আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীর বার্ষিক বিবরণী
মাননীয় সভাপতি সাহেব, শ্রদ্ধেয় সদস্য ও সুধী অতিথিবৃন্দ। আজ আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীর ৫ম বার্ষিক অধিবেশন এবং আমার ৮৪তম জন্মদিন। আমার মনে হয় যে, আজকের এ সম্মেলনে আমি আপনাদের সকলের চেয়ে অধিক ভাগ্যবান। তবে তা রূপ-গুণ, বিদ্যা-বুদ্ধি বা অর্থ-সম্পদে নয়, শুধুমাত্র বয়সের তুলনায়। বর্তমানে আমি বয়সের এমন এক পর্যায়ে এসে গেছি যে, প্রতি বছরেই আপনাদের কাছে নিতে হয় ‘চিরবিদায়’। কেননা কোন বার্ষিক অনুষ্ঠানেই আশা করতে পারি না যে, আগামী অনুষ্ঠান দেখতে পাবো। তাই সেবারের অনুষ্ঠানে নিয়েছিলাম চিরবিদায়। তথাপি নিয়তি আমাকে সুযোগ দান করেছে আজকে আপনাদের এ মহতী সম্মেলনে যোগদান করার জন্য। তাই আমি বিশ্বনিয়ন্তার কাছে আত্মসমর্পণপূর্বক ১৯৮৩-৮৪ সালের বার্ষিক বিবরণী পাঠ শুরু করছি।
আজকের এ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে –
১. ১৯৮৩-৮৪ সালের আয়-ব্যয় পর্যালোচনা ও অনুমোদন।
২,৩. পরিচালক ও নির্বাহী কমিটি নতুনভাবে গঠন।
৪,৫. বর্তমান সালের বাবদ ভিক্ষাদান ও বৃত্তিদানের তারিখ নির্ধারণ করা।
উক্ত বিষয়সমূহের মধ্যে আজকের অধিবেশনের সময় সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে কমিটির সাক্ষাতে বেলা ১১টায় স্থানীয় ২০জন কাঙ্গাল-কাঙ্গালিকে মোট ১০০.০০ টাকা ভিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। এ অসৌজন্যমূলক কাজটি করার জন্য আমি আপনাদের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি।
আমার সাবেক পরিকল্পনা তথা গঠনতন্ত্র মোতাবেক লাইব্রেরীর তহবিল থেকে স্থানীয় কতিপয় বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক বৃত্তিদানের তারিখ ছিলো প্রত্যেক পৌষ মাসের শেষ রবিবার, যেহেতু তখন সরকারি ছুটির দিন ছিল রবিবারে। কিন্তু অধুনা সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ধার্য থাকায় আগামীতে বৃত্তি প্রদানের তারিখ পৌষ মাসের শেষ শুক্রবারে ধার্য থাকা বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে কমিটির অনুমোদন প্রার্থনা করছি।
এ যাবত বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৪০০.০০ টাকা এবং ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫০.০০ টাকা, একুনে মোট ৫৫০.০০ টাকা। কিন্তু বর্তমান বছর থেকে আরো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০.০০ টাকা ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫০.০০ টাকা বার্ষিক বৃত্তিপ্রদানের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
আমার পরিকল্পিত ও সম্পাদিত ট্রাস্টনামার ৬নং দফে মোতাবেক মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে মানবতাবাদ-এর উৎকর্ষজনক একটি উৎকৃষ্ট প্রবন্ধের রচয়িতাকে ১০০.০০ টাকা করে বার্ষিক প্রতি্যোগিতামূলক পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত ছিলো। এ-ও সিদ্ধান্ত ছিলো যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উক্ত পুরস্কার বিতারিত হবে এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের কর্তৃপক্ষ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। অধিকন্তু একথাও পরিকল্পনাভুক্ত ছিলো যে, কর্তৃপক্ষ যদি কোন কারণে আমার ঈস্পিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি সম্পাদনে অসম্মতি জানান, তবে উক্ত টাকার দ্বারা অতিরিক্ত একটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথানিয়মে বৃত্তি প্রদান করা হবে। (দেখুন ‘স্মরণিকা’, পৃ. ৩১)
একটি কথা এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন দর্শন বিভাগ প্রধান মাননীয় ড.আ. মতিন সাহেব আলোচ্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আমাকে আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিভাগ প্রধান যে কোন কারণে উক্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এতদকারণে উক্ত পুরস্কারের বরাদ্দকৃত টাকা এযাবত লাইব্রেরীর তহবিলে মজুদ রয়েছে। তাই উক্ত পুরস্কারের বরাদ্দকৃত টাকার দ্বারা এ বছর থেকে অতিরিক্ত ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তিপ্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং সে মর্মে চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মনোনীত করেছি।
চরবাড়িয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক – এ বিদ্যালয় দু’টি একই স্থানে ও পাশাপাশি অবস্থিত। তার একটিতে বৃত্তি প্রদান করা হলে অপরটিতেও বৃত্তি প্রদান করা সমীচীন। তাই মানবতা রক্ষার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লাইব্রেরীর তহবিল থেকে বরিশাল জনতা ব্যাংক চকবাজার শাখায় ১,০০০.০০ টাকা স্থায়ী আমানত রাখা হয়েছে (হিসাব নং ১৮৯১১৮/৪০৯)। এ টাকার লভ্যাংশ দ্বারা চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতেও বৃত্তিপ্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আর এ বছর উক্ত বিদ্যালয় দুটিতে বৃত্তিপ্রদান করা যাবে উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরস্কারের উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত মজুত টাকা দ্বারা।
এখন আমি ১৯৮৩-৮৪ সালের কার্যবিবরণী ও নতুন কমিটি গঠন সম্বন্ধে আলোচনা করবো, প্রথমে কার্যবিবরণী ও পরে কমিটি গঠন সম্বন্ধে।
লাইব্রেরীর আয়, ব্যয় ও আবশ্যক
লাইব্রেরীর সদস্যবৃন্দের স্মরণার্থে উল্লেখ্য যে, এ লাইব্রেরীটির প্রধানত দুইটি তহবিল আছে- (ক) বিশেষ তহবিল ও (খ) সাধারণ তহবিল।
ক. বিশেষ তহবিল
এ তহবিলের কোন অর্থ কখনো ব্যয় করা যাবে না, শুধুমাত্র তার লভ্যাংশ ব্যয় করা যাবে। দেখুন ট্রাস্টনামা দলিলের দফে নং ১১ এবং ‘স্মরণিকা’ পুস্তকের পৃ. ৩২-৩৪।
খ. সাধারণ তহবিল
এ তহবিলের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে বিশেষ তহবিলের (স্থায়ী আমানত) টাকার লভ্যাংশ এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্তি, জনসাধারণের স্বেচ্ছাকৃত দান, পাঠক সদস্যদের প্রদত্ত চাঁদার টাকা ইত্যাদি। এখানে সাধারণ তহবিল সম্বন্ধে বর্তমান সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব দিচ্ছি।
আয়
ক্রমিক | বিস্তারিত | টাকা |
---|---|---|
১. | বিগত সালের মজুত | ৭৭৬.৭৫ টাকা |
২. | দানপ্রাপ্তি | ২২০.০০ টাকা |
৩. | স্থায়ী আমানতী টাকার সুদপ্রাপ্তি ক. ১৯৮২-৮৩ খ. ১৯৮৩-৮৪ |
১,৬০৮.০০ টাকা ১,৭৫০.০০ টাকা |
৪. | পাঠকদের চাঁদা | ৩৯.০০ টাকা |
৫. | ব্যাংকের অস্থায়ী আমানতী আদায় | ২,৫৯০.০০ টাকা |
মোট টাকা = | ৬,৯৮৩.৭৫ টাকা |
ব্যয়
ক্রমিক | বিস্তারিত | টাকা |
---|---|---|
১. | যাতায়াত | ১৩৯.৬০ টাকা |
২. | অনুষ্ঠান (১৯৮৩) | ২৯১.০০ টাকা |
৩. | বৃত্তিদান (১৯৮৩) | ৫৫০.০০ টাকা |
৪. | ভিক্ষাদান (১৯৮৩) | ১০০.০০ টাকা |
৫. | ভিক্ষাদান (১৯৮৪) | ১০০.০০ টাকা |
৬. | বই প্রকাশ | ৩৮২.০০ টাকা |
৭. | নলকূপ স্থাপন | ৫১৩.০০ টাকা |
৮. | পুকুর খনন | ২৮০.০০ টাকা |
৯. | পরিচালক ভাতা | ৪৫০.০০ টাকা |
১০. | সেরেস্তা খরচ | ৩৫.০০ টাকা |
১১. | অতিথি সেবা | ২০০.০০ টাকা |
১২. | অনুষ্ঠান (১৯৮৪) | ২৭৩.২৫ টাকা |
১৩. | বিবিধ | ৭.৫০ টাকা |
১৪. | ব্যাংকের স্থায়ী আমানত | ১,০০০.০০ টাকা |
মোট টাকা = | ৪,৩২১.৩৫ টাকা | |
মোট আয় = | ৬৯৮৩.৭৫ টাকা | |
মোট ব্যয় = | ৪,৩২১.৩৫ টাকা | |
মজুত তহবিল | ২,৬৬২.৪০ টাকা |
পুস্তকাদি ও পাঠক
ক্রমিক | পুস্তকের ধরণ | সংখ্যা |
---|---|---|
১. | বিজ্ঞান | ৮৮ |
২. | দর্শন | ২৪ |
৩. | ধর্ম | ৪৩ |
৪. | গল্প | ৩৭ |
৫. | উপন্যাস | ১৩২ |
৬. | নাটক | ১১ |
৭. | জীবনী | ৩৫ |
৮. | ভ্রমণ | ১৩ |
৯. | প্রবন্ধ | ২৩ |
১০. | অভিধান | ৫ |
১১. | গণিত | ১৩ |
১২. | ভূগোল | ১২ |
১৩. | ইতিহাস | ৪৫ |
১৪. | ব্যাকরণ | ৭ |
১৫. | সাহিত্য | ৫৩ |
১৬. | আইন | ১৪ |
১৭. | চিকিৎসা | ৯ |
১৮. | ইংরেজি | ৩৮ |
১৯. | রাজনীতি | ৮২ |
২০. | কৃষি | ৪৮ |
২১. | বিবিধ | ২৮৫ |
বইয়ের মোট সংখ্যা | ১০১৭ | |
মোট মূল্য = | ১২,৭৩৩.৯৫ টাকা। |
কিন্তু একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে লাইব্রেরী সংলগ্ন একটি বারান্দা নির্মাণ, লাইব্রেরীর সরহদ্দ বরাবর একটি দেয়াল নির্মাণ ও আসবাবপত্র খরিদ বাবদ মোট প্রায় ৩০,০০০.০০ টাকা দরকার। এ বিষয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক সাহেবের শুভদৃষ্টি প্রার্থনা করছি।
পাঠকবৃন্দ
এ লাইব্রেরীতে সাধারণ পাঠকের সংখ্যা নগণ্য, সদস্য পাঠকের সংখ্যা হচ্ছে বর্তমানে ১৮ জন। সদস্য পাঠকদের মধ্যে দুইটি শ্রেণী আছে- প্রৌঢ় এবং ছাত্র। লাইব্রেরীর নিয়মমতে কোন ছাত্র-পাঠকের নিকট থেকে চাঁদা গ্রহণ করা হয় না। তবে প্রৌঢ়দের নিকট থেকে মাসিক চাঁদা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে লাইব্রেরীর ছাত্র সদস্যের সংখ্যা মোট ১৫ এবং প্রৌঢ় সদস্যের সংখ্যা মাত্র ৩ জন।
বর্তমান সালে উক্ত পাঠকগণ পুস্তক অধ্যায়ন করেছেন মোট ২৩০টি। সুতরাং পাঠকগণ প্রত্যেকে গড়ে পুস্তক অধ্যায়ন করেছেন প্রায় ১৩টি। কিন্তু পাঠকগণের মধ্যে সর্বাধিক পুস্তক অধ্যয়নপূর্বক কৃতিত্ব অর্জন করেছেন-
১ম স্থানের অধিকারী = মো. ফিরোজ সিকদার = পঠিত পুস্তক ৪৬টি।
২য় স্থানের অধিকারী = মো. আলতাফ হোসেন = পঠিত পুস্তক ৩৮টি।
৩য় স্থানের অধিকারী = মো. ইয়াসিন আলো সি. = পঠিত পুস্তক ২০টি।
নতুন কমিটি গঠন সম্বন্ধে আলোচনা
মাননীয় সভাপতি সাহেব ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ! এখন আমি লাইব্রেরীর নতুন কমিটি গঠন সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করতে চাই। কেননা লাইব্রেরীর গঠনতন্ত্র তথা ট্রাস্টনামার নির্দেশমতে এ বছর (৫ম বছর) নতুন কমিটি গঠন করা কর্তব্য। কিন্তু আলোচনার পূর্বে ট্রাস্টনামায় লিখিত ১২ নং দফেটি আপনাদের পড়ে শুনাচ্ছি। দেখুন ‘স্মরণিকা’ পৃ. ৩৪-৩৫।
(‘স্মরণিকা ‘পাঠ)
ট্রাস্টনামার নির্দেশমতেই নতুন কমিটি গঠন করা উচিত। কিন্তু সময়ের গতিধারার প্রতি লক্ষ্য করে এবং লাইব্রেরীর মঙ্গলার্থে আমার সাবেক পরিকল্পনা অর্থাৎ ট্রাস্টনামার কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করা এখন সমীচীন বলে মনে করি।
আমার পরিকল্পিত গঠনতন্ত্রমতে লাইব্রেরীর পরিচালক কমিটির সদস্যপদের সংখ্যা ছিলো ১১। যথা – পাঠকদের মনোনীত সদস্যের সংখ্যা ৪, প্রতিষ্ঠাতার মনোনীত ৪ এবং সরকারি পর্যায়ে ৩জন; মোট ১১ জন। কিন্তু বর্তমানের সরকারি পর্যায়ের সদস্যপদের সংখ্যা ৩টির স্থলে (একটি পদ বৃদ্ধি করে) ৪টি পদ ধার্য করা সমীচীন বলে আমি মনে করি। আমি এ-ও মনে করি যে, সে বর্ধিত পদটির অধিকারী হবেন আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেব। সে মর্মে বর্তমান উপজেলা অফিসার মাননীয় এম.এ. বারি সাহেবের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাস্টনামার ১২ নং দফের লিখিতমতে, যদি কোন মহৎ ব্যক্তি লাইব্রেরীটির উন্নয়নকল্পে অন্যূন ১,০০০.০০ টাকা বা তার সমমূল্যের কোনো বস্তু দান করেন, তবে তিনি লাইব্রেরীর পরিচালক কমিটির একজন স্থায়ী সদস্য হতে পারবেন এবং তাঁকে সহযোগী সদস্য বলা যাবে। সে মর্মে বর্তমান পরিচালক কমিটির সহযোগী সদস্য হচ্ছেন মৌ. মোশারফ হোসেন মাতুব্বর। যেহেতু এ লাইব্রেরীর উন্নয়নকল্পে তিনি এককালীন ২,৫০০.০০ টাকা দান করেছেন। নতুন কমিটি গঠনে সহযোগী সদস্য হবে দুইজন। এর অতিরিক্ত ব্যক্তিটি হবে মো.আ. খালেক মাতুব্বর (মাণিক), যেহেতু সে বিভিন্ন সময়ে এ যাবত যে সমস্ত বস্তু এ লাইব্রেরীতে দান করেছেন, তার মোট মূল্য হচ্ছে ১,১৮৮.০০ টাকা। তার দানের বস্তুগুলো হচ্ছে –
দানের বস্তুসমূহ
ক্রমিক | দানের বস্তুসমূহ | সংখ্যা | মূল্য |
---|---|---|---|
১. | বই | ৬১ টি | ৪৪৪.০০ টাকা |
২. | দেয়াল ফটো (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) | ১ টি | ৪০.০০ টাকা |
৩. | দেয়াল ফটো (কাজী নজরুল ইসলাম) | ১ টি | ৫০.০০ টাকা |
৪. | টেবিল | ২ টি | ৮৫.০০ টাকা |
৫. | চেয়ার | ৩ টি | ১২০.০০ টাকা |
৬. | তাকের তক্তা | ১৮ টি | ৩৬০.০০ টাকা |
৭. | পাঞ্চার মেশিন | ১ টি | ২০.০০ টাকা |
৮. | পেপার ওয়েট (কাঁচ) | ১০ টি | ৪০.০০ টাকা |
৯. | গামটেপ | ১ টি | ৩.০০ টাকা |
১০. | স্ট্যাম্প প্যাড (ময়কালি) | ১ টি | ২৬.০০ টাকা |
মোট মূল্য = | ১,১৮৮.০০ টাকা |
নতুন পরিচালক কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে লাইব্রেরীর পাঠকগণ তাঁদের মনোনীত ৪ জন সদস্যের নামের তালিকা প্রদান করেছেন এবং প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্যের নামের তালিকা প্রদত্ত হয়েছে।
ট্রাস্টনামার নির্দেশ মোতাবেক সরকারি পর্যায়ের একজন শিক্ষাবিদ সদস্য মনোনীত করবেন মাননীয় সভাপতি সাহেব। এবং এ মর্মে বর্তমান কমিটির সদস্য হচ্ছেন মাননীয় অধ্যক্ষ মো. হানিফ সাহেব। আমি আশা করি যে, সভাপতি সাহেব তাঁকেই নবগঠিত পরিচালক কমিটির সদস্যপদে মনোনয়ন প্রদান করবেন।
সুতরাং পূর্বোক্ত আলোচনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নরূপ নবগঠিত পরিচালক কমিটি হতে পারে।
কমিটি গঠন
সদস্য | জন | কর্মজীবন | পদবী |
---|---|---|---|
ক. সরকারি পর্যায়ের সদস্য | ৪ জন | ১. মাননীয় বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (পদাধিকার বলে) ২. মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (পদাধিকার বলে) ৩. মাননীয় জেলা প্রশাসক মনোনীত শিক্ষাবিদ সদস্য অধ্যক্ষ জনাব মো. হানিফ ৪. মাননীয় সভাপতি, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (পদাধিকার বলে) |
সভাপতি সদস্য সদস্য সদস্য |
খ. পাঠকদের মনোনীত সদস্য | ৪ জন | ১. মৌ. ফজলুর রহমান মৃধা, লামচরি ২. মৌ. মোসলেম উদ্দীন মাতুব্বর, লামচরি ৩. ডা. আ. আলী সিকদার, লামচরি ৪. মো. ফিরোজ সিকদার, লামচরি |
সদস্য সদস্য সদস্য সদস্য |
গ. প্রতিষ্ঠাতার মনোনীত সদস্য | ৪ জন | ১. জনাব অধ্যাপক কাজী গোলাম কাদির, বরিশাল ২. মৌ.আ. গণি আকন, লামচরি ৩. মৌ. গোলাম রসূল মোল্লা, লামচরি ৪. আরজ আলী মাতুব্বর, লামচরি |
সদস্য সদস্য সদস্য সদস্য |
ঘ. সহযোগী সদস্য | ২ জন | ১. মৌ. মোশাররফ হোসেন মাতুব্বর, লামচরি ২. মো. আ. খালেক মাতুব্বর (মাণিক), লামচরি |
সদস্য সদস্য |
মোট = | ১৪ জন |
অদ্যকার অধিবেশনে প্রস্তাবিতরূপে নবগঠিত পরিচালক কমিটি অনুমোদিত হলে, পরে কমিটির বিশেষ পদসমূহের প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।
সবশেষে, মাননীয় সভাপতি সাহেব ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ! লামচরি গ্রামের মতো একটি অখ্যাত ও নোংড়া পরিবেশে অবস্থিত এ ক্ষুদ্র লাইব্রেরীটির বার্ষিক অনুষ্ঠানে আপনারা যেভাবে সময়, শক্তি ও অর্থ অপচয় করে পদদূলি দান করেছেন, সেজন্য আমি নিজের ও লামচরিবাসী জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার বার্ষিক বিবরণী এখানেই শেষ করছি।
ইতি –
৩.৯.১৩৯১
অপ্রকাশিত
৮.১ মুসলিম সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভাষণ
৮.২ বাংলাদেশ সোসিও-ফিলসফিক হিউম্যানিস্ট গিল্ড সেমিনারে ভাষণ
৮.৩ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৪ নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৫ গুণী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৬ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.৭ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক বিবরণী ভাষণ
৮.৮ মানবিক উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা সেমিনারে ভাষণ
৮.৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় ভাষণ
৮.১০ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ
৮.১১ বার্ষিক বৃত্তিপ্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.১২ বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থায় ভাষণ
৮.১৩ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীর বার্ষিক বিবরণী ভাষণ
৮.১৪ বাংলাদেশ দর্শন সমিতিতে ভাষণ
৮.১৫ বার্ষিক বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ
৮.১৬ আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরীতে ভাষণ
৮.১৭ বাংলা একাডেমীর সংবর্ধনা ভাষণ