ডাইনি
ডাইনি হল আমাদের ‘হড়হপনের’ (সাঁওতালদের) মস্ত জ্বালা। ডাইনির জন্য লোকে শত্রু হচ্ছে। কুটুম্বদের দুয়ার বন্ধ হচ্ছে। বাপে-ছেলেতে ঝগড়া হচ্ছে। ভাইয়ে-ভাইয়ে বিরোধ হচ্ছে। ডাইনি না থাকলে আমাদের অনেক সুখ থাকতো। সাহাব লোকেরা সবই ভালো বিচার করেছেন যতদূর জানা যায়; কিন্তু ডাইনি সম্বন্ধে কি করে যে অন্ধ হচ্ছেন, বুঝতেই আমরা পারি না। ডাইনিরা আমাদের খায়। আমরা ধরে একটি হুড়ুম হুড়ুম করলে, উল্টো আরও হাকিমরা হাজতে দিচ্ছেন; মহা জ্বালায় পড়েছি, কি করলে আমাদের ভাল হবে, দেশেহারা হয়ে গেছি। হাকিমদের বুঝালেও তাঁরা বিশ্বাস করেন না। বলেন, কৈ দেখি আমার আঙ্গুল খাক, তবে তো বিশ্বাস করব, ডাইনি আছে বলে- তারপর তোমাকে কয়েদ করে বসল। খাপরি ছুড়ি নিয়ে ত ডাইনিরা খাচ্ছে না, বিদ্যার জোরে পরপারে পাঠিয়ে দেয়। কি আর একেবারে সোজা। আগে মাঝি, পারানি করা দমন করছিলেন, আর ভাল না হলে, পাঁচ জনে মিলে বে-আবরু করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতেছিল, আজকাল হাকিমদেরই বশ করে শেষ করল। সেইজন্য সব পুরুষই ভয়ে পিছিয়ে গেছে।
পুরুষ মানুষের কথা আর চলছে না, এখনকার যুগে মেয়েরাই রাজা হয়ে গেছে। একটু বেশি কিছু বলেছ কি টক করে মুখে পুরেছে, সেই ভয়ে চুপ করে থাকে। ডাইনিরা রাত্রে জমা হয়, কোন বনে কি মাঠে। যাবার সময় ঠুঁটো ঝাঁটা কি কোন কিছু পুরুষের কাছে রেখে যায়, আর তারা মনে করে, ঘরের মানুষ আমার আছেই, কেবল ধাঁধাতে ওই ঝাঁটাকে নিজের লোকের মত দেখে তা না হলে ওরা দেবতার কাছে বিয়ে হবার জন্য চলে গেছে। জানেন, হেঁটে ওরা যায় না, কোন গাছে চড়ে বিদ্যার জোরে হাওয়ার মত যায়। দেবতাদের আখড়ায় নেমে, দেবতাদের সঙ্গে নাচে, সিংহদের ডাকে। চুল আঁচড়িয়ে দেয়, চুমা খায়, তারপর দেবতাদের কাবু করে দিব্যি দেয়, যেন কোন রকমে খড়ি দেখার সময় না উঠে। এইসব করে মুরগী ডাকের সময় ঘরে ফিরে আসে।
ডাইনীরা অনেক শিষ্য করে। ছোট ছেলেমেয়দেরও ভুলায় তারা মরে গেলে বীজ যেন থাকে। প্রদীপ নিয়ে রাত্রে ঘুরে লোকের বাড়িতে ঢুকে শিষ্যা করার জন্য মেয়েদের তুলে আর তারা স্বীকার না করলে বলেঃ না শিখলে তুমি মারা যাবে, তা না হলে সিংহে খাবে। সেইজন্য ওরা ভয়ে তাড়াতাড়ি শিখে। চেলাদের জাগিয়ে ডাইনীরা ঝাঁটা পরে, আর ভাঙ্গা কুলা কাঁখে নিয়ে জাহেরে যায় প্রদীপ নিয়ে। সেখানে মুরগী পূজা করে আর খিচুরী পিঠা তৈরি করে খায়। চেলাদের সিংহের চুল আঁচড়ান করায়, আর তারা ভয়ে স্বীকার না করলে বলেঃ কিছুই করবে না, বোন! ভয় করো না, তারপরে মন্ত্র আর মাড়নি গান শিখিয়ে দেয়, তারপর দীক্ষা দিবার জন্য বলেঃ যাও বোন, বাবাকে তোমার বড়দাদাকে খাও। স্বীকার না করলে জ্বর হওয়ায়, কিংবা পাগলী করে দেয়। ‘কাটকম চারেচ’ (একরকমের ঘাস) এর দ্বারা কলিজা খুঁটে বার করে, আর সেটা সিদ্ধ করে প্রথমে চেলাদেরই আগে খাওয়ায়। সেইদিন থেকে ওই চেলাদের সমস্ত দয়া-মায়া শেষ হবে; রেগে গেলে ছেলে কি বাবা ভাইদেরও খাবে, আর নিজেদের স্বামীদেরও মায়া করে না, খেয়েও ফেলে।
প্রবাদ আছে যে, পুরাকালে দুটি ছোকরাকে মাদল বাজাবার জন্য ডাইনীরা রোজ তুলে নিয়ে যেত। একদিন একটি ছোকরার কলিজা ডাইনীরা বার করে নিয়ে গেল, আর এক হাঁড়ি হাঁড়িয়া, চাল, নুন, হলুদ, হাঁড়ি, খলা তাদের বাড়ি থেকে সঙ্গে নিয়ে গেল জাহের। সেখানে নিয়ে গিয়ে সেই কলিজা সেদ্ধ করে, সেই ছোকরা দু’জনকেও বকরা দিল খাবার জন্য। কিন্তু ওরা খেল না, কোঁচরে লুকিয়ে রাখল, শুধু হাঁড়িয়াটুকু খেল। দেবতাদের সঙ্গে নেচে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে এল। পরদিন সকাল হতেই কলিজা বার করা ছোকরা মূর্ছা গেল। যে সব লোকে দিশেহারা হল, বলতে লাগলঃ শেষ হয়ে গেল? ওই ছোকরাদের মায়া হল। সেইজন্য বললঃ যাও অমুক অমুক মেয়েদের ধর তাহলে মানুষটি ভালো হবে। তারপর মাঝির বৌ ইত্যাদি ভাল ভাল লোককে ধরে নিয়ে এল ওদের কথা মত। ওরা এসে স্বীকার করতে চায় না, গালাগালি দিতেই চাইছে আর তাদের স্বামীরাও রেগে গরগর করছে, বলছেঃ প্রমাণ করে দাও তা না হলে ভাল বলছি না। তখন সেই ছোকরা দুটি তাদের দেওয়া ভাগ পাঁচজনের সামনে খুলে বললঃ এই যে, বাবা বামাল। সেটা দেখে ডাইনী আর তাদের স্বামীরা চুপ।
তারপর পারগামাকে নিয়ে এল। সে হুকুম দিলঃ যাও টাঙ্গি নিয়ে এসো, আনিল। সেই সময় পারগামা ডাইনীদের বললঃ যাও ভাল কর, তা না হলে কেটে ফাঁক করবো, তোমরা হলে কাঠ ওহোল মরা। তারপর ভয়ে ভালো করে দিল। ভালো না করে দেওয়ার জন্য বহু জায়গায় কেটে দিয়েছে। মাঝির স্ত্রীকে পারামিকের স্ত্রী ডাইনী থাকলে প্রমাণ করা বড় শক্ত, কেন না তাদের স্বামীরা গড়াতে দেয় না। পূর্বে যেমন, একজন ওঝা মানুষ রেগে গিয়ে মাঝি আর পারামিকদের স্ত্রীদের ডাইনী বলেছিল। মাঝিরা তাকে বললঃ এটা তুমি প্রমাণ না করলে তোমার মাথা রাখব না। উত্তর দিলঃ একদিন চোখে দেখিয়ে দিব। তারপর চুপচাপ হল। ওঝা একদিন সন্ধ্যাবেলা খেয়ে দেয়ে তীর ধনুক নিয়ে জাহেরে চলে গেল। সেখানে একটি গাছে উঠে ওঁৎ পেতে রইল।
সন্ধ্যায় খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার পরই যাদের দোষ দিয়েছিল সেই ডাইনী মেয়েরা জাহেরে গেল। দিয়েই একপাক নেচে ঘুরল। তারপর তাদের একজন ‘রুম’ (ঝুপার) হল। তারপর সিংহকে ডাকল, লুক্ষু নামে নাম ধরে সিংহকে দুইবার শিস দিয়ে ডাকল, তারপর দুইটিই চলে এল। তারপর চুল আঁচড়ে দিচ্ছে, চুমু খাচ্ছে, সেই সময় ওঁৎ পেতে বসা লোকটি বড় সিংহটিকে তীর মারল। তখন সিংহ মনে করল যে, এরাই আমাকে কিছু করল বোধ হয়। সেই রাগে এক এক করে এলোপাথাড়ি কামড়িয়ে মেরে ফেলল ডাইনীদের আর অন্য সিংহটিকেও বিঁধে মেরে ফেলল, তারপর ঘরে ফিরে গেল।
পরদিন সকাল হলে দেখল, তাদের নাম নাই; তখন ঘরে ঘরে পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করছে যে আমাদের সব কোথায় গেল বলে। তখন ওঝা লোকটি তাদের বলল; জাহেরের দিকেই দেখে এস, ঐদিকেই যেতে দেখেছিলাম।
তারপর গেল, দেখে যে, “বিলিয়া বিতিদ” সিংহ দুটি কামড়িয়ে তাদের মেরে ফেলেছে আর তারাও পড়ে আছে। তখন চারদিকে গোলমাল হতে ধারে পাশের লোক জমা হয়ে তাদের দেখল। তখন থেকে বিশ্বাস করে আসছি ডাইনীর কথা।
পূর্বপুরুষেরা বলতেন যে, মারাং বুরু বেটাছেলেদের ডাইন শিক্ষা দিচ্ছিলেন কিন্তু মেয়েলোকেরা কোরফান্দী করে গুণ (বিদ্যা) আগেই নিয়ে নিল। একদিন যেমন, বেটাছেলেরা জমা হল পরস্পরকে শিক্ষা দেবার জন্য, নিজেদের ঝগড়াটে বৌদের কি করবে বলে। বলিলঃ আমরা হলাম বেটাছেলে, কি করে আমাদের কথা চলছে না? দুই এক কথা মেয়েলোকদের বললে বিশ বাখান গাল দিতে আরম্ভ করে, এ রকম সহ্য করব না। তারপর ঠিক করল; চল মারাং বুরুর কাছে যাই, তার কাছে গুণ শিক্ষা করে আসি, যেমন করেই হোক ই মেয়েদের যেন কাবু করতে পারি। তারপর দিন ঠিক করল যে, মাঝ রাত্রে কালনা বনে জমা হবে। গেল। মারাং বুরুকে মিনতি জানাল, ডাকলঃ ও ঠাকুরদা, একবার আসুন, বহু লোক এসেছি আপনার কাছে নারাজ হয়ে। মারাং বুরু চলে এলেন, জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি দুঃখ তোমাদের আছে নাতি? তারপর তাদের দুঃখ জানাল আর মিনতি করল যেন গুণ (বিদ্যা) শিখিয়ে দেন নিজেদের বৌদের শায়েস্তা করতে।
মারাং বুরু বলিলেনঃ শেখাতে পারি, কিন্তু ওই সমস্ত পাতায় তোমাদের রক্তে লিখলে তবে। সেই সব গুণে বিস্তর ভয় পেয়ে বলিলঃ কাল ফিরে এসে লিখে গুণ নিব। তারপর চলিয়া গেল। কিন্তু তাদের স্ত্রীরা লুকিয়ে এসে আড়াল থেকে সব কথা ঠিক শুনে নিল। তখন তারা বলিলঃ এই পুরুষদের ধর্ম হচ্ছে এই, আমাদিগকে বিয়ে করার আগে কুকুরের মত গোঁসাই গোঁসাই করে পিছনে ঘুরে বেড়িয়েছিল; এখন বুড়ি হয়েছি বলে খারাপ দেখছে, মেরে ফেলতেই চেষ্টা করছেঃ আচ্ছা দেখে নেব, কে কাকে মারতে পারে। এইসব যুক্তি করে গলি রাস্তা দিয়ে তাড়াতাড়ি এগিয়ে চলে গেল। রাস্তায় ঠিক করে নিল কি করবে বলে। পুরুষেরাও পরে ঘরে ফিরে এলো। ফিরে আসা মাত্র মেয়েরা তাদের স্বামীদের সোহাগের সঙ্গে অভ্যর্থনা করল, তাতে বেটাছেলেরা মনে করল, নিজে নিজেই ভালো হয়েছে, কি জন্যই বা যাব?
পরদিন মেয়েরা নিজেদের স্বামীদের ভাল করে ভাত তরকারি করে দিল, আর বেশি করে সন্ধ্যেবেলা হাঁড়িয়া দিল। পুরুষেরা খেয়ে মাতাল হয়ে বেহুঁশ হল। তখন মেয়েরা একত্র হয়ে ধুতি পাগড়ি পরে আর ঠোঁটে ছাগল চুল লাগিয়ে জঙ্গলে মারাং বুরুর কাছে চলল। ডাকিলঃ ও ঠাকুরদা, আসুন শীঘ্র তাড়াতাড়ি, আমাদের স্ত্রীরা দিনরাত জ্বালিয়ে মারছে।
মারাং বুরু চলে এলেন। তখন তাকে বলিলঃ দিন আপনার পাতা বার করুন, নিজে নিজেদের দাগ কাটব (লিখব), আর সহ্য করতে পারি না মেয়েদের অত্যাচার। মারাং বুরু তাঁর শাল পাতা বাহির করিলেন, আর তারা ফুঁড়ে রক্ত দিয়ে নিজের নিজের পুরুষের ছবি আঁকিল। তারপর মারাং বুরু মন্ত্র আর ঝাড়ানি শিখিয়ে দিলেন, সিদ্ধাই দিলেন লোক খাওয়ানোর জন্য। মুচকি মুচকি হেঁসে তারা বাড়িতে ফিরে এলো।
পরদিন সকালে পুরুষেরা তাড়াতারি উঠছে না বলে ভীষণ গালাগালি দিয়ে মুখ শুকনো করে দিল। পুরুষেরা আঁধা ধুদা উঠে চোখ রগড়াতে লাগল, ঘুমও ভেঙ্গে গেল, আর মেয়েরা শান্ত হচ্ছে না তাও বুঝতে পারল। তারপর টলমল বৈঠক বসাল। সেখানে ঠিক করলঃ চলতো যাই। মারাং বুরু যাই বলুক, গুণ নিশ্চয়ই শিখব। তারপর রাত্রে জঙ্গলে গেল, আর কাক-শকুনের মত বিস্তর মিনতি মারাং বুরুকে করলঃ দাও বাবা, নিশ্চয়ই শিখিয়ে দাও, মেয়েরা আমাদের ভয়ানক জ্বালাচ্ছে।
সেইসব শুনে মারাং বুরু আশ্চর্য হয়ে তাদের বলিলেনঃ গুণ তো তোমাদের দিয়ে দিয়েছি, কি চাইছ ঘন ঘন? তখন পুরুষেরা একসঙ্গে বলে উঠলঃ কৈ খন দিলেন আমাদের? সেদিন থেকে আমরা তো আসি নাই। সে সব শুনে মারাং বুরু মহা চিন্তায় পড়লেন, বললেনঃ তোমাদের দিয়েছি নাতো কি করেছি? এই যে তোমাদের দাগ দেখতো। পুরুষেরা নিজেদের নিজেদের দাগ দেখে বললঃ দাগ যেন আমাদেরই কিন্তু আমরা তো দাগ কাটি নাই, কারা যেন আমাদের দাগ কেটেছে (ছবি এঁকেছে)।
তখন মারাং বুরু গালে হাত দিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, তারপর বুঝতে পারলেন যে, মেয়েরা আমাকে শুদ্ধ ছেলেমানুষ করে ফেলল। তারপর রেগে গিয়ে ওই পুরুষদের বললেনঃ নাও এখানে তাড়াতাড়ি দাগ কাট, ওই বদমাইশ মেয়েদের দেখে নিব। দাগ দিল, আর তিনি ওঝা আর ডান হবার সিদ্ধাই দিলেন, যেমন করেই হোক ডাইনীদের ধরে যেন সাজা দিতে পারে। তখন থেকে ডাইনী আর ওঝা কি জানদের ভীষণ শত্রুতা আছে। কিন্তু ওঝা আর জানেরা পারছে না; কেননা ডাইনীরা ওদের দেবতাদের সহজেই কাবু করছে সেইজন্য সহজে ধরতে পারে না, অন্য লোকই খড়ি মাটিতে (খড়ি গুণা) উঠেছে, আর জানেরা আধা হয়ে অন্য লোকদের বলছে (দোষ দিচ্ছে)।
কতক লোক বলে যে, ডাইন, ওঝা আর জান সকলেই কামরু গুরুর কাছে শিখেছে। হ্যাঁ বহু পূর্বে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। ওঝা হওয়ার কথা সত্যই; কেননা ওঝা লোকেরা প্রথমেই তাঁর নাম দেন, তা না হলে ডাইন আর জানের কথা জানি না, সেইজন্য বলছি, তাঁর কাছে শিখে নাই।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ২য় খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ কিছু কথাঃ যুক্তিবাদ প্রসঙ্গে
একঃ ভূতের ভর
♦ ভূতের ভরঃ বিভিন্ন ধরন ও ব্যাখ্যা
♦ গুরুর আত্মার খপ্পরে জনৈকা শিক্ষিকা
♦ প্রেমিকের আত্মা ও এক অধ্যাপিকা
ভূতে পাওয়া যখন ম্যানিয়াস ডিপ্রেসিভ
♦ সবার সামনে ভূত শাড়ি করে ফালা
♦ গ্রামে ফিরলেই ফিরে আসে ভূতটা
♦ একটি আত্মার অভিশাপ ও ক্যারেটে মাস্টার
দুইঃ পত্র পত্রিকার খবরে ভূত
♦ ট্যাক্সিতে ভূতের একটি সত্যি কাহিনী ও এক সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক
♦ এক সত্যি ভূতের কাহিনী ও এক বিজ্ঞানী
♦ বেলঘরিয়ার গ্রীন পার্কে ভূতুরে বাড়িতে ঘড়ি ভেসে বেড়ায় শূন্যে
♦ দমদমের কাচ-ভাঙ্গা হল্লাবাজ-ভূত
তিনঃ যে ভূতুরে চ্যালেঞ্জের মুখে বিপদে পড়েছিলাম
চারঃ ভূতুরে চিকিৎসা
♦ ফিলিপিনো ফেইথ হিলার ও ভূতুরে অস্ত্রোপচার
♦ ফেইথ হিলার ও জাদুকর পি.সি. সরকার (জুনিয়র)
♦ পরকাল থেকে আসা বিদেহী ডাক্তার
♦ বিদেহী ডাক্তার দ্বারা আরোগ্য লাভ
♦ ডাইনী সম্রাজ্ঞী ঈপ্সিতার ভূতুরে চিকিৎসা
পাঁচঃ ভূতুরে তান্ত্রিক
♦ গৌতম ভারতী ও তাঁর ভূতুরে ফটোসম্মোহন
♦ ভূতুরে সম্মোহনে মনের মত বিয়েঃ কাজী সিদ্দীকির চ্যালেঞ্জ
ছয়ঃ ডাইনি ও আদিবাসী সমাজ
বাঁকুড়া জেলা হ্যান্ডবুক, ১৯৫১ থেকে
♦ ডাইনি, জানগুরু প্রথার বিরুদ্ধে কি করা উচিৎ
♦ ডাইনি হত্যা বন্ধে যে সব পরিকল্পনা এখুনি সরকারের গ্রহণ করা উচিৎ
♦ জানগুরুদের অলৌকিক ক্ষমতার রহস্য সন্ধানে
সাতঃ আদিবাসী সমাজের তুক-তাক, ঝাড়- ফুঁক
♦ ‘বিষ-পাথর’ ও ‘হাত চালান’এ বিষ নামান
আটঃ ঈশ্বরের ভর
♦ ঈশ্বরের ভর কখনো মানসিক রোগ, কখনো অভিনয়
♦ কল্যাণী ঘোষপাড়ায় সতীমা’ইয়ের মেলায় ভর
♦ হাড়োয়ার উমা সতীমার মন্দিরে গণ-ভর
♦ আর একটি হিস্টিরিয়া ভরের দৃষ্টান্ত
♦ একই অঙ্গে সোম-শুক্কুর ‘বাবা’ ও মা’য়ের ভর
♦ অবাক মেয়ে মৌসুমী’র মধ্যে সরস্বতীর অধিষ্ঠান (?) ও প্রডিজি প্রসঙ্গঃ
♦ প্রডিজি কি? ও কিছু বিস্ময়কর শিশু প্রতিভা
♦ বংশগতি বা জিন প্রসঙ্গে কিছু কথা
♦ বিস্ময়কর স্মৃতি নিয়ে দু-চার কথা
♦ দুর্বল স্মৃতি বলে কিছু নেই, ঘাটতি শুধু স্মরণে
♦ মানবগুণ বিকাশে বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব-জীবনে প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব-জীবনে আর্থ-সামাজিক পরিবেশের প্রভাব
♦ মানব জীবনে সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রভাব
♦ অবাক মেয়ে মৌসুমীর রহস্য সন্ধানে
♦ বক্সিংয়ের কিংবদন্তী মহম্মদ আলি শূন্যে ভাসেন আল্লা-বিশ্বাসে!