বিজ্ঞান লেখক হিসেবে ড. অভিজিৎ রায়ের নাম আজ প্রথম সারিতে। বাংলাদেশে হাতে গোণা মুষ্টিমেয় যে সকল লেখকরা আধুনিক বিজ্ঞানের প্রান্তিক জ্ঞান এবং তথ্যের নিরিখে সুসংবদ্ধ বিশ্লেষণ সাধারণ পাঠকদের দুয়ারে নিত্য পৌঁছে দিচ্ছেন, অভিজিৎ রায় নিঃসন্দেহে তাঁদের শীর্ষস্থানীয় কান্ডারি। বিজ্ঞান এবং দর্শনের জগতে তাঁর অবাধ বিচরণ দেখে ইন্টারনেটের বাংলা ব্লগ সাইটগুলোতে তাঁর গুণমুগ্ধ পাঠকেরা তাঁকে অভিহিত করেছেন ‘বাংলাদেশের রিচার্ড ডকিন্স’ অভিধায়। কেউবা তাঁকে আখ্যায়িত করেছেন ‘শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক’ (এ পার ওপার দুপার বাংলা মিলিয়েই) হিসেবে। বিজ্ঞানের জটিল অথচ রোমাঞ্চকর বিষয়গুলোকে কথাশিল্পের মনোমুগ্ধকর ভঙ্গিতে প্রকাশ করা সহজ কাজ নয়। অথচ এই কঠিন কাজটিই খুব সহজেই নিবিষ্ট মনে করে চলেছেন অভিজিৎ রায়। তাঁর অপূর্ব প্রকাশভঙ্গী, আর সহজ সরল সাবলীল অথচ ব্যতিক্রমধর্মী উপস্থাপনা বিজ্ঞানের জটিল ধারণাগুলোকে নিয়ে গিয়েছে এক সুন্দর শৈল্পিক স্তরে-যা তাঁকে দিয়েছে পাঠকপ্রিয়তা আর সুপরিচিতি।
বিজ্ঞান লেখার পাশাপাশি ড. অভিজিৎ রায়ের আরেকটি পরিচিতি আছে। তিনি বিজ্ঞানমনস্ক, অনুসন্ধিৎসু, সমাজ সচেতন, সত্যসন্ধানে আপোষহীন এবং নির্ভীক। বিজ্ঞান, মানবতাবাদ ও যুক্তিবাদের আলোকে সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন তাঁর বহু দিনের। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সমমনা বাঙ্গালীদের নিয়ে ২০০১ সালে তিনি গঠন করেছেন মুক্তমনা সাইট (www.mukto-mona.com); এটি এখন বাঙ্গালী বিজ্ঞানকর্মী, যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদীদের সর্ববৃহৎ অনলাইন সংগঠন এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্লগ সাইট হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে।
তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি।
অভিজিৎ রায় পেশায় প্রকৌশলী। পড়াশুনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), পিএইচডি করেছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে (এন.ইউ.এস)। বর্তমানে আমেরিকার আটলান্টায় কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।
“বিশ্বাসের ভাইরাস” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ