতএব তোমরা তাঁকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহিষ্ণু।
২৩৬ لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا لَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدَرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ
যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ না করেই অথবা তাদের প্রাপ্য নির্ধারণ করার আগেই তালাক প্রদান কর তবে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই এবং তোমরা তাদেরকে কিছু সংস্থান করে দেবে, অবস্থাপন্ন লোক নিজের অবস্থানুসারে এবং অভাবগ্রস্থ লোক তার অবস্থানাসুরে বিহিত সংস্থান (করে দেবে), সৎকর্মশীল লোকদের উপর এই কর্তব্য।
২৩৭ وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ ۚ وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ وَلَا تَنسَوُا الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
আর তোমরা যদি তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক প্রদান কর এবং তাদের মোহর নির্ধারণ করে থাকো, তবে যা নির্ধারিত করেছিলে তার অর্ধেক; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে কিংবা যার হাতে বিবাহ বন্ধন সে ক্ষমা করে অথবা তোমরা ক্ষমা কর তবে এটা আল্লাহ ভীতির অতি নিকটবর্তী এবং পরস্পরের উপকারকে যেন ভুলে যেও না; তোমরা যা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ তা প্রত্যক্ষকারী।
২৩৮ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
তোমরা নামাযসমূহ ও মধ্যবর্তী নামাযের (আসর) ব্যাপারে যত্নবান হও এবং বিনীতভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও।
২৩৯ فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا ۖ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ
তবে তোমরা যদি (শত্রুর ভয়ের) আশংকা কর, সে অবস্থায় পদব্রজে বা যানবাহনাদির উপর (নামায আদায় করে নেবে) পরে যখন নিরাপদ হও তখন তোমাদের অবিদিত বিষয়গুলো সম্বন্ধে আল্লাহ তোমাদেরকে যেরূপ শিক্ষা দিয়েছেন সেরূপে আল্লাহকে স্মরণ কর।
২৪০ وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِّأَزْوَاجِهِم مَّتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ ۚ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِي مَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعْرُوفٍ ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
এবং তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুমুখে পতিত হয় ও পত্নীগণকে বহিষ্কৃত না করে এক বছর পর্যন্ত তাদেরকে ভরণ-পোষণ প্রদান করার জন্যে অসিয়ত করে যায়; কিন্তু যদি তারা (স্বেচ্ছায়) বের হয়ে যায়, তবে নিজেদের সম্বন্ধে বিহিতভাবে তারা যে ব্যবস্থা করে তজ্জন্যে তোমাদের কোন দোষ নেই; এবং আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাময়।
২৪১ وَلِلْمُطَلَّقَاتِ مَتَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ
আর তালাকপ্রাপ্তাদের জন্যে বিহিতভাবে ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা আল্লাহ ভীরূদের কর্তব্য।
২৪২ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
এভাবে আল্লাহ স্বীয় নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন, যেন তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।
২৪৩ أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি, মৃত্যু বিভীষিকাকে এড়াবার জন্য যারা নিজেদের গৃহ হতে বহির্গত হয়েছিল? অথচ তারা ছিল বহু সহস্র; তখন আল্লাহ তাদেরকে বললেনঃ তোমরা মর; পুনরায় তিনি তাদেরকে জীবন দান করলেন; নিশ্চয় মানবগণের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ লোক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
২৪৪ وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
তোমরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর এবং জেনে রেখো যে, নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
২৪৫ مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً ۚ وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কে সে, যে আল্লাহকে উত্তমরূপে ঋণদান করে? অনন্তর তিনি তাকে দ্বিগুণ বহুগুণ বর্ধিত করেন এবং আল্লাহই (মানুষের আর্থিক অবস্থাকে) সংকুচিত বা স্বচ্ছল করে থাকেন এবং তাঁরই দিকে তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
২৪৬ أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلَإِ مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ مِن بَعْدِ مُوسَىٰ إِذْ قَالُوا لِنَبِيٍّ لَّهُمُ ابْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُّقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلَّا تُقَاتِلُوا ۖ قَالُوا وَمَا لَنَا أَلَّا نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَارِنَا وَأَبْنَائِنَا ۖ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْا إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
তুমি কি মুসার পরে ইসমাঈল বংশীয় প্রধানগণের প্রতি লক্ষ্য করনি? নিজেদের এক নবীকে যখন তারা বলেছিলঃ আমাদের জন্যে একজন বাদশাহ নিযুক্ত করে দাও (যেন) আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি! তিনি বলেছিলেনঃ এটা কি সম্ভবপর যে, যখন তোমাদের উপর যুদ্ধ বিধিবদ্ধ হয়ে যাবে তখন তোমরা যুদ্ধ করবে না? তারা বলেছিলঃ আমরা যুদ্ধ করবো না এটা কিরূপে (সম্ভব)? অথছ নিজেদের হতে ও সন্তান-সন্ততি হতে আমরা বহিষ্কৃত হয়েছি। অনন্তর যখন তাদের উপর যুদ্ধ বিধিবদ্ধ হল তখন তাদের অল্প সংখ্যক ব্যতীত সবাই পশ্চাৎপদ হয়ে পড়লো এবং অত্যাচারীদের সম্পর্কে আল্লাহ সম্যকরূপে অবগত আছেন।
২৪৭ وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا ۚ قَالُوا أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِّنَ الْمَالِ ۚ قَالَ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ ۖ وَاللَّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
এবং তাদের নবী তাদেরকে বলেছিলেন নিশ্চয় আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্যে বাদশাহরূপে নির্বাচিত করেছেন; তারা বললঃ আমাদের উপর তালূতের রাজত্ব কিরূপে (সঙ্গত) হতে পারে? রাজত্বে তার অপেক্ষা আমাদেরই স্বত্ব অধিক, পক্ষান্তরে যথেষ্ট আর্থিক স্বচ্ছলতাও তার নেই; তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাকেই মনোনীত করেছেন এবং জ্ঞান ও দৈহিক শক্তিতে তিন তাকে প্রচুর পরিমাণে বর্ধিত করে দিয়েছেন, আল্লাহ তাঁর রাজত্ব যাকে ইচ্ছা প্রদান করেন এবং আল্লাহ হচ্ছেন প্রশস্তকারী, সর্বজ্ঞাতা।
২৪৮ وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَن يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَىٰ وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
এবং তাদের নবী তাদের বলেছিলেন তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট সিন্দুক সমাগত হবে, যাতে থাকবে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে শান্তি এবং মূসা ও হারূনের অনুচরদের পরিত্যক্ত আসবাবপত্র, ফেরেস্তাগণ ওটা বহন করে আনবে; তোমরা যদি বিশ্বাস স্থাপনকারী হও তবে ওর মধ্যে নিশ্চয় তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
২৪৯ فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ مُبْتَلِيكُم بِنَهَرٍ فَمَن شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَن لَّمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلَّا مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ ۚ فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْ ۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ قَالُوا لَا طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ ۚ قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَاقُو اللَّهِ كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ
অনন্তর যখন তালূত সৈন্যদলসহ বহির্গত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন নিশ্চয় আল্লাহ একটি নদী দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন, অত:পর ওটা হতে যে পান করবে সে কিন্তু আমার দলভুক্ত থাকবে না এবং যে স্বীয় হাত দ্বারা আঁজলাপূর্ণ করে নেবে, তদ্ব্যতীত যে তা আস্বাদন করবে না সে নিশ্চয়ই আমার; কিন্তু তাদের মধ্যে অল্প লোক ব্যতীত আর সবাই সেই নদীর পানি পান করলো, অতঃপর যখন সে ও তার সঙ্গী বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ নদী অতিক্রম করে গেল তখন তারা বললঃ জালূতের ও তার সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করার শক্তি আজ আমাদের নেই; পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস করতো যে তাদেরকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে, তারা বললঃ আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাজিত করেছে, বস্তুতঃ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন আল্লাহ!
২৫০ وَلَمَّا بَرَزُوا لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُوا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
এবং যখন তারা জালূত ও সেনাবাহিনীর সম্মুখীন হল, বলতে লাগলোঃ হে আমাদের প্রভু! আমাদের পূর্ণ সহিষ্ণুতা দান করুন, আর আমাদের কদমকে অটল রাখুন এবং কাফির জাতির উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন।
error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x