০২১. সূরাঃ আম্বিয়া

আয়াতঅবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াত সংখ্যাঃ ১১২
রুকূঃ ০৭
০০১اقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَهُمْ فِي غَفْلَةٍ مُّعْرِضُونَ
মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন; কিন্তু তারা উদাসীনতার মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।
০০২مَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّن رَّبِّهِم مُّحْدَثٍ إِلَّا اسْتَمَعُوهُ وَهُمْ يَلْعَبُونَ
যখনই তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের কোন নতুন উপদেশ আসে তখন তারা তা শ্রবণ করে খেলার ছলে।
০০৩لَاهِيَةً قُلُوبُهُمْ ۗ وَأَسَرُّوا النَّجْوَى الَّذِينَ ظَلَمُوا هَلْ هَـٰذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ ۖ أَفَتَأْتُونَ السِّحْرَ وَأَنتُمْ تُبْصِرُونَ
তাদের অন্তর থাকে অমনোযোগ্য সীমালঙ্ঘনকারীরা গোপনে পরামর্শ করেঃ এতো তোমাদের মত একজন মানুষ; তবুওকি তোমরা দেখে শুনে যাদুর কবলে পড়বে?
০০৪قَالَ رَبِّي يَعْلَمُ الْقَوْلَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
তিনি বললেনঃ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কথাই আমার প্রতিপালক অবগত আছেন এবং তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
০০৫بَلْ قَالُوا أَضْغَاثُ أَحْلَامٍ بَلِ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ فَلْيَأْتِنَا بِآيَةٍ كَمَا أُرْسِلَ الْأَوَّلُونَ
তারা এটাও বলেঃ এসব অলীক কল্পনা, হয় সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না হয় সে একজন কবি; অতএব সে আনয়ন করুক আমাদের নিকট এক নিদর্শন যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্ববর্তীগণ।
০০৬مَا آمَنَتْ قَبْلَهُم مِّن قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا ۖ أَفَهُمْ يُؤْمِنُونَ
তাদের পূর্বে যে সব জনপদ আমি ধ্বংস করেছি ওর অধিবাসীরা ঈমান আনে নাই; তবে এরা কি ঈমান আনবে?
০০৭وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِي إِلَيْهِمْ ۖ فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ বহু পুরুষই পাঠিয়েছিলাম; তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।
০০৮وَمَا جَعَلْنَاهُمْ جَسَدًا لَّا يَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَمَا كَانُوا خَالِدِينَ
আর আমি তাদেরকে এমন দেহ বিশিষ্ট করি নাই যে, তারা আহার্য গ্রহণ করতেন না; আর তারা চিরস্থায়ী ছিলেন না।
০০৯ثُمَّ صَدَقْنَاهُمُ الْوَعْدَ فَأَنجَيْنَاهُمْ وَمَن نَّشَاءُ وَأَهْلَكْنَا الْمُسْرِفِينَ
অতঃপর আমি তাদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলাম এবং যাদেরকে ইচ্ছা রক্ষা করেছিলাম এবং যালিমদেরকে বিনাস করেছিলাম।
০১০لَقَدْ أَنزَلْنَا إِلَيْكُمْ كِتَابًا فِيهِ ذِكْرُكُمْ ۖ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
আমি তো তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি কিতাব যাতে আছে তোমাদের জন্যে উপদেশ, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
০১১وَكَمْ قَصَمْنَا مِن قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَأَنشَأْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا آخَرِينَ
আমি ধ্বংস করেছি জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল যালিম এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অপর জাতি।
০১২فَلَمَّا أَحَسُّوا بَأْسَنَا إِذَا هُم مِّنْهَا يَرْكُضُونَ
অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করলো তখনই তারা জনপদ হতে পালাতে লাগলো।
০১৩لَا تَرْكُضُوا وَارْجِعُوا إِلَىٰ مَا أُتْرِفْتُمْ فِيهِ وَمَسَاكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْأَلُونَ
তাদেরকে বলা হলঃ পলায়ন করো না এবং ফিরে এসো তোমাদের ভোগ সম্ভারের নিকট ও তোমাদের আবাসগৃহে, হয়তো এ বিষয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
০১৪قَالُوا يَا وَيْلَنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ
তারা বললঃ হায় দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম যালিম।
০১৫فَمَا زَالَت تِّلْكَ دَعْوَاهُمْ حَتَّىٰ جَعَلْنَاهُمْ حَصِيدًا خَامِدِينَ
তাদের এই আর্তনাদ চলতে থাকে যতক্ষণ না আমি তাদেরকে কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি সদৃশ না করি।
০১৬وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
আকাশ ও পৃথিবী এবং যা এতোদুভয়ের মধ্যে রয়েছে তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করি নাই।
০১৭لَوْ أَرَدْنَا أَن نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّاتَّخَذْنَاهُ مِن لَّدُنَّا إِن كُنَّا فَاعِلِينَ
আমি যদি ক্রীড়ার উপকরণ চাইতাম তবে আমি আমার নিকট যা আছে তা নিয়েই ওটা করতাম, আমি তা করি নাই।
০১৮بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ ۚ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُونَ
কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর; ফলে ওটা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, দুর্ভোগ তোমাদের! তোমরা যা বলছ তার জন্যে।
০১৯وَلَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَمَنْ عِندَهُ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَلَا يَسْتَحْسِرُونَ
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তাঁরই; তাঁর সান্নিধ্যে যারা আছে (ফেরেশতাগণ) তারা অহংকার বশে তাঁর ইবাদত করা যেতে বিমুখ হয় না এবং ক্লান্তি বোধ করে না।
০২০يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ
তারা দিবা রাত্র তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারা শৈথিল্য (ক্লান্তিবোধ) করে না।
০২১أَمِ اتَّخَذُوا آلِهَةً مِّنَ الْأَرْضِ هُمْ يُنشِرُونَ
তারা মাটি হতে তৈরি যে সব দেবতা গ্রহণ করেছে সে গুলি কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম?
০২২لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
যদি আল্লাহ ছাড়া আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে বহু মা’বূদ থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেতো; অতএব তারা যা বলে তা হতে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র, মহান।
০২৩لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।
০২৪أَمِ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ آلِهَةً ۖ قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ ۖ هَـٰذَا ذِكْرُ مَن مَّعِيَ وَذِكْرُ مَن قَبْلِي ۗ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ الْحَقَّ ۖ فَهُم مُّعْرِضُونَ
তারা কি তাঁকে ছাড়া বহু মা’বূদ গ্রহণ করেছো? বলঃ তোমরা তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর; এটা আমার সাথে যারা আছে তাদের জন্যে উপদেশ এবং উপদেশ (ছিল) আমার পূর্ববর্তীদের জন্যে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না, ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
০২৫وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ
আমি তোমার পূর্বে কোন রাসূল প্রেরণ করি নাই ওহী ব্যতীত যে, আমি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) মা’বূদ নেই; সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত কর।
০২৬وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَـٰنُ وَلَدًا ۗ سُبْحَانَهُ ۚ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ
তারা বলেঃ দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন, তিনি পবিত্র, মহান! তাঁরা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা।
০২৭لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ
তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে।
০২৮يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَىٰ وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত; তারা (ফেরশতাগণ) সুপারিশ করে শুধু তাদের জন্যে যাদের প্রতি তিনি (আল্লাহ) সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত।
০২৯وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَـٰهٌ مِّن دُونِهِ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ
তাদের মধ্যে যে বলবেঃ আমিই মা’বূদ তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত, তাকে আমি প্রতিফল দিবো জাহান্নাম। এভাবেই আমি যালিমদেরকে বিনিময় দিয়ে থাকি।
০৩০أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?
০৩১وَجَعَلْنَا فِي الْأَرْضِ رَوَاسِيَ أَن تَمِيدَ بِهِمْ وَجَعَلْنَا فِيهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
এবং আমি পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছি সুদৃঢ় পর্বত যাতে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে এদিক ওদিক ঢলে না যায় এবং আমি তাতে করে দিয়েছি প্রশস্ত পথ যাতে তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে।
০৩২وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَّحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ
এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা আকাশস্থিত নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
০৩৩وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۖ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিবস এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।
০৩৪وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ الْخُلْدَ ۖ أَفَإِن مِّتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ
আমি তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করি নি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবি হয়ে থাকবে?
০৩৫كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
০৩৬وَإِذَا رَآكَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَـٰذَا الَّذِي يَذْكُرُ آلِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ الرَّحْمَـٰنِ هُمْ كَافِرُونَ
কাফিররা যখন তোমাকে দেখে তখন তারা তোমাকে শুধু বিদ্রুপের পাত্ররূপেই গ্রহণ করে; তারা বলেঃ এই কি সেই, যে তোমাদের দেবতাগুলির সমালোচনা করে? অথচ তারাই তো ‘আর-রহমান’ এর জিকিরের বিরোধিতা করে।
০৩৭خُلِقَ الْإِنسَانُ مِنْ عَجَلٍ ۚ سَأُرِيكُمْ آيَاتِي فَلَا تَسْتَعْجِلُونِ
মানুষ সৃষ্টিগতভাবে শীঘ্রপরায়ণ, শীঘ্রই আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাবো; সুতরাং তোমরা আমাকে তাড়াতাড়ি করতে বলো না।
০৩৮وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَـٰذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
আর তারা বলেঃ তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বলঃ এই প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হবে?
০৩৯لَوْ يَعْلَمُ الَّذِينَ كَفَرُوا حِينَ لَا يَكُفُّونَ عَن وُجُوهِهِمُ النَّارَ وَلَا عَن ظُهُورِهِمْ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ
হায়, যদি কাফিররা সেই সময়ের কথা জানতো যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পশ্চাৎ হতে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
০৪০بَلْ تَأْتِيهِم بَغْتَةً فَتَبْهَتُهُمْ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ رَدَّهَا وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ
বস্তুতঃ ওটা তাদের উপর আসবে অতর্কিতভাবে এবং তাদেরকে হতভম্ব করে দিবে; ফলে তারা ওটা রোধ করতে পারবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।
০৪১وَلَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَحَاقَ بِالَّذِينَ سَخِرُوا مِنْهُم مَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়েছিল; পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো তা বিদ্রূপকারীদেরকে পরিবেষ্টন করেছিল।
০৪২قُلْ مَن يَكْلَؤُكُم بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنَ الرَّحْمَـٰنِ ۗ بَلْ هُمْ عَن ذِكْرِ رَبِّهِم مُّعْرِضُونَ
বলঃ ‘রহমান’ এর পরিবর্তে কে তোমাদেরকে রক্ষা করছে রাত্রে ও দিবসে? তবুও তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
০৪৩أَمْ لَهُمْ آلِهَةٌ تَمْنَعُهُم مِّن دُونِنَا ۚ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَ أَنفُسِهِمْ وَلَا هُم مِّنَّا يُصْحَبُونَ
তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন দেব-দেবীও আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? তারা তো নিজেদেরকে সাহায্য করতে পারে না এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের সাহায্যকারীও থাকবে না।
০৪৪بَلْ مَتَّعْنَا هَـٰؤُلَاءِ وَآبَاءَهُمْ حَتَّىٰ طَالَ عَلَيْهِمُ الْعُمُرُ ۗ أَفَلَا يَرَوْنَ أَنَّا نَأْتِي الْأَرْضَ نَنقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَا ۚ أَفَهُمُ الْغَالِبُونَ
বস্তুতঃ আমিই তাদেরকে এবং তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে ভোগ সম্ভার দিয়েছিলাম; অধিকন্তু তাদের আয়ুষ্কালও হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক হতে সংকুচিত করে আনছি; তবুও কি তারা বিজয়ী হবে?
০৪৫قُلْ إِنَّمَا أُنذِرُكُم بِالْوَحْيِ ۚ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَاءَ إِذَا مَا يُنذَرُونَ
বলঃ আমি তো শুধু ওহী দ্বারাই তোমাদেরকে সতর্ক করি; কিন্তু যারা বধির তাদেরকে যখন সতর্ক করা হয় তখন তারা সতর্ক বাণী শোনে না।
০৪৬وَلَئِن مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُولُنَّ يَا وَيْلَنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ
তোমার প্রতিপালকের শাস্তি কিঞ্চিৎ মাত্রাও যদি তাদেরকে স্পর্শ করে তারা নিশ্চয়ই বলে উঠবেঃ হায়, দুর্ভোগ আমাদের, আমরা তো ছিলাম যালিম।
০৪৭وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ۖ وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا ۗ وَكَفَىٰ بِنَا حَاسِبِينَ
এবং কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করবো ন্যায় বিচারের মানদন্ড; সুতরাং কারও প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনের হয় তবুও তা আমি উপস্থিত করবো; হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।
০৪৮وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَىٰ وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاءً وَذِكْرًا لِّلْمُتَّقِينَ
আমি তো মূসা (আঃ) ) হারূন (আঃ) দিয়েছিলাম ফুরকান, জ্যোতি ও উপদেশ মুত্তাকীদের জন্যে।
০৪৯الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ وَهُم مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُونَ
যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে থাকে ভীত সন্ত্রস্ত।
০৫০وَهَـٰذَا ذِكْرٌ مُّبَارَكٌ أَنزَلْنَاهُ ۚ أَفَأَنتُمْ لَهُ مُنكِرُونَ
এটা কল্যাণময় উপদেশ; আমি এটা অবতীর্ণ করেছি; তবুও কি তোমরা এটাকে অস্বীকার করবে?
error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x