আমার চোখের সামনে প’চে গ’লে নষ্ট হলো কতো শব্দ,
কিংবদন্তি, আদর্শ, বিশ্বাস। কতো রঙিন গোলাপ
কখনোবা ধীরে ধীরে, কখনো অত্যন্ত দ্রুত, পরিণত হলো
নোংরা আবর্জনায়।
আমার বাল্যে ‘বিপ্লব’ শব্দটি প্রগতির উত্থান বোঝাতো।
যৌবনে পা দিতে-না-দিতেই দেখলাম শব্দটি প’চে যাচ্ছে–
ষড়যন্ত্র, বুটের আওয়াজ, পেছনের দরোজা দিয়ে
প্রতিক্রিয়ার প্রবেশ বোঝাচ্ছে।
‘সংঘ’ শব্দটি গত এক দশকেই কেমন অশ্লীল হয়ে উঠেছে।
এখন সংঘবদ্ধ দেখি নষ্টদের, ঘাতক ডাকাত ভণ্ড আর
প্রতারকেরাই উদ্দীপনাভরে নিচ্ছে সংঘের শরণ। যারা
মানবিক, তারা কেমন নিঃসঙ্গ আর নিঃসংঘ ও
অসহায় হয়ে উঠছে দিনদিন।
আমার চোখের সামনে শহরের সবচেয়ে রূপসী মেয়েটি
প্রথমে অভিনেত্রী, তারপর রক্ষিতা, অবশেষে
বিখ্যাত পতিতা হয়ে উঠলো।
এক দশক যেতে-না-যেতেই আমি দেখলাম
বাঙলার দিকে দিকে একদা আকাশে মাথা-ছোঁয়া মুক্তিযোদ্ধারা
কী চমৎকার হয়ে উঠলো রাজাকার।
আর আমার চোখের সামনেই রক্তের দাগ-লাগা সবুজ রঙের
বাঙলাদেশ দিন দিন হয়ে উঠলো বাংলাস্তান।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো