তথ্যচিত্র ও স্লাইড দেখিয়ে আদিবাসী সমাজের মানুষ ও পশুদের নানা রোগ ও তার প্রতিকারের উপায় বিষয়ে বোঝাতে হবে। বোঝাতে হবে খরা, অজন্মার পিছনে কারণগুলি কোনও সময়েই অতিপ্রাকৃতিক নয়। বোঝাতে হবে অপুষ্টি থেকে হওয়া শিশু রোগ ও বিভিন্ন ‘ভর’ বিষয়ে। দেখাতে হবে জানগুরুদের অলৌকিক কার্যকলাপের গোপন রহস্য। এ সবের মধ্য দিয়ে মানুষের বিজ্ঞান চেতনা বাড়াতে হবে।
শিক্ষার, বয়স্ক শিক্ষার, নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের পরিকল্পনা নিতে হবে। এই বিষয়ে সরকারকে যেমন উদ্যাগ নিতে হবে, তেমনই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
জানগুরুদের ব্যবসার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি প্রয়োজনে পুলিশ ও প্রশাসনকে জানগুরুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জানগুরু কাউকে ডাইনি বলে ঘোষণা করলে জানগুরুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানুষ ও গৃহপালিত পশুদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই ঝাড়ফুঁক, মন্তর-তন্তরে রোগ সারে না, অতএব তোমরা ওঝা, গুণীন, জানগুরুদের কাছে যেও না বললে কিছুতেই কাজ হতে পারে না। “কেরোসিনের কম আলোয় কাজ করলে যা পড়লে চোখের ক্ষতি হয়” এ উপদেশ তখনই দেওয়া সাজে যখন কেরোসিনের বিকল্পে প্রায় সমমূল্যে বিদ্যুৎ সেইসব মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
রোগ সারাতে ঝাড়ফুঁকের বিকল্প হিসেবে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধে (অবশ্যই বিনামূল্যে) না দিয়েই ঝাড়-ফুঁকের বিরুদ্ধে যতই বক্তব্য রাখি, তা কার্যকর হবে না।
একই সঙ্গে এ-ও সত্যি- স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে দিলেই আদিবাসী মানুষরা তাঁদের এতদিনের গড়ে ওঠা বিশ্বাস বর্জন করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৌড়োবেন না। সহযোগী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে যে খবর পেয়েছি এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যতটুকু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তাতে এটুকু বলতে পারি, চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা যেখানে দেওয়া হচ্ছে সেখানকার আদিবাসী মানুষেরা ধীরে ধীরে সেসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতেও শুরু করেছেন। আদিবাসী সমাজের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা-মাফিক সমস্ত কাজ-কর্ম একযোগে শুরু করলে আদিবাসী সমাজের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো আরও বেশি বেশি করে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে থাকবে।
পানীয় জলের প্রচণ্ড অভাব এবং তার দরুন জল-বাহিত বিভিন্ন রোগের আক্রমণের শিকার হন এইসব বঞ্চিত মানুষজন। এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রশাসনের নিতে হবে।
বহির্জগতের সঙ্গে আদিবাসীদের মেলামেশা যোগাযোগ যাতে বাড়ে, সে বিষয়েও দৃষ্টি দিতে হবে। সরকারী তত্ত্বাবধানে আদিবাসীদের জমির মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ২য় খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ কিছু কথাঃ যুক্তিবাদ প্রসঙ্গে
একঃ ভূতের ভর
♦ ভূতের ভরঃ বিভিন্ন ধরন ও ব্যাখ্যা
♦ গুরুর আত্মার খপ্পরে জনৈকা শিক্ষিকা
♦ প্রেমিকের আত্মা ও এক অধ্যাপিকা
ভূতে পাওয়া যখন ম্যানিয়াস ডিপ্রেসিভ
♦ সবার সামনে ভূত শাড়ি করে ফালা
♦ গ্রামে ফিরলেই ফিরে আসে ভূতটা
♦ একটি আত্মার অভিশাপ ও ক্যারেটে মাস্টার
দুইঃ পত্র পত্রিকার খবরে ভূত
♦ ট্যাক্সিতে ভূতের একটি সত্যি কাহিনী ও এক সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক
♦ এক সত্যি ভূতের কাহিনী ও এক বিজ্ঞানী
♦ বেলঘরিয়ার গ্রীন পার্কে ভূতুরে বাড়িতে ঘড়ি ভেসে বেড়ায় শূন্যে
♦ দমদমের কাচ-ভাঙ্গা হল্লাবাজ-ভূত
তিনঃ যে ভূতুরে চ্যালেঞ্জের মুখে বিপদে পড়েছিলাম
চারঃ ভূতুরে চিকিৎসা
♦ ফিলিপিনো ফেইথ হিলার ও ভূতুরে অস্ত্রোপচার
♦ ফেইথ হিলার ও জাদুকর পি.সি. সরকার (জুনিয়র)
♦ পরকাল থেকে আসা বিদেহী ডাক্তার
♦ বিদেহী ডাক্তার দ্বারা আরোগ্য লাভ
♦ ডাইনী সম্রাজ্ঞী ঈপ্সিতার ভূতুরে চিকিৎসা
পাঁচঃ ভূতুরে তান্ত্রিক
♦ গৌতম ভারতী ও তাঁর ভূতুরে ফটোসম্মোহন
♦ ভূতুরে সম্মোহনে মনের মত বিয়েঃ কাজী সিদ্দীকির চ্যালেঞ্জ
ছয়ঃ ডাইনি ও আদিবাসী সমাজ
বাঁকুড়া জেলা হ্যান্ডবুক, ১৯৫১ থেকে
♦ ডাইনি, জানগুরু প্রথার বিরুদ্ধে কি করা উচিৎ
♦ ডাইনি হত্যা বন্ধে যে সব পরিকল্পনা এখুনি সরকারের গ্রহণ করা উচিৎ
♦ জানগুরুদের অলৌকিক ক্ষমতার রহস্য সন্ধানে
সাতঃ আদিবাসী সমাজের তুক-তাক, ঝাড়- ফুঁক
♦ ‘বিষ-পাথর’ ও ‘হাত চালান’এ বিষ নামান
আটঃ ঈশ্বরের ভর
♦ ঈশ্বরের ভর কখনো মানসিক রোগ, কখনো অভিনয়
♦ কল্যাণী ঘোষপাড়ায় সতীমা’ইয়ের মেলায় ভর
♦ হাড়োয়ার উমা সতীমার মন্দিরে গণ-ভর
♦ আর একটি হিস্টিরিয়া ভরের দৃষ্টান্ত
♦ একই অঙ্গে সোম-শুক্কুর ‘বাবা’ ও মা’য়ের ভর
♦ অবাক মেয়ে মৌসুমী’র মধ্যে সরস্বতীর অধিষ্ঠান (?) ও প্রডিজি প্রসঙ্গঃ
♦ প্রডিজি কি? ও কিছু বিস্ময়কর শিশু প্রতিভা
♦ বংশগতি বা জিন প্রসঙ্গে কিছু কথা
♦ বিস্ময়কর স্মৃতি নিয়ে দু-চার কথা
♦ দুর্বল স্মৃতি বলে কিছু নেই, ঘাটতি শুধু স্মরণে
♦ মানবগুণ বিকাশে বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব-জীবনে প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব-জীবনে আর্থ-সামাজিক পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব জীবনে সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রভাব
♦ অবাক মেয়ে মৌসুমীর রহস্য সন্ধানে
♦ বক্সিংয়ের কিংবদন্তী মহম্মদ আলি শূন্যে ভাসেন আল্লা-বিশ্বাসে!