ও কার বউ এল আজ মটর খেতে শাক তুলিতে,
সবুজ গাঙ্গে সোনার কমল কে এল রে ভাসিয়ে দিতে;
সিঁদুরফাটা মুখখানিরে হাঁটুর নীচে করিয়ে নত,
কচি ডগা ধরতে ধীরে সোহাগে যে হচ্ছে ক্ষত।
ফাগ-রাঙ্গা বউ মটর শুঁটি আবছা হাসে পাতার ফাঁকে,
শাক-ভাঙ্গা বউ নত হয়ে ঘোমটা তলে সিঁদুর আঁকে;
মটর-শুঁটির বাজে পাতা, বধূর হাতের বাজে চুড়ি,
বধূ দোলে সোহাগ ভরে বাতাস দোলায় মটর-কুঁড়ি।
চলতে পথে পথিক ভাবে, কার পানে আজ ফিরাই আঁখি,
দীঘির রাঙ্গা নালের বনে রক্ত মরাল ফিরছে নাকি।
পায়ের দুখান খাড় নিয়েই গেঁয়ো বালার মহা বিপদ,
যতই টানে জড়িয়ে ধরে মটর-শুঁটির পাতার আপদ।
ছল করে সে খায় গো আছাড় লুটিয়ে পড়ে মটর খেতে,
বুকে মুখে ফুলগুলি সব জড়ায় তারে হর্ষে মেতে।