০৪. সূরাঃ আন-নিসা
আয়াত নং | অবতীর্ণঃ মদিনা আয়াত সংখ্যাঃ ১৭৬ রুকূঃ ২৪ |
---|---|
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তদীয় সহধর্মিণী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের উভয় হতে বহু নর ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং সে আল্লাহকে ভয় কর যার নামের দোহাই দিয়ে তোমরা একে অপরকে তাগাদা কর এবং, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের তত্বাবধানকারী। |
|
وَآتُوا الْيَتَامَىٰ أَمْوَالَهُمْ ۖ وَلَا تَتَبَدَّلُوا الْخَبِيثَ بِالطَّيِّبِ ۖ وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَهُمْ إِلَىٰ أَمْوَالِكُمْ ۚ إِنَّهُ كَانَ حُوبًا كَبِيرًا
আর ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পত্তি প্রদান কর এবং পবিত্রতার সাথে অপবিত্রতার বিনিময় কর না ও তোমাদের ধন-সম্পত্তির সাথে তাদের ধন-সম্পত্তি ভোগ করো না; নিশ্চয় এটা গুরুতর অপরাধ। |
|
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا
আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে ইয়াতীমদের (মেয়েদের) প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীগণের মধ্য হতে তোমাদের মনমত দু’টি ও তিনটি ও চারটিকে বিয়ে কর; কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ন্যায় বিচার করতে পারতে না তবে মাত্র একটি অথবা তোমাদের দক্ষিণ হাত যার অধিকারী (ক্রীতদাসী) এটা অবিচার না ক্রার নিকটবর্তী। |
|
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
আর নারীগণকে তাদের দেন-মোহর প্রদান কর কিন্তু যদি তারা সন্তুষ্ট চিত্তে পরে কিয়দংশ তোমাদেরকে প্রদান করে তবে বিবেচনা মত তৃপ্তির সাথে ভোগ কর। |
|
وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَاءَ أَمْوَالَكُمُ الَّتِي جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ قِيَامًا وَارْزُقُوهُمْ فِيهَا وَاكْسُوهُمْ وَقُولُوا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
আল্লাহ তোমাদের জন্যে যে ধন-সম্পত্তি নির্ধারিত করেছেন, তা অবোধদেরকে প্রদান কর না এবং তা হতে তাদেরকে ভক্ষণ করাতে থাকো, পরিধান করাতে থাকো এবং তাদের সাথে সদ্ভাবে কথা বল। |
|
وَابْتَلُوا الْيَتَامَىٰ حَتَّىٰ إِذَا بَلَغُوا النِّكَاحَ فَإِنْ آنَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوا إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ ۖ وَلَا تَأْكُلُوهَا إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَن يَكْبَرُوا ۚ وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ ۖ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ ۚ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَأَشْهِدُوا عَلَيْهِمْ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ حَسِيبًا
আর ইয়াতীমগণ বিবাহযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে পরীক্ষা করে নাও; অতঃপর যদি তাদের মধ্যে বিবেক-বুদ্ধি পরিদৃষ্ট হওয়া লক্ষ্য কর, তবে তাদের ধন-সম্পত্তি তাদেরকে নমর্পণ কর এবং তারা বয়োঃপ্রাপ্ত বলে তা অপব্যয় ও সত্বরতা (তাড়াহুড়ো) সহকারে আত্মসাৎ করো না এবং যে ব্যক্তি অভাব মুক্ত হবে সে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখবে, আর যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্থ হবে সে সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করবে, অনন্তর যখন তাদের সম্পত্তি তাদেরকে সমর্পণ করতে চাও তখন তাদের জন্যে সাক্ষী রেখো এবং আল্লাহি হিসেব গ্রহণে যথেষ্ট। |
|
لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ ۚ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا
পুরুষদের জন্য পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত বিষয়-সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে এবং নারীদের জন্যেও তাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত বিষয়-সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে- অল্প বা অধিক এক নির্দিষ্ট পরিমাণ। |
|
وَإِذَا حَضَرَ الْقِسْمَةَ أُولُو الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينُ فَارْزُقُوهُم مِّنْهُ وَقُولُوا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
আর যখন তা বন্টনের সময়ে স্বজনগণ, পিতৃহীনগণ এবং দরিদ্গণ উপস্থিত হয়, তখন তা হতে তাদেরকেও জীবিকা দান কর এবং তাদের সাথে সদ্ভাবে কথা বল। |
|
وَلْيَخْشَ الَّذِينَ لَوْ تَرَكُوا مِنْ خَلْفِهِمْ ذُرِّيَّةً ضِعَافًا خَافُوا عَلَيْهِمْ فَلْيَتَّقُوا اللَّهَ وَلْيَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا
আর যারা নিজেদের পশ্চাতে নিজেদের অসমর্থ সন্তানদেরকে ছেড়ে যাবে তাদের ব্যাপারে তাদের ভীতি থাকবে তজ্জন্যে তাদের শঙ্কিত হওয়া উচিত; সুতরাং তাদের আল্লাহকে ভয় করা ও সৎভাবে কথা বলা আবশ্যক। |
|
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا ۖ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমদের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করে, নিশ্চয় তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নি শিখায় উপনীত হবে। |
|
يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ ۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ ۚ فَإِن كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ ۖ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ ۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ ۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا ۚ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
আল্লাহ তা’ আলা তোমাদের সম্বন্ধে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের জন্য দু’কন্যার অংশের তুল্য; আর যদি শুধু কন্যাগণ দু’জনের অধিক হয় তবে তারা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি হতে দুই তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত হবে। আর যদি একটি মাত্র কন্যা হয় তবে সে অর্ধেকাংশ প্রাপ্ত হবে এবং যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান থাকে, তবে তার পিতামাতার জন্যে অর্থাৎ উভয়ের প্রত্যেকেরই জন্যে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে এক ষষ্ঠাংশ রয়েছে আর যদি তার কোন সন্তান না থাকে এবং শুধু পিতা-মাতাই তার উত্তরাধিকারী হয়, তবে তার মাতার জন্যে হবে এক তৃতীয়াংশ এবং যদি তার ভ্রাতা থাকে, তবে সে যা নির্দেশ করে গেছে, সেই নির্দেশ ও ঋণ অন্তে তার জননীর জন্যে এক ষষ্ঠাংশ, তোমাদের পিতা ও তোমাদের পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের অধিকতর উপকারী তা তোমরা অবগত নও, এটাই আল্লাহর নির্দেশ; নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۚ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم ۚ مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ ۚ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ ۚ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ
আর তোমাদের পত্নীগণের যদি সন্তান-সন্ততি না থাকে, তবে তারা যা পরিত্যক্ত করে যায় তোমাদের জন্য তার অর্ধাংশ; কিন্তু যদি তাদের সন্তান-সন্ততি থাকে, তবে তারা যা অসিয়ত করেছে সেই অসিয়ত ও ঋণ অন্তে তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে তোমাদের জন্য এক চতুর্থাংশ এবং যদি তোমাদের কোন সন্তান-সন্ততি না থাকে তবে তোমরা যা পরিত্যাগ করে যাবে, তাদের জন্যে তার এক চতুর্থাংশ; কিন্তু যদি তোমাদের সন্তান-সন্ততি থাকে তবে তোমরা যা অসিয়ত করবে সেই অসিয়ত ও ঋণ অন্তে তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে তাদের জন্য এক অষ্টমাংশ; যদি কোন মূল ও শাখাবিহীন পুরুষ বা স্ত্রী মারা যায় এবং তার এক ভ্রাতা অথবা এক ভগ্নী থাক, তবে এতদুভয়ের মধ্য হতে প্রত্যেকেই এক ষষ্ঠাংশ পাবে, আর যদি তারা তদপেক্ষা অধিক হয় তবে কৃত অসিয়ত পূরণ করার অথবা ঋণের পর কারো অনিষ্ট |
|
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ ۚ وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ وَذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
এগুলো আল্লাহর নির্দিষ্ট সীমাসমূহ এবং যে কেউ আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের আনুগত্য করবে তিনি তাকে এরূপ জান্নাতে প্রবিষ্ট করাবেন, যার নিম্নে স্রোতস্বিনীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে এবং এটাই মহা সাফল্য। |
|
وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُّهِينٌ
আর যে কেউ আল্লাহ ও তদীয় রাসূলকে অমান্য করে এবং তাঁর নির্দিষ্ট সীমাসমূহ অতিক্রম করে, তিনি তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন, যেখানে সে সদা অবস্থান করবে এবং তার জন্যে লাঞ্ছনাপ্রদ শাস্তি রয়েছে। |
|
وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِن نِّسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْ ۖ فَإِن شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা নির্লজ্জতার (ব্যভিচার) কাজ করে, তোমরা তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী উপস্থিত কর, অনন্তর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে তাদেরকে তোমরা গৃহসমূহের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে উঠিয়ে না নেয়; কিংবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোন পথ নির্দেশ না করেন। |
|
وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنكُمْ فَآذُوهُمَا ۖ فَإِن تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَّحِيمًا
আর তোমাদের মধ্য হতে যে কোন দু’ব্যক্তি এ নির্লজ্জতার কাজ করবে, তাদের উভয়কেই শাস্তি প্রদান কর; কিন্তু তারা যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং সদাচারী হয়, তবে তদদুভয় হতে প্রত্যাবর্তিত হও, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তাওবা গ্রহণকারী, করুণাময়। |
|
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُولَـٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
তাওবা কবুল করার দায়িত্ব যে আল্লাহর উপর রয়েছে তা তো শুধু তাদেরই জন্যে যারা অজ্ঞতাবশতঃ পাপ করে থাকে, তৎপর অবিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনা করে। সুতরাং আল্লাহ তাদেরকেই ক্ষমা করবেন; আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَـٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
আর তাদের জন্যে ক্ষমা নেই যারা ওই পর্যন্ত পাপ করতে থাকে, যখন তাদের কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলেঃ নিশ্চয়ই আমি এখন ক্ষমা প্রার্থনা (তাওবা) করছি এবং তাদের জন্যেও নয় যারা অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়; তাদেরই জন্যে আমি বেদনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا ۖ وَلَا تَعْضُلُوهُنَّ لِتَذْهَبُوا بِبَعْضِ مَا آتَيْتُمُوهُنَّ إِلَّا أَن يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ ۚ وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ فَإِن كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَيَجْعَلَ اللَّهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا
হে মু’মিনগণ! এটা তোমাদের জন্যে বৈধ নয় যে, তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হও এবং প্রকাশ্য অশ্লীলতা ব্যতীত তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তার কিয়দাংশ গ্রহণের জন্যে তাদেরকে প্রতিরোধ করো না এবং তাদের সাথে সদ্ভাবে অবস্থান কর; কিন্তু যদি পাপ অনুভব কর তবে তোমরা যে বিষয়ে দোষিত মনে কর আল্লাহ সেটাকে প্রচুর কল্যাণকর করতে পারেন। |
|
وَإِنْ أَرَدتُّمُ اسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَّكَانَ زَوْجٍ وَآتَيْتُمْ إِحْدَاهُنَّ قِنطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا مِنْهُ شَيْئًا ۚ أَتَأْخُذُونَهُ بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে রাশি রাশি ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তোমরা তন্মধ্য হতে কিছুই প্রতিগ্রহণ করো না; তবে কি তোমরা অপবাদ প্রয়োগ এবং প্রকাশ্য পাপ করে সেটা গ্রহণ করবে? |
|
وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُ وَقَدْ أَفْضَىٰ بَعْضُكُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنكُم مِّيثَاقًا غَلِيظًا
এবং কিরূপে তোমরা তা গ্রহণ করবে? বস্তুতঃ তোমরা পরস্পর একে অন্যের সাথে মিলিত হয়েছো এবং তারা তোমাদের নিকট সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। |
|
وَلَا تَنكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُم مِّنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۚ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَمَقْتًا وَسَاءَ سَبِيلًا
আর যা বিগত হয়েছে তদ্ব্যতীত তোমাদের পিতৃগণ নারীকুলের মধ্যে যাদেরকে বিয়ে করেছে তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না; নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল ও পাপের কাজ এবং নিকৃষ্টতর পন্থা। |
|
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে তোমাদের মাতৃগণ, তোমাদের কন্যাগণ, তোমাদের ভগ্নিগণ, তোমাদের ফুফুগণ, তোমাদের খালাগণ, তোমাদের ভ্রাতৃকন্যাগণ, তোমাদের ভগ্নিকন্যাগণ, তোমাদের সেই মাতৃগণ, যারা তোমাদেরকে স্তন্য দান করেছেন, তোমাদের দুগ্ধভগ্নিগণ, তোমাদের স্ত্রীদের মাতৃগণ তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছো, সেই স্ত্রীদের (পূর্ব স্বামীর) যে সকল কন্যা তোমাদের ক্রোড়ে অবস্থিতা; কিন্তু যদি তোমরা তাদের সাথে সহবাস না করে থাক তবে তোমাদের জন্যে কোন অপরাধ নেই এবং যারা তোমাদের ঔরসজাত, সে পুত্রদের পত্নীগণ এবং যা অতীত হয়ে গেছে তদ্ব্যতীত দু’ভগ্নিকে একত্রিত করা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল! করুণাময়। |
|
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۖ كِتَابَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ ۚ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
এবং নারীদের মধ্যে সধবাগণ; (অন্যের বিবাহিতা স্ত্রীগণও) কিন্তু তোমাদের দক্ষিণ হাত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্য তাদেরকে বিধিবদ্ধ করেছেন, এতদ্ব্যতীত তোমাদের জন্যে বৈধ করা হয়েছে যে, তোমরা স্বীয় ধন-সম্পদের দ্বারা ব্যভিচারের উদ্দেশ্য ব্যতীত বিবাহবদ্ধ করার জন্যে তাদের অনুসন্ধান কর, অনন্তর তাদের দ্বারা যে ফলভোগ করেছ, তজ্জন্যে তাদেরকে তাদের নির্ধারিত পাওনা প্রদান কর এবং কোন অপরাধ হবে না- যদি নির্ধারণের প্র তোমরা পরস্পর সম্মত হও, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلًا أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ ۚ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُم ۚ بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ ۚ فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلَا مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ ۚ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ۚ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنكُمْ ۚ وَأَن تَصْبِرُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মু’মিনা ও স্বাধীনা রমণীকে বিয়ে করার শক্তি-সামর্থ না রাখে, তবে তোমাদের দক্ষিণ যার অধিকারী- সেই ঈমানদার দাসী। আল্লাহ তোমাদের ঈমান বিষয়ে পরিজ্ঞাত আছেন, তোমরা একে অপর হতে সমুদ্ভূত, অতএব তাদের মনিবদের অনুমতিক্রমে ও গুপ্ত প্রেমিকা ব্যতীত সতী-সাধ্বীদেরকে বিয়ে কর এবং তাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী মোহর প্রদান করবে। অতএব যখন তারা বিবাহবদ্ধ হয়, তৎপর যদি তারা ব্যভিচার করে। তবে তাদের প্রতি স্বাধীনা নারীদের শাস্তির অর্ধেক, এটা তাদেরই জন্যে তোমাদের মধ্যে যারা দুষ্কার্যকে ভয় করে এবং যদি তোমরা বিরত থাক, তবে এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
|
يُرِيدُ اللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ وَيَتُوبَ عَلَيْكُمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
আল্লাহ তোমাদের জন্যে বর্ণনা করতে এবং তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের আদর্শসমূহ প্রদর্শন করতে ও তোমাদেরকে ক্ষমা করতে ইচ্ছা করেন এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَاللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَيُرِيدُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الشَّهَوَاتِ أَن تَمِيلُوا مَيْلًا عَظِيمًا
আর আল্লাহ তোমাদের তওবা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করেন এবং যারা প্রবৃত্তির পূজারী তারা ইচ্ছা করে যে, তোমরা মারাত্মকভাবে বিচুত হয়ে পড়। |
|
يُرِيدُ اللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْ ۚ وَخُلِقَ الْإِنسَانُ ضَعِيفًا
আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান- যেহেতু মানুষ দুর্বল (রূপে) সৃষ্ট হয়েছে। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা পরস্পর সম্মতিক্রমে ব্যবসা ব্যতীত অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করো না এবং তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল। |
|
وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا
আর সীমা অতিক্রম করে ও অত্যাচার করে যে এ কাজ করে, ফলতঃ নিশ্চয়ই আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো এবং এটা আল্লাহর পক্ষে সহজসাধ্য। |
|
إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا
তোমরা যদি সেই মহা পাপসমূহ হতে বিরত হও যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, তাহলেই আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবো এবং তোমাদেরকে সম্মান-প্রদ গন্তব্যস্থানে প্রবিষ্ট করবো। |
|
وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبُوا ۖ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبْنَ ۚ وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِن فَضْلِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
এবং তোমরা ওসবের আকাঙ্ক্ষা করো না যার দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে অন্যের উপর প্রাধান্য দান করেছেন। পুরুষেরা যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ রয়েছে এবং নারীগণ যা উপার্জন করেছে তাতে তাদের অংশ আছে এবং তোমরা আল্লাহরই নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী। |
|
وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ ۚ وَالَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ فَآتُوهُمْ نَصِيبَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا
আর আমি সবার জন্য উত্তরাধিকারী করেছি যা কিছু তাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন পরিত্যাগ করে যায় এবং তোমাদের দক্ষিণ হাত যাদের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ; অতএব তোমরা তাদেরকে তাদের অংশ প্রদান কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে সাক্ষী। |
|
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ۖ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে প্রাধান্য দান করেছেন এবং এ হেতু যে, তারা স্বীয় ধন-সম্পদ হতে ব্যয় করে থাকে; সুতরাং যে সমস্ত নারী পুণ্যবতী তারা আনুগত্য করে, আল্লাহর সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে এবং যদি নারীগণের অবাধ্যতার আশঙ্কা হয়, তবে তাদেরকে সদুপদেশ প্রদান কর এবং তাদেরকে শয্যা হতে পৃথক কর ও তাদেরকে প্রহার কর, অনন্তর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের জন্য অন্যপন্থা অবলম্বন করো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুন্নত, মহীয়ান। |
|
وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَا إِن يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا
আর যদি তোমরা উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর, তবে উভয়ের পরিবার হতে একজন ক্রেবিচারক পাঠাও; যদি তারা দু’জনই মীমাংসা আকাঙ্ক্ষা করে তবে আল্লাহ তাদের উভয়ের মধ্যে সম্প্রীতি সঞ্চার করবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অভিজ্ঞ। |
|
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا
এবং তোমরা আল্লাহরই ইবাদত কর এবং তাঁর সাথে কোন বিষয়ে অংশী স্থাপন করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং আত্মীয়-স্বজনগণ, ইয়াতীমগণ, দরিদ্রগণ, সম্পর্কীয় প্রতিবেশী ও সম্পর্কবিহীন প্রতিবেশী,পার্শ্ববর্তী সহচর ও পথিক এবং তোমাদের দক্ষিণ হাত যাদের অধিকারী তাদের সাথেও সদ্ব্যবহার কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারী আত্মাভিমানীকে ভালবাসেন না। |
|
الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ ۗ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
যারা কৃপণতা করে ও লোকদেরকে কার্পণ্য করার আদেশ করে আর আল্লাহ স্বীয় সম্পদ হতে যা দান করেছেন তা গোপন করে এবং আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে অপমানজনক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। |
|
وَالَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ ۗ وَمَن يَكُنِ الشَّيْطَانُ لَهُ قَرِينًا فَسَاءَ قَرِينًا
এবং যারা লোকদেরকে দেখাবার জন্যে স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না, আর যাদের সহচর শয়তান, সে নিকৃষ্ট সঙ্গীই বটে। |
|
وَمَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ آمَنُوا بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقَهُمُ اللَّهُ ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِهِمْ عَلِيمًا
আর এতে তাদের কি হতো, যদি তারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতো এবং আল্লাহ তাদেরকে যা প্রদান করেছেন তা হতে ব্যয় করতো? এবং আলাহ তাদের বিষয়ে মহাজ্ঞানী। |
|
إِنَّ اللَّهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ ۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةً يُضَاعِفْهَا وَيُؤْتِ مِن لَّدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ বিন্দুমাত্র অত্যাচার করেন না এবং যদি কোন সৎকার্য থাকে তবে দ্বিগুণিত করেন এবং আল্লাহ তাঁর নিকট হতে মহান প্রতিদান প্রদান করেন। |
|
فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِن كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَىٰ هَـٰؤُلَاءِ شَهِيدًا
অনন্তর তখন কি দশা হবে, যখন আমিউ প্রত্যেক সম্প্রদায় হতে সাক্ষী আনয়ন করবো এবং তোমাকেই তাদের প্রতি সাক্ষী করবো? |
|
يَوْمَئِذٍ يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَعَصَوُا الرَّسُولَ لَوْ تُسَوَّىٰ بِهِمُ الْأَرْضُ وَلَا يَكْتُمُونَ اللَّهَ حَدِيثًا
যারা অবিশ্বাসী হয়েছে ও রাসূলের বিরূদ্ধাচরণ করেছে, তারা সেদিন কামনা করবে, যেন ভূমণ্ডল তাদের সাথে সমতল হয় এবং আল্লাহর নিকট তারা কোন কথাই গোপন করতে পারবে না। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنتُمْ سُكَارَىٰ حَتَّىٰ تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغْتَسِلُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যে পর্যন্ত না স্বীয় বাক্য হৃদয়ঙ্গম করতে পার এবং পথচারী অবস্থায় থাকা ব্যতীত গোসল না করা পর্যন্ত অপবিত্রাবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না এবং যদি তোমরা পীড়িত হও কিংবা সফরে অবস্থান কর অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ পায়খানা হতে প্রত্যাগত হয় কিংবা রমণী স্পর্শ (সম্ভোগ) করে এবং পানি না পাও, তবে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর, তার দ্বারা তোমাদের মুখমুন্ডল ও হাতসমূহ মুছে ফেল; নিশ্চয়ই আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। |
|
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِّنَ الْكِتَابِ يَشْتَرُونَ الضَّلَالَةَ وَيُرِيدُونَ أَن تَضِلُّوا السَّبِيلَ
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যাদেরকে গ্রন্থের এক অংশ প্রদত্ত হয়েছে? তারা ভ্রান্তপথ ক্রয় করেছে এবং কামনা করে যে, তুমিও পথভ্রান্ত হও। |
|
وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِأَعْدَائِكُمْ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَلِيًّا وَكَفَىٰ بِاللَّهِ نَصِيرًا
এবং আল্লাহ তোমাদের শত্রুকুলকে সম্যক পরিজ্ঞাত আছেন; এবং আল্লাহই যথেষ্ট পৃষ্ঠপোষক এবং আল্লাহই যথার্থ সাহায্যকারী। |
|
مِّنَ الَّذِينَ هَادُوا يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِ وَيَقُولُونَ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَاسْمَعْ غَيْرَ مُسْمَعٍ وَرَاعِنَا لَيًّا بِأَلْسِنَتِهِمْ وَطَعْنًا فِي الدِّينِ ۚ وَلَوْ أَنَّهُمْ قَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاسْمَعْ وَانظُرْنَا لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَقْوَمَ وَلَـٰكِن لَّعَنَهُمُ اللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا
ইয়াহুদীদের মধ্যে কেউ কেউ যথাস্থান হতে বাক্যাবলী বিকৃত করে এবং বলেঃ আমরা শ্রবণ করলাম ও অগ্রাহ্য করলাম; আরো বলে শোন, না শোনার মত এবং তারা স্বীয় জিহ্বা কুঞ্জিত করে ও ধর্মের প্রতি দোষারোপ করে বলে, “রায়েনা” (আমাদের রাখাল) যদি তারা বলতোঃ আমরা শুনলাম ও অনুসরণ করলাম এবং শুনুন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখুন তাহলে এটা তাদের পক্ষে উত্তম ও সুসঙ্গত হতো; কিন্তু আল্লাহ তাদের অবিশ্বাসহেতু তাদেরকে অভিসম্পাত করেছেন; অতএব অল্প সংখ্যক ব্যতীত তারা বিশ্বাস করে না। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ آمِنُوا بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبْلِ أَن نَّطْمِسَ وُجُوهًا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰ أَدْبَارِهَا أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّا أَصْحَابَ السَّبْتِ ۚ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا
হে গ্রন্থ প্রাপ্তগণ! তোমাদের সঙ্গে যা আছে তার সত্যতা সত্যায়নকারী যা অবতীর্ণ করেছি তৎপ্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর; এর পূর্বে যে, আমি বহু মুখমুন্ডল বিকৃত করে দেব, তৎপর তাদেরকে পৃষ্ঠের দিকে উল্টিয়ে দেব শনিবারীয়দের প্রতি যেরূপ অভিসম্পাত করেছিলাম তদ্রুপ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করবো এবং আল্লাহর আদেশ সুসম্পন্ন হয়েই থাকে। |
|
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশীস্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না এবং তদ্ব্যতীত যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে জড়িয়ে মিথ্যা রচনা করলো। |
|
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنفُسَهُم ۚ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَن يَشَاءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা স্বীয় পবিত্রতা প্রকাশ করে? বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন এবং তারা সূত্র (সুতা) পরিমাণও অত্যাচারিত হবে না। |
|
انظُرْ كَيْفَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ ۖ وَكَفَىٰ بِهِ إِثْمًا مُّبِينًا
লক্ষ্য কর, তারা কিরূপে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে! এবং এটি স্পষ্ট অপরাধী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। |
০৪. সূরাঃ আন-নিসা
আয়াত নং | অবতীর্ণঃ মদিনা আয়াত সংখ্যাঃ ১৭৬ রুকূঃ ২৪ |
---|---|
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا هَـٰؤُلَاءِ أَهْدَىٰ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا سَبِيلًا
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যাদেরকে গ্রন্থের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে? তারা প্রতিমা ও শয়তানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং অবিশ্বাসীদেরকে বলে যে, বিশ্বাসস্থাপনকারীগণ অপেক্ষা তারাই অধিকতর সুপথগামী। |
|
أُولَـٰئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ ۖ وَمَن يَلْعَنِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ نَصِيرًا
এদেরই প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করেছেন এবং আল্লাহ যাকে অভিসম্পাত করেন, তুমি তার জন্যে কোনই সাহায্যকারী পাবে না। |
|
أَمْ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّنَ الْمُلْكِ فَإِذًا لَّا يُؤْتُونَ النَّاسَ نَقِيرًا
তবে কি রাজত্বে তাদের জন্যে কোন অংশ রয়েছে? বস্তুতঃ তখন তারা লোকদেরকে খেজুর কণাও প্রদান করবে না। |
|
أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ ۖ فَقَدْ آتَيْنَا آلَ إِبْرَاهِيمَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَآتَيْنَاهُم مُّلْكًا عَظِيمًا
তবে কি তারা লোকদের প্রতি এজন্য হিংসা করে যে আল্লাহর তাদের স্বীয় সম্পদ হতে কিছু দান করেছেন? ফলতঃ নিশ্চয়ই আমি ইব্রাহীম বংশীয়গণকে গ্রন্থ ও বিজ্ঞান দান করেছি এবং তাদেরকে বিশাল স্ম্রাজ্য প্রদান করেছি। |
|
فَمِنْهُم مَّنْ آمَنَ بِهِ وَمِنْهُم مَّن صَدَّ عَنْهُ ۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا
অনন্তর তাদের মধ্যে অনেকেই ওর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং অনেকেই ওটা হতে বিরত রয়েছে; এবং (তাদের জন্যে) অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বিশিষ্ট জাহান্নামই যথেষ্ট। |
|
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
নিশ্চয়ই যারা আমার নিদর্শনসমূহের প্রতি অবিশ্বাসী হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আমি অগ্নিকুন্ডে দাখিল করবো; যখন তাদের বিদগ্ধ হবে, আমি তৎপরিবর্তে তাদের চর্ম পরিবর্তিত করে দেবো যেন তারা শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীব সম্মানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۖ لَّهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ ۖ وَنُدْخِلُهُمْ ظِلًّا ظَلِيلًا
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকার্যাবলী সম্পাদন করেছে, নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে জান্নাতসমূহে দাখিল করবো- যার নিম্নে স্রোতস্বিনীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে; সেখানে তাদের জন্যে পূত-পবিত্র সহধর্মিণীগণ রয়েছেন এবং আমি তাদেরকে ছায়াশীতল স্থানে দাখিল করবো। |
|
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন যে, গচ্ছিত (আমানত) বুঝিয়ে দাও ওর অধিকারীকে এবং যখন তোমরা লোকদের মধ্যে বিচার মীমাংসা কর, তখন ন্যায় বিচার কর; অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম উপদেশ দান করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, পরিদর্শক। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও ও রাসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের অন্তর্গত আদেশ-দাতাগণের; অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে কোন মতবিরোধ হয় তবে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তিত হও- যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে থাক; এটাই কল্যাণকর ও শ্রেষ্ঠতর সমাধান। |
|
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَن يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যারা ধারণা করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তৎপ্রতি তারা বিশ্বাস করে, অথচ তারা নিজেদের মোকদ্দমা শয়তানের নিকট নিয়ে যেতে চায়। যদিও তাদেরকে আদেশ করা হয়েছিল, যেন তাকে অবিশ্বাস করে এবং শয়তান ইচ্ছা করে যে, তাদেরকে সত্যের পথ থেকে বহু দূরে নিয়ে গিয়ে বিভ্রান্ত করে ফেলবে। |
|
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَىٰ مَا أَنزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ رَأَيْتَ الْمُنَافِقِينَ يَصُدُّونَ عَنكَ صُدُودًا
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সেদিকে এবং রাসূলের দিকে এসো, তখন তুমি মুনাফিকদেরকে দেখবে, তারা তোমার থেকে বিমুখ হয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। |
|
فَكَيْفَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ ثُمَّ جَاءُوكَ يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا إِحْسَانًا وَتَوْفِيقًا
অনন্তর তখন কিরূপ হবে, যখন তাদের হাতসমূহ যা পূর্বে প্রেরণ করেছে, তজ্জন্যে তাদের উপর বিপদ উপনীত হবে? তখন তারা আল্লাহর শপথ করতে করতে তোমার দিকে আসবে যে কল্যাণ ও স্প্রীতি ব্যতীত আমরা কিছুই কামনা করিনি। |
|
أُولَـٰئِكَ الَّذِينَ يَعْلَمُ اللَّهُ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَعِظْهُمْ وَقُل لَّهُمْ فِي أَنفُسِهِمْ قَوْلًا بَلِيغًا
তাদের অন্তরসমূহে যা আছে, আল্লাহ তা পরিজ্ঞাত আছেন; অএতব তুমি তাদের দিক হতে নির্লিপ্ত হও ও তাদেরকে সদুপদেশ প্রদান কর এবং তাদেরকে তাদের সম্বন্ধে হৃদয় স্পর্শী কথা বল। |
|
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذ ظَّلَمُوا أَنفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا
আমি এতদ্ব্যতীত কোনই রাসূল প্রেরণ করিনি যে, আল্লাহর আদেশে তাদের আনুগত্য স্বীকার করা হবে, এবং যদি তারা স্বীয় জীবনের উপর অত্যাচার করার পর তোমার নিকট আগমন করতো, তৎপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতো আর রাসূলও তাদের জন্যে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতেন, তবে নিশ্চয়ই তারা আল্লাহকে তাওবা কবূলকারী, অত্যন্ত করুণাময় হিসেবে পেত। |
|
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অতএব তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা কখনো বিশ্বাসস্থাপনকারী হতে পারবে না, যে পর্যন্ত তোমাকে তাদের আভ্যন্তরীণ বিরোধের বিচারক হিসেবে মেনে না নিবে, তৎপর তুমি যে বিচার করবে তা দ্বিধাহীন অন্তরে গ্রহণ না করবে এবং ওটা শান্তভাবে পরিগ্রহণ না করবে। |
|
وَلَوْ أَنَّا كَتَبْنَا عَلَيْهِمْ أَنِ اقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ أَوِ اخْرُجُوا مِن دِيَارِكُم مَّا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٌ مِّنْهُمْ ۖ وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُوا مَا يُوعَظُونَ بِهِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيتًا
আর আমি যদি তাদের উপর বিধিবদ্ধ করতাম যে, তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর অথবা স্বীয় গৃহপ্রাচীর হতে নিষ্ক্রান্ত হও, তবে তাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত ওটা করতো না এবং যে বিষয়ে তাদেরকে উপদেশ ন্দেয়া হয়েছিল তা যদি তারা করতো তবে নিশ্চয়ই ওটা তাদের জন্যে কল্যাণকর ও অধিকতর সুপ্রতিষ্ঠিত হতো। |
|
وَإِذًا لَّآتَيْنَاهُم مِّن لَّدُنَّا أَجْرًا عَظِيمًا
এবং তখন আমি তাদেরকে অবশ্যই স্বীয় সন্নিধান হতে বৃহত্তর প্রতিদান প্রদান করতাম। |
|
وَلَهَدَيْنَاهُمْ صِرَاطًا مُّسْتَقِيمًا
এবং নিশ্চয় তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করতাম। |
|
وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَـٰئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ ۚ وَحَسُنَ أُولَـٰئِكَ رَفِيقًا
আর যে কেউ আল্লাহ রাসূলের অনুগত হয়, তবে তারা ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সত্য সাধকগণ, শহীদগণ ও সৎকর্মশীলগণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী। |
|
ذَٰلِكَ الْفَضْلُ مِنَ اللَّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ عَلِيمًا
এটাই আল্লাহর অনুগ্রহ এবং আল্লাহর জ্ঞানই যথেষ্ট। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انفِرُوا جَمِيعًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা স্বীয় সতর্কতা বজায় রেখো, তৎপর পৃথকভাবে বহির্গত হও অথবা সম্মিলিতভাবে অভিযান কর। |
|
وَإِنَّ مِنكُمْ لَمَن لَّيُبَطِّئَنَّ فَإِنْ أَصَابَتْكُم مُّصِيبَةٌ قَالَ قَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيَّ إِذْ لَمْ أَكُن مَّعَهُمْ شَهِيدًا
আর তোমাদের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে যে শৈথিল্য করে; অনন্তর যদি তোমাদের উপর বিপদ নিপতিত হয় তবে বলেঃ আমার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ছিল যে, আমি তখন তাদের সাথে বিদ্যমান ছিলাম না। |
|
وَلَئِنْ أَصَابَكُمْ فَضْلٌ مِّنَ اللَّهِ لَيَقُولَنَّ كَأَن لَّمْ تَكُن بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ مَوَدَّةٌ يَا لَيْتَنِي كُنتُ مَعَهُمْ فَأَفُوزَ فَوْزًا عَظِيمًا
এবং যদি আল্লাহর সন্নিধান হতে তোমাদের উপর অনুগ্রহ সম্পদ অবতীর্ণ হয় তবে এরূপভাবে ব্লে যেন তোমাদের মধ্যে ও তার মধ্যে কোনই সম্বন্ধ ছিল না- বস্তুতঃ যদি আমিও তাদের সঙ্গী হতাম তবে মহান ফলপ্রদ সুফল লাভ করতাম। |
|
فَلْيُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يَشْرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ ۚ وَمَن يُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
অতএব যারা ইহকালের বিনিময়ে পরকাল ক্রয় করেছে তারা যেন আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে; এবং যে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে তৎপর নিহত অথবা বিজয়ী হয় তবে আমি তাকে মহান প্রতিদান প্রদান করবো। |
|
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছো না? অথচ অসহায় পুরুষগণ, নারীবৃন্দ এবং শিশুরা বলে যে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে অত্যাচারী অধিবাসীদের এই নগর হতে বহির্গত করুন এবং স্বীয় সন্নিধান হতে আমাদের পৃষ্ঠপোষক ও নিজের নিকট হতে আমাদের জন্য সাহায্যকারী প্রেরণ করুন। |
|
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে এবং যারা অবিশ্বাসী হয়েছে তারা শয়তানের পথে যুদ্ধ করে; অতএব তোমরা শয়তানের সুহৃদগণের (বন্ধুগণের) সাথে যুদ্ধ কর; নিশ্চয়ই শয়তানের কৌশল দুর্বল। |
|
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوا أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُمْ يَخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللَّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةً ۚ وَقَالُوا رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَ لَوْلَا أَخَّرْتَنَا إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ ۗ قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ لِّمَنِ اتَّقَىٰ وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল যেঃ তোমাদের হাতসমূহ সংবরণ রাখ এবং নামায প্রতিষ্ঠিত রাখ এবং যাকাত প্রদান কর। অনন্তর যখন তাদের প্রতি জিহাদ ফরজ করে দেয়া হল তখন তাদের একদল আল্লাহকে যেরূপ ভয় করে তদ্রুপ মানুষকে ভয় করতে লাগলো এবং তদপেক্ষাও অধিক ভয় এবং তারা বললঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি কেন আমাদের উপর যুদ্ধ বিধিবদ্ধ করলেন? কেন আমাদেরকে আর কিছুকালের জন্যে অবসর দিলেন না? তুমি বলঃ পার্থিব সম্পদ অকিঞ্চিৎকর এবং আল্লাহ ভীরূগণের জন্যে পরকালই কল্যাণকর এবং তোমরা ক্ষীণ সুতা পরিমাণও অত্যাচারিত হবে না? |
|
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَـٰذِهِ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَـٰذِهِ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هَـٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا
তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদেরকে পেয়ে যাবে, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর; এবং যদি তাদের উপর কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হয় তবে বলেঃ এটা আল্লাহর নিকট হতে এবং যদি তাদের প্রতি অমঙ্গল নিপতিত হয় তবে বলে যে, এটা তোমার নিকট হতে হয়েছে, তুমি বলঃ সব কিছুই আল্লাহর নিকট হতে হয়; অতএব ঐ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে, তারা কোন কথা যেন বুঝতেই চায় না। |
|
مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ۖ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ ۚ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولًا ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا
তোমার নিকট যে কল্যাণ উপস্থিত হয় তা আল্লাহর সন্নিধান হতে এবং তোমার উপর যে অমঙ্গল নিপতিত হয় তা তোমার নিজ হতে হয়ে থাকে; এবং আমি তোমাদেরকে মানবমণ্ডলীর জন্যে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি; আর আল্লাহ সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। |
|
مَّن يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
যে কেউ রাসূলের অনুগত হয় নিশ্চয়ই সে আল্লাহরই অনুগত হয়ে থাকে; এবং যে ফিরে যায় আমি তার জন্যে তোমাকে রক্ষকরূপে প্রেরণ করিনি। |
|
وَيَقُولُونَ طَاعَةٌ فَإِذَا بَرَزُوا مِنْ عِندِكَ بَيَّتَ طَائِفَةٌ مِّنْهُمْ غَيْرَ الَّذِي تَقُولُ ۖ وَاللَّهُ يَكْتُبُ مَا يُبَيِّتُونَ ۖ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَكِيلًا
আর তারা বলেঃ আমরা অনুগত; কিন্তু যখন তারা তোমার নিকট হতে বের হয়ে যায় তখন তাদের একদল- তুমি যা বল তার বিরুদ্ধে শলা-পরামর্শ করে এবং তারা যা শলা-পরামর্শ করে আল্লাহ তা লিপিবদ্ধ করেন; অতএব তাদের প্রতি বিমুখ হও ও আল্লাহর উপর নির্ভর কর; এবং আল্লাহই কার্য সম্পাদনে যথেষ্ট। |
|
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
তারা কেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি ওটা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে হতো তবে তারা ওতে বহু গরমিল পেতো। |
|
وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِّنَ الْأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوا بِهِ ۖ وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلَىٰ أُولِي الْأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنبِطُونَهُ مِنْهُمْ ۗ وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ إِلَّا قَلِيلًا
আর যখন তাদের নিকট কোন শান্তি ভা ভীতিজনক বিষয় উপস্থিত হয় তখন তারা ওটা প্রচার করতে থাকে এবং যদি তারা ওটা রাসূলের ও তাদের আদেশদাতাদের প্রতি সমর্পণ করতো তবে তাদের মধ্যে তত্ত্বানুসন্ধিৎসুগণ ওটা উপলব্ধি করতো, এবং যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগথ ও করুণা না হতো তবে অল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা শয়তানের অনুসরণ করতে। |
|
فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا
অতএব আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর; তোমার নিজের ছাড়া তোমার উপর অন্য কোন ভার অর্পণ করা হয়নি এবং বিশ্বাসীদেরকে উদ্বুদ্ধ কর; অচিরেই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের সংগ্রাম প্রতিরোধ করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে সুদৃঢ় ও শাস্তি দানে কঠোর। |
|
مَّن يَشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَكُن لَّهُ نَصِيبٌ مِّنْهَا ۖ وَمَن يَشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَكُن لَّهُ كِفْلٌ مِّنْهَا ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ مُّقِيتًا
যে কেউ সৎ সুপারিশ করবে সে ওর দরুন অংশ পাবে এবং যে কেউ অসৎ সুপারিশ করবে সে ওর দরুন অংশ প্রাপ্ত হবে এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিদাতা। |
|
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا
আর যখন তোমরা শুভাশিষে সালাম ও অভিবাদন প্রাপ্ত হও, তবে তোমরাও তা হতে শ্রেষ্ঠতর শুভ সম্ভাষণ কর অথবা ওটাই প্রত্যর্পণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী। |
|
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ ۗ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ حَدِيثًا
আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার মা’বূদ কেউ নেই; নিশ্চয় এতে সন্দেহ নেই যে, তিনি তোমাদেরকে কিয়ামতের দিনে একত্রিত করবেন এবং আল্লাহ অপেক্ষা কে বেশি সত্যবাদী। |
|
فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ وَاللَّهُ أَرْكَسَهُم بِمَا كَسَبُوا ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَهْدُوا مَنْ أَضَلَّ اللَّهُ ۖ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا
অনন্তর তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু’দল হলে? এবং তারা যা অর্জন করেছে তজ্জন্যে আল্লাহ তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি কি তাকে পথপ্রদর্শন করতে চাও? এবং আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেছেন, বস্তুতঃ তুমি তার জন্য কোনই পথ পাবে না। |
|
وَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُوا فَتَكُونُونَ سَوَاءً ۖ فَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ أَوْلِيَاءَ حَتَّىٰ يُهَاجِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ ۖ وَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
তারা ইচ্ছা করে যে, তারা যেরূপ অবিশ্বাস করেছে, তোমরাও তদ্রুপ অবিশ্বাস কর যেন তোমরাও তাদের সদৃশ হও; অতএব তাদের মধ্য হতে বন্ধু গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে দেশ ত্যাগ করে; অতএব যদি তারা প্রতিগমন করে, তবে তাদেরকে ধর এবং যেখানে পাও তাদেরকে সংহার (হত্যা) কর এবং তাদের মধ্য হতে বন্ধু অথবা সাহায্যকারী গ্রহণ করো না। |
|
إِلَّا الَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَىٰ قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَاقٌ أَوْ جَاءُوكُمْ حَصِرَتْ صُدُورُهُمْ أَن يُقَاتِلُوكُمْ أَوْ يُقَاتِلُوا قَوْمَهُمْ ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَسَلَّطَهُمْ عَلَيْكُمْ فَلَقَاتَلُوكُمْ ۚ فَإِنِ اعْتَزَلُوكُمْ فَلَمْ يُقَاتِلُوكُمْ وَأَلْقَوْا إِلَيْكُمُ السَّلَمَ فَمَا جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ عَلَيْهِمْ سَبِيلًا
কিন্তু তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে সন্ধিবদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে যারা সম্মিলিত হয়, অথবা তোমাদের সাথে অথবা তাদের সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করতে সংকুচিত চিত্ত হয়ে যারা তোমাদের নিকট উপস্থিত হয়, এবং যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তবে তোমাদের উপর তাদেরকে শক্তিশালী করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই তারা তোমাদের সাথে সংগ্রাম করতো; অতএব যদি তারা তোমাদের দিক হতে নিবৃত্ত হয় এবং তোমাদের সাথে সংগ্রাম না করে এবং তোমাদের প্রতি সন্ধি প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তাদের প্রতিকূলে তোমাদের জন্যে কোন পন্থা রাখেন নি। |
|
سَتَجِدُونَ آخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأْمَنُوكُمْ وَيَأْمَنُوا قَوْمَهُمْ كُلَّ مَا رُدُّوا إِلَى الْفِتْنَةِ أُرْكِسُوا فِيهَا ۚ فَإِن لَّمْ يَعْتَزِلُوكُمْ وَيُلْقُوا إِلَيْكُمُ السَّلَمَ وَيَكُفُّوا أَيْدِيَهُمْ فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ ۚ وَأُولَـٰئِكُمْ جَعَلْنَا لَكُمْ عَلَيْهِمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا
অচিরেই তুমি কতকলোককে এমনও পাবে, যারা তোমাদের দিক হতে নিরাপত্তা পেতে চায় ও স্বীয় সম্প্রদায় হতেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়। যখন তাদেরকে ফেতনার (সন্ত্রাসের) দিকে মনোনিবেশ করানো হয় তখন তারা তাতেই জড়িয়ে পড়ে। অনন্তর যদি তারা তোমাদের দিক হতে নিবৃত্ত না হয় ও সন্ধি প্রার্থনা না করে এবং তাদের হাতসমূহ সংযত না রাখে, তবে তাদেরকে ধর এবং যেখানে পাও তাদেরকে সংহার কর; এদেরই বিরুদ্ধে আমি তোমাদেরকে সুস্পষ্ট ক্ষমতা প্রদান করেছি। |
|
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ أَن يَقْتُلَ مُؤْمِنًا إِلَّا خَطَأً ۚ وَمَن قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَأً فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ وَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰ أَهْلِهِ إِلَّا أَن يَصَّدَّقُوا ۚ فَإِن كَانَ مِن قَوْمٍ عَدُوٍّ لَّكُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ ۖ وَإِن كَانَ مِن قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَاقٌ فَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰ أَهْلِهِ وَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ ۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ تَوْبَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
কোন মু’মিনের উচিত নয় যে, ভ্রম ব্যতীত কোন মু’মিনকে হত্যা করে; যে কেউ ভ্রমবশতঃ কোন মু’মিনকে হত্যা করে, তবে সে একজন মু’মিন দাসকে মুক্ত করে দেবে এবং তার আত্মীয়-স্বজনগণকে হত্যা বিনিময় (রক্তপণ) সমর্পণ করবে; কিন্তু হ্যাঁ, তবে যদি তারা ক্ষমা করে দেয়, অনন্তর যদি সে তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ও মু’মিন হয় তবে একজন মু’মিন দাসকে মুক্তি দান করবে এবং যদি সে তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে সন্ধিবদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয় তবে তার স্বজনদেরকে হত্যা-বিনিময় অর্পণ করবে এবং একজন মু’মিন দাসকে মুক্ত করবে; কিন্তু যদি সে ওটা প্রাপ্ত না হয় (সামর্থহীন হয়), তবে আল্লাহর নিকট হতে ক্ষমাপাপ্তির জন্যে ক্রমাগত দু’মাস রোজা রাখবে এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا
আর যে কেউ স্বেচ্ছায় কোন মু’মিনকে হত্যা করবে তার শাস্তি হবে জাহান্নাম, তন্মধ্যে সে সদা অবস্থান করবে এবং আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ ও তাকে অভিশপ্ত করেন এবং তার জন্যে ভীষণ সাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِندَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে বহির্গত হও তখন প্রত্যেক কাজ তথ্য নিয়ে করো এবং কেউ তোমাদেরকে ‘সালাম’ করলে তাকে বল না যে, তুমি মু’মিন নও; তোমরা কি পার্থিব জীবনের সম্পদের প্রত্যাশা করছো? তবে আল্লাহর নিকট প্রচুর সম্পদ রয়েছে; প্রথমে তোমরা এরূপই ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন; অতএব তোমরা স্থীর করে নাও যে, তোমরা যা করছো নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে পূর্ণ অবগত। |
|
لَّا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
মু’মিনদের মধ্যে যারা কোন দুঃখ-পীড়া ব্যতীতই গৃহে বসে থাকে, আর যারা স্বীয় ধন ও প্রান দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে, তারা সমান নয়; আল্লাহ ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদকারীগণকে উপবিষ্টগণের উপর পদ-মর্যাদায় গৌরবান্বিত করেছেন এবং সকলকেই আল্লাহ কল্যাণপ্রদ প্রতিশ্রুতি দান করেছেন এবং উপবিষ্টগণের উপর জিহাদ-কারীগণকে মহান প্রতিদানে গৌরবান্বিত করেছেন। |
|
دَرَجَاتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
স্বীয় সন্নিধান হতে পদমর্যাদা ক্ষমা ও করুণা (দ্বারা গৌরবান্বিত করেছেন) এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
|
إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنتُمْ ۖ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ ۚ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا ۚ فَأُولَـٰئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
নিশ্চয়ই যারা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করেছিল, ফেরেশতা তাদের প্রাণ হরণ করে বলবেঃ তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলবেঃ আমরা দুনিয়ায় অসহায় অবস্থায় ছিলাম; তারা বলবেঃ আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে, তন্মধ্যে তোমরা হিজরত করতে পারতে? অতএব ওদেরই বাসস্থান জাহান্নাম এবং ওটা নিকৃষ্ট গন্তব্য স্থান। |
|
إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا
কিন্তু পুরুষ, নারী এবং শিশুগণের মধ্যে অসহায়বশতঃ যারা কোন উপায় করতে পারে না অথবা কোন পথ প্রাপ্ত হয় না। |
|
فَأُولَـٰئِكَ عَسَى اللَّهُ أَن يَعْفُوَ عَنْهُمْ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا
ফলতঃ তাদেরই আশা আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। |
|
وَمَن يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَجِدْ فِي الْأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةً ۚ وَمَن يَخْرُجْ مِن بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
আর যে কেউ আল্লাহর পথে দেশ ত্যাগ করবে, সে পৃথিবীতে বহু প্রশস্ত স্থান ও স্বচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে, এবং যে কেউ গৃহ হতে বহির্গত হয়ে আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করে, তৎপর সে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে নিশ্চয়ই এর প্রতিদান আল্লাহর উপর ন্যস্ত রয়েছে; এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
০৪. সূরাঃ আন-নিসা
আয়াত নং | অবতীর্ণঃ মদিনা আয়াত সংখ্যাঃ ১৭৬ রুকূঃ ২৪ |
---|---|
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَن يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِينًا
আর যখন তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে পর্যটন কর, তখন নামাজ সংক্ষেপ (কসর) করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, যারা অবিশ্বাসকারী তারা তোমাদেরকে বিব্রত করবে; নিশ্চয়ই অবিশ্বাসীরা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। |
|
وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِّنْهُم مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِن وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَىٰ لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ ۗ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَاحِدَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن كَانَ بِكُمْ أَذًى مِّن مَّطَرٍ أَوْ كُنتُم مَّرْضَىٰ أَن تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ ۖ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
এবং যখন তুমি তাদের মধ্যে থাক, তখন তাদের জন্যে (নামাযে ইমামত করবে) নামায প্রতিষ্ঠিত কর, যেন তাদের একদল তোমার সাথে দন্ডায়মান হয় এবং স্ব-স্ব অস্ত্র গ্রহণ করে; অতঃপর যখন সিজদাহ সম্পন্ন সম্পন্ন করে; অতঃপর যখন সিজদাহ সম্পন্ন করে তখন যেন তারা তোমার পশ্চাদবর্তী হয় এবং অন্য দল যারা নামায পড়েনি তারা যেন অগ্রসর হয়ে তোমার সাথে নামায পড়ে এবং স্ব-স্ব সতর্কতা ও অস্ত্র গ্রহণ করে। অবিশ্বাসীরা ইচ্ছে করে যে, তোমরা স্বীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও দ্রব্য সম্ভার সম্বন্ধে অসতর্ক হলেই তারা একযোগে তোমাদের উপর নিপতিত হয় এবং তাতে তোমাদের অপরাধ নেই- যদি তোমরা বৃষ্টিতে বিব্রত হয়ে অথবা পীড়িত অবস্থায় স্ব-স্ব অস্ত্র পরিত্যাগ কর এবং স্বীয় সতর্কতা অবলম্বন কর; এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্যে অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করেছেন। |
|
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অনন্তর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর তখন দন্ডায়মান ও উপবিষ্ট এবং এলায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর; অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হও তখন নামায প্রতিষ্ঠিত কর; নিশ্চয়ই নামায বিশ্বাসীগণের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত। |
|
وَلَا تَهِنُوا فِي ابْتِغَاءِ الْقَوْمِ ۖ إِن تَكُونُوا تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَ ۖ وَتَرْجُونَ مِنَ اللَّهِ مَا لَا يَرْجُونَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
এবং সে সম্প্রদায়ের অনুসরণে শৈথিল্য করো না যদি তোমরা কষ্ট পেয়ে থাক তবে তারাও তোমাদের অনবুরূপ কষ্টভোগ করেছে এবং তৎসহ আল্লাহ হতে তোমাদের যে আশা (জান্নাতের) আছে, তাদের সে আশা নেই এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
إِنَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ ۚ وَلَا تَكُن لِّلْخَائِنِينَ خَصِيمًا
নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি সত্যসহ গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি যেন তুমি তদনুযায়ী মানবদের মাঝে বিচার-ফায়সালা করতে পার। যা আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দান করেছেন এবং তুমি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে বিতর্ককারী হয়ো না। |
|
وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
এবং আল্লাহর উপর ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
|
وَلَا تُجَادِلْ عَنِ الَّذِينَ يَخْتَانُونَ أَنفُسَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمًا
এবং যারা স্বীয় জীবনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তুমি তাদের পক্ষে বিতর্ক করো না। নিশ্চয়ই আলাহ বিশ্বাসঘাতক পাপীকে ভালবাসেন না। |
|
يَسْتَخْفُونَ مِنَ النَّاسِ وَلَا يَسْتَخْفُونَ مِنَ اللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمْ إِذْ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرْضَىٰ مِنَ الْقَوْلِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطًا
তারা মানব হতে আত্মগোপন করে, কিন্তু আল্লাহ হতে গোপন করতে পারে না; এবং তিনি তাদের সঙ্গে থাকেন, যখন তারা রজনীতে তাঁর (আল্লাহর) অপ্রিয় বাক্যে পরামর্শ করে এবং তারা যা করছে আল্লাহ তার পরিবেষ্টনকারী। |
|
هَا أَنتُمْ هَـٰؤُلَاءِ جَادَلْتُمْ عَنْهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَمَن يُجَادِلُ اللَّهَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَم مَّن يَكُونُ عَلَيْهِمْ وَكِيلًا
সাবধান- তোমরাই ঐ লোক, যারা ওদের পক্ষ হতে পার্থিব জীবন সম্বন্ধে বিতর্ক করছ; কিন্তু কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষ হতে কে আল্লাহর সাথে বিতর্ক করবে এবং কে তাদের দায়িত্বশীল হবে? |
|
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
এবং যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পাবে। |
|
وَمَن يَكْسِبْ إِثْمًا فَإِنَّمَا يَكْسِبُهُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
এবং যে কেউ পাপ অর্জন করে, বস্তুতঃ সে স্বীয় আত্মারই ক্ষতি করে এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
وَمَن يَكْسِبْ خَطِيئَةً أَوْ إِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهِ بَرِيئًا فَقَدِ احْتَمَلَ بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
আর যে কেউ অপরাধ অথবা পাপ অর্জন করে, তৎপরে ওটা নিরাপরাধের প্রতি অরোপ করে, তবে সে নিজেই সে অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপ বহন করবে। |
|
وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّائِفَةٌ مِّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ ۖ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ ۚ وَأَنزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُن تَعْلَمُ ۚ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
আর যদি তোমার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হতো, তবে তাদের একদল তোমাকে পথভ্রান্ত করতে ইচ্ছুক হয়েছিল, এবং তারা নিজেদেরকে ছাড়া বিপথগামী করেনি আর তারা তোমাকে কোন বিষয়ে ক্লেশ (ক্ষতি) দিতে পারবে না এবং আল্লাহ তোমার প্রতি গ্রন্থ ও বিজ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন এবং তুমি যা জানতে না, তিনি তাই তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং তোমার প্রতি আল্লাহর অসীম করুণা রয়েছে। |
|
لَّا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِّن نَّجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
তাদের অধিকাংশ গুপ্ত পরামর্শে কোন মঙ্গল নিহিত থাকে না, হ্যাঁ, তবে যে ব্যক্তি এরূপ যে দান অথবা কোন সৎ কাজ কিংবা লোকের মধ্যে পরস্পর সন্ধি করে দেবার উৎসাহ প্রদান করে এবং যে আল্লাহর প্রসন্নতা সন্ধানের জন্যেঐরূপ করে, আমি তাকে মহান বিনিময় প্রদান করবো। |
|
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
আর সুপথ প্রকাশিত হওয়ার পর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং বিশ্বাসীগণের বিপরীত পথে অনুগামী হয়, তবে সে যাতে অভিনিবিষ্ট- আমি তাকে তাতেই প্রত্যাবর্তিত করবো ও তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো এবং ওটা নিকৃষ্টতর প্রত্যাবর্তন স্থল। |
|
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে অংশী স্থাপন করাকে ক্ষমা করেন না এবং এতদ্বতীত তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে থাকেন এবং যে আল্লাহর সাথে অংশীস্থাপন করে তবে সে নিশ্চয়ই চরমভাবে গোমরাহ হয়ে গেল। |
|
إِن يَدْعُونَ مِن دُونِهِ إِلَّا إِنَاثًا وَإِن يَدْعُونَ إِلَّا شَيْطَانًا مَّرِيدًا
তারা তাঁকে পরিত্যাগ করে তৎপরিবর্তে নারী প্রতিমাপুঞ্জকেই আহ্বান করে এবং তারা বিদ্রোহী শয়তানকে ব্যতীত আহ্বানে করে না। |
|
لَّعَنَهُ اللَّهُ ۘ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا
আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং সে বলেছিল যেঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের হতে এক নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করবো। |
|
وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الْأَنْعَامِ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ ۚ وَمَن يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّن دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا
এবং নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে পথভ্রান্ত করবো, মিথ্যা আশ্বাস দিবো এবং তাদেরকে আদেশ করবো, যেন তারা পশুর কর্ণ ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করবো, যেন তারা আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করে এবং যে আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। |
|
يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ ۖ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا
তিনি তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন ও আশ্বাস দান করেন এবং শয়তান প্রতারণা ব্যতীত তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে না। |
|
أُولَـٰئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَلَا يَجِدُونَ عَنْهَا مَحِيصًا
তাদেরই বাসস্থান জাহান্নাম এবং সেখান হতে তারা কোন আশ্রয়স্থল পাবে না। |
|
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۖ وَعْدَ اللَّهِ حَقًّا ۚ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবো যার নিন্মে স্রোতস্বিনীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; এবং কে আল্লাহ অপেক্ষা বাক্যে অধিকতর সত্যপরায়ণ? |
|
لَّيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ ۗ مَن يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ وَلَا يَجِدْ لَهُ مِن دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
না তোমাদের বৃথা আশায় কাজ হবে আর না আহলে কিতাবের বৃথা আশায়। যে অসৎ কাজ করবে, সে তার প্রতিফল পাবে এবং সে আল্লাহর পরিবর্তে কাউকেও বন্ধু এবং সাহায্যকারী পাবে না। |
|
وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَـٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا
পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকার্য করে আর সে বিশ্বাসীও হয় তবে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তারা খেজুর কণা পরিমাণও অত্যাচারিত হবে না। |
|
وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِّمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا ۗ وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا
আর যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ করেছে ও সৎকার্য করে এবং ইব্রাহীমের সুদৃঢ় ধর্মের অনুসরণ করে, তার অপেক্ষা কার ধর্ম উৎকৃষ্ট? এবং আল্লাহ ইব্রাহীমকে স্বীয় বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছিলেন। |
|
وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُّحِيطًا
এবং নভোমণ্ডলে যা কিছু ও ভূ-মণ্ডলে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই জন্যে এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে পরিবেষ্টনকারী। |
|
وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ ۖ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللَّاتِي لَا تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْوِلْدَانِ وَأَن تَقُومُوا لِلْيَتَامَىٰ بِالْقِسْطِ ۚ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِهِ عَلِيمًا
এবং তারা তোমার নিকট নারীদের সম্বন্ধে বিধান জিজ্ঞেস করেছে; তুমি বলঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা দান করেছেন এবং ইয়াতীম নারীদের সম্বন্ধে তোমাদের প্রতি গ্রন্থ হতে পাঠ করা হয়েছে, যাদের জন্যে যা বিধিবদ্ধ হয়েছে তা তোমরা তাদেরকে প্রদান করনা অথচ তাদেরকে বিয়ে করতে বাসনা কর; (আর বলা হয়েছে) এবং শিশুগণের মধ্যে দুর্বলদের ও ইয়াতীমদের প্রতি যেন সুবিচার প্রতিষ্ঠা কর এবং তোমরা যে সৎকার্য কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জানেন। |
|
وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِن بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا ۚ وَالصُّلْحُ خَيْرٌ ۗ وَأُحْضِرَتِ الْأَنفُسُ الشُّحَّ ۚ وَإِن تُحْسِنُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
যদি কোন স্ত্রীলোক স্বীয় স্বামীর অসদাচরণ ও উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে তারা পরস্পর কোন সুমীমাংসায় উপনীত হলে তাদের উভয়ের কোন অপরাধ নেই এবং মীমাংসাই কল্যাণকর এবং মনের মধ্যে কৃপণতার প্রলোভন বিদ্যমান রয়েছে আর যদি তোমরা উত্তম কাজ কর ও সংযমী হও তবে তোমরা যা করছো সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। |
|
وَلَن تَسْتَطِيعُوا أَن تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ ۖ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ ۚ وَإِن تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমরা কখনো স্ত্রীগণের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না যদিও তোমরা কামনা কর, সুতরাং তোমরা কোন এক জনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না ও অপরজনকে ঝুলানো অবস্থায় রেখো না এবং যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর ও সংযমী হও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
|
وَإِن يَتَفَرَّقَا يُغْنِ اللَّهُ كُلًّا مِّن سَعَتِهِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ وَاسِعًا حَكِيمًا
এবং যদি তারা উভয়ে বিচ্ছিন্ন হয়, তবে আল্লাহ স্বীয় প্রাচুর্য হতে তাদের প্রত্যেককে সম্পদশালী করবেন এবং আল্লাহ মহান দাতা, মহাজ্ঞানী। |
|
وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَلَقَدْ وَصَّيْنَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَإِيَّاكُمْ أَنِ اتَّقُوا اللَّهَ ۚ وَإِن تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدًا
নভোমণ্ডলে যা কিছু রয়েছে ও ভূ-মণ্ডলে যা কিছু রয়েছে তা আল্লাহরই জন্য এবং নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে যাদেরকে গ্রন্থ প্রদত্ত হয়েছিল, আমি তাদেরকে ও তোমাদেরকে চরম আদেশ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং যদি অবিশ্বাস কর তবে নিশ্চয়ই নভোমণ্ডলে যা কিছু আছে ও ভূ-মণ্ডলে যা কিছু আছে তা আলাহরই এবং আল্লাহ মহা সম্পদশালী প্রশংসিত। |
|
وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَكِيلًا
এবং আকাশসমূহে যা কিছু রয়েছে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই এবং আল্লাহই কার্য সম্পাদনে যথেষ্ট। |
|
إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ وَيَأْتِ بِآخَرِينَ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ ذَٰلِكَ قَدِيرًا
যদি তিনি ইচ্ছে করেন, তবে হে লোক সকল! তোমাদেরকে ধ্বংস করে অন্যদেরকে আনয়ন করবেন এবং আল্লাহ এরূপ করতে সম্পূর্ণ সক্ষম। |
|
مَّن كَانَ يُرِيدُ ثَوَابَ الدُّنْيَا فَعِندَ اللَّهِ ثَوَابُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا بَصِيرًا
যে ইহলোকের প্রতিদান আকাঙ্ক্ষা করে তবে আল্লাহর নিকট ইহলোক ও পরলোকের প্রতিদান রয়েছে এবং আল্লাহ শ্রবণকারী পরিদর্শক। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ بِالْقِسْطِ شُهَدَاءَ لِلَّهِ وَلَوْ عَلَىٰ أَنفُسِكُمْ أَوِ الْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ ۚ إِن يَكُنْ غَنِيًّا أَوْ فَقِيرًا فَاللَّهُ أَوْلَىٰ بِهِمَا ۖ فَلَا تَتَّبِعُوا الْهَوَىٰ أَن تَعْدِلُوا ۚ وَإِن تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য দানকারী, সুবিচারে প্রতিষ্ঠিত থাকবে- এবং যদিও এটা তোমাদের নিজের অথবা পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের বিরূদ্ধে হয়, যদি সে সম্পদশালী বা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহই তাদের জন্যে যথেষ্ট; অতএব, সুবিচারে স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, এবং যদি তোমরা (বর্ণনায়) বক্রতা অবলম্বন কর বা পশ্চাৎপদ হও, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের সমস্ত কর্মের পূর্ণ সংবাদ রাখেন। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنزَلَ مِن قَبْلُ ۚ وَمَن يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং এ কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর অবতীর্ণ করেছেন এবং ঐ কিতাবের প্রতি যা পূর্বে অবতীর্ণ করেছিলেন এবং যে কেউ আল্লাহ তদীয় ফেরেশতাসমূহ, তাঁর কিতাবসমূহ তাঁর রাসূলগণ এবং পরকাল সম্বন্ধে অবিশ্বাস করে, তবে নিশ্চয়ই ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে। |
|
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ ازْدَادُوا كُفْرًا لَّمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيلًا
নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করে তৎপর অবিশ্বাসী হয়, পুনরায় বিশ্বাস স্থাপন করে অবিশ্বাস করে, অনন্তর অবিশ্বাসে পরিবর্ধিত হয়, তবে আল্লাহ কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন না। |
|
بَشِّرِ الْمُنَافِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
সেই সব মুনাফিকদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। |
|
الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَيَبْتَغُونَ عِندَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا
যারা মু’মিনদেরকে পরিত্যাগ করে কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারা কি তাদের নিকট সম্মান প্রত্যাশা করে? কিন্তু যাবতীয় সম্মানই আল্লাহর। |
|
وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
এবং নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের গ্রন্থের মধ্যে নির্দেশ করেছেন যে, যখন তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি অবিশ্বাস করতে এবং তার প্রতি উপহাস করতে শ্রবণ কর, তখন তাদের সাথে বসবে না, যে পর্যন্ত না তারা অন্য কথার আলোচনা করে, অন্যথা তোমরাও তাদের সদৃশ হয়ে যাবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে সমস্ত মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে সমবেতকারী। |
|
الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكَافِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكَافِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا
যারা তোমাদের সম্বন্ধে ওঁতপেতে থাকে এবং যদি তোমাদের আল্লাহর পক্ষ হতে জয়লাভ হয় তবে তারা বলেঃ আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না? এবং যদি ওটা অবিশ্বাসীদের ভাগ্যে ঘটে তবে বলেঃ আমরা কি তোমাদের নেতৃত্ব করিনি? অনন্তর আল্লাহ উত্থান দিবসে তোমাদের মধ্যে বিচার করবেন; এবং কখনো আল্লাহ মুমিনদের প্রতিপক্ষে কাফিরদেরকে বিজয়ী করবেন না। |
|
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَىٰ يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণা করে এবং তিনিও তাদেরকে ঐ প্রতারণা প্রত্যর্পণ করেছেন এবং যখন তারা নামাযের জন্যে দন্ডায়মান হয় তখন লোকদেরকে দেখাবার জন্যে আলস্যভরে দন্ডায়মান হয়ে থাকে এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে থাকে। |
|
مُّذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَٰلِكَ لَا إِلَىٰ هَـٰؤُلَاءِ وَلَا إِلَىٰ هَـٰؤُلَاءِ ۚ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا
যারা এর মধ্যে সন্দেহ দোলায় দোদুল্যমান রয়েছে তারা এদিকেও নয় ওদিকেও নয় এবং আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেছেন বস্তুতঃ তুমি তার জন্যে কোনই পথ পাবে না। |
|
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجْعَلُوا لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا
হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা কি আল্লাহকে তোমাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে চাও? |
|
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিন্মতর স্তরে অবস্থিত হবে এবং তুমি কখনো তাদের জন্যে সাহায্যকারী পাবে না। |
|
إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَاعْتَصَمُوا بِاللَّهِ وَأَخْلَصُوا دِينَهُمْ لِلَّهِ فَأُولَـٰئِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَسَوْفَ يُؤْتِ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
কিন্তু যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে ও সংশোধিত হয় এবং আল্লাহকে সুদৃঢ়ভাবে ধারণ করে ও আল্লাহর জন্যে তাদের দ্বীনকে বিশুদ্ধ করে, ফলতঃ তারাই মু’মিনদের সঙ্গী এবং অচিরেই আল্লাহ মু’মিনদেরকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করবেন। |
|
مَّا يَفْعَلُ اللَّهُ بِعَذَابِكُمْ إِن شَكَرْتُمْ وَآمَنتُمْ ۚ وَكَانَ اللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمًا
যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও ও বিশ্বাস স্থাপন কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করে কি করবেন? এবং আল্লাহ গুণগ্রাহী মহাজ্ঞানী। |
|
لَّا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَن ظُلِمَ ۚ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا
আল্লাহ কারো অত্যাচারিত হওয়া ব্যতীত অপ্রিয় বাক্য প্রকাশ করা ভালোবাসেন না এবং আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। |
|
إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا
যদি তোমরা সৎকার্য প্রকাশ কর বা গোপন কর কিংবা অসদ্বিষয় ক্ষমা কর, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাদানকারী, সর্বশক্তিমান। |
|
إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا بَيْنَ اللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا
নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে যে, আমরা কতিপয়কে বিশ্বাস করি, এবং কতিপয়কে প্রত্যাখ্যান করি। এবং তারা এ মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করতে ইচ্ছা করে। |
০৪. সূরাঃ আন-নিসা
আয়াত নং | অবতীর্ণঃ মদিনা আয়াত সংখ্যাঃ ১৭৬ রুকূঃ ২৪ |
---|---|
أُولَـٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ حَقًّا ۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
ওরাই প্রকৃতপক্ষে অবিশ্বাসী, এবং আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। |
|
وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَمْ يُفَرِّقُوا بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ أُولَـٰئِكَ سَوْفَ يُؤْتِيهِمْ أُجُورَهُمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
এবং যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের কোন একজনের মধ্যে পার্থক্য করে না, আল্লাহ তাদেরকেই তাদের প্রতিদান প্রদান করবেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। |
|
يَسْأَلُكَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيْهِمْ كِتَابًا مِّنَ السَّمَاءِ ۚ فَقَدْ سَأَلُوا مُوسَىٰ أَكْبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوا أَرِنَا اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ بِظُلْمِهِمْ ۚ ثُمَّ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ فَعَفَوْنَا عَن ذَٰلِكَ ۚ وَآتَيْنَا مُوسَىٰ سُلْطَانًا مُّبِينًا
আহলে কিতাবরা তোমার কাছে আবেদন করছে যে, তুমি তাদের প্রতি আকাশ হতে কোন গ্রন্থ নাযিল কর, পরন্তু তারা মূসাকে এটা অপেক্ষাও মারাত্মক প্রশ্ন করেছিল, বরং তারা বলেছিল যেঃ আল্লাহকে প্রকাশ্যভাবে আমাদেরকে প্রদর্শন কর; অনন্তর তাদের অবাধ্যতার জন্যে ববজ্রধ্বনি তাদেরকে আক্রমণ করেছিল, অতঃপর তাদের নিকট নিদর্শনাবলী আসবার পর তারা গো-বৎসকে গ্রহণ করেছিল (উপাস্য হিসেবে); কিন্তু ওটাও আমি ক্ষমা করেছিলাম এবং মূসাকে প্রকাশ্য প্রভাব প্রদান করেছিলাম। |
|
وَرَفَعْنَا فَوْقَهُمُ الطُّورَ بِمِيثَاقِهِمْ وَقُلْنَا لَهُمُ ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُلْنَا لَهُمْ لَا تَعْدُوا فِي السَّبْتِ وَأَخَذْنَا مِنْهُم مِّيثَاقًا غَلِيظًا
এবং আমি তাদের প্রতিশ্রুতির জন্যে তাদের উপর তুর পর্বত সমুচ্চ করেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম যে ‘সিজদা’ করতে করতে দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং তাদেরকে আরো বলেছিলাম যে, শনিবারের সীমা অতিক্রম করো না এবং আমি তাদের নিকট কঠোর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম। |
|
فَبِمَا نَقْضِهِم مِّيثَاقَهُمْ وَكُفْرِهِم بِآيَاتِ اللَّهِ وَقَتْلِهِمُ الْأَنبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَقَوْلِهِمْ قُلُوبُنَا غُلْفٌ ۚ بَلْ طَبَعَ اللَّهُ عَلَيْهَا بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا
কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং আল্লাহর নিদর্শনাবলীর প্রতি তাদের অবিশ্বাস ও তাদের অন্যায়ভাবে নবীগণ হত্যা এবং তাদের এ উক্তির কারণে যে আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছন্ন; বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু আল্লাহ এর উপর মোহর অঙ্কিত করেছেন, এ কারণে তারা অল্প সংখ্যক ব্যতীত বিশ্বাস করে না। |
|
وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَىٰ مَرْيَمَ بُهْتَانًا عَظِيمًا
এবং তাদের অবিশ্বাস ও মারইয়ামের প্রতি তাদের ভয়ানক অপবাদের জন্য। |
|
وَقَوْلِهِمْ إِنَّا قَتَلْنَا الْمَسِيحَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ رَسُولَ اللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَـٰكِن شُبِّهَ لَهُمْ ۚ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِيهِ لَفِي شَكٍّ مِّنْهُ ۚ مَا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّ ۚ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينًا
এবং আল্লাহর রাসূল মারইয়াম নন্দন ঈসাকে আমরা হত্যা করেছি একথা বলার জন্যে; আর মূলতঃ তারা তাকে হত্যা করেনি ও তাকে ক্রুশবিদ্ধও করেনি বরং তাদের জন্য (অন্যকে) ঈসা আলাইহিসসালাম- এর সাদৃশ্য বানিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং নিশ্চয় যারা তাতে মতবিরোধ করেছিল, অবশ্য তারাই সে বিষয়ে সন্দেহাচ্ছন্ন ছিল, কল্পনার অনুসরণ ব্যতীত এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান ছিল না এবং তারা প্রকৃতপক্ষে তাকে হত্যা করেনি। |
|
بَل رَّفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
বরং আল্লাহ তাকে নিজের দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন, এবং আল্লাহ পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী। |
|
وَإِن مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا
কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পূর্বে তাঁর উপর (ঈসা আলাইহিসসালাম) বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামত দিবসে তিনি তাদের উপর সাক্ষী হবেন। |
|
فَبِظُلْمٍ مِّنَ الَّذِينَ هَادُوا حَرَّمْنَا عَلَيْهِمْ طَيِّبَاتٍ أُحِلَّتْ لَهُمْ وَبِصَدِّهِمْ عَن سَبِيلِ اللَّهِ كَثِيرًا
আমি ইয়াহুদীদের জুলুমের কারণে তাদের জন্যে যে সমস্ত পবিত্র বস্তু বৈধ ছিল তা তাদের প্রতি অবৈধ করেছি এবং যেহেতু তারা অনেককে আল্লাহর পথ হতে প্রতিরোধ করতো। |
|
وَأَخْذِهِمُ الرِّبَا وَقَدْ نُهُوا عَنْهُ وَأَكْلِهِمْ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ ۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ مِنْهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
এবং তারা সুদ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও গ্রহণ করতো এবং তারা অন্যায়ভাবে লোকদের ধন-সম্পদ গ্রাস করতো এবং আমি তাদের মধ্যস্থ অবিশ্বাসীদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। |
|
لَّـٰكِنِ الرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ مِنْهُمْ وَالْمُؤْمِنُونَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ ۚ وَالْمُقِيمِينَ الصَّلَاةَ ۚ وَالْمُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالْمُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أُولَـٰئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ أَجْرًا عَظِيمًا
কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বাসীগণের মধ্যে যারা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছিল তৎপ্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং যারা নামায প্রতিষ্ঠানকারী ও যাকাত প্রদানকারী এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী, তাদেরকেই আমি প্রচুর প্রতিদান প্রদান করবো। |
|
إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَىٰ نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِن بَعْدِهِ ۚ وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَىٰ وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَارُونَ وَسُلَيْمَانَ ۚ وَآتَيْنَا دَاوُودَ زَبُورًا
নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছি, যেরূপ আমি নূহ আলাইহিসসালাম ও তৎপরবর্তী নবীগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেছিলাম এবং ইব্রাহীম আলাইহিসসালাম, ইসমাঈল আলাইহিসসালাম, ইসহাক, ইয়াকুব আলাইহিসসালাম ও তদ্ববংশীয়গণের প্রতি এবং ঈসা আলাইহিসসালাম, আইয়ুব আলাইহিসসালাম, ইউনুস আলাইহিসসালাম, হারূন আলাইহিসসালাম ও সুলাইমান আলাইহিসসালাম- এর প্রতি প্রত্যাদেশ করেছিলাম এবং আমি দাউদ আলাইহিসসালামকে যাবূর প্রদান করেছিলাম। |
|
وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِن قَبْلُ وَرُسُلًا لَّمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ ۚ وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَىٰ تَكْلِيمًا
আর নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইতিপূর্বে বহু রাসূলের প্রসঙ্গ বর্ণনা করেছি এবং অনেক রাসূল যাদের কথা তোমাকে বলিনি; আল্লাহ মূসার সাথে প্রত্যক্ষ বাক্যে কথা বলেছেন। |
|
رُّسُلًا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
আমি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি যাতে রাসূলগণের পরে লোকদের জন্য আল্লাহর উপর কোন অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ না থাকে এবং আল্লাহ অতীব সম্মানী, মহাজ্ঞানী। |
|
لَّـٰكِنِ اللَّهُ يَشْهَدُ بِمَا أَنزَلَ إِلَيْكَ ۖ أَنزَلَهُ بِعِلْمِهِ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا
কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন, তৎসম্বন্ধে তিনি সজ্ঞানে অবতারণার সাক্ষ্য দান করছেন এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং সাক্ষ্য প্রদান করছেন এবং সাক্ষ্য দানে আল্লাহই যথেষ্ট। |
|
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ قَدْ ضَلُّوا ضَلَالًا بَعِيدًا
নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাস করেছে এবং আল্লাহর পথ হতে প্রতিরোধ করেছে, অবশ্যই তারা চরমভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে। |
|
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا
নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাসী হয়েছে ও অত্যাচার করেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে তাদেরকে সুপথ প্রদর্শন করবেন না। |
|
إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا
জাহান্নামের পথ ব্যতীত, তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে এবং এটা আল্লাহর পক্ষে সহজসাধ্য। |
|
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِن رَّبِّكُمْ فَآمِنُوا خَيْرًا لَّكُمْ ۚ وَإِن تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালকের সন্নিধান হতে সত্যসহ রাসূল আগমন করেছেন, অতএব বিশ্বাস স্থাপন কর- তোমাদের কল্যাণ হবে, আর যদি অবিশ্বাস কর তবে নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে তা আল্লাহর এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। |
|
يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ ۚ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَىٰ مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُ ۖ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ۖ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ ۚ انتَهُوا خَيْرًا لَّكُمْ ۚ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَـٰهٌ وَاحِدٌ ۖ سُبْحَانَهُ أَن يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ ۘ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَكِيلًا
হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা স্বীয় দানে সীমা অতিক্রম করো না এবং আল্লাহর বিরুদ্ধে সত্য ব্যতীত বলো না, নিশ্চয়ই মারইয়াম পুত্র ঈসা মাসীহ আল্লাহর রাসূল ও তাঁর বাণী- যা তিনি মারইয়ামের প্রতি সঞ্চারিত করেছিলেন এবং তাঁর পক্ষ হতে আত্মা (রূহ) অতএব আল্লাহ ও তদীয় রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর এবং (মা’বূদের সংখ্যা) তিনজন বল না; নিবৃত্ত হও- তোমাদের কল্যাণ হবে; নিশ্চয়ই একমাত্র আল্লাহই মা’বূদ; তিনি কোন সন্তান হওয়া হতে পুতঃ মুক্ত; নভোমণ্ডলে যা আছে ভূ-মণ্ডলে যা আছে তা তাঁরই এবং আল্লাহ কার্য সম্পাদনে যথেষ্ট। |
|
لَّن يَسْتَنكِفَ الْمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبْدًا لِّلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ ۚ وَمَن يَسْتَنكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا
আল্লাহর বান্দা হবেন মাসীহ এবং সান্নিধ্য প্রাপ্ত ফেরেশতাগণ ও তাতে তাঁদের কোনই সঙ্কোচ নেই এবং যে তাঁর ইবাদতে সংকুচিত হয় ও অহংকার করে, তিনি তাদের সকলকে নিজের দিকে একত্রিত করবেন। |
|
فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِ ۖ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকার্য করে থাকে, তাদেরকে তিনি তাদের সম্যক প্রতিদান প্রদান করবেন এবং স্বীয় অনুগ্রহে আরো অধিকতর দান করবেন এবং যারা সংকুচিত হয় ও অহংকার করে, তাদেরকে তিনি যন্ত্রণাপ্রদ শাস্তি প্রদান করবেন এবং আল্লাহ ব্যতীত তারা নিজেদের জন্য কোন অভিভাবক বা সাহায্যকারী পাবে না। |
|
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُم بُرْهَانٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَأَنزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُورًا مُّبِينًا
হে লোক সকল! তোমাদের প্রতিপালকের সন্নিধান হতে তোমাদের নিকট প্রত্যক্ষ প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের প্রতি সমুজ্জ্বল জ্যোতি অবতীর্ণ করেছি। |
|
فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَاعْتَصَمُوا بِهِ فَسَيُدْخِلُهُمْ فِي رَحْمَةٍ مِّنْهُ وَفَضْلٍ وَيَهْدِيهِمْ إِلَيْهِ صِرَاطًا مُّسْتَقِيمًا
অতঃপর যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং তাঁকে সুদৃঢ় রূপে ধারণ করেছে, ফলতঃ তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও কল্যাণের দিকে প্রবিষ্ট করবেন এবং স্বীয় সরল পথে পথ-প্রদর্শন করবেন। |
|
يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلَالَةِ ۚ إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ ۚ وَهُوَ يَرِثُهَا إِن لَّمْ يَكُن لَّهَا وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا الثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَ ۚ وَإِن كَانُوا إِخْوَةً رِّجَالًا وَنِسَاءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ ۗ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ أَن تَضِلُّوا ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তারা তোমাদের নিকট ফতোয়া প্রার্থনা করছে, তুমি বলঃ আল্লাহ তোমাদের পিতা-পুত্রহীন (ব্যক্তির অর্থ বন্টন) সম্বন্ধে ফতোয়া দান করছেন, যদি কোন ব্যক্তি নিঃসন্তান অবস্থায় মরে যায় এবং তার ভগ্নি থাকে তবে সে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে অর্ধাংশ পাবে; এবং যদি কোন নারীর সন্তান না থাকে তবে তার ভ্রাতাই তদীয় উত্তরাধিকারী হবে; কিন্তু যদি দু’ভগ্নি থাকে তবে তাদের উভয়ের জন্যে পরিত্যক্ত বিষয়ের দুই তৃতীয়াংশ এবং যদি তারা ভ্রাতা-ভগ্নি পুরুষ ও নারীগণ থাকে, তবে পুরুষ দু’নারীর তুল্য অংশ পাবে, আল্লাহ তোমাদের জন্যে বর্ণনা করছেন যেন তোমরা বিভ্রান্ত না হও এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে মহাজ্ঞানী। |
সূচীপত্র
মন্তব্য করুন
গ্রন্থাগার
সূচীপত্র
মন্তব্য করুন
“পবিত্র আল কুর’আন” -এর বাংলা অনুবাদ সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
গ্রন্থাগার