মাতৃবিয়োগ
২৪-০৮-১৩৩৯
(আমার) সংসার সাগর মাঝে সুখতরীতে
(আমি) শান্তি মালে বোঝাই দিয়েছিলাম তাহাতে।
মহানন্দে পাল তুলিয়ে
ঘুমে ছিলেম সব ভুলিয়ে।
শুনিলাম হঠাত মোরে
মাজী বলিছে, ‘ওরে,
(তুই) সজাগ হইয়া দ্যাখ না বাছা চোখেতে?’
(বলে) ‘দ্যাখ এসে গেল ভেসে শান্তিভরা তোর।’
(আমি) ডাক শুনিয়া গেলাম কাছে হইয়া কাতর।
বলে, ‘আচম্বিতে আসল ঝড়ি,
নিকটে যাইয়া মাথে
ধরিলাম ডাহিন হাতে।
(বলে) ‘আজ ডুববে তরী কালশমনের বড় জোর।’
(আমার) সুখতরণী মা জননী ছিল চিরকাল,
শান্তি বোঝাই ছিল তাতে, আর ছিল পাল।
(আমার) হাতের তরী হাতে ধরা,
দশ মিনিটে সাধের ভরা
ডুবিল শুকনা পাড়ে –
নদী না, বসতঘরে।
আরজ কয়, উদ্ধারিও হে খোদা তার পরকাল।’