২৭. সূরাঃ নামল

আয়াত

অবতীর্ণঃ মক্কা

আয়াত সংখ্যাঃ ৯৩

রুকূঃ ৭

৫১فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ مَكْرِهِمْ أَنَّا دَمَّرْنَاهُمْ وَقَوْمَهُمْ أَجْمَعِينَ
অতএব দেখো, তাদের চক্রান্তে পরিণাম কি হয়েছে – আমি অবশ্যই তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়ের সকলকে ধ্বংস করেছি।
৫২فَتِلْكَ بُيُوتُهُمْ خَاوِيَةً بِمَا ظَلَمُوا ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
এই তো তাদের ঘর-বাড়ি, সীমালঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
৫৩وَأَنجَيْنَا الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ
এবং যারা মু’মিন ও মুত্তাকী ছিল তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছি।
৫৪وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ وَأَنتُمْ تُبْصِرُونَ
(স্মরণ কর) লূত (আঃ) –এর কথা, তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেনঃ তোমরা জেনে শুনে কেন অশ্লীল কাজ করছো?
৫৫أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِّن دُونِ النِّسَاءِ ۚ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ
তোমরা কি কাম-তৃপ্তির জন্যে নারীকে ছেড়ে পুরুষে আসক্ত হবে? তোমরা তো এক অজ্ঞ সম্প্রদায়।
৫৬فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَن قَالُوا أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِّن قَرْيَتِكُمْ ۖ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ
উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বললঃ লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ হতে বহিষ্কৃত কর, এরা তো এমন লোক যারা পবিত্র সাজতে চায়।
৫৭فَأَنجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَاهَا مِنَ الْغَابِرِينَ
অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিজনবর্গকে আমি উদ্ধার করলাম, তার স্ত্রী ব্যতীত, তাঁকে করেছিলাম ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
৫৮وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
তাদের উপর ভয়ঙ্কর বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম; যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল তাদের জন্যে এই বর্ষণ ছিল কত মারাত্মক!
৬৯قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسَلَامٌ عَلَىٰ عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَىٰ ۗ آللَّهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ
বল, প্রশংসা আল্লাহরই এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাদের প্রতি; শ্রেষ্ঠ কি আল্লাহ, না তারা যাদেরকে শরীক করে তারা?
৬০أَمَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَنبَتْنَا بِهِ حَدَائِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍ مَّا كَانَ لَكُمْ أَن تُنبِتُوا شَجَرَهَا ۗ أَإِلَـٰهٌ مَّعَ اللَّهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَعْدِلُونَ
কে তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং আকাশ হতে তোমাদের জন্যে বর্ষণ করেন বৃষ্টি? অতঃপর আমি ওটা দ্বারা মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করি, ওর বৃক্ষাদি উৎপন্ন করবার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? বরং তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা সত্যবিদ্যূত হয়।
৬১أَمَّن جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَإِلَـٰهٌ مَّعَ اللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
কে তিনি, যিনি পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং ওর মাঝে প্রবাহিত করেছেন সুদৃঢ় পর্বত ও দুই সমুদ্রের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন অন্তরায়? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? বরং তাদের অনেকেই জানে না।
৬২أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاءَ الْأَرْضِ ۗ أَإِلَـٰهٌ مَّعَ اللَّهِ ۚ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ
কে তিনি যিনি (নিরুপায়ের) আর্তের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভুত করেন এবং কে তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? তোমরা উপদেশ অতি সামান্যই গ্রহণ করে থাকো।
৬৩أَمَّن يَهْدِيكُمْ فِي ظُلُمَاتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَن يُرْسِلُ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۗ أَإِلَـٰهٌ مَّعَ اللَّهِ ۚ تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ
তিনিই বা কে, যিনি তোমাদেরকে স্থলের ও পানির অন্ধকারে পথ-প্রদর্শন করেন এবং যিনি স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদদাহী বায়ু প্রেরণ করেন? আল্লাহর সাথে প্রেরণ করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? তারা যাকে শরীক করে আল্লাহ তা হতে বহু ঊর্ধ্বে।
৬৪أَمَّن يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَمَن يَرْزُقُكُم مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ۗ أَإِلَـٰهٌ مَّعَ اللَّهِ ۚ قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
কে তিনি, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর ওর পুনরাবৃত্তি করেন এবং যিনি তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হতে রুযী দান করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? বলঃ তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ পেশ কর।
৬৫قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ ۚ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
বলঃ আল্লাহ ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না এবং তারা জানে না তারা কখন পুনরুত্থিত হবে।
৬৬بَلِ ادَّارَكَ عِلْمُهُمْ فِي الْآخِرَةِ ۚ بَلْ هُمْ فِي شَكٍّ مِّنْهَا ۖ بَلْ هُم مِّنْهَا عَمُونَ
বরং আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান তো নিঃশেষ হয়েছে; তারা তো এ বিষয়ে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে, বরং এ বিষয়ে তারা অন্ধ।
৬৭وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَإِذَا كُنَّا تُرَابًا وَآبَاؤُنَا أَئِنَّا لَمُخْرَجُونَ
কাফিররা বলেঃ আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষরা মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে গেলেও কি আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে?
৬৮لَقَدْ وُعِدْنَا هَـٰذَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا مِن قَبْلُ إِنْ هَـٰذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
নিশ্চয়ই এই বিষয়ে আমাদেরকে এবং পূর্বে আমাদের পূর্ব-পুরুষদেরকেও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এটা তো পূর্ববর্তী উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।
৬৯قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ
বলঃ পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখো, অপরাধীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে।
৭০وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَلَا تَكُن فِي ضَيْقٍ مِّمَّا يَمْكُرُونَ
তাদের সম্পর্কে তুমি দুঃখ করো না এবং তাদের ষড়যন্ত্রে মনঃক্ষুন্ন হয়ো না।
৭১وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَـٰذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তারা বলেঃ তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, কখন এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে?
৭২قُلْ عَسَىٰ أَن يَكُونَ رَدِفَ لَكُم بَعْضُ الَّذِي تَسْتَعْجِلُونَ
বলঃ তোমরা সে বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাচ্ছে সম্ভবতঃ তার কিছু তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছে।
৭৩وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَشْكُرُونَ
নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
৭৪وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَعْلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمْ وَمَا يُعْلِنُونَ
তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং তারা যা প্রকাশ করে তা তোমার প্রতিপালক অবশ্যই জানেন।
৭৫وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লওহে মাহফুজে) নেই।
৭৬إِنَّ هَـٰذَا الْقُرْآنَ يَقُصُّ عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَكْثَرَ الَّذِي هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
বানী ইসরাঈল যে সমস্ত বিষয়ে মতভেদ করে, এই কুরআন তার অধিকাংশ তাদের নিকট বর্ণনা করে।
৭৭وَإِنَّهُ لَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
আর নিশ্চয়ই এটা মু’মিনদের জন্যে হিদায়াত ও রহমত।
৭৮إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِي بَيْنَهُم بِحُكْمِهِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْعَلِيمُ
নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক নিজ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন। তিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।
৭৯فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ ۖ إِنَّكَ عَلَى الْحَقِّ الْمُبِينِ
অতএব, আল্লাহর উপর নির্ভর কর; তুমি তো স্পষ্ট সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।
৮০إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَىٰ وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاءَ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ
মৃতকে তো তুমি কথা শুনাতে পারবে না, বধিরকেও পারবে না আহ্বান শুনাতে, যখন তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়।
৮১وَمَا أَنتَ بِهَادِي الْعُمْيِ عَن ضَلَالَتِهِمْ ۖ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ
তুমি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা হতে পথে আনতে পারবে না। তুমি শুনাতে পারবে শুধু তাদেরকে যারা আমায় নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে। আর তারাই আত্মসমর্পণকারী।
৮২وَإِذَا وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَيْهِمْ أَخْرَجْنَا لَهُمْ دَابَّةً مِّنَ الْأَرْضِ تُكَلِّمُهُمْ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا بِآيَاتِنَا لَا يُوقِنُونَ
যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের উপর আসবে তখন আমি মৃত্তিকা গর্ভ হতে বের করবো এক জীব, যা তাদের সাথে কথা বলবে, এই জন্যে যে, মানুষ আমার নিদর্শনগুলোকে বিশ্বাস করত না।
৮৩وَيَوْمَ نَحْشُرُ مِن كُلِّ أُمَّةٍ فَوْجًا مِّمَّن يُكَذِّبُ بِآيَاتِنَا فَهُمْ يُوزَعُونَ
যেদিন আমি সমবেত করবো প্রত্যেক সম্প্রদায়ের হতে এক একটি দলকে, যারা আমার নিদর্শনাবলী প্রত্যাখ্যান করতো এবং তাদেরকে সারিবদ্ধ করা হবে।
৮৪حَتَّىٰ إِذَا جَاءُوا قَالَ أَكَذَّبْتُم بِآيَاتِي وَلَمْ تُحِيطُوا بِهَا عِلْمًا أَمَّاذَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
যখন তারা সমাগত হবে তখন (আল্লাহ) বলবেনঃ তোমরা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করেছিলে, আর ওটা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারোনি? না, তোমরা অন্য কিছু করছিলে?
৮৫وَوَقَعَ الْقَوْلُ عَلَيْهِم بِمَا ظَلَمُوا فَهُمْ لَا يَنطِقُونَ
সীমালঙ্ঘন হেতু তাদের উপর ঘোষিত শাস্তি এসে পড়বে; ফলে তারা কিছুই বলতে পারবে না।
৮৬أَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا اللَّيْلَ لِيَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
তারা কি অনুধাবন করে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছি আলোকপ্রদ? এতে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
৮৭وَيَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَفَزِعَ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَن شَاءَ اللَّهُ ۚ وَكُلٌّ أَتَوْهُ دَاخِرِينَ
আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে, সেদিন আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন, তারা ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সবাই ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়বে এবং সবাই তাঁর নিকট আসবে বিনীত অবস্থায়।
৮৮وَتَرَى الْجِبَالَ تَحْسَبُهَا جَامِدَةً وَهِيَ تَمُرُّ مَرَّ السَّحَابِ ۚ صُنْعَ اللَّهِ الَّذِي أَتْقَنَ كُلَّ شَيْءٍ ۚ إِنَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَفْعَلُونَ
তুমি পর্বতমালা দেখে অচল মনে করছো; কিন্তু (সেদিন) এগুলো হবে মেঘপুঞ্জের ন্যায় চলমান; এটা আল্লাহরই সৃষ্টি-নৈপুণ্য, যিনি সব কিছুকে করেছেন সুষম। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে তিনি সম্যক অবগত।
৮৯مَن جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ خَيْرٌ مِّنْهَا وَهُم مِّن فَزَعٍ يَوْمَئِذٍ آمِنُونَ
যে সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে এর চেয়ে উৎকৃষ্টতর প্রতিফল পাবে এবং সেদিন তারা শঙ্কা হতে নিরাপদ থাকবে।
৯০وَمَن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَكُبَّتْ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ هَلْ تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
আর যে অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তাকে অধোমুখে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে, তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে।
৯১إِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ رَبَّ هَـٰذِهِ الْبَلْدَةِ الَّذِي حَرَّمَهَا وَلَهُ كُلُّ شَيْءٍ ۖ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
আমি তো আদিষ্ট হয়েছি এই নগরীর (মক্কা শরীফের) প্রভুর ইবাদত করতে, যিনি একে করেছেন সম্মানিত। সব কিছু তাঁরই। আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি, যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই।
৯২وَأَنْ أَتْلُوَ الْقُرْآنَ ۖ فَمَنِ اهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ ۖ وَمَن ضَلَّ فَقُلْ إِنَّمَا أَنَا مِنَ الْمُنذِرِينَ
আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি, কুরআন তিলায়াত করতে; অতঃপর যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্যে এবং কেউ ভ্রান্তপথ অবলম্বন করলে তুমি বলঃ আমি তো শুধু সতর্ককারীদের মধ্যে একজন।
৯৩وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ سَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ فَتَعْرِفُونَهَا ۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
আর বলঃ প্রশংসা আল্লাহরই, তিনি তোমাদেরকে সত্ত্বর দেখাবেন তাঁর নিদর্শন; তখন তোমরা তা বুঝতে পারবে। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক গাফিল (অনবহিত) নন।
error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x