কলির খনাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ও
পাল্টা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়

২১ মার্চ ‘১০। সকালের ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকাটি হাতে পেয়েই জ্যোতিষ-বিশ্বাসীদের মন চনমন করে উঠল; আর জ্যোতিষীদের রক্তে উচ্ছাসের জোয়ার। কালার সাপলিমেন্টের প্রায় আধ পৃষ্ঠা জুড়ে রঙিন ছবিতে ও সাক্ষাৎকারে মাতিয়ে রেখেছেন তিন জ্যোতিষী; মহিলা জ্যোতিষী। যদিও ছবি ছাপা হয়েছে চারজন জ্যোতষীর, কিন্তু পারমিতার ছবি থাকলেও সাক্ষাৎকার ছিল অনুপস্থিত।

সাক্ষাৎকারভিত্তিক লেখাটির শিরোনাম ‘কলির খনারা’। প্রথম সাক্ষাৎকারটি মণিমালা’র। সঙ্গীতশিল্পী তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা। দশ বছর বয়েস থেকেই জ্যোতিষচর্চা এবং প্ল্যানচেটের সাহায্যে আত্মা নামানো শুরু। (প্ল্যানচেটে আত্মা নামানোর সমস্ত রকম বুজরুকি ফাঁস করা হয়েছে বইটির প্রথম খণ্ডে। পড়লে, অমন আত্মা প্রত্যেক পাঠক-পাঠিকাই ইচ্ছেমত যখন তখন নামাতে পারবেন। তার জন্য মণিমালাদের দারস্থ হওয়ার কোনও প্রয়োজন হবে না ।) সতের বছরে বিয়ে হয় মণিমালার। এক সময় একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ডাক আসে জ্যোতিষচর্চাকে পেশা হিসেবে নিতে। এক দিকে স্বামীর মতামত অন্য দিকে জ্যোতিষ-পেশার হাতছানি ।

‘সেই সময় একদিন প্ল্যানচেটে বসলাম আর তখনই অনুভব করলাম যে জ্যোতিষ‍ই আমার উপযুক্ত প্রোফেশন হবে। স্বামীর কাছ থেকেও কোনও বাধা আসবে না। সেই-ই শুরু।’

শুধু কি হাতের রেখা দেখেই ভবিষ্যত সম্পর্কে বলেন ?’ লেখিকা টুলটুল গাঙ্গুলি’র প্রশ্নের উত্তরে মণিমালা জানিয়েছেন, ‘শুধু হাত দেখেই নয়, কারও ছবি দেখে মিডিয়াম নামিয়ে আমি ভবিষ্যৎ বলতে পারি।’

মণিমালা শুধু অদৃষ্টই বলে দেন না, তার সঙ্গে অদৃষ্ট পাল্টাবার জন্যে স্টোনও প্রেসক্রাইব করেন। আবার অনেক সময় কাস্টমারদের অদৃষ্ট পাল্টাতে ইষ্টদেব গোপালের কাছে তাঁদের নামে তুলসীও দেন।

ফর্সা, দোহারা চোহারা, হাসি-খুসি মুখের লোপামুদ্রা বাংলায় এম. এ। পার্ট-টাইম গবেষণাও করছেন বাংলা নাটক নিয়ে। (অভিনয় সম্বন্ধে তবে জ্ঞান-গম্মি ভালই।) টুটুল গাঙ্গুলির প্রশ্ন, ‘জ্যোতিষচর্চার সবটাই কি ইনটিউশন-নির্ভর?”

লোপামুদ্রার উত্তর, “কখনই নয়, এটা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক শাস্ত্র। তবে জ্যোতিষচর্চা করলে পুজো, যোগ, প্রাণায়াম এসব করাও দরকার। (জ্যোতিষশাস্ত্র যদি পুজোর সঙ্গেই ভীর ভাবে সম্পর্কিত হয়, তবে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওইসব অংক-টংক কষার ভূমিকা কী ? )

মণিমালা

‘ভবিষ্যদ্বাণী কি সব সময় ঠিক ঠিক হয় ?’ টুলটুল-এর প্রশ্ন।

‘বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই মিলে গেছে, হাত দেখে কোনও সন্তান-সম্ভবা মাকে বলে দিতে পারি ছেলে কি মেয়ে হবে। একেবারে গ্যারান্টি। শতকরা ৮০ ভাগ মিলে যায়।’

আর এক খনা প্রিয়াংকার এখন রমরমা বাজার। দারুণ ব্যস্ত। না, ওই দুই জ্যোতিষীর মত বড় বড় দাবি-টাবি করেন নি এই সাক্ষাৎকারে। অথবা করলেও তা প্রকাশিত হয়নি । তিনি ক্লায়েন্টদের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘পুরুষ, মহিলা সকলেই আসেন। সবার সঙ্গে গড়ে ওঠে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিশেষ করে মেয়েদের শরীরিক, মানসিক এমন অনেক সমস্যা থাকে যা কোনও অচেনা পুরুষের কাছে বলাটা সংকোচের। কিন্তু আমার কাছে ওঁদের কোনও সংকোচ হয় না, খোলামেলা আলোচনার ফলে আমিও মূল সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারি, এতে গণনার সুবিধে হয়।’ (কথায় কথায় জাতকের অতীত, বর্তমান জেনে নিয়ে ভবিষ্যতের অনুমান করার বিষয়ে মনে হয়, আমাদের সমিতির সদস্য-সদস্যারা এঁদের চেয়ে খারাপ বলবেন না। এমন কী, অনেক সময এঁদের চেয়ে ভালই বলবেন। তারপর সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাপত্র ? সেটা অনেক সময়েই বুদ্ধি খাটিয়েই তৈরি করা যায়; এর জন্য যুক্তিবাদীদের জ্যোতিষশাস্ত্র মতে গণনা করার কোনও প্রয়োজন হয় না।)

এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দবাজার পত্রিকায় আমাদের সমিতির তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠালাম। চিঠিটা ১৩ এপ্রিল ‘সম্পাদক সমীপেষু’ কলমে প্রকাশিত হলো। চিঠিটা এইঃ

কলির খনাদের প্রতি যুক্তিবাদীদের চ্যালেঞ্জ

‘কলির খনারা’ লেখাটি (২১ মার্চ) পড়ে জানলামঃ মণিমালা দাবি করেছেন, তিনি শুধু হাত দেখেই নয়, কারও ছবি দেখে মিডিয়াম নামিয়ে ভবিষ্যৎ বলতে সক্ষম। আশা রাখি মণিমালা মিথ্যাচারী নন। তিনি তাঁর দাবির যথার্থতা প্রমাণ করে আমাদের নতুন আলে দেখাবেন ।

কোনও অলৌকিক ঘটনা, অলৌকিক ক্ষমতাধর মানুষ বা অভ্রান্ত গণনাকারী জ্যোতিষীর কথা শুনলে আমরা ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’ তাঁদের দাবির যাথার্থতা জানতে সত্যানুসন্ধান চালিয়ে থাকি। মণিমালা নিশ্চয়ই একজন সৎ মানুষ হিসেবে আমাদের এই সৎ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর দাবির ক্ষেত্রে আমাদের সত্যানুসন্ধান চালাতে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন।

পরীক্ষার ব্যাপারটা এই রকম- মণিমালাকে চারজনের চারটি ছবি দেব। সঙ্গে দেব প্রত্যেকের অতীত সম্পর্কে চারটি করে প্রশ্ন। ষোলটি প্রশ্নের ঠিক উত্তর পেলে ধরেই নেব, প্ল্যানচেট সত্যি, জ্যোতিষ সত্যি। অতএব খাঁটি যুক্তিবাদী মানসিকতার প্রমাণ রাখতে আমরা আমাদের কয়েক’শ সহযোগী সংস্থা ও শাখা সংগঠণসহ সমস্ত রকম অলৌকিক ও জ্যোতিষ- বিরোধী কাজকর্ম গুটিয়ে ফেলব। সেই সঙ্গে মণিমালা করুণা করলে আমি তাঁর শিষ্য হয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব। গুরু প্রণামী হিসেবে দেব ৫০ হাজার টাকা। এই চিঠিটি আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সাতদিনের মধ্যে মণিমালা আমাদের এই সত্যানুসন্ধানে সহযোগিতা করতে এগিয়ে না এলে আমরা অবশ্যই ধরে নেব-তাঁর দাবিগুলো পুরোপুরি মিথ্যা। তাঁর দাবির পিছনে রয়েছে সাধারণ মানুষকে প্রবঞ্চনা করার প্রয়াস ।

চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে তিরিশ দিনের মধ্যে তাঁকে দেব ছবি ও প্রশ্ন। তার দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনেই তাঁর ক্ষমতার প্রমাণ নেব ।

জ্যোতিষী লোপামুদ্রা দাবি করেছেনঃ ‘সন্তানসম্ভবা মা-কে দেখে বলে দিতে পারেন সন্তান ছেলে হবে কি মেয়ে। একেবারে গ্যারান্টি। শতকরা ৮০ ভাগ মিলে যায়।’

কথাগুলোর মানে বুঝলাম না। ৮০ শতাংশ মিললে একেবারে গ্যারান্টি দেন কী করে ? ছেলে বা মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তো সব সময়ই কম-বেশি আধা-আধি। অতএব কখন- সখন ৮০ শতাংশ তো মিলতেই পারে। এতে কি প্রমাণ হয় জ্যোতিষশাস্ত্র বিজ্ঞান ? আরও একটু পূজো-আর্চা, যোগ ও প্রাণায়াম করে যেদিন লোপামুদ্রা গ্যারান্টি দিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর দাবি জানাবেন, সেদিনের জন্য চ্যালেঞ্জটা তুলে রাখলাম ।

না, প্রিয়াংকা জ্যোতিষী হিসেবে কোনও দাবিই জানান নি। এবং লেখা পড়ে মনে হলঃ মন-টন নিয়ে চর্চা করেছেন, তাই এখনই জ্যোতিষীব ভান করে দু-একটার চেয়েও বেশি ক্ষেত্রে মিলিয়েও দিচ্ছেন। সত্য স্বীকার করার জন্য প্রিয়াংকাকে ধন্যবাদ ।

পারমিতার ছবি চোখে পড়ল, লেখা নয়। পারমিতা ‘৮৫-র আকাশবাণীর বেতার অনুষ্ঠানে আমার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আশা রাখি তিনি আমাকে এবং আমাদের সমিতিকে সযত্নে এড়িয়ে চলতে চাইবেন। এড়াতে না চাইলে, আবার তাঁর দাবির অসারতা প্রমাণ করার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি।

প্রবীর ঘোষ ।

সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি,

৭২/৮ দেবীনিবাস বোড, কল-২৭৪

 

২৭ এপ্রিল ‘১০ ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক সমীপেষু বিভাগে আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চারটি চিঠি প্রকাশিত হলো। তার মধ্যে একটি চিঠি সেই হস্তরেখাবিদ নরেন্দ্রনাথ মাহাতোর। পত্রগুচ্ছের শিরোনাম ছিল “জ্যোতিষী চ্যালেঞ্জ নিলেন।” চিঠি চারটি এইঃ

 
জ্যোতিষী চ্যালেঞ্জ নিলেন

॥ ১॥

‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষের বক্তব্য ও চ্যালেঞ্জের কথা জানলাম (চিঠি, ১৩/৪)। ওঁর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই জানাই ওঁর প্রদত্ত চারটি ছবির সহায়তায় ষোলটি প্রশ্নের সঠিক জবাব আমি জ্যোতিষ পদ্ধতিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে দিতে চাই। তবে অবশ্যই প্রশ্নগুলিতে যেন প্রবীরবাবুর পূর্বের ক্রিয়াকলাপের মতো কোনও ভাঁওতাবাজি না থাকে।

মণিমালা। ৩৫/১৭এ পদ্মপুকুর রোড, কলকাতা-২০

॥ ২ ॥

‘কলির খনাদের প্রতি যুক্তিবাদীদের চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে দুটি চিঠি (১৩/৪) পড়লাম। আমি যুক্তিবাদীদের জানাইঃ হস্তরেখাবিদ্যা একটি বিজ্ঞান এবং তা আমি প্রমাণ করে দেখাতে চাই ।

প্রবীব ঘোষ ও অন্যান্যেরা সত্যানুসন্ধানী বলেই জানি। সুতরাং আশা করি—তাঁরা আমার প্রস্তাবে রাজি হবেন এবং মে মাসের কোনও একদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আমাকে আহ্বান জানাবেন ।

নরেন্দ্রনাথ মাহাতো। সুজাগঞ্জ, মেদিনীপুর

|| ৩ ||

প্রবীর ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে (১৩/৪) যুক্তিবাদী মানুষ হিসাবে কিছু বলার তাগিদ অনুভব করছি।

‘যুক্তিবাদী’ বনাম ‘জ্যোতিষীর’ যে চ্যালেঞ্জ শুরু হয়েছে তার অবসান কবে হবে কে জানে ৷ কারণ, যে সরিষা দিয়ে (?) ভূত ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে সেই সরিষার মধ্যেই যদি ভূত ঢুকে থাকে তাহলে ভূত ছাড়ানো যাবে কি ? তার একটি প্রমাণ পাঠালাম ।

৩১ ডিসেম্বর ‘৮৮ তারিখে রেজিস্টার্ড উইথ এ/ডি (রসিদ নং ৫৭৭৩ ও ৫৭৭৪) ডাকযোগে প্রবীর ঘোষের বাড়ির ঠিকানায় এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ১নং স্ট্র্যান্ড রোড, প্রধান শাখা, কলকাতা-৭০০০০১, প্রবীর ঘোষের কর্মস্থলের ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে প্রবীর ঘোষকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম ।

এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেল, আমার চিঠির (৩১/১২/১৯৮৮ তারিখের) যথাযথ জবাব নেই কেন ?

কাশীনাথ কংসরণিক। ১৬/১ নন্দলাল বোস লেনঃ কলিকাতা-৩

|| ৪ ||

‘কলির খনাদের প্রতি যুক্তিবাদীদের চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে যুক্তিবাদী প্রবীরবাবুর চিঠি পড়লাম। প্রবীরবাবুর সঙ্গে আমিও একমত। সাধারণ মানুষকে প্রবঞ্চনার কত রকম পন্থা

আজকাল চলছে। আমিও বিজ্ঞানের ছাত্র। যুক্তি দিয়ে সকল কিছু বিচার বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু যুক্তিবাদী মনও অনেক সময় ভাববাদে ভাবিত হয়। আমার এ চিঠি লেখার উদ্দেশ্য প্রবীরবাবুর উদ্দেশ্যে কোনও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া নয়। যুক্তিবাদী মনে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে ভাববাদের দ্বন্দ্ব তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের জন্য এ চিঠির অবতারণা।

বীরভূম জেলার নানুর থানার পাকুড়হাস গ্রামে এক ঠাকুরের আবির্ভাব হয়েছে যিনি বহু দুরারোগ্য ব্যাধি সারিয়ে দিচ্ছেন। ইনি পূর্বে বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর ওষুধ হচ্ছে বাড়িতে অধিষ্ঠিতা দেবী দূর্গার মৃত্তিকা, ফুল ও চরণামৃত। অসুখ সারানোর জন্য তিনি কোনও অর্থের দাবি করেন না। ভক্তরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মুঠো মুঠো অর্থ দিয়ে যান। বাড়িতে রোগীদের মেলা। যুক্তিবাদী প্রবীরবাবু নিশ্চয়ই উল্লিখিত বিষয়টির যুক্তিনিষ্ঠ ব্যাখ্যা দেবেন। সব থেকে ভাল হয় তিনি যদি সরেজমিনে পাকুড়হাস গ্রামে ঘুরে আসেন।

বীরেন আচার্য। দিগড়া সারদাপল্লী, হুগলি

 

চিঠিগুলো প্রকাশিত হতেই সংবাদ শিকারী অনেক সাংবাদিক বন্ধুই জানতে চাইলেন, এবার আমাদের সমিতি কি করবে ? এগিয়ে এলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ‘INDIA TODAY’ পত্রিকা। বিজ্ঞানকর্মী ও সাধারণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল ‘তিন’ নম্বর চিঠিটি। আমি কেন কাশীনাথ কংসবণিক-এর দু-দুটি রেজিস্টার্ড ডাকে পাঠান চিঠি পেয়েও উত্তর দিইনি ?

এ-সবেরই উত্তর নিয়ে আমাদের সমিতির পক্ষে আমার দেওয়া চিঠি আনন্দবাজারের প্রকাশিত হলো ৭ মে ১৯৯০। শিরোনাম, “যুক্তিবাদী ও জ্যোতিষী”।

error: Content is protected !!